এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • মাতৃত্ব এক ছুটির অধিকার

    Anindita Roy Saha লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ২৮৩৫ বার পঠিত
  • সেটা আশির দশকের মাঝামাঝি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাগারে বক্তৃতা চলছে। সদ্য দেখে আসা চীন দেশের বর্ণনা দিচ্ছেন বক্তা। সে দেশের রাজনীতির অবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক উন্নতির নতুন ধারার উদ্গম, এইসব অবশ্যই উচ্ছসিত হওয়ার মতো বিষয় । সেমিনার শেষে নবনীতা দেবসেন প্রশ্ন করেছিলেন, আচ্ছা, চীন দেশে মেটার্নিটি লীভ কতদিন? মহিলা বক্তাটি সঠিক ভাবে উত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়টা তো খোঁজ করা হয় নি! আসলে এই ব্যাপারগুলো তখনো দেশ-কাল-সমাজ বিষয়ক ভাবনার মধ্যে সেভাবে ঠাঁই পায় নি। বলতে দ্বিধা নেই, বর্তমান কলমচির জীবনে সেই প্রথম নারী বিষয়ক চেতনার হাতেখড়ি। অবাক হওয়ার কথা, তিন দশকের বেশি পেরিয়ে এসে আজও এটি লেখার বিষয়বস্তু রয়ে গেছে , সমাজের স্বাভাবিক অধিকার হয়ে ওঠে নি।

    সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সমীক্ষাগুলি একের পর এক দেখাচ্ছে যে উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলির মতো ভারতবর্ষের শিশুরাও অপুষ্টিজনিত নানা সমস্যার শিকার। শিশুমৃত্যুর হার বেশি হওয়া ছাড়াও তাদের শারীরিক দৈর্ঘ্যে বেড়ে ওঠার হার ক্রমশ কমছে, যথেষ্ট রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হচ্ছে না, কখনো বা জন্মগতভাবে দৃষ্টিহীনতা দেখা যাচ্ছে । তার কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে যে, মায়েদের অপুষ্টি, রক্তাল্পতা ও অন্যান্য দুর্বলতার সঙ্গে সঙ্গে স্তন্যপানের অপ্রতুলতা ও শিশু পরিচর্যার সুযোগসুবিধার অভাব শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের পথে অন্তরায়। এই ফলাফলগুলি স্বভাবতই একটি দিকে আঙ্গুল তোলে- মাতৃ সুরক্ষা। ভারতবর্ষের ক্রমবর্ধমান ও ভয়াবহ জনসংখ্যার কথা মাথায় রেখেও বলা যেতে পারে শিশুমৃত্যু, অপুষ্টি ও তজ্জনিত স্বাস্থ্যহীনতা কোনো দেশেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তেমনই মেনে নেওয়া যেতে পারে না মেয়েদের মাতৃত্ব-সম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রতি সরকারি ও সামাজিক অনীহা। এই জায়গাতেই তুলে আনা যেতে পারে মাতৃত্ব-ছুটি ও অন্যান্য অধিকারের প্রশ্নটি।

    এ বছরের ইকোনমিক সার্ভে-তে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে মহিলাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা, বেতন ও উন্নতির রাস্তা সুষম করা, কাজে যোগদানে উৎসাহ দেওয়া এবং সর্বোপরি সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের উদ্দেশ্য মহিলাদের পরিষেবামূলক কাজে আরো এগিয়ে নিয়ে আসা, শিশু প্রতিপালনের সুযোগসুবিধা বাড়ানো, পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের দেখাশোনার উপযুক্ত কাঠামো কাজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া, বেতন-সহ পিতৃত্ব-ছুটি দেওয়া ইত্যাদি। এক কথায়, মহিলাদের কাজের ক্ষেত্রে একটি পরিবার-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। ২০১৭ সালের মাতৃত্ব সুবিধা আইন, প্রধান মন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা ইত্যাদিতেও কাগজেকলমে কিছু সুবিধা আর অধিকারের কথা বলা হয়েছিল। একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে, এগুলি মূলত সংগঠিত ক্ষেত্রের মহিলা কর্মীদের জন্য তৈরি। যেমন, মাতৃত্ব-ছুটি ও অন্যান্য সুবিধা নিতে হলে মায়েদের শিশুজন্মের আগের এক বছরে অন্তত আশি দিন পাকা কাজে থাকতে হবে। এই শর্তটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের মহিলা কর্মীদের পক্ষে পূরণ করা খুব সহজ নয়। এ ছাড়া দুটি সন্তানের বেশি হলে এই সুবিধাগুলি দেওয়া হয় না। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু জন্ম-নিয়ন্ত্রণে অপারগ অগণিত সাধারণ মহিলাদের ক্ষেত্রে এর অর্থ পরের বাচ্চাগুলির আরো অপুষ্টি এবং মাতৃদুগ্ধ ও পরিচর্যা থেকে বঞ্চনা। যার ফল আরো দীর্ঘমেয়াদি অনগ্রসরতা। অন্যদিকে এইধরনের ছোটোখাটো কর্মক্ষেত্রে শিশুপালনের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা অর্থাৎ ক্রেশ থাকে না। এইসব ব্যবস্থা করতে কোনো মালিকপক্ষ গরজ করবেন কেন, যেখানে এ ছাড়াও অগুনতি মহিলা শ্রমিক পাওয়া যায়। মহিলা শ্রমিকের তো মজুরিও কম। চোখের সামনে তো আমরা প্রায়শই দেখতে পাই, মহিলা শ্রমিকের কাজের জায়গার পাশেই চরম অবহেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তার বাচ্চাটি। এ প্রসঙ্গে একটি জানা ঘটনার উল্লেখ করি। এক ক্যাম্পাসে একটি মালি-বৌ ঘাস কাটছিলো, ঘাসজমির এক কোণেই পড়ে ছিল ঘুমন্ত শিশুটি। দেখতে না পেয়ে তার ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয় কেউ। ঘটনাটি চাপা পড়ে, বাবাটিকে খেসারত দিয়ে ও হুমকির সাহায্যে। অসহায় মা কিছু বলে না হয়তো এই কারণেও যে শিশুজন্ম তার কাছে একটি সহজ, নিয়মিত ও ক্রমিক পদ্ধতি। কিন্তু মূল প্রশ্ন এখানে এই যে, মহিলাটির কোনো মাতৃত্ব-ছুটি ছিল না, শিশুকে দেখাশোনার জন্য অর্থ উপার্জন থেকে কোন বিরাম নেওয়ার উপায় ছিল না। এরকম অসংখ্য মায়ের গল্প চারপাশে তৈরি হয়, যাদের কোনো সামাজিক সুবিধা নেই। মাতৃত্ব-ছুটি ও সুযোগ-সুবিধা সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক না হলে কোনো কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে কল্যাণকামী হয়ে উঠবেন, এ আশা করা বাতুলতা। আবার সাধারণ মহিলারা অধিকার সচেতন হবেন এবং নিয়মকানুনের কাঠখড় পোড়াবেন, এটাও খুব সহজ সমাধান নয়। তাই সাংগাঠনিকভাবে সামাজিক সুরক্ষাজালের আওতায় আনা দরকার গর্ভবতী মহিলা, সদ্য প্রসূতি ও ছোট শিশুর মায়েদের। মাতৃত্ব-ছুটি ও তৎসংক্রান্ত সুযোগসুবিধা যেন হয়ে ওঠে একটি স্বাভাবিক অধিকার।

    সমাজের অন্যান্য স্তরের গল্পটিও কি খুব আশাব্যঞ্জক? কোনো বেসরকারি বা বহুজাতিক সংস্থা কি মাতৃত্ব-ছুটির ব্যাপারটিকে খুব ভালো চোখে দেখে? একজন মহিলা তার পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় কেন তার ওপরওয়ালার কাছে কম অভিপ্রেত হন তার কারণ তো এইটিই যে তিনি আজ না হোক কাল ছুটি নেবেন। মেটার্নিটি লিভের পরে তাঁর প্রয়োজন হতে পারে চাইল্ড কেয়ার লিভ। এতে উৎপাদনশীলতা যে কমতেই থাকবে। ব্যক্তিগত মহিলা শ্রমের এই যে উৎপাদকতা স্বল্পকালীনভাবে কমে গেল, তা যে ভবিষ্যতের নাগরিকদের মাধ্যমে মানব সম্পদের সামগ্রিক উৎপাদকতা বাড়াতে সাহায্য করবে, তা বুঝতে হলে নীতিনির্ধারকদের সামাজিক দূরদর্শিতার প্রয়োজন। এই ধরনের সচেতনতার অভাব কিন্তু দেখা যায় সরকারি ক্ষেত্রেও। এই তো সম্প্রতি উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে একটা ছোটোখাটো লড়াই হল এই নিয়ে যে, চাকরির অভিজ্ঞতা হিসেব করার সময় মাতৃত্ব-ছুটি ও শিশু পরিচর্যা ছুটির সময়টি গণ্য করা হবে কিনা। এখানেও পুরুষ সহকর্মীদের থেকে মহিলাদের পিছিয়ে পড়ার জোগাড়। আরো মজার কথা, আগের প্রজন্মের যে বয়স্কা সহকর্মীটি সে যুগে চাইল্ড কেয়ার লিভের সুবিধা পান নি, তাঁরও বেশ একটা রাগরাগ ভাব, এ যে আদিখ্যেতা! মেটার্নিটি লিভ বেড়ে ছয়মাস হয়ে যাওয়াটাও বেশ উষ্মার কারণ। মানসিকতার বদল হয়তো হচ্ছে, তবে অতি ধীরে, আর সীমিত পরিমাণে। আরো অনেক পথ হাঁটার বাকি।

    বিরাট কোহলির পিতৃত্ব-ছুটি আর ভারতীয় ক্রিকেটদলের ওপর তার প্রভাব সংবাদপত্রে বেশ বড়ো খবর।। তারকাদের গর্ভাবস্থার সাজপোশাকের ছবি ছাপা হয় কাগজের পাতাজুড়ে। অথচ সেই সমাজেই সাধারণ মায়েদের অধিকার, সুযোগসুবিধা বা ন্যূনতম ছুটির প্রশ্নটি আজও অবহেলিত। একটু ভেবে দেখি না কেন, আমরা তথাকথিত মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজের মহিলারাও কি এই লড়াইটা কোনো না কোনো ভাবে লড়ি নি? ইউরোপের পথেঘাটে প্রথম অনুভব হয়েছিল যে সঙ্গে ছোট বাচ্চা থাকা মানে অনেক সুবিধা। নিজের দেশে, নিজের সমাজে কোনোদিন কি বুঝেছিলাম যে সন্তান জন্ম দেওয়া এতোখানি সম্মানীয় কাজ! মাতৃত্ব-ছুটি ও তৎসংক্রান্ত সামাজিক সুরক্ষার দাবি তাই আমাদের সব মেয়েদের। মাতৃত্ব-ছুটি হচ্ছে পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের দীর্ঘকালীন ভিত। একে সার্বজনিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা জরুরি। দেখা যাক, সরকার এই সোনার পাথরবাটিটি কী ভাবে গড়তে চাইছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ২৮৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন