এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • জনৈক ট্র্যাজিক নায়কের ভাষণ ও চলতি সময়ের শিক্ষা 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ২৩ জুলাই ২০২৫ | ৬০ বার পঠিত
  • জনৈক ট্র্যাজিক নায়কের ভাষণ ও চলতি সময়ের শিক্ষা।
     
    এক দীক্ষান্ত সমারোহে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত মাননীয় অতিথির বক্তব্যের কিছু উদ্ধৃতি দিয়ে আজকের নিবন্ধটি বরং শুরু করা যাক্। খুব সম্প্রতি তিনি এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন —
     
    “কোচিং সেন্টারগুলো নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ভাবনার পরিপন্থী। এই কোচিং সেন্টারগুলো এখন পোচিং সেন্টারে পরিণত হয়েছে। এগুলো এখন রেজিমেন্টেড প্রকোষ্ঠে দেশের উদীয়মান প্রতিভাদের কাছে ভয়ঙ্কর কৃষ্ণ গহ্বরে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা প্রসারের নামে ব্যাঙের ছাতার মতো দিকে দিকে গজিয়ে উঠেছে এমন কোচিং সেন্টারগুলো। আমাদের তরুণ প্রজন্ম, যাঁদের ওপর ভর করেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের উন্নততর ভারতবর্ষ, তাঁরা এই সব কোচিং সেন্টারের কবলে পড়ে নিজেদের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এমন বিপজ্জনক পরিণতি দেখে কখনোই নিশ্চুপ হয়ে থাকতে পারিনা। এর বিরুদ্ধে আমাদের কন্ঠস্বরকে উচ্চগ্রামে তুলতে হবে। আমরা কখনোই আমাদের দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে এভাবে কালিমালিপ্ত ও কলঙ্কিত করতে দিতে পারিনা।”
     
    “আমাদের গুরুকুল শিক্ষা ধারার কথা মাথায় রাখতে হবে। আমাদের সংবিধানের চিত্র ভাবনায় ঠাঁই পেয়েছে এই মহতী শিক্ষা ধারার বিষয়টি । সুপ্রাচীন কাল থেকেই আমরা বিদ্যা দানের আদর্শকে মহত্তম বলে মনে করেছি। অর্থের বিনিময়ে বিদ্যা বিপণন আমাদের আদর্শের পরিপন্থী। কোচিং সেন্টারগুলোর উচিত তাঁদের পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে সেগুলোকে স্কিল সেন্টারে পরিণত করা। আমি আজকের সভায় বা বাইরে উপস্থিত নাগরিক সমাজের সকল মাননীয় সদস্য ও জন প্রতিনিধিদের অনুরোধ করছি, আপনারা শিক্ষার এই রোগের প্রতিকার নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করুন। শিক্ষার পবিত্রতা রক্ষা করতে আজ তাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের স্বকীয় চিন্তনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কোচিং এর প্রয়োজন আছে। কেবলমাত্র নম্বর বাড়ানোর জন্য নয়।
     
    আমাদের শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ গ্রেড মান ও নির্ধারিত নম্বরের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে থাকায় ঔৎসুক্যের আনন্দকে উপেক্ষা করছে। অথচ মানুষের বৌদ্ধিক বিকাশের সঙ্গে ঔৎসুক্যের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। একে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আসন সীমিত, অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে,কোচিং সেন্টারগুলো সারা দেশ জুড়েই তাদের শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দিয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের এক সঙ্গে রেখে, তাঁদের সামনে এক‌ই বুলি লাগাতার আওড়ে আওড়ে কতগুলো রোবটে পরিণত করছে। তাঁদের স্বকীয় চিন্তন ক্ষমতাকে এভাবেই সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এরফলে এদের মধ্যে নানান ধরনের জটিল মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
     
    “আমি আমার নবীন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছি, তোমরা তথাকথিত গ্রেড ও মার্কশিটের বাইরে গিয়ে শিক্ষাকে দেখতে শেখ। মার্কশিটে খোদিত নম্বর দিয়ে তোমাদের মানুষী সত্তাকে গভীরতাকে নিরূপণ করা যাবেনা। যখন তোমরা প্রতিযোগিতার আঙিনায় নামবে তখনই তোমাদের অধীত জ্ঞান ও মনের চিন্তনের ক্ষমতাকে যাচাই করা সম্ভব হবে।
    আমরা সবাই এখন ডিজিটাল দুনিয়া নিয়ে কথা বলছি। ভালো কথা। কিন্তু যে স্মার্ট এ্যাপ ভারতবর্ষের গ্রামীণ পরিবেশে কাজ করে না তা মোটেও স্মার্ট নয়। যে AI মডেল দেশের আঞ্চলিক ভাষার নির্দেশ মেনে চলতে সক্ষম নয় তাকে আমি অসম্পূর্ণ বলে মনে করি। যে ডিজিটাল উপকরণ আমাদের দিব্যাঙ্গন বন্ধুরা ব্যবহার করতে পারেনা,তা কখনোই যথাযথ নয়।”
     
    “আজ সমগ্র বিশ্বের প্রাযুক্তিক পরিবর্তনের প্রভাব এসে পৌঁছেছে আমাদের আঙিনায়। আমাদের দেশের যুব সমাজকে সেই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে ভারতীয় পদ্ধতিতে এবং সেই সমাধান সূত্রকে ভারতের সাথে সাথেই বিশ্বজনীন করে তুলতে হবে। 
     
    আমাদের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়তে হবে আমাদের‌ই, যাতে করে তা অবশিষ্ট পৃথিবীর ভাগ্য গড়তে সাহায্য করতে পারে। আমাদের ডিজিটাল ব্যবস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা মানুষেরাই হবে আধুনিক ভারতনির্মান যজ্ঞের মুখ্য অগ্নিহোত্রী। এক সময় গোটা দুনিয়া উদ্ভাসিত ছিল সুপ্রাচীন ভারতীয় উদ্ভাবনের আলোয় । তাই আজ আমরা নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকতে পারি না। এক সময় নতুন প্রযুক্তির জন্য আমাদের অলসভাবে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হতো হয়তো কয়েক দশক ধরে। আজ সেই সময়কালের ব্যবধান কয়েক সপ্তাহে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন প্রযুক্তি রফতানির স্তরে এসে উন্নীত হয়েছি। এই অবস্থান ধরে রাখতে হবে।”
     
    “‌স্বয়ম্ভরতা অর্জন করতে হলে আমাদের assembly line culture বর্জন করতে হবে কেননা তা শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক। জাতীয় শিক্ষানীতির ঘোষিত উচ্চাদর্শের সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলোর পঠনপাঠনের বিষয়টি একেবারেই বেমানান ও বিপরীত ধাঁচের। এই ব্যবস্থা আমাদের আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধা দেয়।
    কোচিং সেন্টারগুলো বড়ো বড়ো বিলবোর্ড আর হোর্ডিংএর পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে। অথচ এই অর্থ আসে অভিভাবকদের পকেট থেকে। স্বপ্নপূরণের আশ্বাস দিয়ে এঁরা লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সভ্যতার মহান ভাবনার প্রেক্ষিতে এসব কাণ্ড চক্ষু পীড়াদায়ক।” 
     
    “আমি অত্যন্ত বেদনার্ত হ‌ই যখন দেখি এক অসুস্থ সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সংবেদনশীল মননশীলতা ধীরে ধীরে এক তাৎক্ষণিক তথ্যের যান্ত্রিকতায় ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। নিষ্প্রাণ এই ব্যবস্থা আমাদের কিছু শেখায় না। এমন ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে নতুন কোনো বোধ বা উপলব্ধিকে সঞ্চারিত করে না। এই ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে একদল ইন্টেলেকচুয়াল জোম্বির (Intellectual Zombies) জন্ম দিয়েছে , যাঁদের দেহ জীবন্ত অথচ মস্তিষ্ক অচল,মৃত। অথচ সমাজকে নতুন দিশা দেখাতে হলে আমাদের প্রয়োজন সৃজনশীল চিন্তকদের। শুধুমাত্র পরীক্ষার বৈতরণী পার হয়ে ডিগ্রি অর্জনের জন্য পৃথিবীর বিচিত্র রসাস্বাদনে উন্মুখ পঞ্চেন্দ্রিয়কে সচেতনভাবে নিষ্ক্রিয় রেখে গাদিয়ে ব‌ই আর নোটস্ পড়লে অর্থহীন স্মৃতির বোঝা বেড়ে যায়, কিন্তু মননের গভীরতা বাড়েনা – degrees without depth. এমন পরিণতি দেখে আমার হৃদয় ও মন ভেঙে যায়।”
     
    মাননীয় অতিথির এই ভাষণটি পড়তে গিয়ে বারংবার শিহরিত হয়েছি এই ভেবে যে, কথাগুলো খুব নতুন হয়তো নয়, বিশেষ করে আমাদের মতো রক্ষণশীল, পরিবর্তন বিরোধী বলে দেগে দেওয়া কলমচিদের কাছে। এই কথাগুলো অনেকবার অনেক অনুষঙ্গে বলবার চেষ্টা করেছি নানান পরিসরে। তবে তাতে শিক্ষার চলতি চলনের ছন্দে কোনো পরিবর্তন আসেনি ; (আসা সম্ভব‌ও নয়) উল্টে মননের নিমগ্ন চর্চাকে খাটো করে কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট টিউশন, অত্যাধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে প্রচল শিক্ষা ব্যবস্থাপনায়। এই প্রবণতা আগামীদিনে আরও বাড়বে বৈ কমবে না। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মনখোলা ভাবনার পরিসরকে আমরা ক্রমশই সংকুচিত করে ফেলছি না তো? থ্রি ইডিয়টস্ সিনেমার সেই নিয়মনিষ্ঠ অধ্যাপক ভীরু সহস্রবুদ্ধি মশাইয়ের কথা মনে পড়ে? ব‌ইয়ের বাঁধা নির্দিষ্ট শব্দবন্ধের বাইরের কোনো উত্তরকেই তিনি মান্যতা দিতে রাজি নন। এমন মনোভাব মুক্ত চিন্তার বিকাশের সহায়ক নয়। অথচ এমন ভাইরাস‌ই এখন সবকিছুকে আড়াল করে ফেলছে।
     
    মাননীয় অতিথি যে শহরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উচ্চকিত কন্ঠে বলেন – Coaching Centres Have Turned Out To Be Poaching Centres ; Have Become Black Holes For Talent in Regimented Silos. – সেই শহরে প্রতিবছরই উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে মায়া মুগ্ধ শিক্ষার্থীদের আত্মহননের ঘটনা। জ্ঞানচর্চার বিপুল বিসারি দিগন্তরেখাকে অস্বীকার করে যদি NEET আর JOINT Entrance পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ‌ওয়াটাকেই জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে বেছে নেওয়া হয় তাহলে এমন মর্মান্তিক পরিণতি অনিবার্য। রাজস্থানের তথাকথিত কৃষ্ণ গহ্বর কতশত নক্ষত্রকে যে এভাবে গ্রাস করে নেয় তার হিসেব কে রাখে? সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালিত এইসব কোচিং প্রতিষ্ঠান শিক্ষা প্রসারের দোহাই দিয়ে নিজেদের পকেট ভরছে সমানে। এক শহরের ব্যবসায় ভাঁটা পড়ার আভাস পেলেই, পত্তন হয় নতুন শহরের, সেখানেও ভিড় জমায় স্বপ্ন পিয়াসী শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা উন্মুখ হয়ে অপেক্ষায় থাকেন তাঁদের ছেলেমেয়েরা মাল্টিপল চয়েসের একরাশ প্রশ্ন থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে কেল্লাফতে করবে। গভীর হতাশার অন্ধকার আমাদের শিক্ষা জগৎ , শিক্ষা ভাবনাকে গ্রাস করছে রাহুর মতো। আমরা জেনে শুনে সেই বিষ পান করে চলেছি।
     
    এদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সবথেকে বড়ো সমস্যা হলো যে তাঁরা সবকিছুই রাজনীতির দিক থেকে দেখতে চান। এতে খুব অন্যায় কিছু নেই। তাঁরা তাঁদের গুটি সামলাবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু দীর্ঘ ভাষণের ফাঁক দিয়ে কিছু অন্যতর ভাবনার কথা গড়িয়ে পড়ছে দেখলে বিস্ময় জাগে। মাননীয়র মূল্যবান বক্তব্য থেকে এটুকুই হয়তো আমাদের মতো অভাজনের একমাত্র পাওনা।
     
    সুধী পাঠকবৃন্দ ! আপনারা কি মাননীয় বক্তাকে ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করতে পেরেছেন? পারেননি? তাহলে আর একটু সময় সবুর করুন।
     
    এ মাসের ১২ জুলাই তারিখে মাননীয় হাজির হয়েছিলেন রাজস্থানের সেই বিখ্যাত ( পড়ুন কুখ্যাত) কোটা শহরে যেখানে সম্বৎসর মেধা হনন যজ্ঞের আগুন জ্বালিয়ে বসে আছেন তাবড় তাবড় কোচিং সেন্টারের ঋষিকল্প পরিচালকবৃন্দ। সেখানেই আয়োজিত হয়েছিল Indian Institute of Information Technology ( IIIT) এর চতুর্থ কনভোকেশন বা দীক্ষান্ত সমাবেশ। এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমাদের মাননীয় অতিথি যার বক্তব্য নিয়েই এতোক্ষণ নিজের কলমের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার মরীয়া চেষ্টা করলাম। ইদানিং বিলম্বিত বোধোদয় কথাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোটায় যে কথার কাটাকুটি খেলা তিনি খেললেন তা হয়তো ঐ বোধোদয়ের‌ই নামান্তর 
     
    এতো দ্রুত তাঁর নামের আগে ভূতপূর্ব বা প্রাক্তন কথাটা জুড়তে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু মাননীয় জগদীপ ধনখড়ের ক্ষেত্রে এটাই নির্মম ট্রাজেডি।
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ২৩ জুলাই ২০২৫ | ৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন