এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  গান

  • স্তব্ধ চাঁপার গান

    প্রবুদ্ধ বাগচী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | গান | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৮৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • স্তব্ধ চাঁপার গান 

    প্রবুদ্ধ বাগচী 

    রবীন্দ্রনাথের গানের বাজারে একটা চালু লব্জ আছে যাকে বলা হয় ‘কমন গান’ —- এর নিহিতার্থ হল এই গানগুলি বহুল গীত ও প্রচারিত। খ্যাত কার্টুনিস্ট আর কে লক্ষ্মণ তাঁর আঁকায় এক ‘কমন ম্যান’ এর ছবি আঁকতেন আসলে যার এই দীন দুনিয়ায় অবস্থান কিছুটা অবজ্ঞাত —- রবীন্দ্রনাথের গানের ভাষায় বললে, ‘অপমানের তলে’। কিন্তু গানের তো এরকম শ্রেণিভেদ থাকা সম্ভব নয়, উচিতও নয়। যদিও বাংলা গানে প্রতিবাদের গান, প্রেমের গান, ঘুম ভাঙার গান এসব বর্গীকরণ যে একেবারে নেই তা নয়। রবীন্দ্রনাথও নিজের গানকে নানা পর্যায়ে বিভাজিত করে গ্রন্থিত করেছেন যার মধ্যে প্রেম-পূজা একেবারেই একাকার, বরং স্বদেশ বা বিচিত্র পর্বের গানে কিছু বিশিষ্ট স্বরায়ন আছে। কিন্তু এর কোনোটারই মধ্যে ‘কমন গান’ বলে কোনো অধ্যায় নেই। এটা রবীন্দ্র শতবর্ষে হুড়মুড় করে আসা যে রবীন্দ্র-প্লাবন তার একটা প্রতিক্রিয়া বলা যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একবার আক্ষেপ করেছিলেন সব পরিচিত শিল্পীরাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রবীন্দ্রনাথের আড়াইশো থেকে তিনশো গান পরিবেশন করেন —-- অথচ কত গান ঠিক মতো গাওয়াই হল না! এই উচ্চারণ অব্যর্থ। হাতে গোনা সুবিনয় রায়, সুচিত্রা মিত্র, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, ঋতু গুহ বা দেবব্রত বিশ্বাস, কিছুটা হলেও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছাড়া আরও যে এত এত শিল্পী তারা সত্যিই চেনা গানের বাইরে নিজেদের পরিবেশনা নিয়ে যেতে সম্ভবত আড়ষ্ট হয়ে থাকেন। বিশেষ করে পরের প্রজন্মের গায়ক গায়িকারা গান গেয়ে নাম করলেও ‘অচেনা গানে’ শ্রোতা সমর্থনের ভরসা হয়তো তেমন পান না।  কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গানের ভুবনে ‘কমন গান’ এর সংজ্ঞা কী ? কারণ, এগুলো বহুবার বহু প্রস্ঙ্গে গীত হয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে, আমরা যারা তাঁর গানের নিবিড় শ্রোতা তাঁরাও যেন এইসব গান শুনে শুনে বড় অবসন্ন, কিছুটা বা বিকর্ষিত। বিজ্ঞানসম্মত কারণেই সুর কথাকে আড়াল করে দেয়, লঘু করে দিতে চায় তার বৃহত্তর ব্যাঞ্জনা । তার ওপরে সেই সুর  বারম্বার শুনে  কান ক্রমশ তার সঙ্গে সংযোগ হারাতে থাকে, তখন কোথাও সেই গানের পুরোটাই কেমন যেন ঘোলাটে এক নিষ্প্রাণ জড়ের মতো সংবেদহীন হয়ে গড়িয়ে চলে। এও এক গভীর ব্যর্থতা। 

    এরকমই এক ‘কমন গান’ এর দিকে আমরা একটু দৃষ্টি ফেরাই। একটা সময়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গান হল ‘ওগো নদী আপনবেগে পাগলপারা’ —- মার্চ ১৯১৫ তে রচিত এই গান গীতবিতানের ‘বিচিত্র’ পর্যায়ে সঙ্কলিত যার স্বরলিপি করেছিলেন ইন্দিরা দেবী। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এই গানে যে লয় ব্যবহার করেছিলেন তা কিছুটা গতির আভাস দেয় যা আমাদের সকলেরই কানে লেগে আছে। তার একটা সম্ভাব্য কারণ এই যে, রবীন্দ্রনাথ বোলপুর থেকে ট্রেনে কলকাতা আসার পথে এই গান লেখেন তাই তার সুরের মধ্যে একটা গতির আভাস সঞ্চারিত হয়েছিল। এটা শান্তিদেব ঘোষ মশায়ের ধারণা। পরে তাঁর ‘ফাল্গুনী’ নাটকে এই গান ব্যবহার হয়। তারপরে অনেক শিল্পীই এই গান গেয়েছেন, তরুণ মজুমদারের ‘ভালবাসার বাড়ি’ ছবিতেও রয়েছে এই গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়-গীত প্রথম রেকর্ডিং-এর যে আদল উত্তরসূরিরা  তাঁর থেকে খুব বেশি চ্যুত হননি।  কিন্তু এইসব কেজো তথ্য আসলে কিছুই বলে না যতক্ষণ না আমরা আরেকবার নিবিষ্ট হয়ে পড়ে নিতে পারি এই গান ।
     
    ওগো নদী, আপনবেগে পাগল-পারা,
    আমি স্তব্ধ চাঁপার তরু    গন্ধভরে তন্দ্রাহারা॥
    আমি সদা অচল থাকি,    গভীর চলা গোপন রাখি,  
    আমার চলা নবীন পাতায়, আমার চলা ফুলের ধারা॥
    ওগো নদী, চলার বেগে পাগল-পারা,
    পথে পথে বাহির হয়ে আপন-হারা--
    আমার চলা যায় না বলা-- আলোর পানে প্রাণের চলা--
    আকাশ বোঝে আনন্দ তার, বোঝে নিশার নীরব তারা॥
     
    হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গীত গানটি শুনে নিন

    গানের শুরুর কথা যাই হোক, এই গানের ভাবনাবীজ আসলে ধরা আছে তার দ্বিতীয় লাইনে —-- ‘আমি স্তব্ধ চাঁপার তরু/ গন্ধভরে তন্দ্রাহারা’। আসলে এই গান নদীর গান নয়, এ গান এক স্তব্ধ চাঁপাতরুর যার অবস্থান নদীর পাড়ে — গানের সমস্ত কথাই আদপে তার কথা। শুধু এক প্রেক্ষাপট হিসেবে বয়ে চলেছে নদী তার আপন বেগে, গতি ছাড়া তার অস্তিত্ব নেই আর ভিন্নদিকে স্তব্ধ চাঁপা, সে এক স্থাণুত্বে বিম্বিত। রবীন্দ্রনাথের আরেকটি গানের খন্ডাংশ আমাদের মনে পড়ে ‘ আমার বসে থাকা/ তোমার চলাচল’ —-এই গানেও চাঁপার বসে থাকা আর তারই সামনে নদীর উতরোল স্রোত। গানের প্রথম দুলাইনে একইভাবে ভেসে ওঠে এক সময়কাল আসলে যা রাত্রির ইশারা দেয়, কারণ চাঁপা শুধু গন্ধবিধুর নয় সে ‘তন্দ্রাহারা’। মধ্যযামিনীর অন্ধকারে জেগে আছে একটি ফুল্ল কুসুমিত বৃক্ষ আর নদী বয়ে চলেছে তার আপন মনে —- মাত্র দুটি লাইনেই রবীন্দ্রনাথ স্পষ্ট করে দিলেন এক ছড়ানো ক্যানভাস। কিন্তু চাঁপার কি তবে কোনো চলিষ্ণু সত্ত্বা নেই ? 

    পরের স্তবকে ফুটে ওঠে সেই প্রশ্নের আভাস। আমি সদা অচল থাকি গভীর চলা গোপন রাখি। চাঁপা গাছ তো স্বভাবত অচল — এই বৈজ্ঞানিক সত্যের পরে কেন তাহলে উচ্চারিত হল গভীর গোপন এক চলার কথা ?  এই গভীর চলার আসলে দুটো ব্যঞ্জনা হতে পারে। নিজের লেখায় কবি তো কোথাও থেকে যান, থেকে যান আমাদের সকলের প্রতিনিধি হিসেবে। একজন সৃজনশীল মানুষের এই গভীর চলা কেমন ? ধরা যাক, আমরা সারা দিন ব্যস্ত আছি নিজেদের ব্যবহারিক কাজে আর তারই মধ্যে একটি কবিতার লাইন বা একটি আখ্যানের আইডিয়া ঝলসে এল মাথায়। আমাদের তো উপায় নেই সেটিকে তখনই লিপিবদ্ধ করার তাই আমরা আগলে রাখি তার সঙ্কেত, তার আত্মা । দিন গড়ায়, কাজের মাঝে মাঝে কান্নাধারার দোলা ওঠে, তবু আমরা আগলাই। একই সঙ্গে চলছে দুটো জীবনের স্রোত —- একটা কেজো, আরেকটা গভীর সংবেদনের মধ্যে মুক্তোর মতো স্তব্ধ, উজ্জ্বল আর বাধ্যত গোপন। এই গোপন চলার অভিজ্ঞতা আমরা অনেকেই হয়তো আস্বাদন করেছি। খোদ রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে তো এমন হয়েছে অনেকবার —- একটা গানের মধ্যে এসে পড়েছে কবিতার ছায়া, কবিতার অক্ষরের ভিতর দিয়ে উঁকি মেরেছে গানের সুর আবার হারিয়েও গিয়েছে। অচলতা ও সচলতার এই সূক্ষ্ম টানাপোড়েনে ক্রমশ প্রোজ্জ্বল হতে থাকে এই গান। আর বৃক্ষ স্বভাব-অচল হলেও কি তার কোনো চলা নেই ? পরের লাইনে আছে তার ব্যাখ্যা — আমার চলা নবীন পাতায় / আমার চলা ফুলের ধারা। বীজ থেকে বৃক্ষের যে সঞ্চারপথ সেও কি এক চলাই নয়?  একটি বীজের থেকে দুটি পাতা, তারপর পাতার বাহারে সেজে ওঠা কান্ড, কুঁড়ি, ফুল সবটা মিলিয়ে এক গোপন চলন —- বহতা নদী যখন আপনমনে পাগলপারা সে কি খেয়াল করে তার সঙ্গী ওই গাছটিরও থেকে গেল এক গোপন আর গভীর চলা? এই দুই রকম চলার ইশারা নিয়ে এগোতে থাকে গান। এখানে একটু খেয়াল করতেই হবে ‘আমি সদা অচল থাকি…’ অংশে গানের সুর কিছুটা উঁচুতে বাঁধা,  তুলনায় নদীর আপনমনে বয়ে চলার কথা অনুচ্চ। সেকি ওই স্তব্ধতরুর বাহ্য গোপনতাকে সুরের জালে সুতীব্র করারই একটা অভীপ্সা?

    এই গানের সঞ্চারীতে মুলত নদীর উদ্দেশে কথা বলে সেই চাঁপার বৃক্ষটিই। এখানে নদীর গতিময়তা কে বিশেষিত করা হয় দুটি শব্দে —’পাগল-পারা’ ও ‘আপন- হারা’। রবীন্দ্রনাথের গানে পাগল কোনো নেতিবাচক শব্দ নয় এটা আমরা জেনেছি — ‘পাগল যে তুই কন্ঠ ভরে জানিয়ে দে তা’ । তিনিই  বলেছেন, ‘ যে তোরে পাগল বলে তারে তুই বলিস নে কিছু’ , তার  গানে  ‘আঁধার রাতের একলা পাগল’ বলে যায় ‘বুঝিয়ে দে বুঝিয়ে দে’। রক্তকরবীর নন্দিনী তার প্রিয় বিশুকে ‘পাগল’ বিশেষণে নন্দিত করে তৈরি করে ভালবাসার এক স্তর।  তবে এইগানের নিরিখে ঠিক ওই ব্যঞ্জনা ধরা যায় না। এর অভিপ্রায় খুঁজতে গেলে আসতে হবে আভোগে (শেষ দুটি লাইনে)।  আসলে ‘পাগল-পারা’ অর্থে পাগলের মতো অর্থাৎ যার কোনো সুনির্দিষ্ট দিশা নেই, কার্যত ‘আপন-হারা’ শব্দের মধ্যেও আছে সেই স্ফূর্ত আভাস —- মনের আনন্দে দিগ্বিদিকহীন বয়ে চলা, এইই তো নদীর গতির স্বাভাবিক ধর্ম। কিন্তু এই প্রসঙ্গ কেন আবার উঠে এল গানের সঞ্চারীতে ? এই জিজ্ঞাসার উত্তর খোঁজার আগে বলে নিতে হবে রবীন্দ্রগানের সঞ্চারী আসলে এমন একটি মঞ্চ যেখান থেকে গান উড়াল দেয় আরও আরও ব্যাপ্ত এক বিশ্বে — এই প্রক্রিয়াটিকে ইংরিজির ট্রান্সডেন্ট শব্দের আবহে কিছুটা ভাবা যায়। আরও অনেক গানের মতোই এই গানেও সঞ্চারীতে সুর নেমে আসে খাদে, একটু যেন মন্দ্র হয়ে সে দেখে নিচ্ছে তার বহির্বিশ্ব। এরপরেই দূর গাছের মাথায় বসা নিঃসঙ্গ চিলের মতো সে ভেসে পড়বে অনন্তের দিকে– যেন বা সুরের এক অব্যর্থ ভাসান। 

     নদীর পাগল-পারা অনির্দেশ্য গতিকে পেরিয়ে এবার আবার ফিরে আসে চাঁপার কথা। ‘আমার চলা যায় না বলা / আলোর পানে প্রাণের চলা’। আগে বলা হয়েছিল ‘আমি সদাই অচল থাকি’ ও ‘গভীর চলা গোপন রাখি’ —-সেই গোপন আড়াল এবার মোড় নিল ভিন্ন খাতে। গন্ধভারে আনত চাঁপার চলা বলা যায় না কিন্তু দেখা যায়। কীভাবে দেখা যায় ? এখানে একটা বৈজ্ঞানিক সত্যের খবর নিয়ে নিতে হয়। জীববিদ্যার চোখে উদ্ভিদের চলন (মুভমেন্ট) একটি প্রামাণ্য বিষয়। খোলা জানলার নিচে একটা গাছকে রেখে দিলে সে প্রাকৃতিক নিয়মেই খোলা জানলার আলোর উৎসের দিকে তার ডাল বাড়াতে থাকে যাকে বলা হয় ফটোট্রপিক মুভমেন্ট। এমন নয় যে রবীন্দ্রনাথ এখানে গানের সত্যকে বিজ্ঞানের সত্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চেয়েছেন। কিন্তু আলোর উৎসের দিকে উদ্ভিদের চলাকেই সহজে বলা চলে ‘আলোর পানে প্রাণের চলা’। যে চাঁপাতরুর আত্মকাহিনি এখানে উন্মোচিত হচ্ছে তার চলার মধ্যেও আছে সেই প্রণোদন, বলা না গেলেও তা প্রত্যক্ষ। আসলে তা এক ‘বিশ্বভরা প্রাণ’ এর স্বভাবগতি। যে নদী কেবলই আপন বেগে বয়ে যায় তার তো এই চলনের সঙ্গী ও সাক্ষী হওয়ার দায় নেই, হয়তো অবকাশও নেই। কিন্তু ‘মহাবিশ্বে মহাকাশে’ ছড়িয়ে আছে যে কসমিক প্রাণ যাকে একটু একটু করে ভরে তুলছে নিঃসীম আকাশ আর নীরব নক্ষত্রমালার আলো, তাদের যে অপার অসীম চরাচর ঠিক তার নিচেই দাঁড়িয়ে আছে সেই একলা চাঁপা আর বয়ে চলছে নিরবধি নদীর গান। নদী তার উৎসেই পেয়ে গেছে তার চলার ছন্দ আর তাল। আর স্তব্ধ চাঁপার তরু, তার তো কোনো গতির শব্দ নেই, সুর নেই অথচ তারও আছে এক চলা —- সেই অসীম কালের হিল্লোলের কথাই তাই তাঁকে বলে যেতে হয় গানে, একেবারেই নিজের ভাষ্যে। আপাতভাবে যাকে মনে হয় নদীর গান, প্রত্যক্ষ চলার সুর —- আসলে তার অন্তর্গত হয়ে থাকে স্তব্ধ আর গভীরে চলা বিপরীতের আরেক আখ্যান। রাত্রিকাল, তারাভরা আকাশ পাহারা দিচ্ছে ছায়াপথ, আকাশের বিস্তারে খেলা করছে মহাজাগতিক কত না বিস্ফোরণ —- কতকাল আগে যে নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটে গেছে আজ সেই তারই আলো এসে পড়ল কোথাও, সমস্ত জাগতিক অস্তিত্বের অনিত্যতার বেদনায় ছেয়ে আছে সান্দ্র বাতাস। আর তারই নিচের খোলা প্রান্তরে নদীর ধারে চাঁপা উচ্চারণ করছে তার আত্মজীবনী —-- অবাধ গতি আর গোপন চলার দ্বৈতে রচিত এক আশ্চর্য গান। কবি হিমেনেথ লিখেছিলেন, শিকড়ের ডানা হোক, ডানার শিকড়। শিকড় আর ডানার সেই দোলাচল যেন এই গানের অন্তর্বয়ন হয়ে জেগে থাকে আমাদের মনে। নদী নয়, এই গান আসলে চাঁপার। এর পরেও কি এমন ঐশ্বর্যবান রচনাটিকে আমরা কেবল ‘কমন গান’এর শিরোপায় আচ্ছাদিত করে রাখতে চাইব ? 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আশিস বসু | 2405:201:8019:590e:7047:e0b2:3728:***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৮540312
  • খুবই সুন্দর লিখেছেন,  একেবারেই যথার্থ বিশ্লেষণ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন