২০২৪ এ অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন আচেমোগলু, জনসন এবং রবিনসন। তাঁদের নোবেল নিয়ে ইতি-উতি সমাজ এবং সংবাদমাধ্যমে অনেকগুলি লেখা চোখে পড়ল। তার বেশিরভাগই হয় ভ্রান্তিমূলক অথবা ধোঁয়াশাপূর্ণ। সেই ভ্রান্তি এবং বিভ্রান্তি কাটাবার প্রয়াস এই প্রবন্ধ। ... ...
আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সাক্ষী থাকল এক অভুতপূর্ব আন্দোলনের যা আমার মতে, রাজনীতির পুরনো ছক ভেঙ্গে দিয়ে তৈরি করেছে এক নতুন, বিকেন্দ্রীকৃত রাজনীতি। সেই রাজনীতির নির্মাণে প্রযুক্তির ভূমিকা এবং সমাজে সেই রাজনীতির প্রভাবকে ক্ষমতা-তত্ত্বের লেন্সে দেখার একটি প্রয়াস। ... ...
পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল শিক্ষার মান কী কমছে? বিশেষতঃ রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে কী রাজ্যের সরকারি স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে? এই প্রশ্নগুলির উত্তর বোঝার চেষ্টা করব Annual Status of Education Report এর ভিত্তিতে। ... ...
বাংলায় যে তৃণমূল প্রার্থীরা জিতলেন তাঁরা কী হেরে যাওয়া বাম প্রার্থীদের থেকে কম শিক্ষিত? এবং দেশে যে বামেরা জিতলেন তাঁরা কী বাংলার তৃণমূল বা বাম প্রার্থীদের থেকে কম বা বেশি শিক্ষিত? এই দুটি প্রশ্নের উত্তর বোঝার চেষ্টা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। ... ...
সকালে উঠে মশারি সরিয়ে নামতেই চোখ গেল সামনে রাখা টেবিলের দিকে। আর যেতেই মাথাটা গরম হয়ে গেল অবিনাশবাবুর। কাল একটু রাতের দিকে মাসকাবারি মুদির জিনিসপত্র ডেলিভারি দিয়েছিল। তুলে রাখার ইচ্ছে হয় নি বলে টেবিলের ওপর সব রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সানলাইট সাবান ছিল, মশলা, তেল আর তার সঙ্গে পাঁচ কেজি চাল। বাকি সব ঠিক থাকলেও চালের প্যাকেটের প্লাস্টিক কুটিকুটি করে কাটা, চাল ছড়িয়ে আছে টেবিলের ওপর যার কিছুটা মেঝেতেও গড়িয়ে নেমেছে। ইঁদুর! ... ...
শ্রীস্বপনকুমারের বাদামি হায়নার কবলে নামক একটি বাংলা ছবি বিষয়ে দুচার কথা। ... ...
একদিনের গল্প, যা আসলে প্রতিদিনেরও... ... ...
মেট্রো স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার পথে অটোটা ঠিক পাঁচবার বাঁক নেয় – অমিত হিসেব করে দেখেছে। সুধীন সমাদ্দারের বাড়ি ঠিক তিন নম্বর বাঁকের মুখে। সুধীন সমাদ্দারকে অমিত চেনে না। কিন্তু রোজই দেখে তাকে তাঁর বাড়ির বারান্দায় বসে লিখতে। সুধীন সমাদ্দার ছোট ছোট কবিতা লেখেন আর লিখে বাড়ির দরজা বা বাইরের দেওয়ালে আটকে দেন। তলায় সই – সুধীন সমাদ্দার। ... ...
আমার দ্বিতীয় কবিতার বই গাবলু ও সুপারম্যান প্রকাশিত হয়েছিল এবারের বইমেলায়, ধানসিড়ি থেকে। আমি যেহেতু আর কোন সমাজমাধ্যমে বিশেষ সক্রিয় নই, তাই গুরুই আমার কথা জানানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । সাধারণ ভাবে লেখকরা বই রিভিউ করানোর চেষ্টা করেন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা বলে দেন কোন বই ভালো না খারাপ। আমি বিশেষজ্ঞদের থেকে পাঠকের ওপর ভরসা রাখি বেশি। তাছাড়া এককালে আমি বাংলা কবিতার জগৎটাকে কিছুটা কাছ থেকেই দেখে ফেলেছিলাম। তাই রিভিউ-টিভিউ-এর পেছনে কী ধরনের তদ্বির তদারক লাগে তার একটা সম্যক ধারণা আছে। সেটা অল্প বয়সে যখন পেরে উঠিনি, তখন এই বয়সে আর পেরে উঠবো বলে মনে হয় না। আমার বই থেকে তিনটি কবিতা দিলাম এখানে। পাঠকের ভাল লাগলে বইটা সংগ্রহ করে দেখতে পারেন। প্রাপ্তিস্থানঃ ধানসিড়ি বইঘর, সূর্য সেন স্ট্রীট, কলকাতা কর্পোরেশনের পাশের গলি। ... ...
বামপন্থী কে? এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে কি বামপন্থী বলা যায়? এই নিয়ে তর্ক হচ্ছিল আমার এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে। সেই আলোচনার সুত্রে উঠে আসা কিছু ভাবনা একত্র করে লিখে ফেললাম। বলাই বাহুল্য, এই সব প্রশ্নের কোন নিশ্চিত উত্তর নেই। কিন্তু এই ধরণের প্রশ্ন নিয়ে কীভাবে ভাবা যায় তার একটি দিকনির্দেশ আছে। ভাবনা চলতে থাকুক। চরৈবতি! ... ...