এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • ঘৃণার সংস্কৃতি

    Anirban M লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ১৯ মে ২০২৫ | ৬৫ বার পঠিত | রেটিং ৩.৩ (৩ জন)
  • (প্রকাশিত লেখার লিঙ্কঃ https://eisamay.com/editorial/terrorist-violence-has-given-rise-new-fear-in-minds-society/200371243.cms)

    আমরা যারা প্রতিদিনের অন্তহীন হিংসার খবর দেখতে দেখতে ভেবেছিলাম কোন হত্যা, কোন হিংসা, কোন সন্ত্রাস আমাদের আর নতুন করে বিচলিত করতে পারবে না, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা সেই আমাদের ভুল প্রমাণ করে দিল। ছুরি, গুলি, ক্ষেপণাস্ত্রে ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ রোজকার প্রাতরাশের টেবিলে দেখে অভ্যস্ত আমরাও স্তব্ধবাক কয়ে পড়লাম পহেলগামের মাটিতে পড়ে থাকা ছাব্বিশটি নিরীহ মানুষের লাশ দেখে। এই যে যন্ত্রণা, তা শুধু যে নিরাপরাধ মানুষের নেই হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা তা নয়। সেই কষ্টে আমরা প্রতিদিন বিদ্ধ হই গাজা, মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি আমেরিকায় জাতি হিংসার ছবি দেখে যেখানে শুধু মাত্র কোন বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার কারণে নিহত বা অত্যাচারিত হতে হয় মানুষকে। কাশ্মীরের ঘটনা যেন অতিরিক্ত কিছু। বার বার মনে হতে থাকে, সময়ের একটু এদিক-ওদিকে ওখানে থাকতে পারতাম আমি বা আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবেরা, পড়ে থাকতে পারতাম কপালে বুলেট নিয়ে । এই সম্ভাবনা আমাদের মধ্যবিত্ত সুলভ ঠুনকো নিরাপত্তার বোধে ঘা দেয়, ভয় দেখায় মৃত্যুর।

       সেই ভয় আরো বেড়ে যায় যখন দেখি আমার চারপাশে একটা ফিসফিস দানা বেঁধে উঠছে “বেছে বেছে শুধু হিন্দু”। এই শব্দবন্ধে মিথ্যাচার নেই কোন। পহেলগামের সন্ত্রাসীরা বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুন করেছে। এটাও সত্যি যে সেদিন ওখানে থাকলে, কোন ধর্মাচরণ না মানা আমিও খুন হয়ে যেতে পারতাম শুধুমাত্র আমার নাম আর পদবীর জন্য। কিন্তু তার পরেও “বেছে বেছে হিন্দু” শব্দবন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর যে প্রচ্ছন্ন চক্রান্ত, তা সন্ত্রাসী হিংসায় বিপর্যস্ত সমাজের মননে নতুন ভয়ের জন্ম দেয়। এই প্রচারের পেছনেই থাকে চাপা গলার অমোঘ উচ্চারণ, “সমস্ত সন্ত্রাসবাদীই ইসলামের আদর্শে দীক্ষিত”। সেই উচ্চারণ থেকে খুব সহজেই এসে যায় সিদ্ধান্ত, “সব মুসলমানই আসলে সন্ত্রাসবাদী”। দেখলে ভয় লাগে যখন দেখি আমার চারপাশে থাকা তথাকথিত শিক্ষিত, উচ্চ-চাকুরীরত শ্রেণীর মানুষও এই সব কথা বলে চলেন অনায়াসে। মনে হয় আমার চারপাশে থাকা মানুষদের ভুল বুঝেছিলাম এতদিন। মুখোশ নেমে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, বেরিয়ে আসছে আসল মুখ। সে মুখ বড় ভয়ঙ্কর।
     
     যাঁরা এসব কথা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রচার করেন তাঁদের ব্যাপারটা বুঝি। কিন্তু যেসব শিক্ষিত মানুষ এই সব প্রচার আত্মস্থ করে নিজেরাই প্রচারক হয়ে ওঠেন তাঁরা সুবিধাজনক ভাবে ভুলে থাকেন যে এ দেশের দুজন প্রধানমন্ত্রী নিহত হয়েছেন সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে। যাঁরা হত্যাকারী, তাঁদের ধর্ম যথাক্রমে শিখ ও হিন্দু। তার মধ্যে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরে এক ভয়ানক হত্যালীলা চলেছিল দিল্লি এবং দেশের অন্য কিছু জায়গায়। সেখানে নিরপরাধ শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষদের হত্যা করা হয়েছিল – বেছে, বেছে। এই বেছে বেছে হত্যার ছবি আমরা দেখেছি বহু দাঙ্গায়। সাম্প্রতিক কালের গুজরাট দাঙ্গায় গুলবর্গা সোসাইটিতে মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছিল বেছে বেছে। যারা মারতে এসেছিল তাদের কাছে ছিল তথ্য, তারা জানত কোন বাড়ির বাসিন্দা কোন ধর্মের। এই দুটি ক্ষেত্রেই হত্যাকারীদের ধর্ম হিন্দু। বা ধরুন আশির দশকের আসামে খইরাবাড়ি, শিলপাথর বা নেলি গণহত্যা যেখানে খুন হয়েছিলেন বিরাট সংখ্যক বাঙালি। যাঁরা খুন করেছিলেন, ধর্মের বিচারে তাঁরা হিন্দু। যাঁরা মরেছিলেন তাঁদেরও একটা বড় অংশ ছিল হিন্দু। কিন্তু তাঁদের অপরাধ ছিল তাঁদের ভাষা পরিচয় – তাঁরা ছিলেন বাঙলাভাষী। যদি তাকাই আমাদের প্রতিবেশী মায়ানমারের দিকে, তাহলে দেখব যে সামরিক সরকার নির্বিচারে খুন করেছে বহু মানুষ, ধর্মের বিচারে তারা বৌদ্ধ। আরো পিছিয়ে যদি তাকাই ইউরোপের দিকে, তাহলে দেখব পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইরিশ রিপাবলিক্যান আর্মি ধর্ম বিচারে ক্যাথলিক খ্রিস্টান। গত শতকের ষাট থেকে নব্বই-এর দশকে বৃটেনে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করেছিল এই সংগঠন। কিন্তু তার জন্য কি হিন্দু, বৌদ্ধ বা খৃষ্টান মতাবলম্বী সমস্ত মানুষকে দাগিয়ে দেওয়া যায় সন্ত্রাসবাদী বা গণহত্যাকারী বলে? আমি শুধুমাত্র জন্মসূত্রে হিন্দু বলে কি বলা যায় যে দিল্লীর শিখ নিধন বা গুজরাটের মুসলিম নিধনের রক্ত লেগে আছে আমারও হাতে?
     
    আসলে সমস্যাটা ঠিক ধর্মের নয়। যে ধর্ম ব্যক্তিগত, যে ধর্ম মানুষকে আজান দেওয়ায় বা তুলসীতলায় প্রদীপ, সমস্যা তার নয়। সমস্যা হয় তখন, যখন ধর্ম দাঁড়িয়ে থাকে রাজনীতির ভরকেন্দ্রে, হাত বাড়ায় ক্ষমতার দিকে। ইতিহাস বলে ধর্মের রাজনীতিতে মিলে যাওয়া অনিবার্য। তার কারণও রাজনৈতিক কার্যকলাপের মূল সূত্রেই নিহিত রয়েছে। রাজনীতির মূল কথা হল একদল মানুষকে একত্র করে ক্ষমতা দখল। কিন্তু কোন নীতিতে একত্র হবে এই সব মানুষেরা? সেই একত্রীকরণের মূল চাবিকাঠি হল এমন কোন সাধারণ বৈশিষ্ট্য যা কোন গোষ্ঠীর সবার রয়েছে কিন্তু তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কারো নেই। সেই বৈশিষ্ট্য যেমন অর্থনৈতিক শ্রেণী হতে পারে, তেমনই আবার  ভাষা, গায়ের রঙ, ভৌগোলিক অবস্থান বা ধর্মের মত কোন চিহ্ন হতে পারে। যেহেতু ধর্মাচরণ বেশিরভাগ মানুষের স্বাভাবিক একটি সামাজিক প্রবণতা তাই ধর্মের ভিত্তিতে গোষ্ঠীনির্মাণ অনেক সহজ। আবার রাজনৈতিক ক্ষমতা অধিকারের নিমিত্ত এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের সংঘাতেও জড়ানোও সেই প্রক্রিয়ার এক স্বাভাবিক পরিণতি। পরাধীন ভারতে বৃটিশ শক্তি হিন্দু-মুসলিম সংঘাত উস্কে দিয়েছিল যে বিভাজন ও শাসন নীতির মাধ্যমে তার চালিকা শক্তিও ছিল ক্ষমতার গাজর, যা ঔপনিবেশিক শক্তি ঝুলিয়ে রেখেছিল দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সামনে। বৃটিশ ভারত ছেড়ে গেলে কে পাবে দেশ চালানোর ক্ষমতা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই হয়েছিল বেশ কিছু ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং দেশভাগ। এখানে মনে রাখা দরকার, শুধু যে ধর্মের ভিত্তিতেই গোষ্ঠী নির্মাণ হতে পারে এমন কিন্তু নয়। ইতিহাস দেখায়, ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া গোষ্ঠীও ভেঙ্গে যেতে পারে অন্য কোন বৈশিষ্ট্য, যেমন ভাষার ভিত্তিতে। এর সব থেকে ভালো উদাহরণ বাংলাদেশের সৃষ্টি। ধর্মের ভিত্তিতে সে পুর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান একসাথে পথ চলা শুরু করেছিল উনিশশো সাতচল্লিশে, উনিশশো একাত্তরে এসে তারাই ভেঙ্গে গেল ভাষাকেন্দ্রিক সংঘাতে, তৈরি হল বাংলাদেশ। ভাষা কেন্দ্রিক পরিচিতি নির্মাণের প্রশ্নটি কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যার পরিণামে উনিশশো ছাপ্পান্নতে ভাষা ভিত্তিক রাজ্য নির্মাণের কাজটি সম্পন্ন হয় ভারতেও।

      সাধারণভাবে বলা যায়, কোন একটি গোষ্ঠী যদি ক্ষমতা দখলের পথে এগোয়, তবে অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে তার সংঘাত অনিবার্য। যদি এই গোষ্ঠী নির্মাণের কেন্দ্রে থাকে ধর্ম, তবে সেই লড়াইতে রক্ত ঝরবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের। যেমন হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে কলকাতা বা নোয়াখালির দাঙ্গায়। অন্যদিকে, গোষ্ঠীর নির্মাণ যদি হয় ভাষার ভিত্তিতে, তবে কোন একটি ভাষার মানুষ তার বলি হবেন। যেমন, একাত্তরের বাংলাদেশ বা আশির দশকের আসামে খুন হয়েছিলেন বহু বাঙালি। 
     
      ধর্মকে কেন্দ্র করে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাস আমরা দেখি তা আসলে এই রাজনৈতিক ধর্মের ইতিহাস। কোন মানুষ শুধুমাত্র কোন ধর্মে জন্মেছেন বলেই তিনি এই রাজনীতির অংশ হতে চাইবেন, মেরে ফেলতে চাইবেন অন্য ধর্মের মানুষকে এ এক অতি সরলীকৃত বিশ্বাস। কিন্তু ভয় লাগে যখন দেখি যুক্তি, বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরাও এই সরল যুক্তির গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাচ্ছেন। আসলে এই সরল যুক্তির আড়ালে তাঁরা প্রতিপক্ষ খুঁজছেন ছায়াযুদ্ধ চালাবেন বলে। সেই যুদ্ধের মূল অস্ত্র সমাজমাধ্যম সেখানে অক্লেশে তাঁরা দিয়ে চলেছেন ঘৃণা ভাষণ। সেই ঘৃণা ভাষণের ফল যে শুধু সমাজমাধ্যমে আটকে থাকছে তা কিন্তু নয়।  আন্তর্জালের সীমা ছেড়ে সেই ঘৃণা নেমে আসছে আমাদের সত্যিকারের জীবনে। সেরকমই একটি ভয় জাগানো খবরে কাল দেখলাম আগ্রায় এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি এক মুসলিম বিরিয়ানি বিক্রেতাকে খুন করে ঘোষণা করেছে এই খুন পহেলগামের বদলা। ধরে নেওয়া যায় সমাজমাধ্যমে যেভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, এরকম ভয়াবহ ঘটনা আরো ঘটতে থাকবে। যাঁরা ঘৃণা ছড়ানোকেই ধর্মের পথ বলে ভাবছেন, তাঁরা একটু ভেবে দেখবেন সেই রকম ঘৃণার সমাজে আপনারা ভালো থাকবেন তো? ঘৃণার সংস্কৃতি যে বিষবৃক্ষের জন্ম দেয় শিকড় কিন্তু অনেক গভীরে গিয়ে পুরো সমাজকে নষ্ট করে দিতে পারে। যে ঘৃণা আজ মুসলিমদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, কাল সেই ঘৃণাই কিন্তু মাছ-মাংস খাওয়া হিন্দু বাঙ্গালির দিকে ধেয়ে আসতে পারে।  দু-চারদিন আগে আমার এক পুরনো সহপাঠী সমাজমাধ্যমে স্টেটাস দিয়েছিলেন তিনি হিন্দু, তাই তিনি গর্বিত এই মর্মে।  কিন্তু পহেলগামের সন্ত্রাসী হামলা এবং তারপরের ঘৃণাভাষণ দেখতে দেখতে আমার বলতে ইচ্ছে করছে, “আমি মানুষ, তাই আমি লজ্জিত”।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ১৯ মে ২০২৫ | ৬৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৯ মে ২০২৫ ১৭:১৩731501
  • ভালো লেখা, সময়োপযোগী। আজকাল পরিচিত মানুষদের অচেনা লাগে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন