এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • সওয়া ঘন্টার পথ

    অনিন্দিতা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ২৪ জুলাই ২০২৫ | ১৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • কলকেতা, ডায়মন্ড হারবার, রানাঘাট, তিব্বত - সাকুল্যে সওয়া ঘন্টার পথ। পশ্চিম বঙ্গ, দিল্লি-বম্বে-মাদ্রাজ, হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু, আর তারপর সিধে বিলেত-আমেরিকা, সেও সওয়া ঘন্টারই পথ। মাঝে আবার আরব দেশগুলিও আছে, মধ্য-প্রাচ্যের দুবাই-আবুধাবি-সৌদি। প্রবাসে অভিবাস, দেশের মধ্যে অন্য রাজ্যে অথবা পাক্কা বিদেশে - বাংলার মানুষ থাকছে না আর বদ্ধ ঘরে, ঘুরছে কী এক ঘূর্ণিপাকে। জীবিকার সন্ধানে, যোগ্যতা বাড়াতে, স্বেচ্ছায় অথবা নিরুপায়ে - বাঙালির বাইরে যাওয়া নতুন নয়। ‘বঙ্গের বাহিরে বাঙালি’ পুরোনো আলোচনা, ব্রিটিশ আমল, নবজাগরণ - এসব আমাদের গর্বের ইতিহাস। কিন্তু সে যুগে যাতায়াত ছিল দ্বিমুখী। প্রাণকেন্দ্র কলকাতায় আসতেন বাইরের মানুষ।  মনে আছে দিল্লিতে মামাবাড়ির চিকিৎসক ডাক্তার মালহোত্রা সগর্বে বলতেন, আমি ক্যালকাটা মেডিকেল কলেজের ছাত্র। কিন্তু লক্ষ্য করা যেতে পারে, যে মামার কথা বলছি, তিনি কিন্তু সত্তরের দশকেই বাংলার বাইরে। দেশভাগের চাপ, অস্থির সময়, নড়ে যাওয়া সমাজ, চাকরির অভাব, এইসব চলেছে সেই ষাট-সত্তরের দশক থেকেই। সেই আখ্যানের আলোচনা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়, বহু গবেষণা আর চর্চা হয়েছে এইসব কারণ আর লক্ষণ নিয়ে। যা প্রতিদিন চোখের সামনে দেখছি, যা ভাবাচ্ছে অহরহ, তা হল একটা সমাজের নিত্য বদলে যাওয়া, একটা নতুন ধারার জন্ম, আর ভাবনাচিন্তার পরিবর্তন। নতুন চেহারার বাঙালিকে দেখি, নতুন ভাবনার বাঙালিকে দেখি, আর বহন করে চলি সেই আধো-জানা কাহিনীর খোঁজ।
     
    জবা বারুই-এর উপাখ্যান 
    জবা একজন গৃহসহায়িকা। বছর পঞ্চাশেক বয়স। দিল্লিতে কাজ করতে এসেছে প্রায় আট বছর। তার মেয়ে কল্পনা, সেও থাকে আরেক বাড়িতে প্রায় এতদিন যাবৎই। জবার বর আর জামাই দুজনেই বেকার, নিষ্কর্মা, পরভৃৎ।  তাই মা-মেয়ের কপালে দূরযাত্রা, নদীয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ঝাঁ-চকচকে রাজধানীতে। কিন্তু তাদের গ্রামের সব মহিলার গল্পটা ঠিক এরকম নয়। সেখানে মোটামুটি তিন ধরণের মহিলা শ্রম দেখা যায়। একদল কাজ করে কলকাতায়, একদল পশ্চিমবঙ্গের বাইরে, আর কেউ কেউ গ্রামের ক্ষেত-খামারে। শেষের দল হতদরিদ্র, মাঝের  দলের আয় সর্বোচ্চ, আর মাঝমাঝি আছে প্রথম দলের মেয়েরা। কলকাতায় কাজ যারা করে তারা অনেকেই সেবার অর্থনীতিতে যুক্ত। এছাড়াও আছে আরেক দলের মহিলারা, যাদের স্বামীরা গিয়েছে বাইরে কাজ করতে। এদের ভারী সৌভাগ্য, এদের জীবিকার্জনের জন্য ঘরের বাইরে যেতে হয় না। জবা বারুইর ভাইয়েরা একজন চেন্নাই আর একজন দুবাই গেছে। জবা এসে বাসা গেড়েছে দিল্লিতে, তার ছেলে কাজ নিয়েছে ঠিকাদারের হাত ধরে এক আপিসে মালি হয়ে। মূলত কায়িক শ্রমকে পুঁজি করেই লেবারের ভিন রাজ্যে আর বিদেশে যাত্রা। বছরে দু’বছরে একবার আসে চেন্নাইয়ের ভাই আর তিন-চার বছরে একবার আসে বিদেশের ভাই, জবার ভাষায় ‘ডুবাই’ থেকে। প্রতিবেশী ঘরের কেউ বেঙ্গালুরুতে, কেউ বা হায়দরাবাদে, কেউ আবার আবু ধাবি, কাতার কিংবা মালয় দ্বীপে। 
    এইসব নানা ধরণের গতায়াতের ফলে পল্লীসমাজে কীভাবে ভাঙাগড়া চলছে, তা বেশ এক দেখার মতো বিষয়। এই যে বিদেশ বা রাজ্যের বাইরে থাকা শ্রমিকদের ঘরণীরা, তারাও কিন্তু বেশ একটা সামাজিক শ্রেণীবিন্যাস করে নিয়েছে। যার বর দুবাই থাকে, তার সামাজিক জোর চেন্নাইয়ের চেয়ে বেশি, আবার যার ছেলে আছে কাতারে, সে মা বেশি গরবিনী কেরলের শ্রমিকের মায়ের চেয়ে। ভোগ্যপণ্যের বাহার, বিদেশী জিনিসের আমদানি গ্রামের আর সকলের সামনে তাদের জায়গাটা আরো পোক্ত করে দিয়েছে। আর যারা নিজেরাই বাইরে বেরিয়েছে পেটের তাগিদে, যেমন আমাদের জবা বারুই, তারা রয়েছে মাথা নীচু করে। ছুটিতে গ্রামে ফিরলে কখনো শোনে প্রতিবেশিনীর সহানুভূতি, কখনো শহরের জীবন ও  জীবিকা নিয়ে সন্দিহান মন্তব্য। অন্যদিকে, এদের ঘরের মেয়েরা কেউ কেউ পড়াশুনা করে মন দিয়ে, আবার অনেকেই  ঘুরে বেড়ায় ছাড়া গরুর মতো, কারণ তাদের মায়েরা বাইরে। গ্রাম নিয়ে কাজ করে এমন সব সংগঠনের রিপোর্টে দেখা যায়,  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে হওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে গ্রামাঞ্চলে ছোট মেয়েদের প্রেম করার সংখ্যাও। জবা ছোট মেয়েটিকে ইংরেজি পড়াতে চায়, বিদেশে কাজ করার সুযোগ তৈরী করে দিতে চায়। বৃদ্ধদের জন্য সেবিকার চাহিদা তৈরী হচ্ছে ধনী দেশেও, কারণ সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল বাড়ছে গোটা বিশ্বেই। জবা চায়, তার এই মেয়েটি আরো বেশি আয়ের সন্ধান পাক, আরো একটু আরাম, আরো ভালো জীবন। 
    দেবযানী নন্দীর আখ্যান 
    কোনো নতুন পরিচিতের সঙ্গে আলাপে দেবযানী সহজভাবেই জিজ্ঞেস করেন, ছেলে মেয়ে কয়টি, দেশে না বিদেশে? থাকেন দিল্লিতে, আজ প্রায় চল্লিশ বছর। সেই কবে পড়তে আসা, তারপর চাকরি, বিয়ে, সংসার আর সেই থেকে রয়ে যাওয়া ভিন রাজ্যে। সওয়া ঘন্টার রাস্তার অর্ধেক পাড়ি দিয়ে থিতু হয়েছেন দেবযানী আর তার স্বামী। একটি ছেলে আর একটি মেয়ে, একজন আমেরিকায়, একজন মধ্যপ্রাচ্যে। তারাও গিয়েছিলো পড়তে, বলে গিয়েছিল ফিরবে, বাকি ইতিহাস, চেনা ইতিহাস। দেবযানীর প্রতিবেশীরা অনেকেই মোটামুটি একই অবস্থায় আছেন। অধিকাংশেরই এখন শূন্য নীড়, বছরে একবার ছেলেমেয়েদের দেশে আসা, কদিন হৈচৈ, তারপর আবার নিজেরা নিজেদের মতো বেঁচে থাকা। অবশ্য তাঁদেরও ছেলেমেয়ের কাছে যাওয়ার ব্যাপার আছে, হয়তো যে বছর ছেলেমেয়েরা আসতে পারবে না, তখন। সে এক অন্তহীন উৎসাহ - কী কী নিয়ে যাওয়া, ওদের জন্য, নিজেদের ওই অচেনা আবহাওয়ায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য, কাছেপিঠে বেড়াতে যাওয়ার জন্য। তারপর সে সব ছবি দেওয়া সমাজ মাধ্যমে, জানানো আত্মীয়-বন্ধুদের, এইসব অনেক কাজ।  তারপর কী করেন দেবযানী? ওঁর আর ওঁর স্বামীর অনেক অবসর এখন। তাই তো তাঁরা যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনে - গান, কবিতাপাঠ আর নাটকের আড্ডায়, পাড়ার সমিতিতে। সমাজ মাধ্যমের পাতায় পাতায় ছবি দেখা যায় এইসব অনুষ্ঠানের - বেশ বয়স্ক মানুষেরাই মূলত গায়ক, বাদক, শিল্পী। পুজো কমিটিতে, বিয়েবাড়িতে, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সর্বত্রই যেন পক্ককেশের ভিড়। দেখতে ভালো লাগে যে এঁরা নিজেদের জন্য ‘মি-টাইম’ বের করতে পেরেছেন, হোক না সে জীবনের প্রান্ত বেলায়। সারা জীবনের দৌড় শেষে এখন আবার করে বাঁচা, নতুন উদ্যমে আনন্দ খুঁজে নেওয়া। 
    তবু দেবযানীর মন রয়ে যায় কলকাতায়, স্মৃতির শহরে। আজ সেখানে এক ধূসর ক্যানভাস। মা-মাসি-কাকা-মামারা সেখানে রয়েছেন নিঃসঙ্গ বাড়ির এক চিলতে বারান্দার কোণে, পড়ন্ত রোদ গায়ে মেখে। এককালের গমগমে সেইসব পাড়াতে এমন একটা বাড়ি আর দেখা যায় না, যেখানে সব কটি জানালায় ঠিকরোচ্ছে  আলোর রেখা, উড়ছে পর্দা, ভেসে আসছে টিভিতে খবর, কিংবা গানের সুরে সান্ধ্য রেওয়াজ। অধিকাংশ বাড়ির ওপর তলাগুলিতে ঘন অন্ধকার, তালাবন্ধ, কোনো বাড়ি আগাগোড়াই নির্বাসিত। পুরো শহরটা যেন দিনাবসানের প্রহর গণনায় রত। পরের প্রজন্ম দূরে, বহু দূরে। দেবযানীদের বাস দক্ষিণদিল্লির বাঙালি পাড়ায়। লোকমুখে নাম তার মিনি কলকাতা। আগের প্রজন্মের মধ্যবিত্ত বাঙালীর বাস ছিল এখানে। সরকারে উচ্চপদস্থ, শিক্ষায়তনে সম্মানিত পেশাদার বাঙালি গড়ে তুলেছিল এই পল্লীর বাগান ঘেরা ছোট-ছোট একতলা-দোতলা বাড়িগুলি। রাজধানীতে বাঙালি অভিবাসনের তখনই শুরু। আজ সেখানে থাকেন সেই আদি বাসিন্দাদের ছেলেমেয়েরা, মানে সেই প্রজন্ম যাঁরা আজ প্রৌঢ়, অনেকেই অবসরপ্রাপ্ত। দু’ কদম হাঁটলেই দেখা যায় এই পাড়ার বদলে যাওয়া মানচিত্র। প্রতি দু-তিনটি বাড়ি পরেই চলছে ভাঙচুর, নীল টিনের ঘের দিয়ে চলছে নতুন বাড়ির নির্মাণ। এই এলাকাও হতে চলেছে কলকাতার মতো প্রায় বৃদ্ধাশ্রম, খুব দ্রুত। দেবযানী তাই এখন ভয় পান, যে কলকাতা ছেড়ে এসেছিলেন, এখন এখানেও তাই হতে চলেছে। ধীরে ধীরে গোটা দেশেই এই চিত্র তৈরী হচ্ছে। নতুন প্রজন্ম সব বহির্মুখী, পরিযায়ী। তবে কি পৃথিবীটা আবার একটা দ্বিমাত্রিক জায়গা হতে চলেছে, যেখানে এক দুনিয়া বৃদ্ধ, আর আরেকটি পরিযায়ী যুবশক্তিতে ভরপুর। পিছিয়ে থাকা দেশগুলি শ্রমের যোগানদাতা, আর সে দেশের বয়স্করা নিঃসঙ্গ। 
     
    পথের শেষে
    নাটক, চলচ্চিত্র, সাহিত্য  এসব গল্প বলছে আজকাল। বিজ্ঞাপনেও সেই সুর কখনো কখনো। দেবযানীরা এখনো আছেন, জবা আর কল্পনারা আছে তাঁদের পাশে। প্রায়ই তাঁর মনে হয়, কোথায় যেন তিনি এক হয়ে যাচ্ছেন জবার সাথে। সন্তানের পথ চেয়ে বসে থাকা, প্রায় বৃদ্ধাশ্রমে দৈনন্দিন ওঠাবসা আর কেবলই পিছনে ফিরে দেখা। এই যে বাঙালিরা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে, আন্তর্জাতিক স্তরে সফল হচ্ছে, সে তো ভালো খবর। কিন্তু দেবযানী ভাবেন, তাঁর উত্তসূরীরা কতটুকু বাংলা জানবে, কতখানি শিখবে বাংলা ঐতিহ্য! কলকাতার শিল্পীরা বাইরে গিয়ে মাঝে মাঝে নাচ-গান-নাটক করবেন, শেখাবেন, কদিন হৈচৈ। আগের প্রজন্ম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন এখনো, কিন্তু পরের প্রজন্ম আর করবে কি? যে পথ দিয়ে চলতে শুরু করেছিলেন দেবযানীরা, সে কোথাও হারিয়ে যাবে কি? কলকাতা, ডায়মন্ডহারবার অথবা রানাঘাট, যেখান থেকেই তিব্বত-যাত্রা শুরু করা হোক না কেন, চলার পথটা যেন একই রকম। অশীতিপর  ফুলপিসি-রাঙামামারা রয়ে গেছেন কলকাতায়, তার পরের সারি ভারতের নানা শহরে কিংবা বিদেশে, আর বর্তমান প্রজন্ম অবশ্যই প্রবাসমুখী। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের এই যে সওয়া ঘণ্টার পথে পাড়ি জমানো, সে পথে হাঁটতে শুরু করলে আর ফেরার উপায় নেই। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ জুলাই ২০২৫ | ১৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন