গরম - উফ্ থেকে আহ্…এবং … কিছু কথা।
কথাটা শুধু আমার বা আপনার নয় ,আম আদমির মনের কথা। ভারতের মতো ক্রান্তীয় মন্ডলের একটা দেশে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়; তবে ইদানিং তার বৃদ্ধির হার একেবারে লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা মানে হোমো স্যাপিয়েন্সরাই যে অনেকটাই দায়ী সে কথা ঠারেঠোরে সকলেই জানিয়েছেন। আমরাও জেনেছি।
২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই সব সমস্যার কথা আলোচনা করতে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকেও হাজির ছিলেন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সার্বিক সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, এখন থেকে সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র সর্বতোমুখী প্রয়াস করবে যাতে করে বার্ষিক ২° সেলসিয়াস হারে তাপমাত্রা বেড়ে যাবার প্রবণতাকে ঠেকিয়ে তাকে প্রাক্ শিল্প বিপ্লবের সময়কালের ১.৫° সেলসিয়াসে বেঁধে রাখা যায়। সবাই মিলে এমনটা করা সম্ভব হলে বিপজ্জনক ভাবে তেতে ওঠা পৃথিবী খানিকটা স্বস্তি বোধ করবে। আর কে না জানে যে পৃথিবীর স্বস্তি মানে আমাদের সকলের স্বস্তি, প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি! এই সিদ্ধান্তে ভারতের পক্ষ থেকেও যে সায় মিলেছিল। তা বলা বাহুল্য।
আজ ঠিক এক দশক পরে ( ২০১৫ - ২০২৫ ) ভারতের তাপচিত্র সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নেওয়া যাক্। সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে যে ১৯৫০ এর পরবর্তী সময়ে ভারতের গড় পৃষ্ঠীয় তাপমাত্রা ১° সেলসিয়াস হারে বেড়ে ২০২৩ সালে এসে পৌঁছেছে ২৫.০২° সেলসিয়াসে । বিজ্ঞানীদের মতে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী আমাদের দেশের অর্থনীতির উদারীকরণ। ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের হাত ধরে ভারতবর্ষ সাবেকি সমাজবাদী মিশ্র অর্থনীতির হাত ছেড়ে মুক্ত বাজার অর্থনীতির দরজার কড়া নাড়তে লাগলাম। দরজা পুরোপুরি খোলার আগেই ভোগবাদী অর্থনীতির বেনো জলের জোয়ারে ভেসে গেল আমাদের এতাবৎ কালের যাপনের সমস্ত রক্ষণশীলতা। আর সেই সূত্রেই বিগত ৩৩ বছরে ভারতের গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ০.৫° সেলসিয়াস। রীতিমতো আৎকে ওঠার অবস্থা।
গতবছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভারতের মেটিরিয়োলজি ডিপার্টমেন্ট দেশজুড়ে ৭৭টি হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে যার ক্রমযৌগিক দিন সংখ্যা ছিল ৫৩৬ দিন। এই বছরের ফেব্রুয়ারি - মার্চ মাস থেকেই ওড়িশা রাজ্যের বিস্তৃত অংশ জুড়ে প্রবল তাপপ্রবাহের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ মার্চ ওড়িশার বৌধের তাপমাত্রা ছিল ৪৩ . ৬° সেলসিয়াস। মাত্র দুদিন আগে ওড়িশার ঝারসুগুদাতে তাপমাত্রা ছিল ৪৬.২° এবং মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরাতে ৪৫.৮° সেলসিয়াস। ভাবা যায়! সদ্য পেছনে ফেলে আসা ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বভারতীয় গড় তাপমাত্রা ছিল ২২.০৪° সেলসিয়াস,যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩৪°সেলসিয়াস বেশি। আমাদের ভারতবর্ষও এই মুহূর্তে একটি জতুগৃহে পরিণত হয়েছে।
এমন অসহনীয় অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী ? প্রথম উপায়টি একান্তই প্রাকৃতিক – বর্ষা এলে এই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। তবে তার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে সেই জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। প্রাক্ বর্ষার নিম্ন চাপের ঘূর্ণী বৃষ্টিপাতের ফলেও তাপমাত্রা বেশ কিছুটা নেমে আসে বটে তবে সেসবের দেখা পাওয়াটাও এখন সৌভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতএব তাপদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার দ্বিতীয় পন্থা হলো ঘরে বসে ফ্যান বা ঠাণ্ডা মেশিনের আরাম উপভোগ করা। কিন্তু এখানেও কথা আছে।
বাইরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে ইলেক্ট্রিসিটি বা বিদ্যুতের চাহিদা। দ্যা সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটি বা কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কৃত্যক তাদের এক সমীক্ষায় জানিয়েছে যে , ২০২৪ সালে সারাদেশে গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ ২৫০ গিগা ওয়াট। এবছর তা আরও ২০ গিগা ওয়াট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭০ গিগা ওয়াট। অর্থাৎ আমার আপনার স্বস্তি বা আরামের জন্য পরিষেবা ক্ষেত্রের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
মানুষ এখন নিত্যনতুন স্বাচ্ছন্দ্যের উপকরণ ব্যবহার করতে ক্রমশই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ঠাকুমা দিদিমাদের আমলের তালপাতার পাখা বিদায় নিয়েছে কোন্ কালে! হিসেব বলছে দেশটার নাম ভারতবর্ষ বলেই হয়তো এখনও দেশের শহরাঞ্চলের ৯০% বাড়িতে এবং গ্রামাঞ্চলের ৮০% পরিবার এখনও তাপের দাপট থেকে রেহাই পেতে সিলিং ফ্যানের ওপর ভরসা করে। উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৫% বা ১/৪ ভাগ এই কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে স্বাচ্ছন্দ্যের সীমা তো এখানেই শেষ নয়। আর তাই ঘরের বা কর্মস্থলের বাতাবরণকে আরও আরামদায়ক করে তুলতে এখন , এয়ার কুলার এবং এয়ার কন্ডিশনার বা শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রই একমাত্র ভরসা। আর সেই কারণেই নাগরিক সমাজে এখন এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা ক্রমবর্ধমান।
ন্যাশনাল ফেমিলি হেল্থ সার্ভের সমীক্ষা অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতের প্রায় ২৪% পরিবারের সদস্যরা এয়ার কন্ডিশনার অথবা এয়ার কুলার ব্যবহার করেন। শহরের তুলনায় গ্রামীণ পরিবারে এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার এখনও যথেষ্ট কম। শহুরে পরিবারগুলোর ৪০% এবং গ্রামীণ ১৫% পরিবারে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ফারাকটুকু সত্ত্বেও গ্রাম ভারতের পরিবারগুলো ( ২০০ মিলিয়ন) এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে শহরের পরিবার সংখ্যাকে ( ৮৮ মিলিয়ন) অনেকটাই ছাপিয়ে গেছে। সুতরাং বলা যায় যে গরমের জ্বলুনির হাত থেকে স্বস্তির জন্য গোটা দেশ জুড়েই একটা সমবন্টনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়টাকে যদি দেশের মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম মানক হিসেবে ধরা হয় তাহলে বলতে হবে যে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৯০%) এবং প্রতিবেশী চিনের থেকে ( ৬০%) এখনও বেশ কিছুটা পিছিয়েই আছি।
গরমের দাপট থেকে রেহাই পেতে নতুন বাতানুকুল প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এয়ার কন্ডিশনারের বেচাকেনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে এদেশে ৯.৪ মিলিয়ন রুম এ.সি. বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো। এই সংখ্যাটা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫% বেশি। এয়ার কন্ডিশনার
যন্ত্রের ব্যবহার এমন দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিদ্যুতের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি অন্যদিকে বেড়েছে গৃহস্থালি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিদ্যুতের অনুপাত। এই মুহূর্তে দেশের উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের ১/৪ ভাগ গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা হয়। এর ভেতর কেবলমাত্র ঘর ঠাণ্ডা রাখতে বাতানুকুল প্রযুক্তিতে কাজে লাগে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৬.৬ %। ভারতের বিপুল জনসংখ্যার সাপেক্ষে মাথা পিছু বিদ্যুতের ব্যবহার নগণ্য হলেও এর পরিমাণ আগামী দিনে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। যেভাবে গ্রীষ্মকালীন দাবদাহের তীব্রতা বেড়ে চলেছে তাতে এর প্রভাব থেকে নিজেদের খানিকটা স্বস্তি দিতে সাধারণ মানুষ এয়ার কুলার বা এয়ার কন্ডিশনারের ওপরই ১০০% নির্ভর করবে। ফলে একদিকে যেমন বাড়বে এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা, বিক্রি, ঠিক সেভাবেই বাড়বে গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাতে বিদ্যুতের চাহিদা। তথ্যভিজ্ঞ মহলের অনুমান খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৮% কেবলমাত্র এয়ার কন্ডিশনার সচল রাখতে ব্যবহার করা হবে। চমকে দেয়ার মতন তথ্য সন্দেহ নেই। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে বাতানুকুল প্রযুক্তির প্রয়োজনে বিদ্যুতের ব্যবহার এভাবে বাড়লে আগামী দিনে কী হবে তা ভাবলে রোমাঞ্চ অনুভব করছি।
ভারতে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়ছে একথা মেনে নিয়েও বলা যায় যে রাজ্যওয়াড়ি এই বৃদ্ধির প্রক্রিয়া সুষম হারে হচ্ছে এমনটা কখনোই নয়। রাজ্যগুলোর মধ্যে পাঞ্জাবে ৭০% পরিবারে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়,যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে এর পরিমাণ মাত্র ৫%। লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো এই, যে সমস্ত রাজ্যে গ্রীষ্মকালীন তাপদাহের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি যেমন পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ,বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাটে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়ভাবে কম। এইসব ঘুমন্ত উপভোক্তারা জেগে উঠলে চাহিদার পরিমাণ কোথায় গিয়ে পৌঁছবে ?
পরিবার পিছু ব্যবহৃত এয়ার কন্ডিশনারের সংখ্যার মধ্যেও অনিবার্যভাবে কিছু ফাঁক আছে। একালে সবই ভাঙাচোরা। পরিবারগুলোও তাই। আর সেই কারণেই এক বাড়িতে থাকা একটি পরিবারের চার ঘরে চারটি এয়ার কন্ডিশনার গমগমিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। এরফলে তরতরিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে আগামীদিনে জাতীয় ইলেকট্রিক গ্রিডের ওপরে আরও চাপ বাড়বে। তবে ভৌগোলিক ও আবহিক বিভিন্নতার কারণে অঞ্চলভেদে সর্বোচ্চ চাহিদার মাত্রায় কিছু পার্থক্য ঘটবে।
ভারতে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থা জলবায়ুর পরিবর্তনের পেছনে ক্রমশই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে। সুতীব্র দাবদাহের হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরে ঘরে এখন এয়ার কন্ডিশনারের উজ্জ্বল উপস্থিতি। আমাদের দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন একান্ত ভাবেই কয়লা নির্ভর। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ওপর আমাদের নির্ভরতা যত বাড়বে ততই বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা, ততই বাড়বে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুতের উৎপাদন, ততই বাড়বে বাতাসে তাপ বৃদ্ধিকারক গ্রীন হাউস গ্যাসের সংযোজন, ততই বাড়বে পৃথিবীর উষ্ণতা। এ এক দুষ্ট চক্র বা Vicious Circle যার সূচনা পৃথিবীর বর্ধমান উষ্ণায়নের ফলে। এই পাকচক্রের শেষ কোথায় তা বোধহয় কেউ জানেনা।
কয়লা থেকে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে। কয়লার পরিবর্তে বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়লেও, গ্রীষ্মকালীন বর্দ্ধিত বিদ্যুতের চটজলদি চাহিদা পূরণ করা তাদের পক্ষে এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই অগত্যা মধুসূদন কয়লাই ভরসা। গরমের সময় দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৭৫% আসে কয়লা পুড়িয়ে। সুতরাং অসহনীয় গরমের দাপট বাড়ার অর্থই হলো কয়লা দহনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
বিশেষজ্ঞরা হিসাব করে জানিয়েছেন যে একটি এয়ার কন্ডিশনার গরমের চারটি মাসে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে চললে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ইউনিট পিছু ২.৭৮ কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। একটি পূর্ণবয়স্ক গাছের পক্ষে এই কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে সময় লাগে কম বেশি ৫০ দিন। এই মুহূর্তে ভারতে চালু সমস্ত স্তরের এয়ার কন্ডিশনার থেকে ২০২,০০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বায়ুমণ্ডলে মিশছে যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে অধিশোষণের জন্য ২৭ মিলিয়ন পূর্ণবয়স্ক গাছের প্রয়োজন। এই হিসেবে অবশ্য গরমের চারটি মাসে গৃহস্থালি বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ১৬০০ কিলোওয়াট ঘন্টা ধরে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়লে যে এই হিসাব সম্পূর্ণ ঘেঁটে যাবে তা বলা বাহুল্য।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি বলা হয় – এসো, এয়ার কন্ডিশনারগুলো সব বাতিল করে দিই , তাহলে লোকজন তেড়ে আসবে। আমরা একদিকে সাসটেইনেবল জীবন যাপনের কথা বলছি, আর অন্যদিকে এমন এক যাপনে নিজেদের অভ্যস্ত করে ফেলেছি যা আমাদের অস্তিত্বের সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে। এই দ্বিবিধতা নিয়েই আমাদের জীবন, আমাদের বেঁচে থাকা। মেলাবেন তিনি মেলাবেন।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।