
Anindita Roy Saha লেখকের গ্রাহক হোনবাঃ ! চমৎকার লেখা।
শেরনি ফিল্মটি আমি লোকজনকে বলে বলে দেখাচ্ছি।
এই লেখাটা চোখ এড়িয়ে গেছিল কী করে যেন।
ডারেলের বই, তুতু ভুতু এইদুটো সাথে করবেটের মাই ইন্ডিয়া মিলে জীবজগতকে আমাদের অংশ ভাবতে শিখিয়েছে। একটা অস্বস্তির ব্যপার হল উপেন্দ্রকিশোরের টুনটুনির বই আদতে মনে হয় ভায়োলেন্স প্রোমোট করে। মানুষের প্রয়োজনে বা নিতান্ত অকারণেও জীবজন্তুকে অত্যাচার করার এই ব্যপার আমি নিজে থেকে খেয়াল করি নি। ইন্দ্রাণী মানে ছোটাইয়ের কন্যার তীব্র প্রতিক্রিয়ার কথা পড়েছিলাম গুরুর পাতাতে, তখন সেই অরথম অবাক হয়ে ভাবি সত্যি তো বাঘের ছানাদুটোকে মেরে দিল কেন? ছোট্ট ছানাদুটো ত মানুষ্মেয়েকে বিশ্বাস করেছিল।
এরপরে খেয়াল করে দেখি অনেকসময়ই একটা চাপা হিংস্রতা আমাদের সাহিত্যে ছেয়ে থাকে। এজন্যই হয়ত বা নীরিহ কুকুরের গায়ে গরমজল ঢেলে দেওয়া, রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা গর্ভিনী কুকুরের পেটে লাথি মারা জাতীয় হিংস্র আচরণ আকছার ঘটে আমাদের চারপাশে। বনবেড়াল বাঘডাঁশা জাতীয় কোন প্রাণী পাড়ায় এসে পড়লে ত কথাই নেই, ঘিরে ফেলে দলবেঁধে খুঁচিয়ে মারার অপার আনন্দ।
এইরকম বই আরো অনেক দরকার বাংলায়।