এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • মানুষ মারার ইঞ্জিনিয়ারিং

    নিরমাল্লো লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ২০ মার্চ ২০২৫ | ১১৩ বার পঠিত
  • কার্ল নর্ডন ছিলেন জাতে সুইস। সুইস কারিগরিবিদ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে তাকে প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ার বলা চলে। কার্ল ইঞ্জিনিয়ারিং শেখেন জুরিখের ফেডারল পলিটেক কলেজে। সুইস শৌখিনতা তার মজ্জাগত ছিল। তার ছবি দেখলে তার নার্সিসিজমের খানিক পরিচয় পাওয়া যায়, তার যত্নে পাট করা থ্রিপিস স্যুট আর বাহারি গোঁপ দেখে। ভদ্রলোকের পাহাড়প্রমাণ ইগো তার আত্মগর্বীতার খানিক উদাহরণ পাওয়া যায় তার কথা শুনলে। তিনি নিজের মত প্রকাশে খুব একটা পেছপা হতেন না, সে অল্টারনেটিং কারেন্ট হোক বা পাশ্চাত্য মরালিটি। দিনে ষোল ঘন্টা কাজ করতেন জুরিখে তার মায়ের কিচেনের টেবিলে বসে, আর গাদা গাদা কফি খেতেন। তো সেই কার্ল নর্ডন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ১৯০৪ সালে আমেরিকায় ইমিগ্রেট করলেন আর ডাউনটাউন ম্যানহাটনের লাফায়েৎ স্ট্রীটে তার দোকান খুললেন।
     
    ১৯১১ সালে কার্ল, স্পেরী জাইরোস্কোপ কোম্পানীতে জয়েন করেন, এবং তাদের সাথে জাহাজের জাইরোকম্পাস বানাতে সাহায্য করেন। এই সুবাদে তিনি ইউএস নেভির কনসাল্টেন্ট হিসেবে যোগদান করেন এবং বম্ব সাইট বানাবার কাজে লেগে পড়েন। এইখানে বম্ব সাইট কি সেটা একটু বুঝিয়ে বলা দরকার। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যে সব বম্বার প্লেন ব্যবহার করা হত তাদের নিশানা বেশিরভাগ সময়েই ঠিক হত না। কারন প্লেন চালাতে চালাতে সঠিক নিশানা করে বোমা ফেলা চাট্টিখানি কথা না। বুঝে দেখুন, তখন জিপিএস, রাডার কিচ্ছু ছিল না। প্লেনের ঐ প্লেক্সিগ্লাসে ঢাকা ডোমের মধ্যে বসে একজন পাইলট প্রপেলারের প্রবল শব্দ, ডগ ফাইটের প্লেনের গুলি, আকশের মেঘ ইত্যাদি এডিয়ে বোমা ফেলবে। এদিকে, প্লেন চলে সোজাসুজি - বোমা পড়ে নিচে!! কত জোর প্লেন চলেছে, কত উঁচু থেকে বোমটা ফেলা হচ্ছে, এবং কোন যায়গায় ফেলা হবে সেটা ঠিক করতে করতেই সময় কেটে যায়। ফলে বেশিরভাগ বোমাই পড়ত যেখানে পড়ার তার মাইল খানিক দূরে। সুতারাং কার্ল যখন বললেন যে তিনি সঠিক নিশানায় বোমা ফেলার মেশিন বানাবেন তখন ইউ এস নেভি বিন্দুমাত্র দ্বিধা করল না কার্লকে কাজ জুটিয়ে দিতে।

    কার্ল ও মনের আনন্দে কাজে লেগে গেলেন, এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বানিয়ে ফেললেন এক অদ্ভুত যন্ত্র, যার নাম মার্ক ১৫ নর্ডন বম্বসাইট। বস্তুটা আর কিছু না, অনেকটা এনালগ কম্পিউটারের মত। তাতে গুচ্ছের গিয়ার, জাইরোস্কোপ, লিভার ইত্যাদি লাগানো। সেই যন্ত্রের লিভার টেনে টেনে - প্লেনের উচ্চতা, স্পীড, আর কোথায় বোম ফেলা হবে তার কোওর্ডিনেট দিলে যন্ত্র বলে দেবে কখন বোম ফেলতে হবে। কার্ল গর্ব করে বলতেন যে তার বম্বসাইট – কুড়ি হাজার ফিট উপর থেকে একটা আচারের কৌটোয় বোমা ফেলতে পারে। ইউএস নেভি কার্লের উপরে কতটা নির্ভর করেছিলেন সেটা একটা পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। ম্যানহাটন প্রোজেক্টের নাম নিশ্চই সবাই জানেন। সেই ব্রহ্মাস্ত্র বানাবার জন্যে ইউএস মিলিটারি ৩ বিলিয়ন ডলার খরচা করে। আর এই নর্ডন বম্বসাইট বানাতে তারা ১.৫ বিলিয়ন ডলার খরচা করে। অর্থাৎ গোটা মিলিটারির মাথা, স্ট্র্যাটেজিস্ট সবাই এতখানি কনভিন্সড ছিলেন যে এই একটা যন্ত্রই যুদ্ধে তাদের এডভান্টেজ বাড়িয়ে দেবে। আর খোদ কার্ল নর্ডন মনে করতেন তিনি ভগবানের কাজ করছেন। তিনি মনে করতেন তার যন্ত্র যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা কমবে কারণ তার যন্ত্র এতটাই সঠিক যে অক্ষশক্তি কেবল তাদেরই মারবে যাদের তারা মারতে চায়। অহেতুক কোন বাইস্ট্যান্ডারের প্রাণ যাবে না। কি সাংঘাতিক তার মরালিটি। বস্তুত তখনো আমরা ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ল দেখি নি। ইয়েলে তখনো মিলগ্রামের এক্সপেরিমেন্ট হয় নি। লয়ালিটি কাকে বলে তা আমার শিখি নি।

    যাই হোক – বম্ব সাইটের কথায় ফিরে আসি। অমন চমৎকার ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেল এর কি হল? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইউএস মিলিটারি নব্বই হাজার নর্ডন বম্বসাইট কেনে, যার এক একটার দাম ছিল চৌদ্দ হাজার ডলার। ১৯৪০ সালে চৌদ্দ হাজার ডলার চাট্টিখানি কথা না। ৫০০০০ বম্বার্ডিয়ারকে মাসাধিক কাল ধরে শেখানো হল কেমন করে এই যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়। বুঝতেই পারছেন, এমন এক এনালগ কম্পিউটার তো সৈন্যবাহিনী কখনো আগে ব্যবহার করে নি। পুরো প্রসেসটা এমন গোপন রাখা হল যে কাকপক্ষী টের না পায়। সব বম্বার্ডিয়ারকে শপথ নেওয়ানো হল যে প্রাণ গেলেও যেন এই যন্ত্রের কথা ঘুণাক্ষরে কাউকে না বলে। যন্ত্রের মধ্যে ইন্সেন্ডিয়ারি রাখা হল, যাতে প্লেন ধরা পড়লেও যেন সেটা খোলার আগে সে নিজের থেকেই ধ্বংস হয়ে যায়। এই যন্ত্র প্লেনে তোলার আগে বাক্সবন্দী করে সেটাকে একটা গার্ডের হাতে হাতকড়া দিয়ে বেঁধে, সঙ্গে গুচ্ছের বডিগার্ড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হত, এবং উপর থেকও যাতে কেউ দেখে না নিতে পারে তাই উপরে ক্যানভাসের চাঁদোয়া দিয়ে ঢাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। যুদ্ধের আগে এর একটাও ফোটোগ্রাফ নেওয়া নিষিদ্ধ ছিল। মোদ্দা নর্ডন বম্বসাইট ছিল আমেরিকার সাতরাজার ধন। আসুন এইবারে দেখে নিই সেই ধনের মূল্য কত।

    প্র্যাকটিস রানের সময় সত্যিই নর্ডন বম্বসাইট অসামান্য লক্ষ্যভেদ করত। আমেরিকার পার্ফেক্ট ওয়েদারে, পারফেক্ট কন্ডিশানে, বিশেষ ট্রেনিং পাওয়া বম্বার্ডিয়াররা বিশহাজার ফুট উচ্চতা থেকে সঠিক নিশানায় বোমা ফেলত। কিন্তু যুদ্ধের সময় কি পারফেক্ট কণ্ডিশান থাকে? কানের কাছে এন্টি এয়ারক্র্যাফট গানের বোমা ফাটছে, এদিকে তো জিনিসিটা বেজায় জটিল। বম্বার্ডিয়াররা আর যাই হোক, ইঞ্জনিয়ার তো নয়। এদিকে গুচ্ছের পুলি জাইরোস্কোপওয়ালা জিনিসটা বার বার আটকে যায়। তার উপরে গোদের উপরে বিষফোঁড়া হয়ে দেখা গেল সেন্ট্রাল ইউরোপের আকাশ যত রাজ্যের মেঘে ঢাকা। এদিকে নর্ডন বম্বসাইট ঠিক করে কাজ করতে গেলে বম্বার্ডিয়ারের অন্তত একবার টার্গেটটা চোখে দেখা দরকার। ফলে যা হবার তাই হল। একটা উদাহরণ দিলে ব্যপারটা পরিস্কার হবে। ১৯৪৪ সালে অক্ষশক্তি ঠিক করল জার্মানির লেওনা শহরে ৭৫৭ একর জমির উপরে যে কেমিক্যাল প্ল্যান্টটা আছে, সেখানে বোমা ফেলতে হবে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ, বাইশটা বম্বিং মিশনে অক্ষশক্তি সেখানে ৮৫০০০ বোমা ফেলে। কতগুলি বোমা পড়েছিল জানেন ঐ প্ল্যান্টে? মাত্র ১০%!! ঐ দশ শতাংশের ১৬% আবার ভোঁতা বোমা, মানে সেগুলো কাজ করে নি। লেওনা কেমিক্যাল প্ল্যান্ট, যুদ্ধেতিহাসের অন্যতম খরচাসাপেক্ষ বোমাবাজির পরে এক সপ্তাহের মধ্যে চালু হয়ে যায়। কি বুঝলেন?

    আচ্ছা অন্য আরেকটা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথায় আসি। ম্যানহাটন প্রজেক্টের কথা বলছিলাম আরকি। সেটার কথা ভোলেন নি নিশ্চই। সেই কথায় ফিরে আসি। ১৯৪৪ সালে ম্যানহাটন প্রোজেক্ট প্রায় সফল। লেফটন্যান্ট কমান্ডার ফ্রান্সিস বার্চ লস এলামসে “লিটল বয়” বানাবার বরাত পেয়েছেন। ওদিকে সেথ নেডারমায়ারের নেতৃত্বে লস এলমসে ই-৫ গ্রুপে “ফ্যাট ম্যান”-এর জন্যে কাজও শুরু। এই দুটি বোমা দুই রকমের। লিটল বয় হল গান টাইপ ফিউশান ওয়েপন। অর্থাৎ এর কার্যপ্রণালী অনেকটা বন্দুকের মত। বোমাটার ওজন ছিল প্রায় ৪৪০০ কেজি। এর মধ্যে ৬৪ কিলো এনরিচড ইউরেনিয়াম ২৩৫, বাকি সব যন্ত্রাংশ। ঐ ৬৪ কিলো ইউরেনিয়ামের ৬০% অংশকে একটা হলো সিলিন্ডারে পরিনত করা হয়। সিলিণ্ডারটা নখানা রিং দিয়ে বানানো। এইটে আপনার বন্দুকের প্রোজেক্টাইল। আর বাকি চল্লিশভাগ হল টার্গেট- সেটা আবার ছখানা রিং দিয়ে তৈরী। এই সিলিণ্ডারগুলো একটা হলো টিউবের মধ্যে রাখা হয়, আর তার পেছনে চারখানা সিলিন্ড্রিকাল সিল্কের ব্যাগে কর্ডাইট পাউডার ভরা হয়। বোমাখানা ফেলার পরে সঠিক উচ্চতায় নামার পরে ব্যারোমেট্রিক প্রেশার দিয়ে ঐ পাউডারকে ট্রিগার করা হয়। হিসেব করে দেখা যায় যে ১৫০০ ফুট উঁচুতে বোমা ফাটলে তার ধ্বংসক্ষমতা সবচেয়ে বেশি হবে।

    ১৫০০ ফিট উঁচুতে পৌঁছনো মাত্রই অল্টিমিটারের রিডিং এর সাপেক্ষে বোমার পেছনের গানপ্রাইমার ফায়ার করে, ফলে ঐ নখানা সিলিণ্ডারযুক্ত ইউরেনিয়াম প্রোজেক্টাইল বাকি ছখানা সিলিণ্ডারযুক্ত টার্গেটের মধ্যে ১০৪০ কিমি/ঘন্টা বেগে সজোরে ঢুকে গিয়ে ক্রিটিকাল মাস তৈরী করে। ক্রিটিকাল মাস হল এমন ভর, যেখানে স্পন্টেনিয়াস চেন রিয়েকশান ঘটে। ট্রিগার করার ১০ মিলিসেকণ্ডের মধ্যে ১৫ কিলোটন TNT সমতুল্য বিস্ফোরণ ঘটে। তারফলে যে মাশরুম ক্লাউড তৈরী হয় সেটা ৬০০০০ ফুট উঁচু। বিস্ফোরণের ফলে মুহূর্তের যে প্রবল তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে তা নিমেষের মধ্যে এপিসেন্টারের ৩ কিমি রেডিয়াসের মধ্যে এফেক্ট করে। এটমিক বোমার এফেক্টকে মূলতঃ তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমতঃ ব্লাস্ট যেটা একটা প্রেশার ওয়েভ তৈরী করে, দ্বিতীয়ত ফায়ারবল যেটা এক্সরে আয়নাইজেশানের ফলে গ্যাসকে সুপারহিট করে দেয় এবং তার পাল্লায় যা আসে সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়, এবং তৃতীয়ত রেডিয়েশান, যার মধ্যে মূল ক্ষতিকারক রেডিয়েশান হল গামা রেডিয়েশান। যারা সরাসরি রেডিয়েশান পয়জনিং এ মারা গেলেন তাদের তো হয়েই গেল। কিন্তু যারা বাঁচলেন তাদেরও বাকি জীবন ক্যানসার ও নানাবিধ অসুখে ভুগে মরতে হয়। লিটিল বয় যেখানে ফাটে তার চারদিকে ১.৮ কিমি রেডিয়াসের মধ্যে সমস্ত বাড়িঘর ধুলিস্যাত হয়ে যায় বিস্ফোরণের দাপটে। হিরোশিমার ফায়ারস্টর্মের রেডিয়াস ছিল ৩.২ কিমি। সেন্টারের কাছে তার সারফেস তাপমাত্রা ছিল ৬০০০ °C। বোমা ফেলায় গোটা শহরের ৬৬০০০ লোক মারা যান, ৬৯০০০ লোক আহত হন। এর মধ্যে ৬০% লোক স্রেফ পুড়ে মারা যান, আর ৩০% লোক ডেব্রি চাপা পড়ে।

    হিরোশিমার বোমা পড়ার তিনদিন পরে, নাগাসাকিতে ইমপ্লোসিভ মেকানিজমে তৈরী প্লুটোনিয়াম সম্বৃদ্ধ ফ্যাট ম্যান এটমিক বম্ব ফেলা হয়, যা আরো এফেক্টিভ ও আরো দূর্ধর্ষ। আগেই বলেছি, লিটলবয় ৬৪ কিলো এনরিচড ইউরেনিয়াম দিয়ে তৈরী, এবং তার বিস্ফোরণক্ষমতা ১৫ কিলোটন TNT র সমতুল্য, সেখানে ফ্যাটম্যান মাত্র ৬.৪ কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে তৈরী, কিন্তু তার বিস্ফোরণক্ষমতা ২১কিলোটন TNT র সমতুল্য। নাগাসাকির বোমায় ৩৯০০০ লোক মারা যায় এবং ২৫০০০ লোক আহত হয়। মৃতদের মধ্যে ৯৫% মানুষ পুড়ে মারা যান।
     
    হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে বোম ফেলতে নর্ডন বম্বসাইট ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট এনোলা গে নামের এক B-19 বম্বার প্লেনে করে কর্নেল পল টিবেটস আর ক্যাপ্টেন রবার্ট লুইস সকাল ৮:১৫ তে তিন বিলিয়ন ডলারের প্রোজেক্টে ফল লিটিলবয়-কে দেড় বিলিয়ন ডলারের প্রোজেক্টে তৈরী নর্ডন বম্বসাইট দিয়ে নিশানা করে ফেলে দেন। বোমাটা অবশ্য তার লক্ষ্যের থেকে ৮০০ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে। কিন্তু থার্মো-নিউক্লিয়ার বোমা তাক করে ফেলার দরকার পড়ে না। তবে নিউইয়র্কে বসা কার্ল নর্ডন অবশ্য জানতেন না যে তার সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বোমা মারার কল দিয়ে এটমিক বোমা ড্রপ করা হচ্ছে। বেচারীর ফাইন টিউনড মেশিনের এই হাল দেখলে হয়ত তিনি দুঃখই পেতেন।

    (দুঃখের বিষয় গুরু ছবি লোড করতে দেয় না নইলে নর্ডন বম্বসাইটের এখখানা ছবি দেখানো যেত)

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ২০ মার্চ ২০২৫ | ১১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গবু | 202.8.***.*** | ২১ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৫541811
  • অক্ষ শক্তি বা Axis power তো জার্মানি - ইতালি - জাপানের কোয়ালিশনের নাম ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর বোম ফেলবে কেন? আপনি বোধ হয় মিত্রশক্তি বা allied force এর সাথে গুলিয়েছেন।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২১ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫৪541816
  • এই দেখুন ছবি বসানো খুব একটা চাপ না, আমি উইকিপিডিয়া থেকে ছবির লিংক কপি করে এনে চিপকে দিলাম। দিব্যি ছবিটা দেখা যাচ্ছে। আপনি এই উপায়ে বা কোনো ছবি ইমেজ বিবি সাইটে আপলোড করে তার লিংক এনেও বসাতে পারেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন