এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • নতুন স্বাভাবিক মানে সবুজের অভিযান

    Anindita Roy Saha লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ অক্টোবর ২০২০ | ২৪৪৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • এইসব অসুখ বিসুখ মিটে গেলে আবার আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাব বলে উদগ্রীব হয়ে আছি। বাড়ির বাইরে বেরোবো, দেশ-বিদেশে বেড়াতে যাব, রেস্টুরেন্টে খাব, সিনেমা দেখবো, আরো যা যা এখন করতে পারছি না, সব করব। আগে যে জীবনে অভ্যস্ত ছিলাম, তার কিচ্ছুটি বাকি রাখবো না। এখনো অবশ্য আমরা থেমে নেই। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে যতটা সম্ভব, সবই প্রায় করছি। নিজের রন্ধন শিল্পের নমুনা প্রদর্শন করছি, বিলেত-আমেরিকা ভ্রমণের ছবি দেখাচ্ছি, বিশ্বজোড়া ফাঁদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছি। মন্দ চলছে না। সামনে আবার আসছে দুর্গাপূজো, বাঙালীর মহোৎসব। ডাক্তাররা আতঙ্কিত। আর দীর্ঘকালীন ভবিষ্যতের ভয় দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা আর অর্থনীতিবিদেরা। পৃথিবী নাকি আর ফিরে যাবে না আগের জীবনে।

    অতিমারী সম্পর্কে যেমন আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, তেমনি বোধ হয় এই সংক্রান্ত আলাপ আলোচনাতেও উৎসাহ কমতে শুরু করেছে, যদিও চিন্তাভাবনার কারণ ও প্রয়োজন মোটেই কমে নি। এইসব তাৎক্ষণিক লেখালেখি আর তর্ক-বিতর্কের একটা প্রধান অংশ হল স্বাস্থ্যপরিষেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান। অন্যদিকে রয়েছে অর্থনীতি, যার প্রভাব প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ, বর্তমানে এবং দীর্ঘস্থায়ী আগামীতে। এই অতিমারীর দিনগুলোতে ফুটে উঠেছে আরো অজস্র সামাজিক দিক- মানুষের গ্রহণ, বর্জন, পাশে থাকা আর না থাকার গল্প। আমরা যদি আমাদের এতোদিনের কৃতকর্ম আর ভবিষ্যতের আতঙ্কের কথা একটু গভীরভাবে ভাবি, তাহলে কোভিড সমস্যার আরেকটি দিকও স্পষ্ট দেখতে পাবো। তার নাম পরিবেশ। একথা নতুন করে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই যে, আমাদের বাঁচার তাগিদেই পরিবেশের সংরক্ষণ আর ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

    কোভিড স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে শহরকে সুখসমৃদ্ধির কেন্দ্রভূমি মনে করার আগে আমাদের আরেকবার ভেবে দেখার সময় এসেছে। ক্রমাগত নগরায়ণ, উদ্যোগ আর নির্মাণ শিল্প বাড়াতে বাড়াতে আমরা এই সর্বনাশের শেষ সীমায় এসে দাঁড়িয়েছি। বলা যেতে পারে, মানুষের কৃষিকার্য শুরুর সময়টিই হল প্রকৃতিকে শোষণ করার প্রথম ইতিহাস। তারপর জনসংখ্যার বৃদ্ধি, শিল্প বিপ্লব ইত্যাদি একের পর এক ঘটনার অর্থ দ্রুত থেকে দ্রুততর গতিতে প্রকৃতির হননপর্ব। জীবজগতের বৈচিত্র্য কমে যাওয়া, প্রাণীজগতের বাসস্থান ধ্বংস হওয়া, মানুষের সাথে প্রাণীজগতের সংঘাত, এগুলি মানুষের অর্থনৈতিক প্রগতির অবশ্যম্ভাবী মূল্য। অতএব ফিরে দেখতে হবে, নতুন সমাধান খুঁজতে হবে। পৃথিবীর অসুখ আমাদের সেই নতুন জীবন আর যাপনের ডাক দিচ্ছে।

    পরিবেশের সংকট বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে অতিমারীর সময় আরো কতগুলি অতিরিক্ত সমস্যা । এগুলি মনুষ্যকৃত ও শহুরে। প্রথমেই ধরা যাক, প্রদূষণ। না, বাইরের প্রদূষণ নয়। কোভিডের সময় তো সব চাক্কাজাম হয়ে হাওয়া পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রোগ থেকে বাঁচতে যে গৃহবন্দিত্ব, তা ডেকে এনেছে আভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের (indoor air pollution) সম্ভাবনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরের ভেতরের প্রদূষক মানুষের ফুসফুসে পৌঁছনোর সম্ভাবনা বাইরের প্রদূষকের চেয়ে প্রায় হাজার গুণ বেশি। বদ্ধ ঘর, বাড়ির আসবাব থেকে শুরু করে মেঝের ধুলো, টানা এয়ার কন্ডিশনিং ইত্যাদি এই ক্ষতির সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়িয়ে তোলে। এই বিষয়ে যে আমাদের সচেতনতা কম, তার প্রমাণ হল কেন্দ্রীয় প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (Central Pollution Control Board বা CPCB) আভ্যন্তরীণ প্রদূষণ সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কোনো নির্দেশিকা জারি করে নি।

    আরেকটি নতুন আমদানি হল কোভিড ওয়েস্ট। ডাক্তারি সামগ্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিপুল পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি। এই সুরক্ষা কবচগুলি মূলত বিভিন্ন ধরণের প্লাষ্টিক ও পলিপ্রোপিলিন জাতীয় না-বোনা কাপড় দিয়ে তৈরি। সাধারণ অবস্থায় ভারতবর্ষে দৈনিক প্রায় সাড়ে পাঁচশো টন মেডিক্যাল বর্জ্যপদার্থ উৎপন্ন হয়। এই পরিমাণ গত কয়েক মাসে বেড়ে গিয়েছে ছয় গুণ । আর এর পরের প্রশ্নটি বর্জ্য নিষ্কাশনকে ঘিরে। ভারতের এমনিতেই অনুন্নত ও ভঙ্গুর নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনাকে আরো চাপের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই অতিরিক্ত বর্জ্যপদার্থের উৎপাদন। করোনার দিনগুলিতে অন্যান্য অজৈবিক বর্জ্যের পরিমাণও বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। সরকারের ব্যর্থতার ফলস্বরূপ খাদ্যবন্টনের দায় অনেকটাই বর্তেছে সমাজ ও বিভিন্ন সংস্থার ওপর। শুকনো বা রান্না করা খাদ্যসামগ্রী দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দিতে প্লাষ্টিক প্যাকেট আর এলুমিনিয়ামের বাক্সের বিকল্প নেই। কিন্তু এর সঠিক নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনার কথা ভাবা হয়েছে কি? আমাদের ‘নতুন স্বাভাবিক’ জীবনের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল অনলাইন কেনাকাটা। আর তার মানেই প্যাকিং আর প্লাষ্টিক। কাজ হারানো অনেক মানুষ রান্না করা খাবারের ব্যবসা শুরু করেছেন। তাতেও অ্যালুমিনিয়াম, সেলোফেন আর প্লাষ্টিক। সব দিক থেকে বেড়েই চলেছে আবর্জনা। এতো সব যাবে কোথায়? দিল্লি মুম্বাই শহরে তো শহরের মধ্যিখানে আবর্জনার পাহাড় গড়ে উঠেছে আগে থেকেই। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এবার তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

    অসুখ একদিন সেরে যাবে। তেমনি ফুরিয়ে যাবে এই সাময়িকভাবে পাওয়া পরিষ্কার আবহাওয়া। যদি ফিরে যেতে না চাই সেই অন্ধকারে, যদি রুখতে হয় আমাদের ও আমাদের গ্রহের ধ্বংস, তবে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান খুঁজতে হবে। আর তার রং হতে হবে সবুজ। গড়ে তুলতে হবে সবুজ শহর (green city) । সেখানে থাকবে শুদ্ধ বায়ু ও জলের উচ্চ গুণমান, শক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, গাছপালা ও কৃষিজমির সন্তুলিত পরিমাণ এবং সর্বোপরি পরিবেশ-সচেতন নাগরিক। সবুজ পরিকাঠামো (green infrastructure) তৈরি করতে হবে প্রতিটি শহরে ও শিল্পাঞ্চলে। শহুরে সবুজায়ন (urban greening) করতে হলে তৈরি করতে হবে হরিৎ পট্টি (green belt) । গাছের সারি চৌকিদারী করবে প্রদূষণের ওপর, সেই সঙ্গে রক্ষা করবে জল ও মাটি, দেবে ফুল পাতা আর ফলের সম্ভার। গাছ শুধু বায়ু দূষণ রোধ করে না, কম করে শব্দ দূষণও। রাস্তার ধারে গাছের সারি, দেওয়াল আর ফ্লাইওভার ঘিরে লতানো ঝোপঝাড়, সবই সবুজ পরিকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। তাই দায়সারাভাবে বনমহোৎসব নয়, চাই সুনির্বাচিত সঠিক প্রজাতির বৃক্ষরোপন। গাছের প্রদূষণ সহ্যশক্তি, রাসায়নিক গুণাবলী, এমন কি পাতার মাপ ও মসৃণতা, চাঁদোয়ার বিস্তার, সব দিক দিয়ে বিচার করতে দেখতে হবে কোন গাছ কতখানি উপকারী। সেই সঙ্গে ঘরের ভেতরেও রাখা যেতে পারে উপকারী গাছ। বিশুদ্ধ বায়ু চাই ঘরে ও বাইরে।

    এই ‘নতুন স্বাভাবিক’ শহুরে জীবনে আবর্জনা বাড়িয়ে তোলার কোনো জায়গা নেই। Reduce, reuse, recycle স্লোগানের সঙ্গে যোগ করতে হবে recovery আর residual । সরকারি স্তর থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরে ঘরে বৃত্তাকার অর্থব্যবস্থা (circular economy) চালু করতে হবে। সেখানে সব বর্জ্যপদার্থ শেষ অবধি কোথাও না কোথাও ব্যবহার হয়ে যাবে । অর্থাৎ এটি হবে একটি বর্জ্যশূন্য (zero waste) ব্যবস্থা। তার জন্য আবর্জনার ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো মজবুত করতে হবে, প্রয়োজনে তৈরি করতে হবে আরো নতুন ব্যবস্থা। বৈজ্ঞানিক মহলে আর একটি নতুন ধারণা হল সবুজ রসায়ন (green chemistry) । এর সাহায্যে শহুরে আবর্জনার উন্নততর ব্যবস্থাপনা করা যেতে পারে। এতে ফল সবজি লতা পাতার অবশিষ্টের সঙ্গে সূক্ষ্মজীবের (micro-organisms) মিশ্রণ ঘটিয়ে সবুজ ন্যানোকণা (nano-particle) তৈরি করা যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে রোজকার রান্নাঘরের আবর্জনাকেও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়। রোজকার জীবনে আছে এমনি আরো হাজারো সহজসাধ্য পদ্ধতি।

    কোভিডোত্তর দুনিয়াটা হতে হবে প্রকৃতি-নির্ভর। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (International Union for Conservation of Nature বা IUCN) ভবিষ্যতের সমাধান হিসাবে সেই কথাই বলছে, যার নাম nature based solution বা NBS। এর উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে ‘মনুষ্যজাতি, অন্যান্য সমস্ত প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্রের (ecosystem) রক্ষনাবেক্ষণ ও উন্নতিসাধন’। এর একটি বড়ো অংশ হচ্ছে শহরে সবুজের বিকাশ। প্রকৃতি-নির্ভর সমাধানের আওতায় পড়ে অনেক কিছু- সবরকমের বাস্তুতন্ত্রের অভিযোজন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হ্রাসকরণ, সবুজ পরিকাঠামো গঠন, শহরের সবুজায়ন এবং জলবায়ু-ভিত্তিক জীবন যাপন। এর সঙ্গে থাকবে শহরের উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা, জল ও বায়ুর প্রদূষণ রোধ, জলাজমি ও গাছগাছালির সংরক্ষণ, মাটির ক্ষয়রোধ, তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। ধ্বংসোন্মুখ শহরকে বাঁচাতে সবুজ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। আর শহর না বাঁচলে যে সমস্যা গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে, বর্তমান পরিস্থিতি তা ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে।

    পরিশেষে একটি কথা নাগরিক সমাজের জন্য। পরিবেশ-সচেনতা কেবল সেমিনারে, চায়ের কাপে আর গণমাধ্যমের জ্ঞান-উপুড় পোস্টে শেষ হয়ে যায় না। আমাদের প্রত্যেককে বদলাতে হবে দৈনন্দিন জীবনযাপনের ধারা। এই যে গোটা বিশ্ব জুড়ে ভোগ আর অপচয়ের মহাযজ্ঞ চলছে, তাকে কমাতে পারি তো আমরাই। পরিবেশের অর্থনীতির একটা পুরোনো তত্ত্ব সামান্য একটু নেড়েচেড়ে দেখা যাক। IPAT থিয়োরি বলে, I বা environmental impact হলো তিনটি কারণের গুণফল, P (population), A (affluence) এবং T (technology)। অস্বস্তিটা এলো এর একটি পরিবর্তিত রূপ নিয়ে। জনসংখ্যার জায়গায় বসলো অন্য একটি শব্দ, ভোগ বা consumption এবং তত্ত্বটা IPAT থেকে বদলে হয়ে গেলো ICAT. অর্থাৎ শুধু জনসংখ্যা বেশি হলেই সরাসরি পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব নাও পড়তে পারে। প্রচুর সমৃদ্ধি ও কারিগরী উন্নতির দ্বারা প্রভাবিত বৃহৎ সংখ্যক জনগণ যখন প্রচুর পরিমাণ ভোগ করে, চিন্তাটা শুরু হয় সেখানেই। তা আমরা, স্বচ্ছল সমাজের ভোগী নাগরিকেরা সেই দোষে নিশ্চয় দোষী। বদলাতে আমাদের হবেই। যাতায়াত, ভ্রমণ, আমোদপ্রমোদ আর ভোগ, কোনো কিছুই আর আগের মতো চলতে পারবে না। ইকো-ট্যুরিজম, পশুপাখি দেখতে জঙ্গল-গমন কিংবা আদিবাসী গ্রামে গিয়ে পভার্টি ট্যুরিজম- সবই প্রকৃতির রাজ্যে উচ্চবিত্তের অনধিকার প্রবেশ। শুধু বৈজ্ঞানিক ও কারিগরী সমাধান নয়, শুধু সরকার বা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ওপর ছেড়ে দেওয়া নয়, উদ্যোগ নিতে হবে নাগরিক সমাজের প্রতিটি সদস্যকে। প্রকৃত অর্থে পরিবেশ-সচেতন নাগরিক হয়ে উঠতে হবে সকলকে। আমাদের প্রত্যেকের একেকটি ছোট পদক্ষেপ সমগ্র মানবজাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এক সম্মিলিত ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে। কোভিডের রাজনীতি, স্বাস্থ্যনীতি, অর্থনীতি আর সমাজনীতি থেকে গড়ে উঠতে পারে একটি যথার্থ পরিবেশ নীতি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৮ অক্টোবর ২০২০ | ২৪৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় | 2405:201:a001:cb5d:2cc4:3d7d:79a8:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২০ ২২:৫৩98825
  • লেখক শ্রীমতী রায় সাহা অত্যন্ত চমৎকার প্রাঞ্জল ভাবে এই জরুরী বিষয়টির খুঁটি নাটি দিকগুলি আলোচনা করেছেন। যে পাঠক কোনো কারণে বিজ্ঞানের পরিভাষা ইত্যাদির সঙ্গে সেভাবে পরিচিত নন, তাঁদেরও ভালো লাগবে  আশা করি ।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন