এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্কুলের খাতা

  • আসিছে মন্দ্র মন্থরে.....

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    স্কুলের খাতা | ১১ জুন ২০২৫ | ১২৮ বার পঠিত
  • আসিছে মন্দ্র মন্থরে ….

    দুপুর গড়িয়ে বিকেলের খাতা খুলেছে বেশ কিছুক্ষণ। এবার ভাত ঘুমের ঘোর কাটিয়ে উঠবো উঠবো করছি। অকর্মণ্য অবসর শরীরের এমনটাই নাকি দস্তুর। কটা বাজে জানতে বালিশের পাশে রাখা মোবাইল ফোনটা হাতড়ে চোখের সামনে মেলে ধরতেই মেসেজটায় চোখ পড়ে —

    ২ তারিখে স্কুল খুলেছে । এখনও উপস্থিতি below 20%। কিছু হবে বলে মনে হয়?

    গরমে জেরবার? না হলে পগার…..?

    গরম আছে, কিন্তু অসহনীয় নয়। অভিভাবকদের অনেকেই স্কুল ব্যবস্থাকেই অস্বীকার করছে। সারা দিনের স্কুলের বদলে 2 ঘন্টার টিউশন বেছে নিয়েছে।

    এই মেসেজটা কি এই সময়ের সরকার পরিপোষিত শিক্ষায়তনের হাল হকিকত স্পষ্ট করে দিলো? অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই শূন্যতা খুব সাম্প্রতিক প্রবণতাকে নির্দেশ হয়তো করছে না, তবে এই সময়ের পরিসরে দাঁড়িয়ে তার ব্যাপ্তি বা গভীরতা অনেকটাই বেড়ে গেছে। আমার যে সুজন বান্ধব এই মেসেজটা করেছেন তিনি অত্যন্ত সংবেদনশীল একজন মানুষ এবং সুশিক্ষক। পাখি ছাড়া পিঞ্জর যেমন শূন্যতাকে বাড়িয়ে দেয়,শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষালয়ের অবস্থা তার থেকে কিছুমাত্র কম নয়। পাখির কথাই যখন ঘটনাচক্রে সামনে এলো, তখন নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করি – একালের স্কুলগুলোর প্রতি কি একালের অভিভাবকরা আর বিশ্বস্ত নন? স্কুলগুলো কি শেষ পর্যন্ত এনরোলমেন্ট সেন্টারে পরিণত হবার পথে পা বাড়াচ্ছে?

    বেশ কয়েক বছর আগের কথা বলি। বি. এড. পরীক্ষার প্র্যাকটিস টিচিং এর পর্ব চলছে জোরকদমে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আমরা নির্ধারিত স্কুলে ক্লাস নিতে যাই। ক্ষণিকের অতিথি হিসেবে গেলেও, রোজ‌ই চেষ্টা করি ছেলেদেরকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে, কিন্তু আশানুরূপ ফল মেলেনা। শেষে হতাশ হয়ে গোয়েন্দার ভূমিকায় নেমে পড়ি। খুব বেশি সময় লাগলো না। ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যা জানলাম তাতে তো আমার আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হবার জোগাড়। ছেলেরা কেউই নিয়মিত স্কুলে আসেনা। পালা করে হাজির হয়। একদল আসে সোম বুধ শনিবার, আর বাকিরা আসে মঙ্গল বৃহস্পতি আর শুক্রবার। অন্যান্য দিন স্কুলের ছায়া ভুলেও মাড়ায় না। তাহলে ঐ সময়ে তারা যায় কোথায়? স্কুলের পক্ষ থেকে যিনি আমাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন তাঁকে এই তথ্য জানাতেই একগাল হেসে তিনি জবাব দেন – “একটু মানিয়ে নিন স্যার। ওরা সব আণ্ডার প্রিভিলেজড সেকশনের বাড়ির সদস্য।”

    ঠিক এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বহু বছর পর খোদ নিজের কর্মস্থলে। এ আমার দীর্ঘ দিনের চেনা ময়দান, সেখানেও এমন চলনে ছেলেরা বেশ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে দেখে রীতিমতো সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ছেলেদেরকে ডেকে তাদের গরহাজির থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই তারা মাথা নিচু করে বলেছিল – মা বারণ করে স্কুলে আসতে। অসহিষ্ণু কন্ঠে প্রশ্ন করলাম – কেন? বারণ করেন কেন? ভয়ে সত্যি কথা বলতে দ্বিধাবোধ করে তারা। খানিকটা পীড়াপীড়ির পর উত্তর দেয় – “বিকেলেই তো আবার পড়তে যেতে হবে ঐ একই দাদাদের কাছে। দুটো পড়া সকালে, দুটো পড়া বিকেলে। এরপর আর আমাদের‌ও শরীর আর চলেনা। তাই স্কুলে প্রতিদিন আসতে পারিনা দাদা। তবে আপনার যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন আমরা সবাই আসার চেষ্টা করি।” কোনো জবাব দিতে পারিনি ছেলেদের অথচ বেশ বুঝতে পারছিলাম যে ভেতরে ভেতরে ভেতরে প্রবল রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল।

    আমাদের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ফাঁক অনেক। তার মধ্যে এই অনুপস্থিতির বিষয়টি হৃদয়বান শিক্ষকদের কপালে নতুন করে ভাঁজ ফেলছে সন্দেহ নেই। অভিভাবকদের অনেকেই মনে করেন যে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের প্রিয় সন্তানের পঠনপাঠনের উপযুক্ত নয়। একদল অভিভাবক এই কারণে তাঁদের সন্তানদের তালিমের জন্য প্রাইভেট স্কুলের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বড়ো শহর এবং শহরতলিতে এমন চকচকে প্রাইভেট স্কুলের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ফলে টান পড়ছে সরকারি স্কুলে ছাত্রের জোগানে। এককালের সমীহ জাগানো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোতেই আজ এই কারণে ছাত্রের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। অভিভাবকরা ভাবছেন শিক্ষার আয়োজনে যেন কোনো খামতি না থাকে! এই মানসিকতাকে মোহগ্রস্ততা বললে বিষম তর্ক বাঁধবে তাই বিষয়টি এই মুহূর্তে এড়িয়ে যাব। সরকারের‌ও অসীম দায়িত্ব এই অবস্থা সৃষ্টির পেছনে। তাঁরা ভাবছেন কীভাবে এই দায় থেকে মুক্ত হবেন? আমি যেই শহরের আবাসিক সেখানে এখন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রবরবা। আলিশান মকান,টেক্ এইডের ঢালাও আয়োজন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যবস্থার ঢালাও আয়োজনের আস্ফালন। জানি এবং মানি এসবের বাইরেও অনেকে আছেন লাইনে দাঁড়িয়ে। তাদের অভিভাবকরা এখন এখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

    আর একদল অভিভাবক যাঁরা এখনও স্বপ্নের সেই আশ্চর্য এল ডোরাডোর সন্ধান পাননি তাঁরা একটু অন্য নতুন পথে হাঁটছেন। এঁদের অনেকেই মনে করেন যে ছেলেপিলেদের পঠনপাঠনের বিষয়টি হলো বিনিয়োগের লাভজনক ক্ষেত্র। সুতরাং ওদের পড়াশোনার পেছনে টাকা ঢালো, পরে মোটা ডিভিডেন্ড পাওয়া যাবে। একালের বেতন বিহীন সরকারি স্কুলে খরচপাতির তেমন বালাই নেই। বছরের গোড়ায় সরকার নির্ধারিত দরে ছেলেপিলেদের স্কুলের খাতায় নাম তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাক। এবার খরচ করো টিউশনের পেছনে। বিষয়পিছু একাধিক টিউটর লাগিয়ে দিলেই নাকি সাফল্য হাতের মুঠোয়। এই বিষয়ে অনেকেই একমত। ফলে তাঁরাই ছেলেপিলেদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাতে চাননা। তাঁদের কাছে টিউটোরিয়াল ক্লাসের মাহাত্ম্য অপার। খুব সতর্ক সম্ভ্রমের সঙ্গেই বলছি যে, এই টিউটোরিয়ালগুলোর পড়াশোনা পরিচালনা করেন সরকারি স্কুলের তথাকথিত অযোগ্য, ফাঁকিবাজ শিক্ষকরাই। এই বিষয়ে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা কম। তাও বলি যে এই ব্যবস্থাই ঘুণপোকার মতো তিলতিল করে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিনেদিনে শূন্যতায় ভরে তুলছে।

    গোটা ব্যবস্থাপনা যদি লেনদেন আর লাভালাভের ক্ষেত্রে পর্যবসিত হয় তাহলে যা হবার তাই হচ্ছে। এই লেনদেনের বিষয়টি কেবলমাত্র অর্থকরী পরিসরে সীমায়িত, তেমন নয়। পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও সমান অর্থে প্রযোজ্য। ক্লাসে এসে ব‌ইয়ের বাঁধা বুলিতেই যদি পড়া ও পড়ানো আটকে থাকে তাহলে তা অচিরেই একটি প্রাণহীন গতানুগতিকতায় পরিণত হয়। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন এই বিষয়ে। ছাত্ররা অনুযোগ করে অমুক স্যার খালি রিডিং পড়ান, বোঝান না। মাস্টারমশাইরা বিষয়টিতে যুগপৎ উষ্মা ও শ্লাঘা অনুভব করেন এই ভেবে যে অভিভাবকরা তাঁর একান্ত স্বাধীনতার জায়গায় হস্তক্ষেপ করছেন। এমন ভাবনা তাঁকে মূল প্রবাহ থেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। শিক্ষকরাও যে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, তাঁদের ভালো মন্দের সমশরিক এই ধারণা এই সময়ের অভিভাবকদের অনেকেরই নেই। মাস্টারমশাইরাও সেই সম্মানের আসন চ্যুত হয়েছেন অনেককাল আগেই।এরফলে যে তিনপক্ষের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গোটা বিষয়ের সাফল্য নির্ভর করে সেই তিন পক্ষ‌ই সহযোগীর ভূমিকা ভুলে পরস্পর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। একালের ছাত্ররা আজ সম্পর্কের এক নতুন বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে – শ্যাম আর কুল দুইই ছেড়ে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী, অভিভাবকরা ভাবছেন আমার সন্তানের ভালো – মন্দের দায় শুধুমাত্র আমার, আর মাস্টারমশাইরা? তাঁদের অনেকেই ভাবছেন পরের ছেলে পরমানন্দ, যত……….।

    আমার শিক্ষকতা জীবনের এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার কথা বলি। আদ্যভাগ পরীক্ষার পর্ব মিটেছে। ছেলেদের খাতা দিয়ে বলা হয়েছে বাড়িতে অভিভাবকদের দেখিয়ে স‌ই করিয়ে আনতে। আমাদের এক সহকর্মী দাদা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস খাতা ছেলেদের দিয়ে সেই কথাই জানিয়েছেন ছাত্রদের। ঠিক দু দিন বাদে এক অভিভাবিকা এসে হাজির স্কুলে, ইতিহাস শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে, ছেলের খাতার বিষয়ে কথা বলতে। মাস্টারমশাইতো অভিভাবিকার সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত। পরে জানা গিয়েছিল আমাদের সেই অভিভাবিকা কলকাতার এক অভিজাত কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা। এমন সহযোগিতার বাতাবরণ থাকলে, এমন সহমর্মিতা থাকলে পঠনপাঠনের গোটা ব্যবস্থাটাই প্রাণময় হয়ে ওঠে। এমন পরিবেশ কাম্য কিন্তু একালে সকলেই আমরা যুযুধান প্রতিপক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ ফলে অমৃতের বদলে কেবলই গলগলিয়ে উঠছে গরল। এর প্রভাব পড়ছে সার্বিক ব্যবস্থাপনায়। অভিভাবকরা মনে করেন টিউটরের নিয়োগকর্তা আমি। সুতরাং….। তাই অনেকক্ষেত্রেই পোশাক বদলের মতো চলে টিউটর বদল।

    আমার এই সামান্য কথাগুলো বলার কারণ এই নয় যে আমি সরকার পোষিত স্কুলগুলোর এহেন শ্রীহীন পরিণতির জন্য একতরফাভাবে কেবলমাত্র অভিভাবকদের কাঠগড়ায় তুলছি। আসলে গলদ তো বিসমিল্লায়। এদেশের কায়েমী শিক্ষাব্যবস্থা নানান স্তর উপস্তরে দীর্ণ। শিক্ষার্থীদের আর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ তাঁদের বৌদ্ধিক বিকাশের স্তরকে প্রভাবিত করে । অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে তাদের দেখিয়ে দেবার কেউই প্রায় নেই। এইসব সন্তানের অভিভাবকরা বাধ্য হন টিউটোরিয়ালের দ্বারস্থ হতে। এই খোলা বিদ্যা বাজারে সবাই স্যার অথবা ম্যাম। একবার তাঁবুতে ঢুকিয়ে নিলে নিশ্চিন্ত। এভাবেই ডালপালা ছড়াতে থাকে। এমন গুরুদের অনেকেই স্কুলে না যাবার বিষয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের প্ররোচিত করেন। এমনটা না হলে এই গরমে, বেলা ১টায় কেউ পড়ানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে (পড়ুন কোচিং) ডাকে? ছাত্র ছাত্রীরা বাধ্য হাজিরা দিতে, অভিভাবকরা এই বিষয়ে প্রশ্নহীন। নবম-দশম শ্রেণিতে ফুল হাউস ছাত্র পাওয়া যায় হাতে গোনা কয়েকটি দিন। বাকি দিনগুলোয় স্কুল জুড়ে বিরাজ করে স্পন্দনহীন স্তব্ধতা।

    সমগ্র দেশেই সরকার পরিপোষিত শিক্ষায়তনের এক হাল। খুব সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের প্রতিবেদনেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সরকারি স্কুলে ক্রমহ্রাসমান ছাত্রসংখ্যা বিষয়ে। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা আর উত্তরাখণ্ডের সরকারি স্কুলে এখন ব্যাঙ্কের জিরো ব্যালেন্স একাউন্টের মতো জিরো স্টুডেন্ট হাল। বাকিরাও অন্তিম ক্ষণের জন্য প্রহর গুনছে। এর থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে ভাবতে হবে সবাইকে। অবশ্যই রাস্তায় নেমে আসা শিক্ষকদের‌ও সঙ্গে নিয়ে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্কুলের খাতা | ১১ জুন ২০২৫ | ১২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 103.7.***.*** | ১১ জুন ২০২৫ ১৪:২৮731968
  • বিশ্লেষণের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত।পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস অন্তর্হিত ।
    7 -8 বছর আগেও এতটা খারাপ অবস্থা ছিলনা। কালচক্র দ্রুত ধাবমান। ছোটাছুটি করে যা জুটছে তাতে জীবন পারানীর কড়ি মিলছে কিনা ভাবার সময় নেই।
  • Somnath mukhopadhyay | ১১ জুন ২০২৫ ১৫:১২731969
  • নদীর অন্তসলিল প্রবাহের মতো এর‌ও ক্ষয় হচ্ছে অনেকদিন ধরে। এতোদিন তবুও কিছুটা আড়াল ছিল, এখন সবটাই বে আব্রু হয়ে গেছে। আজকের স্কুলগুলোতে সংবেদনশীল মানুষের সমাবেশ কমছে। সমস্যা এখানেই। 
  • #+: | 2405:201:8000:b11b:e9b1:a066:1f66:***:*** | ১২ জুন ২০২৫ ০৯:২১731972
  • এই সময়ের শিক্ষা নিয়ে একটি অন্তর্তদন্তমূলক রচনা বলেই মনে হলো। আমাদের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্জলিযাত্রার আয়োজন আমরাই করেছি। এখন চুল ছিঁড়লে কি হবে?
  • বহ্নি ভট্টাচার্য | 2401:4900:3d33:f93c:62f1:5684:f354:***:*** | ১২ জুন ২০২৫ ০৯:৫৫731974
  • বি.এড চলাকালীন আমিও চাইতাম অল্প সময়র জন্য হলেও ছাত্র দের উজ্জীবিত করতে তাও আবার আমার বিষয় ছিল অঙ্ক... অদ্ভুত ভাবে দেখতাম ছাত্ররা কিন্তু চাইছে, মনোনিবেশ ও করছে, এমনটাও বলতে শুনেছি "ম্যাম,আপনার মতো মজা করে কেউ পড়ায় না, স্যাররা স্কুলে আসেন, ক্লাস করান না", এটি কিন্তু কলকাতার খুব কাছাকাছি এক স্বনামধন্য বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের ছবি...আমি কোনো ব্যক্তিবিশেষকে অসম্মান করছি না...কিন্তু নিজে বাংলা মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী হওয়া সত্বেও এই কারণেই পরবর্তী প্রজন্মকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য হতে হবে হয়ত...
  • প্রবীর বিশ্বাস | 2401:4900:3bdc:e0a3:e5e2:80fa:53f6:***:*** | ১২ জুন ২০২৫ ১৯:১৭731977
  • প্রশ্নগুলো জানা, কিন্তু কর্মজীবনের শেষ প্রান্তে এসে উত্তর অজানাই থেকে গেল। প্রথম প্রথম মাস্টার হওয়ার স্বপ্নগুলো কত রং বরং এর ছিল, আর এখনকার স্বপ্নগুলো ক্লান্ত, বর্ণ হীন , একপেশে। হতাশা কাটাতে দুচোখ বন্ধ করে থাকি। নিজের মার্কশিট এ নিজেই শূন্য বসাই। বাহানা দেই, আমি একা কি করবো? তাই উত্তরগুলো অজানাই থেকে যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন