এই সাইটটি বার পঠিত
অবশেষে এসে পড়েছে গুরুর নিজস্ব ঠেক ও ঠিকানা - ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার! ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপঃ +৯১৯৩৩০৩০৮০৪৩
- হরিদাস পাল স্মৃতিচারণ
-
প্যারাবোলা স্যার, যাচ্ছেতাই আর এক ঢ্যামনার গল্প
অনিন্দিতা লেখকের গ্রাহক হোন
স্মৃতিচারণ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১৯৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৫ জন) - “তোর অংকাতঙ্ক নেই তো?”
প্রথম দর্শনেই জিজ্ঞেস করেন মাস্টারমশাই। মেয়েটি আমতা আমতা করে বলে, “অংক কষতে ভালো লাগে স্যার”। সেই শুরু। খাতার প্রথম পাতাতে লেখা হলো দুটি বাক্য।
শূন্য দিয়া ভাগ, ইহা পাগলের উক্তি।
শূন্য ডিভাইডেড বাই ‘যাচ্ছেতাই’, ফল শূন্য।
সারাজীবনে আর কোনোদিন ভোলে নি সে। সেই থেকে ইনফিনিটি, ইনডিটার্মিনেট ফর্ম, একের পর এক খুলে গেছে শূন্য নিয়ে সব মজার মজার খেলাঘরের দরজা। শূন্য আর সংখ্যা নিয়ে ‘যা ইচ্ছে তাই’। মাস্টারমশাই শেখাচ্ছেন, ছাত্রছাত্রীর দল চারদিকে ঘিরে বসে শিখছে। খালি মেঝেতে, হাঁটু মুড়ে। একটা চৌকির তিন ধারে তারা, অন্য ধারে মাস্টারমশাই। পাশে রাখা আছে দুটো লাঠি। কাছে বসা ছাত্র ভুল করলে ছোটটা, আর দূরে বসা ছাত্র করলে বড়োটা। হাতের আঙুলের গাঁটে লাঠি পড়ে টপাটপ। তারা বলে, “আর না স্যার, আর না! আর ভুল করবো না স্যার”। সেই সঙ্গে হাসে খলখল। রাগে না কেউ, ছেড়ে চলে যায় না ক্লাস। সকাল ছ’টা থেকে ন’টা। তারপর স্যারের ইস্কুল। আবার বিকেলে একই সময়। প্রতিদিন, সোম থেকে শনি। রবিবারে সারাদিন। সপ্তাহে সাত দিন। সত্তর-আশির দশকে দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর-বেহালা অঞ্চলে খুব চেনা ছবি ছিল এটা। কখনো ভোর পাঁচটায় ছাত্রের বাড়ি পৌঁছে যান তিনি। মশারির ভেতর থেকে টেনে তোলেন, “আয় শিগগির আমার পেছনে পেছনে!” মেয়েটি চোখ কচলাতে কচলাতে ছুটতে থাকে। স্যার এগিয়ে চলেন। দ্রুত, অতি দ্রুত। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান, আশপাশ থেকে ঝুপঝাপ প্রণাম, স্যারের পুরোনো ছাত্রছাত্রী। তাঁর কাছে অংক শিখে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার রিসার্চার মাস্টার হয়েছে সে পাড়ার অসংখ্য ছেলে মেয়ে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নানাভাবে, তাঁর গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর।
খাটো আধময়লা ধুতি, এলোমেলো চুল, স্মিত প্রশান্ত চাহনি। গোমড়ামুখো ভয়ঙ্কর অংকের মাস্টার নন। ছাত্রদের অংকাতঙ্ক কাটান যে! কত কত বুরুনকে যে অংকে তেরো থেকে তুলে দেন তিরাশীতে! কিংবা তিরানব্বইতে। অংকের জাদুকর। সারাদিন ছাত্র তৈরি হয়। হাইস্কুলের পর্ব থেকে, নয়-দশ-এগারো-বারো ক্লাসে। ফলিত গণিতের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিটা কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ানোর কাজে নয়, স্কুলের ছাত্র তৈরির কাজে লাগে। সতেরোটা গ্রামের মধ্যে প্রথম গ্রাজুয়েট এই মানুষটি কলকাতা শহরে এসে তৈরি করেন এক নতুন গুরুকুল। ছোট এক গ্রাম, মেদিনীপুর জেলা, বিদ্যাসাগরের স্থান। সেখানে ঘরবাড়ি, চাষজমি, পরিবার, পরিজন। মাস্টারমশাই সব ছেড়ে এসে ছাত্র গড়েন মহানগর কলকাতায়। মারেন, বকেন, গালাগাল দেন। কোন ছাত্র ভুল করলেই তার অবশ্য প্রাপ্য একটি বিশেষ তকমা। ঢ্যামনা। মেদিনীপুরের স্থানীয় ভাষা বোধ হয়। মেয়েটি মানেটা ঠিক জানে না। তবে এটুকু বোঝে যে এমনিতে ঢ্যামনা শব্দের অর্থ যাই হোক, এই গালিটার অর্থ অসীম মঙ্গলকাঙ্খা, মাস্টারমশাইয়ের পরিশ্রম আর যত্ন দিয়ে মানুষ গড়ার প্রতিজ্ঞা। স্নেহে গলে যায় অল্পবয়সী ছেলেমেয়ের দল। বিদ্যার্থী, তাঁর শিষ্য। চোখে তাদের ভালো ফলের আশা, বুকে অংক নিয়ে পাঞ্জা লড়ার দম। তিনি উজাড় করে দিচ্ছেন। সেই প্রজ্ঞায় শূন্য ঝুলি ভরে উঠছে অসীমের সম্পদে। নামমাত্র দক্ষিণা। কেউ কেউ অবশ্য তাতেও কপটতা করে। বাড়ি থেকে দেওয়া খামটা খুলে বের করে নেয় ভেতরের নোটগুলো। শূন্য খামটা রেখে যায় চুপিসারে। সব জেনেও নীরব থাকেন তিনি। জলে দুধে মিলে থাক। সোনার সাথে খাদ মিশে থাক।
পরিবার, পরিজন, দায়িত্ব, তাঁকে ছাড়ে না তবু। গ্রামে-শহরে আসা যাওয়া চলে। প্যারাবোলা উঠতে থাকে, পড়তে থাকে। সাইনোসয়েডে বইতে থাকে জীবনের স্রোত। পরিশ্রম, অযত্ন, অবহেলা শরীর সহ্য করে দীর্ঘদিন। তারপর একদিন ভেঙে পড়ে, পঞ্চাশ পেরিয়েই। মেয়েটি পিতৃহীন হয়। অকালে চলে যাওয়ায় রয়ে যায় তাঁর অনেক অসমাপ্ত কাজ। আর পড়ানো হয়না নতুন প্রজন্মকে। শেখানো হয় না শূন্য দিয়ে ভাগ করার রহস্যটা। আসলে সে তো অনন্তের দিকেই যাওয়া। স্যার সেখানেই বাস করেন। সেই শূন্যস্থান যা দিয়েই ভাগ করা যাক আজ, রইবে তা শূন্যই। মেয়েটি খুঁজতে থাকে। ঢ্যামনা মেয়েটি বড়ো হয়ে শিখতে থাকে রাশিবিজ্ঞান, অর্থমিতি, গাণিতিক অর্থনীতি। শূন্য নিয়ে খেলে, যা ইচ্ছে তাই। ছাত্র গড়ার কাজেই ব্যস্ত রাখে নিজেকে। সেই যে তিনি বলেছিলেন, “তোরা যদি শিক্ষক না হোস, তবে দেশে ছাত্র তৈরি করবে কারা ?” তিনি শিক্ষক গড়ে দিয়ে গেছেন। শ্রী নিশীথ রায়। আমার মাস্টারমশাই। প্যারাবোলা স্যার।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত। - আরও পড়ুনদিলদার নগর -৯ - Aditi Dasguptaআরও পড়ুনভয় - অমলেন্দু বিশ্বাসআরও পড়ুনবাড়ি বৃত্তান্ত - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনসংক্রমণ - Partha Neogyআরও পড়ুনমহালয়া - নিরমাল্লোআরও পড়ুনবাড়ি বৃত্তান্ত - শক্তি দত্ত রায়আরও পড়ুনমহম্মদগঞ্জ - Sukdeb Chatterjeeআরও পড়ুনবর্তমানে বাঁচা - সমরেশ মুখার্জীআরও পড়ুনরুটিন - মোহাম্মদ কাজী মামুন
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৫৩511664
- চোখ ভেজানো, মন ভরানো কাহিনী। খুব ভালো যে মেয়েটি ও তার স্যারের পথে সাধ্যমত হাঁটছে। আমরা বেশিরভাগ সেটা পারিনি।
-
Ranjan Roy | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:০৯511666
- এইসব ব্যতিক্রমী মানুষের জন্যে বুকে একরাশ জমে থাকে--ব্যথা? ঠিক তা নয়। করুণা? অসম্ভব। তবে কি অসীম ভালবাসা?শূন্য দিয়ে ভাগের কাছাকাছি কোন অনুভূতি? হয়ত এরকমই কিছু, বলে বোঝানো মুশকিল।
aranya | 2601:84:4600:5410:9851:28b0:e511:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:২৯511668- বাঃ। খুব ভাল লাগল। একজন অসাধারণ মানুষের কথা
- শম্পা | 213.107.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৪৯511671
- কেমন আছিস? তোর কথা ভাবছিলাম, এখন uk তে ভোর ছটা, লোভ সামলাতে না পেরে ঘুম চোখে এক নিঃশ্বাস এ পড়ে ফেললাম, অসাধারণ লেখা, নিশীথ বাবু আমাদের বাড়িতে দিদি আর তার বন্ধুদের পড়াতেন, চান করে সোজা টেবিল এ বসে যেতেন ছোটবেলা অবাক হয়ে দেখতাম, মা জেঠিমা রা খেতে দিতো, ওনার কোনো জড়তা ছিল না, আমি বেশিদিন অবশ্য ওনার কাছে পড়ি নি, কিন্তু মনে আছে মাধ্যমিকের পর বাবার সঙ্গে বাজারে দেখা হতে বললেন ডামনা কে পাঠিয়ে দেবেন আমার কাছে, তোরা ওনার পতাকা বহন করে চলেছিস, প্রফেসর হয়ে ছাত্র পড়াচ্ছিস এটা ই সবচেয়ে বড় পাওয়া, নিশীথ বাবু আর অন্যান্য সব শিক্ষক শিক্ষিকা কে আন্তরিক শ্রদ্ধা আর প্রণাম, যা চেয়েছি, যা পেয়েছি তুলনা তার নাই
-
শুদ্ধসত্ত্ব দাস | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৩৬511689
- ভালো শিক্ষক হওয়া খুব কঠিন, শেখার চেষ্টা করতে গিয়ে বুঝি...
-
Falguni Mazumder | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৪৬511690
- সুন্দর লাগল।
-
- সুন্দর লেখা
- অনিন্দিতা | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩৯511698
- সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমার মাস্টারমশাইর কথা আপনাদের হৃদয়ে পৌঁছেছে, ওঁর ছাত্র হিসাবে এ আমার পরম পাওয়া।
-
Kishore Ghosal | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:২৬511800
- নিবিড় শ্রদ্ধামাখা অপূর্ব স্মৃতিচারণ। আসলে লেখাপড়া অনেকেই শেখান, কিন্তু এ রকম শিক্ষক হতে পারেন কয়েকজন মাত্র।
-
ঝর্না বিশ্বাস | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১০511851
- খুব ভালোলাগলো...এমন মাস্টারমশাইরা চিরকাল মনে থেকে যাবেন।..
- সংহিতা | 122.163.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৩৪511866
- এই লেখনী এক প্রকার গুরুদক্ষিণা বটে! ছাত্র/ছাত্রীর মনে এমন স্হান পাওয়া শিক্ষকের এক পরম প্রাপ্তি। এর জন্য বিষয়ের উপরে দখল ছাড়াও চাই উজারকরা ভালোবাসা ও গভীর কর্তব্যবোধ। এঁরা অমর। @অনিন্দিতা... প্রাঞ্জল ভাষায় সুন্দর লেখনী।
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন।
- ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
এই সাইটটি
বার পঠিত
- বুলবুলভাজা : সর্বশেষ লেখাগুলি
হাঙ্গেরি দুই : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... রমিত চট্টোপাধ্যায়, হীরেন সিংহরায়, আশীষ সিংহরায় )
অন্য দেশের পাখি - ১৯,২০ : শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়(লিখছেন... )
কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন : ইমানুল হক(লিখছেন... )
বিপ্লবের আগুন - পর্ব বত্রিশ : কিশোর ঘোষাল(লিখছেন... )
ক্যালিডোস্কোপে দেখা - আলো-আঁধার : অমিতাভ চক্রবর্ত্তী(লিখছেন... রমিত চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্ত্তী, অমিতাভ চক্রবর্ত্তী)
- হরিদাস পালেরা : যাঁরা সম্প্রতি লিখেছেন
আসুন এবার অন্তত কলাগাছকে কলাগাছ আর বেগুনকে বেগুন বলে ডাকি : সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়(লিখছেন... দ, dc, দ)
বিচার ব্যবস্থা বনাম সংবিধানের আত্মা : Barnali Mukherji(লিখছেন... )
হেলেনা নর্বার্গ-হজ, সোনম ওয়াংচুক এবং লাদাখের পরিবেশ : দ(লিখছেন... পাপাঙ্গুল, দ, ar)
দিলদার নগর -৯ : Aditi Dasgupta(লিখছেন... পাপাঙ্গুল, Santosh Kumar Pal, Aditi Dasgupta)
ছত্তিশগড়ের গেঁয়ো ব্যাংকঃ স্মৃতির কোলাজ (৫) : Ranjan Roy(লিখছেন... বিশ্বজিত বন্দ্যোপাধ্যায়।, Ranjan Roy, Nirmalya Nag)
- টইপত্তর : সর্বশেষ লেখাগুলি
বাংলাদেশ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় : দীপ(লিখছেন... )
বাংলাদেশ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় : দীপ(লিখছেন... দীপ)
একটি দুর্ঘটনা ও কিছু কথা : দীপ(লিখছেন... )
এবার ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের আত্মহত্যা : দীপ(লিখছেন... )
কবি ও সন্ন্যাসীর দৃষ্টিতে শক্তিতত্ত্ব : দীপ(লিখছেন... )
- কি, কেন, ইত্যাদি
- বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
- আমাদের কথা
- আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
- বুলবুলভাজা
- এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
- হরিদাস পালেরা
- এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
- টইপত্তর
- নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
- ভাটিয়া৯
- যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
- টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত