১.
ব্যাকফুটে ড্রাইভটা করতে গিয়ে সে পরাজিত হয়েছিল সত্যি, কিন্তু ব্যাটের কানায় সত্যি লাগেনি। তবু প্রতিপক্ষের বোলার ‘আউজ, আউজ’ রবে ষাড়ের মত চিৎকার করতে লাগল, আর তার খুব কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডাররা, যারা ঘটনাটার পরিষ্কার সাক্ষী ছিল, জিগির তুলতে লাগল বোলারের সাথে! এরপর এক সময় সেই শব্দের ধাক্কায় কাতরাতে কাতরাতে আম্পায়ারের আঙুলটা যখন উর্ধ্মুখি হল, তখন রাহিন শুধু মাঠের বাইরেই গেল না, সোজা বাড়িমুখো হল। বলতে কী, এই মাঠ, আর আকাশ তার কাছে চরম অসহ্য বোধ হতে লাগল! বয়ে যাওয়া চিৎকার আর হল্লার বায়ুতে তার দমবন্ধ হয়ে আসতে লাগল!
রাহিনদের বাড়িটা সরকারী রাস্তাটা দিয়ে মাইল দুয়েক দূরে, আর মেঠো পথ দিয়ে মাত্রই আধা মাইল। সব দিন সে রাস্তাটাই ধরে। পথচারী মানুষ আর তাদের হরেক রকম কান্ডকারখানা দেখে নেয়ার লোভ তো থাকেই; পাশাপাশি, আছে দেরীতে বাড়ি ফেরার একটা সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা, কারণ ফিরলেই তো চারদিকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা একটি ঘরের টেবিলে বসে পড়তে হয়, না হলে, বড়দের কাছে খুবই বেমানান লাগে ব্যাপারটা!
কিন্তু আজ নিজের অজান্তেই সে পা বাড়াল মেঠো পথটার দিকে, আর হাঁটতে হাঁটতে এসে পড়ল একটা ধানক্ষেতের আইলে। পড়ন্ত বিকেল, সূর্য ডুবতে অনেকটাই বাকী। আগে ওভাবে খেয়াল করেনি, কিন্তু আজ যেন চোখ জুড়িয়ে যেতে লাগল দিগন্ত বিস্তৃত ধান ক্ষেতটির দিকে তাকিয়ে। কেমন একটা শান্তি শান্তি ভাব চারদিকে! ধানগাছগুলো কি নিবিড় ভাবে জুড়ে আছে, আর কি পরিপুষ্ট ওদের দেহ! বড়দের কাছে শুনেছে, এবার না কি বাম্পার ফলন হতে যাচ্ছে। কথাটার মানে সে এই বুঝেছে যে, এবার সবার গোলা ভরে আসছে ধান। আর কিছুদিন পরেই পাকতে শুরু করবে। ধান থেকে চাল হয়ে থাকবে কিছু ঘরে, আর বাকিটা যাবে হাটে।
রাহিন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ধানগাছগুলোর দিকে! কী আশ্চর্য এই গাছ, সবাইকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখে! এর সব কিছুই মানুষের কাজে লাগে, এমনকি ফেলে দেয়া চিটেগুলো খের হয়ে গরুর খাদ্য হয়। যে গরু আবার মানুষের কত কাজেই না লাগে! ক্ষেতে জমি তৈরিতেই সে খাটে না শুধু, তার দুধ থেকেই মানুষের কত খাদ্যের যোগান হয়! এমনকি গোবরটুকুও কাজে লাগে মানুষের!
রাহিনের হঠাৎ মাথায় আসে ব্যাপারটা। আচ্ছা, ধান গাছ বা গরুর মত সব গাছ ও প্রাণীই তো মানুষের কাজে লাগে; কিন্তু মানুষের কোন কিছু কি ওদের কাজে লাগে? না কি মানুষ খালি ভোগই করে? রাহিন অনেকক্ষণ মাথা খাটিয়েও বার করতে পারল না যে সে অন্য প্রাণী বা উদ্ভিদের কী কাজে লাগে! এমনকি যদি রাস্তার কুকুর হত বা মাথার উপরের শকুন হত, তাও তো সে ভাগাড়টা সাফ করে নিতে পারত; একটা কোন কাজে লাগত, যা কিনা অন্য কোন প্রাণীর উপকারে লাগছে! নিজের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে তার মধ্য থেকে! নাহ্, যেহেতু সে মানুষ, সে কারোই উপকারে লাগবে না শুধু নিজের জাতি ছাড়া; আর এই হচ্ছে মানুষ হিসেবে তার নিয়তি!
একটা সময় নিজেকে খুব ছোট মনে হতে থাকে তার! এই বিশাল পৃথিবীতে মনুষ্যজন্মের জন্য লজ্জিত হয়ে পড়ে সে! তার মাথায় গেড়ে বসে ধারণাটা - মানুষের মত লোভী, বেহায়া আর কেউ নেই! নিজেকে আবার নাম দিয়েছে সৃষ্টির সেরা! আসলে সৃষ্টির নিকৃষ্ট ছাড়া আর কী! মানুষ শুধু জানে অন্যের উপর কর্তৃত্ব করতে, ছলেবলে নিজের সবটুকু স্বার্থ হাসিল করে নিতে! ক্ষুধা না থাকলেও সে ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্যের উপর, সবখানেই তার হালুম হালুম! রাহিনের হঠাৎ ইচ্ছে করল, মানুষের পোশাকটা খুলে ফেলতে, আর অন্য রকম একটা প্রাণী হয়ে যেতে!
রাহিনদের বাড়ির পথে একটা নদী পড়ে। তবে সেটি পেরুতে হয় না; নদীটির পাড় ধরে সোজা এগিয়ে গেলেই একটি গ্রাম পাওয়া যায়, যার মধ্যে তাদের বাসাটা বাঁধা শক্ত করে। হাঁটতে হাঁটতে কখন যে সে বাড়িটা পেরিয়ে যায়, খেয়াল হয় না। এক সময় সে দেখে যে, আর কোন বাড়ি নেই কোথাও, শুধু হাওয়ার একটি নিঃশব্দ নৃত্য! হঠাৎ তার দেহটা ভীষণ দুলতে থাকে! তার মনে হতে থাকে, সে এক বিষ্ময়-যানে বসে আছে, আর চলেছে রকেটের থেকেও দ্রুত গতিতে! এরপর সে হারিয়ে যেতে থাকে ক্রমশ অদৃশ্য কোন জগতে!
(২)
কতক্ষণ এভাবে পড়ে ছিল, মনে করতে পারল না সে! আর চেতনা হারিয়েছিল, না কি ঘুমিয়েছিল, কোথায় এখন সে, কিভাবে এল – এসব নিয়ে যে একটুখানি ভাববে, সে সুযোগও মিলল না তার। সেন্সটা ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ একটা প্রবল চিৎকার, তার নাম ধরেই, সর্বশরীরে বিঁধতে লাগল। চোখটা পুরো খুলে দিয়ে সে দেখতে পেল, একটা অতিকায় ধান গাছ দৌঁড়ুতে দৌঁড়ুতে তার দিকেই ধেয়ে আসছে, আর তার পিছু পিছু অগণিত ধানগাছ ….। প্রথমটা রাহিনের খুব ভয় করতে লাগল, সে আবার চোখ মুঁদে ফেলতে চাইল। কিন্তু শক্তিশালী একটা হাওয়ার দাপটে তার চোখের দরজা হুড়মুড় করে খুলে গেল।
‘বাঁচাও, ভাই, আমাদের উপর কেয়ামত নেমে আসছে।‘ নেত্রী ধানগাছটির কণ্ঠে গা হিম করা এক আকুতি ছিল; তবু তাকে উপেক্ষা করেই রাহিনের চোখ চলে গেল উর্ধ্বাকাশে, সেখান থেকে একে একে নেমে আসছে বুলেটের মত দেখতে পোকার দানবেরা!
হঠাৎ করেই ভয়-টয় সব টুটে গেল রাহিনের! আর রক্ত গরম হয়ে উঠল কিছু একটা করার জন্য! যে করেই হোক, পোকাগুলোকে বধ করতেই হবে! হঠাৎ তার মনে পড়ে গেল, বিজ্ঞান বইতে পড়া একটি বিষাক্ত মিশ্রণের কথা। সেরকম রাসায়নিক আছে কিনা খুঁজে দেখা যেতে পারে চারপাশে, ভেবে খুশী হয়ে উঠল রাহিন। যদিও সরাসরি থাকার কথা নয়, কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পদার্থগুলো ভেঙে কিছু না কিছু তো মিলবেই!
আরো কিছু কর্মপরিকল্পণা প্রায় চুড়ান্ত করে এনেছে, এমন সময় তার মনে পড়ে গেল, তার হাতে সময় নেই একদমই। তার তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ পড়ে আছে সামনে! তাই সে হনহনিয়ে হাঁটতে লাগল আবার সামনের দিকে। তার পায়ের পাতাটায় অবশ্য একটা আজব স্পর্শ-অনুভূতি হচ্ছিল! সে কি কঠিন শিলা, নরম পলি মাটি, না কি জল, বরফ আর মেঘের তুলোর স্পর্শ, তা সে বুঝতে পারছিল না সে। তার মনে হচ্ছিল, এসবের বাইরে একটা কিছু হবে, আর যা বর্ণনার জন্য কোন শব্দ তার ভান্ডারে নেই!
‘একটু দাঁড়াও, ভাই। একটিবার পেছন ফিরে তাকাও।‘ রাহিন ধ্যাণগ্রস্তের মতোই এগুচ্ছিল, অথচ আবেদনটা তার কর্ণকুহরে উপর্যুপরি আঘাত হানতে লাগল! শব্দের উৎস লক্ষ্য করে তাকাতেই দেখতে পেল, প্রথমে একটি প্রমাণ সাইজের, আর তারপর যতদূর চোখ যায় শুধু গরুর পাল! কিন্তু ও কি! ওদের শরীরগুলো এমন অদ্ভুত দেখাচ্ছে কেন? চিনির মত সাদা প্রলেপ শরীর জুড়ে! আরো একটু ভাল করে লক্ষ্য করতেই বুঝতে পারল রাহিন- ওগুলো আসলে সূক্ষাতিসুক্ষ্ম ব্যাকটেরিয়া, মাটি বেয়ে বেয়ে পরে শরীরে জুড়ে বসেছে!
হঠাৎই মনে পড়ে যায় একটা তরলের কথা, যদি ছিটিয়ে দেয়া যায়, মুহূর্তের মধ্যেই ভোজবাজীর মত অদৃশ্য হবে জীবানুগুলো। কিন্তু কই পাওয়া যায়? কিছু গাছ, হয়ত কাছেধারের জঙ্গলেই মিলবে, তাদের রস আর ঐ তো দেখা যাচ্ছে বয়ে যাচ্ছে একটি নদী- ওর জল, খুব যে অসম্ভব, তা নয়। আনন্দ চিত্তে রাহিন একটা পা বাড়িয়ে দেয় জঙ্গলের উদ্দেশ্য। কিন্তু তারপরেই থেমে যেতে হয় তাকে! মনে পড়ে যায় দেবদূতের কথাটা, দেরী হলে আর ক্রস করা যাবে না লাইনটা!
আবার নিজের কাজে মনোনিবেশ করে রাহিন, গন্তব্যের পানে পা ছোটায়। কিন্তু বারেবারেই হোঁচট খেতে হয় তাকে। এই দেখা যায় পাখির দল ত্রাহি চিৎকার শুরু করে দিয়েছে, আবার ঐ দেখা যায়, নদীর মাছেরা হাজির হয়েছে দলে দলে, আর অনর্গল লম্বঝম্প করছে করুণ এক আর্তি ফুটিয়ে চোখজোড়ায়। এদিকে পিছিয়ে নেই বনের পশুপাখি, লোকালয়ের প্রাণীদের মত যেন তাদেরও বিপদ। সবাই ছুটছে, ছাড়ছে বাসস্থান সাহায্যের আশায়। সবাই শরণার্থী। কিন্তু সব কিছুকে চরম এক মনসংযোগে উপেক্ষা করে এগুতে থাকে রাহিন, সময় নষ্ট করার মত সময় একদমই হাতে নেই তার! মনুষ্য পরিচয়টা ঘোচাতেই হবে তাকে আজ! সে এমন একটা কিছু হবে, যাতে করে সে অন্য এক জাতির ভোগে ব্যবহৃত হবে, নিজে ভোগের ভাগিদার আর হবে না!
৩.
শিলা, পলি, ধুলো, ধোঁয়া, তরল আর হিমের সেই মিলিত পথের শেষবিন্দুতে একটা সময় পৌঁছে যায় রাহিন; আর দেখতে পায় এক অতিকায় মূর্তি, কিন্তু সে যে কোন প্রাণীর, নাকি মানুষের, নাকি গাছেদের, অনেক চেষ্টাতেও তা ঠাহর করে উঠা সম্ভব হয় না তার পক্ষে।
‘একটু মনে হয়, দেরী হয়ে গেল! আমি যারপরনাই দুঃখিত। মাফ করবেন…’ থেমে গেল রাহিন, শক্তিটিকে স্যার বলবে, না কি মহোদয় বলবে, না হুজুর – ঠিক করে উঠতে পারল না।
‘ওহে ছোকরা! তুমি কে? কেন এসেছ এখানে? কী চাই?’ এমন অতিকায় আর অভূতপূর্ব সৃষ্টির মধ্য থেকে এমন একটা মিহি আর মোলায়েম স্বর, তাও নীচু আর ফিসফিস আকারে, ভাবতেই পারেনি রাহিন!
‘আমায় তো আসতে বলা হয়েছিল। যদিও আমি দেখতে পাইনি, কিন্তু এক দেবদূত আমায় বলল যে, যদি তোমার ইচ্ছেটা পূরণ করতে চাও, তাহলে চলে এস। একটি পথনির্দেশও দেয়া হয়েছিল, সেইমতই তো…‘ শেষ করতে পারে না রাহিন, থরথর করে কাঁপতে থাকে!
‘নিজের ইচ্ছে পূরণে এতটা দূর চলে এলে? এভাবে নিজের ইচ্ছেকে এতটা গুরুত্ব দিলে মানুষ থেকে বদলে একটি ধানগাছে রূপান্তরের ইচ্ছে পূরণ হয়ে যাবে , তা কী রে ভাবলে, বাছা?’
‘কিন্তু আমায় যে বলা হল আসতে এই পথে?’ লজ্জিত ও দমিত কন্ঠে বলল রাহিন, মাটির দিকে তাকিয়ে।
‘ হ্যাঁ, এই পথে বলা হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তার মানে এই বিন্দুতে তো নয়।‘
‘কিন্তু আমি কী করে জানব যে, কোন জায়গায় আমায় থামতে হবে অন্য প্রাণীতে রূপান্তরের জন্য?’ এবার ঠোঁট উলটে মুখ ফুলিয়ে বলল রাহিন, কিছুটা অভিমানও ভর করেছে!
‘কেন এই যে ধান গাছ, গরুর পাল, মাছেদের, পাখিদের- এত এত কিছু পাঠানো হল, সেসব কিসের সংকেত ছিল তাহলে?’
‘এসব সংকেত!!!’ চোখ বড় হয়ে গেল বিষ্ময়ে রাহিনের।
‘তা নয় তো কি! তোমায় বলা হল সাহায্য করতে, তুমি তা না করে নিজের ইচ্ছেকেই গুরুত্ব দিয়ে চললে। অথচ ওদের পাশে দাঁড়ালেই না ওদের দলে ভীড়তে পারতে।‘
‘আহ্! এত বড় ভুল কী করে করলাম আমি! কেন একটুও মাথায় এল না!‘ হঠাৎ করেই বুক ফাটা আর্তনাদ করতে লাগল রাহিন! ওর মুখ দেখে মনে হচ্ছে, আর বুঝি আশা নেই কোন, নেই বাঁচার কোন প্রেরণা!
‘আরে এ দেখছি আস্ত একটা বোকা! একটু কি খেলা টেলাও করতে পারব না? ঐ যে তুমি খেলার মাঠ ছেড়ে এলে, তখনই তো আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, একটু খেলব তোমার সাথে।‘ চরম বিষ্ময়ে রাহিন দেখতে পেল আরেকটি অদ্ভুত দর্শন মূর্তি তাকে প্রায় পেঁচিয়ে রেখেছে শরীরের মধ্যে। প্রথমটায় ভয় করলেও পরে তা কেটে গেল, এত মোলায়েম যে খুব আরাম লাগতে লাগল তার।
‘চোখ মোছ তো। অনেক কাজ আছে। ঐ যে পথে দেখে এলে, সবাই তোমাকে ডাকছে। কোন একজনের না, বরং সবার জন্যই তোমায় বেঁচে থাকতে হবে মানুষ রূপে। যদি তুমি অন্য প্রাণীতে রূপান্তর হও, তবে এত এত প্রাণীর কী হবে বল তো? ওদের পাশে কে থাকবে? কে ভাববে ওদের জন্য? কে কাঁদবে? কে গাইবে?’
৪.
রাহিন যখন ফিরতি পথে হাঁটছিল, তখন চারদিক থেকে কী একটা সুর ভেসে আসছিল! একটু ভাল করে খেয়াল করতেই সে অবাক হয়ে গেল, চারদিকে এক অশ্রুতপূর্ব গান হচ্ছে, স্বর্গ থেকে ভেসে আসা সে সুরে গলা মেলাচ্ছে পাখিরা, গাছেরা, মাছেরা, বনের পশুরা! কী এক অজানা শিহরণ বয়ে যায় রাহিনের মধ্যে! সেও ওদের সাথে গলাটা মেলাতে শুরু করে এক সময়, আর আপন মনে হাঁটতে থাকে মানুষ হওয়ার পথে!
(সমাপ্ত)
……………………………………………………………………………………………………………..
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।