এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   শিক্ষা

  • সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা!!!

    দীপ
    আলোচনা | শিক্ষা | ০১ নভেম্বর ২০২৫ | ২৩ বার পঠিত
  • সরকারি মদতে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংসসাধন!
    এইভাবে সরকারি স্কুলগুলোকে পরিকল্পনা মাফিক ধ্বংস করা হচ্ছে!
    এই সুযোগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা-খুশি-তাই করছে!
     
    বাংলামাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে বাংলাভাষার জন্য কান্নাকাটি চলছে!
    -------------------------------------------------------------------
     
    শিক্ষিকা পিয়ালী বন্দোপাধ্যায় লিখছেন। 
     
    সরকার অনুমোদিত স্কুলে পড়াশুনা এখন এক অলীক পর্যায়ে নেমে এসেছে। তারা বানান জানেনা। মানেনা। মানতেও হয়না কারণ নম্বর কাটার উপায় নেই। কাটলে তারা পাশ করবে না।
    পাশ না করলেও কোনো ব্যাপার নেই, তারা ক্লাসে উঠবেই পরপর। সেকেন্ড লিস্ট, থার্ড লিস্টরাও জানে এগুলো শো অফ। স্কুল আবার জামাই আদরে ডেকে পরের ক্লাসে তুলে দেবে। কিম্বা এই স্কুল ভাগালেও অন্য স্কুল লুফে নেবে।
     
    মুখের ওপর কোনো কোনো মেয়েরা এবং তাদের গার্ডিয়ানরা বলে যাচ্ছেন তাঁরা কন্যাশ্রীর তোয়াক্কা করেন না। প্রামাণ্য ডকুমেন্ট দিতে তাঁরা চিন্তিত নন কারণ জানেন এটা স্কুলের দায়িত্ব। স্কুল বার বার ফোন করে তাঁদের কাছ থেকে আদায় করতে বাধ্য।
     
    মেয়ের দীর্ঘ অনুপস্থিতি পারিবারিক কারণেই হয়েছে। এ'বিষয়ে কোনো স্টেপ নেওয়ার অধিকার স্কুলের নেই। একজন ছাত্রী সে ধরা যাক ক্লাস টেন, সারা বছরে পূর্ন একমাস ক্লাস করে কি না সন্দেহ! তবু সে টেস্টে বসবে এবং এলাও হবেই।
     
    ব্যাংকের বই করানোর জন্যে ছাত্রছাত্রীকে ধরাধরি করা, স্কলারশিপ, পরীক্ষার প্রামাণ্য কাগজ জমা করাতে কালঘাম ছুটে যায়; দায় যেন স্কুলেরই, ডি আই থেকে জবাবদিহি চাওয়া হয় ।
    স্থানীয় প্রশাসন এইসব দুর্বিনীত ছাত্রছাত্রীর সাহায্যে এক পায়ে খাড়া। কোনোরকম অভিযোগ হলেই তাঁরা ছুটে আসেন এবং শিক্ষকদের কাঠগড়ায় তুলে ফেলেন।
     
    ছাত্রছাত্রীরা প্রজেক্ট নামক (শর্টকাটে দশ নম্বর পাওয়া) ব্যাপারটি কিছুতেই জমা দিতে চায় না। তারা হয়ত জানে, জমা না দেওয়া ছেলেটিকেও কিছু নম্বর দেওয়া হয়, পোর্টালে শূন্য নেয় না।
    কবিতা মুখস্থ, ব্যাসবাক্যসহ সমাস, বাগধারা, এক কথায় প্রকাশ, বিস্তৃত আলোচনা; এ জাতীয় অর্বাচীন প্রশ্নের উত্তর তারা দেওয়ার প্রয়োজনই মনে করেন খাতায়, শুধু জানে টিক মারতে। টিক মারা উত্তর ছাড়া অন্য কিছু লিখতে তাদের প্রবল অনীহা।
     
    পড়াশুনোর কথা বলা আজকাল শিক্ষকদের দণ্ডনীয় অপরাধ। "বাচ্চার মুখটা দেখুন, এভাবে ওকে বললে ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এই তো গত সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে এলো।" কিন্তু সেই ছাত্রীর রিলস বানানোর ভিডিও শিক্ষকদের নিউজ ফিডে যখন আসে (এখন করোনার পর স্কুলগুলিতে গ্রুপে খবর দেওয়া চালু হয়ে গেছে তাই ফিডে সবার ছবি আসে), সেই ছাত্র ছাত্রীর সাজপোশাক আচরণ বা স্কুলে না আসা নিয়ে কিছু বলা যাবেনা, পড়াশুনোর কথা তো দূর অস্ত। পরিষ্কার জানিয়ে দেন অভিভাবক, এসব তো এখনকার বাচ্চারা করবেই, বারণ কি করা যায়!
    গ্রুপের মেসেজ তারা দেখবেও না, জানবেও না তবু শিক্ষকদের গুরু দায়িত্ব তাদের বাবাবাছা করে খবর কনভে করা।
     
    ছাত্রছাত্রীর গার্ডিয়ান মিটিং এ তাদের চেয়ে বছর দুয়ের বড় দাদা বা পাড়ার দাদা দিদিরা আসবে।কিন্ত তাদের বলা যাবেনা আপনারা কারা! আবার এইসব শিক্ষারত্নদের বাবা মায়েদের সারা বছর দেখা পাওয়া না গেলেও কোনো সমস্যার সময়, যেমন পরীক্ষায় পাস নম্বর না পাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া কিম্বা স্কুলে না এসে অন্য কোথাও চলে যাওয়া; সেসময় বাবা মায়ের সদলবলে উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। যেন শিক্ষকদের দায়িত্ব স্কুলের পরে ওদের বাড়ির পৌঁছে দেওয়া।
     
    আরো কত রকম নাট্যরঙ্গ চলেছে, লিখলে মহাভারত।
    ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন