এরকম একটা কথা মাঝে মাঝেই উঠছে যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার, বিশেষত স্কুল শিক্ষার অধোগতির সূচনা। এই প্রসঙ্গে এইরকম একটা কথাও উঠে আসছে যে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দূর্নীতির কারণে অযোগ্য শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছে এবং তার কারণেই স্কুল শিক্ষার এই অধঃপতন। স্কুল শিক্ষার হাল সারা ভারতের মতই পশ্চিমবঙ্গেও খারাপ, এই জায়গায় দ্বিমতের জায়গা নেই। এবং সেটা কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি স্কুলে সীমাবদ্ধ নয়, বেসরকারি স্কুলের হালও বেশ খারাপ। আমি অনেক সময়ই দেখি যে আমার সামাজিক শ্রেণীর অনেক মানুষই মনে করেন যে বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার মান সরকারি স্কুলের থেকে অনেক ভালো। কিন্তু তাঁদের মাথায় যে ধরণের স্কুলের কথা থাকে সেই সব স্কুল অতি এলিট গোত্রের, সেখানে শিক্ষকদের বেতন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনের হার বেশ চড়া। ফলতঃ সেখানে দেয় শিক্ষার মানও হয়ত গড়পরতা সরকারি স্কুলের থেকে ভালো। কিন্তু এর বাইরে এক বিশাল সংখ্যক বেসরকারি স্কুল আছে যার মান বেশ খারাপ। সরকারি বনাম বেসরকারি স্কুল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে (আমি নিজেও এই নিয়ে অল্পসল্প কাজ করেছি) এবং মোটের ওপর যা জানা গেছে তা হল বেসরকারি স্কুল, সরকারি স্কুলের থেকে খুব এগিয়ে নেই। গ্রা্মাঞ্চলে এবং ইংরিজি শিক্ষা্র ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও শহরে বেসরকারি স্কুলের তেমন কোন প্রভাব নেই। বিশেষত অঙ্কে বেসরকারি স্কুলের বিশেষ কোন বাড়তি সুবিধা নেই (Dixon et al., 2019; Singh, 2015)।
কিন্তু আমার আজকের আলোচনার বিষয় সরকারি-বেসরকারি স্কুলের তুলনা নয়। যদিও দুটি তথ্য আজকের আলোচনার জন্য প্রাসঙ্গিক। স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ একটু অদ্ভুত। এক, পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী সরকারি স্কুলে পড়ে যা অন্য রাজ্যের থেকে অনেক বেশি। এবং দুই, পশ্চিমবঙ্গে প্রাইভেট টিউশনির হারও অন্য যেকোন রাজ্যের থেকে অনেক, অনেক বেশি। বৈপরীত্যটা খেয়াল করুন। একদিকে বাংলার মানুষ স্কুল শিক্ষার জন্য বাজারের পরিবর্তে সরকারের ওপর নির্ভরশীল, অন্যদিকে তাঁরাই আবার বাজার থেকে শিক্ষা কিনছেন প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে। এবং এটা কিন্তু নতুন কোন ঘটনা নয়। বাম আমল থেকেই এই ধারা চলে আসছে। কেন বাংলার মানুষ এরকম ভাবে ভাবেন তার কোন সহজ উত্তর নেই। কিন্তু সেই উত্তর খোঁজাও এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধু দেখতে চাই, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে শিক্ষার মানের বিরাট কোন পতন হয়েছে কিনা। এখানে প্রশ্ন হল শিক্ষার মান মাপার উপায় কী? এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য শিক্ষা-অর্থনীতির গবেষকরা Annual Status of Education Report (সংক্ষেপে ASER, আমরা বাংলায়
আসার লিখব) এর করা সার্ভের ওপর নির্ভর করেন (উৎসাহী পাঠক এদের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন
https://asercentre.org/ )।
আসার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে অঙ্ক, স্থানীয় ভাষা এবং ইংরিজির পরীক্ষা নেয় এবং তার ভিত্তিতে রাজ্য এবং জেলাওয়ারি ফল প্রকাশ করে। আমরা তার মধ্যে ভাষার দুটি এবং অঙ্কের দুটি পরীক্ষার ফল আলোচনা করব। এগুলি সবই গ্রামীণ স্কুলে নেওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে। বাংলা ভাষা এবং অঙ্কে কী ধরণের পরীক্ষা নেওয়া হয় তার দুটি উদাহরণ এখানে তুলে দিলাম।
চিত্র ১ঃ ভাষা পরীক্ষার প্রশ্নচিত্র ২ঃ অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নরাজ্য ভিত্তিক রিপোর্ট কার্ডে চারটি বিষয় প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে আমরা আলোচনা করব।
১) কোন রাজ্যের (সরকারি স্কুলের) তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ প্রথম শ্রেণীর উপযুক্ত লেখা পড়তে পারে।
২) কোন রাজ্যের (সরকারি স্কুলের) পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ দ্বিতীয় শ্রেণীর উপযুক্ত লেখা পড়তে পারে।
৩) কোন রাজ্যের (সরকারি স্কুলের) তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ বিয়োগ করতে পারে।
৪) কোন রাজ্যের (সরকারি স্কুলের) পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ ভাগ করতে পারে।
প্রথম দুটি প্রশ্নের উত্তর ২০০৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত পাওয়া যায়। (তারপরে প্রশ্নটি পালটে হয় তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চারা দ্বিতীয় শ্রেণীর লেখা পড়তে পারে কিনা এবং পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চারা তৃতীয় শ্রেণীর লেখা পড়তে পারে কিনা। কিন্তু এই দু-ধরণের প্রশ্নের উত্তরের তুলনামূলক বিচার সম্ভব নয় বলে আমরা ২০১৪ অবধিই আলোচনা করব)। তিন ও চার নম্বর প্রশ্নের উত্তর ২০০৭ থেকে ২০১৮ অবধি পাওয়া যায়।
সারণী ১: সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ প্রথম শ্রেণীর উপযুক্ত লেখা পড়তে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৬-২০১৪সারণী ২: সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ দ্বিতীয় শ্রেণীর উপযুক্ত লেখা পড়তে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৬-২০১৪ ওপরের দুটি সারণী থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেরিয়ে আসে। প্রথমতঃ পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ, সরকারি স্কুলের পঠন পাঠনের মান বেশ খারাপ কিন্তু সর্বভারতীয় পরিস্থিতি আরো খারাপ। দ্বিতীয়তঃ, পশ্চিমবঙ্গের এই মানের খুব বেশি পরিবর্তন কিন্তু গত ১৬ বছরে হয় নি। ২০০৬ এবং ২০০৭ এ দুটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে শতাংশ বেশ বেশি ছিল – ৬৫% থেকে ৬৮% এর মধ্যে ছিল। বাংলার অধোগতি তারপরে শুরু। কিন্তু কেন? এর সঙ্গে আর যাই হোক তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার সম্পর্ক নেই। আমার নিজের বিশ্বাস ২০০৬-২০০৭ এর সঙ্গে বাকি বছরগুলো তুলনাযোগ্য নয়। আমার ধারণা ২০০৬ বা ২০০৭ এ পশ্চিমবঙ্গে সার্ভেতে কিছু সমস্যা হয়েছিল। কারণ সর্বভারতীয় মানের কিন্তু এই রকম পতন হয় নি যা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হয়েছিল। কিন্তু এ নেহাতই আমার অনুমান। মনে রাখতে হবে ২০০৬ সালে বাম্ফ্রন্ট নেতা অনিল বিশ্বাস মারা যান এবং ওই একই বছরে বামফ্রন্ট বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শেষবারের মত ক্ষমতায় আসে। কেউ বলতে পারেন বাংলার শিক্ষার অধোগতিও তারপরেই শুরু। কিন্তু এগুলো সবই অনুমান যা প্রমাণ করার মত তথ্য আপাতত আমাদের হাতে আপাতত নেই।
এবার আসা যাক অঙ্কের প্রশ্নে।
সারণী ৩: সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ বিয়োগ করতে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৭-২০১৮সারণী ৪: সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ ভাগ করতে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৭-২০১৮এখানেও কিন্তু আমরা সেই একই দুটি চিত্র পাচ্ছি – ২০০৮ থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে এবং গত কুড়ি বছরে সেই ছবি খুব কিছু পাল্টায় নি। আগের মতই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সরকারি স্কুলের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। অঙ্কের প্রশ্নের ক্ষেত্রে আমরা আরো একটা জিনিষ দেখতে পাই যা ভাষার ক্ষেত্রে সম্ভব ছিল না কারণ ভাষা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর ২০১৪ তেই শেষ। ২০১৬ তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ২০১৬ আর ২০১৮ এর মধ্যে অঙ্ক পরিস্থিতির খুব কিছু পরিবর্তন হয় নি। কেউ বলতে পারেন যে, দুর্নীতির প্রভাব বুঝতে সময় লাগবে। তাই ২০২০ বা ২০২২ এর সঙ্গে তুলনা করে দেখা উচিত। কিন্তু কোভিডের আগের আর পরের বছরের মধ্যে তুলনা নানা কারণেই সমস্যাজনক বিশেষ করে আমরা যেখানে জানি যে কোভিডের ফলে স্কুল শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা আপাতত তাই সেই তুলনা থেকে বিরত থাকছি।
এই আলোচনা শেষ করার আগে আমরা ওপরের সারণীর দুটির (১ ও ৩) লেখচিত্র দেখে নেব। সারণীকে লেখচিত্রে প্রকাশের মূল কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনটি কেমন হচ্ছে সেটার একটা বার্ডস আই ভিউ নেওয়া।
চিত্র ৩: সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ প্রথম শ্রেণীর উপযুক্ত লেখা পড়তে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৬-২০১৪চিত্র ৪: সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ বিয়োগ করতে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৭-২০১৮দুটি চিত্রেই ২০০৬-০৭ এর তুলনায় ২০০৮ এ একটা বড় পতন হয়। কিন্তু তারপর ২০০৮ থেকে ২০১০ এর মধ্যে আবার একটা উর্দ্ধগামী চলন দেখা যায়। তারপর ২০১০ থেকে ২০১৪ মধ্যে আবার পতন এবং ২০১৪ এর পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। এবার দেখা যাক পঞ্চম শ্রেণীর পঠন পাঠন সংক্রান্ত দুটি রেখাচিত্র।
চিত্র ৫: সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ দ্বিতীয় শ্রেণীর উপযুক্ত লেখা পড়তে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৬-২০১৪চিত্র ৬: সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের কত শতাংশ ভাগ করতে পারে – পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের আলোচনা, ২০০৭-২০১৮এই দুটি ছবিতেও একটা একই ধরণের চলন দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ, ২০০৭ এর পর একটা বড় পতন, আবার ২০০৮ এর পরে একটা উত্থান, ২০১০ এর পরে আবার পতন এবং ২০১৪ এর পরে কিছুটা উন্নতি এবং স্থিতিশীলতা। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণীর ক্ষেত্রে উত্থান-পতনের পরিমাণ কিন্তু পঞ্চম শ্রেণীর থেকে কম।
তাহলে সব মিলিয়ে কী দাঁড়ালো? যে ছবিটা আমরা এলাম সেটা অত পরিষ্কার কিছু নয়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে যে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষার একেবারে সর্বনাশ হয়ে গেছে এরকম নয়। যদিও কিছু কিছু সূচকের বিচারে বাম আমল এগিয়ে থাকবে। যেমন চারটি বিভাগেই, বাম আমলের সর্বোচ্চ শতাংশ মান, তৃণমূল আমলের সর্বোচ্চ মানের চেয়ে বেশি। আমরা যদি সর্বনিম্ন মানের দিকে তাকাই তাহলে একটি ক্ষেত্রে (পঞ্চম শ্রেণীর পড়ার দক্ষতা) বাম আমলের সর্বনিম্ন মান, তৃণমূল জমানার সর্বনিম্ন মানের চেয়ে কম। অন্য তিনটি ক্ষেত্রের সর্বনিম্ন মানএর বিচারে আবার বাম আমল এগিয়ে থাকবে। কিন্তু তার পাশাপাশি এটাও ঠিক যে তৃণমুল আমলে সর্বভারতীয় গড়ের তুলনায় পশ্চিম বঙ্গ এগিয়ে রয়েছে। বাম আমলে, ২০০৮ এ পশ্চিমবঙ্গের গড় সর্বভারতীয় গড়ের নিচে ছিল। এই পরিস্থিতি আর কখনো হয় নি। ছবি থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সরকারি স্কুলের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। সুতরাং, সরকারি শিক্ষার পিছিয়ে পড়ার যদি কোন সর্বভারতীয় চলন থাকে, তার প্রভাব আমাদের রাজ্যেও আসবে এবং তার দায়িত্ব পুরোটা রাজ্য সরকারের ওপর দেওয়াটা ঠিক না।
এইসব ছবি থেকে দুটো জিনিষ পরিষ্কার। এক, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল শিক্ষার হাল বেশ খারাপ। আমরা সর্বভারতীয় গড়ের ওপরে আছি এ থেকে স্বস্তি পাওয়ার কোন কারণ নেই। দুই, এই খারাপ পরিস্থিতি বহুদিন ধরেই চলছে এবং তাকে শাসকদলের পরিবর্তন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। আপনার কোন পার্টিকে পছন্দ হতে পারে বা না পারে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করতে গেলে পার্টি কেন্দ্রিক চিন্তাপ্রক্রিয়াকে অতিক্রম করে, আরো গভীর এবং দায়িত্বশীল চিন্তা দরকার যা টিভি চিৎকারের যুগে ক্রমশ অমিল হয়ে যাচ্ছে। কোন সহজ উত্তরের পথে না হেঁটে আসুন চিন্তা করি, চিন্তা বিনিময় করি এবং ভোট চাইতে আসা পার্টিদেরও শামিল করি সেই চিন্তার প্রক্রিয়ায়।
পাঠসূত্র
Dixon, P., Egalite, A. J., Humble, S., & Wolf, P. J. (2019). Experimental results from a four-year targeted education voucher program in the slums of Delhi, India.
World Development,
124, 104644.
https://doi.org/10.1016/j.worlddev.2019.104644Singh, A. (2015). Private school effects in urban and rural India: Panel estimates at primary and secondary school ages.
Journal of Development Economics,
113, 16–32.
https://doi.org/10.1016/j.jdeveco.2014.10.004
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।