রবি ঠাকুর ও এক শহুরে শান্তিনিকেতনের ইতিকথা।
সেই বছরেই আমরা প্রথম স্কুল থেকে দিনপঞ্জি হাতে পেলাম। একালের স্কুলগুলোতে যেমন রঙচঙে কাগজে ছাপা স্কুল ডাইরি দেওয়া হয়, তেমন কিছু নয়। ধবধবে সাদা কাগজে সাইক্লোস্টাইল করা পাতা আটের একটা ছিমছাম হাতে লেখা পুস্তিকা। তাই হাতে পেয়ে সবাই আমরা একেবারে আহ্লাদে আটখানা। স্কুল থেকে আমাদের বলে দেওয়া হলো – ‘এটাকে যত্ন করে রাখবে সবাই। গোটা বছরের স্কুলের কার্যক্রম এখানে দেওয়া আছে।বাড়িতে বাবা মাকে দেখাবে।’ আমরা সবাই সানন্দ সভয়ে ঘাড় নেড়ে সায় দিলাম।
যে সময়ের গপ্পো বলছি , সেই সময়টা ফেলে এসেছি আজ থেকে কমবেশি ছয় দশক আগে। এ কি বাপু , টু মিনিটসে নুডুলস তৈরি করে, গপাগপ খাওয়ার কাল! এতোদিন পরে স্মৃতির সুতো খুলে খুলে লাটাই খালি করা কি আর সহজ কাজ? যাইহোক, সন্ধেবেলা আমাদের পারিবারিক গুলতানির আসরে সবাই হাজির হতেই ব্যাগ থেকে সেই দিনপঞ্জি বের করে বাবার হাতে দিলাম। চোখে চশমা চড়িয়ে গম্ভীর গলায় বাবা জিজ্ঞেস করলেন, ওটি ঠিকঠাক দেখেছি কিনা ? এবারেও যথারীতি ঘাড় নেড়ে সায় দিলাম।
দিনপঞ্জির অমন সাদামাটা চেহারার কথা মনে করলে এখনও খানিকটা স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়ি। চোখ বুঝলেই যেন দেখতে পাই দিনপঞ্জির মলাটের হাতে আঁকা ছবি ও লেখাগুলো। একদম ওপরে গোল অভিজ্ঞান স্মারকের ছবি। নীল প্রেক্ষাপটে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখা। নিচে লেখা সেই মহামন্ত্র – তেজস্বিনাবধীতমস্ত – তোমাদের অধ্যাপন ও অধ্যয়ন তেজোময় হোক। এই বাণীকে জপমন্ত্র করেই যেন শুরু হলো সেদিনের সেই ছোট্ট স্কুলের পথ পাড়ি দেওয়া। আমাদের যিনি হেডমাস্টার মশাই, তাঁর ছিল বুক ভরা স্বপ্ন। নিজের হাতে তৈরি ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটিকে সময়ের বাঁধা সীমান্ত পার করে অনেক দূরপথের পথিক করে তোলার স্বপ্ন।কিন্তু সেসব স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করতে হলে অর্থেরও তো প্রয়োজন। আমাদের স্বপ্নদীপ্ত ছোট্ট পিদিমে তখন তেলের জোগান কই ? তাই সাধ আর সাধ্যের মধ্যে মেল হয়না। তবুও যতটুকু পাই,তাতেই আমরা বেজায় খুশি।
দিনপঞ্জির মলাটে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা আরও কয়েকটি কথা তখনই মনে ঢেউ তুলেছিল প্রবল ভাবে। “রবীন্দ্র শিক্ষাদর্শে পরিচালিত সহ - শিক্ষামূলক, সহ - পাঠক্রমিক বিদ্যালয়।” আমরা কি তাহলে ইট কাঠ কংক্রিটের মোড়কে মোড়া শহরের বুকে এক শান্তিনিকেতন নির্মাণ করতে চেয়েছিলাম?
আজ থেকে ছয় দশক আগে তিন জন ছাত্র আর ছয় জন ছাত্রীকে নিয়ে শহর লাগোয়া শহরতলির বুকে এক সহ - শিক্ষামূলক বিদ্যালয়ের স্থাপনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দেওয়ার মতো বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনে সূচনা হয়েছিল সহ - শিক্ষামূলক পাঠদানের প্রক্রিয়া। যতটুকু জানি, তেমন প্রয়াস ছিল দেশের মধ্যে প্রথম। তবে সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে রবীন্দ্রনাথকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক অনেক তির্যক মন্তব্য, অতিক্রম করতে হয়েছে বিস্তর সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বাধা। আমাদের ছোট্ট স্কুলকেও এমন অবাঞ্ছিত বাধার সামনে পড়তে হয়েছে গোড়ার দিকে । কিন্তু সেই সব বাধাকে নিজেদের ঐকান্তিক উপলব্ধি ও বিশ্বাসের জোরে সেকালে অতিক্রম করেছি আমরা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় । হয়তো তাই এক নয়া ইতিহাসের রচনা করতে পেরেছিলাম।
সেকালে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র জনপ্রশাসন ব্যবস্থা ছিলোনা। শান্তিনিকেতনে আশ্রমিক শিক্ষার্থীদের যাঁরা পঠনপাঠন ও দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের একরকম ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্র ধরেই শিক্ষকতার ব্রত সাধনে যুক্ত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। শান্তিনিকেতনে আশ্রমিক জীবন যাপনের পর সেখানেই শিক্ষকতা করেছেন এমন মানুষও বিরল ছিলেননা। রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল সান্নিধ্যে তাঁদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষাদানের এক অনন্য ধারার পথিক হয়ে উঠেছিলেন। আজও পরম শ্রদ্ধায় সেই সব মানুষের কথা আমরা উল্লেখ করি।
আমাদের শহুরে শান্তিনিকেতনে যাঁরা শিক্ষক বা শিক্ষিকা হিসেবে আমাদের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককেই পাকা জহুরীর মতো চয়ন করে নিয়ে এসেছিলেন হেডমাস্টার মশাই। শান্তিনিকেতনের মতো আমরাও তাঁদের দাদা আর দিদি বলেই সম্বোধন করতাম। এমন আত্মিক সম্বোধনের যে কি প্রবল প্রভাব আমাদের সবার শিক্ষাজীবনে তথা পরবর্তী নির্মিতির ওপর পড়েছিল তা বলে শেষ করতে পারবোনা। আমরা কখনোই তাঁদের ভয় পেয়ে পালিয়ে বেড়াইনি । আর তাঁরাও আমাদের দেখভাল করেছেন সহোদর দাদা - দিদিদের মতো। এক আশ্চর্য মিথোজীবিক সম্পর্ক!
খালি হেডমাস্টার মশাইকে তাঁর পদগরিমার জন্য এই চেনা রীতির বাইরে রাখা হয়েছিল, যদিও তাতে তাঁর আন্তরিকতার ও ভালোবাসার কোনো খামতি ছিলো না। প্রচণ্ড রাশভারী এই মানুষটিকে আমরা যতোটা ভয় পেতাম , শ্রদ্ধা করতাম ও ভালোবাসতাম তার থেকে অনেক অনেক বেশি। তাঁর কথা বলতে বসলে রাত কাবার হয়ে যাবে। আসলে আমাদের দাদা, দিদিরা কেউই বড়োসড়ো ডিগ্রিধারী ছিলেন না। তাই বিদ্যার গরিমা কখনোই তাঁদের স্বাভাবিক আচরণের ওপর সামান্যতম প্রভাব ফেলেনি ।তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন ভালো মানুষ , মানুষ তৈরির নিপুণ কারিগর। আর হয়তো সেই কারণেই আপন আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তাঁরা আমাদের মন গুলোকে ভালোবাসার বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে দিতে পেরেছিলেন দক্ষ চিত্রকরের মতো করে।
সহশিক্ষামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবার ফলে সবথেকে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন আমাদের অভিভাবকেরা। বাড়ির একটি সন্তানকে ভর্তি করা হলে বাড়ির অন্যদেরও অগ্রজের পেছন পেছন ঐ একই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দেওয়া হতো। সকলেরই এক অনন্য ব্র্যান্ড মার্ক শোভিত হয়ে বড়ো হয়ে ওঠা। তবে সেকালে এমন সব পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে চলতি অভিভাবক সমাজ প্রথম থেকেই যে খুব উচ্ছ্বসিত ছিলেন তা বোধহয় নয়। একালের মতো না হলেও সেকালের অভিভাবকরাও ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন, ফলে মাঝে মাঝেই শিক্ষার্থী সংখ্যায় টান পড়তো। আমরা সবাই একটা চমকপ্রদ কিছু করে দেখানোর অপেক্ষায় ছিলাম। ১৯৬৯ সালে সেটাই ঘটলো। এরপর আর আমাদের ছাত্রাল্পতায় সেভাবে ভুগতে হয়নি। নতুন নতুন বন্ধুদের ভিড় লেগেছিল বছরভর।
রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন যে পাঠ্যপুস্তকের বাঁধা কথার মধ্যে শিশুমনকে বেঁধে রাখলে তা কখনোই মুক্তমনা মানুষ হিসেবে তাদের নির্মাণের উপযোগী হবেনা। তাতে কিছু পুঁথি পোড়ো গুরুগম্ভীর গুরু মশাই হয়তো তৈরি করা যাবে, পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা সম্ভব হবে না। তাই শান্তিনিকেতনের শিক্ষা অনেক অনেক রঙিন ছিল। খোলা মাঠে গাছতলায় বসে পঠনপাঠন বিকাশমান কৈশোরক মনকে মুক্ত,উদার ভাবনায় ভাবিত করে। তাদের করে তোলে সুদূরের পিয়াসী। প্রকৃতির মধ্যেই রয়েছে পূর্ণতার আভাস। তার প্রতি শিক্ষার্থীদের হৃদয় ও মনকে পরিচালিত করতে পারলে গুরুমশাইদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। ছেলেপিলেরা তখন সেই আশ্চর্য বাঁশিওয়ালার পিছু ছাড়তে চায় না।
সেকালের শান্তিনিকেতনের চারপাশের পরিবেশ একালের মতো ঘিঞ্জি, কংক্রিট সর্বস্ব ছিলোনা। ফলে বাতায়নের পাশেই ছিল মুক্তির অনাবিল হাতছানি। আমাদের শহুরে শান্তিনিকেতনে সেই সুযোগ কোথায়? গৃহস্বামীর বদান্যতায় পাওয়া,ব্যস্ত রাজসড়কের পাশে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির গুটিকয় ঘরে, মেঝেতে চাটাই বিছিয়ে শুরু হয়েছিল আমাদের সন্দীপন পাঠশালা। সারাদিন গাড়িঘোড়ার স্বঘোষিত চলাচলের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো সবাইকে। এমন পরিবেশে প্রকৃতি ছিলেন দুয়োরাণী হয়ে। হয়তো তাই ক্লাস ঘরের অপ্রতুলতার কারণে পরীক্ষামূলক ভাবে গাছের তলায় শুরু হলো পঠনপাঠনের কাজ, গরমের ছুটিতে কদম কদম পা বাড়িয়ে সবাই মিলে পৌঁছে যাওয়া হতো একটু দূরের কোনো গ্রামে, সেখানে গিয়ে হাতেকলমে দেখা ও শেখা হতো গ্রাম জীবনের নানান খুঁটিনাটি বিষয় – কুমোর পাড়ায় চাক ঘুরিয়ে নানান মৃৎ উপকরণের নির্মাণ, বেড়া জাল টেনে মাছ ধরা, গুড় জ্বাল দিয়ে বাতাসা তৈরি, ঠকা ঠাই ঠাই করে নেহাইয়ের ওপরে গরম লোহাকে পিটিয়ে কামারশালায় নানান ধরনের প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি জিনিস তৈরি… সব কিছুকে প্রত্যক্ষ করে একটা স্পষ্ট ধারণা করেছিলাম সেই স্কুল জীবনে। এসব শিক্ষাতো বই থেকে মিলবে না,অথচ এসবের মধ্যেই রয়েছে নতুন ধরনের শিক্ষা , বাস্তব জীবনের শিক্ষা। স্কুলে কী শেখানো হচ্ছে, কীভাবে শেখানো হচ্ছে? - সেসব নিয়ে অভিভাবকদের তেমন উৎকন্ঠা ছিলনা। আমরা বাড়ি আর স্কুলকে একাত্ম করে নিয়েছিলাম। আমাদের অভিভাবকেরা এই বিষয়ে স্কুলের সঙ্গে পূর্ণ সহমত ছিলেন। কোনো দ্বন্দ্বের অবকাশ ছিলোনা।
সেই বয়সেই আমরা বেশ বুঝতে পারছিলাম যে আমাদের মধ্যে একটা অন্যরকম ভাবনার , ভিন্ পথে চলার পরিসর তৈরি হচ্ছে। এই বিষয়টা আমাদের অভিভাবকেরাও বেশ টের পাচ্ছিলেন। তাই তাঁরাই আমাদের নিরন্তর উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন। বর্ষার জল পাওয়া নবীন চারাগাছের মতো আমরাও তরতরিয়ে বেড়ে উঠছিলাম। আসলে শিক্ষার পর্বটি যদি যথার্থই আনন্দময় না হয় , কতগুলো তত্ত্বকথা মুখস্থ করিয়েই যদি শিক্ষার প্রারম্ভিক পর্বটিতে নীরস করে তোলা হয় তাহলে যে তা বিকারও বিক্ষোভের জন্ম দেয়। রবীন্দ্রনাথ কখনোই এমনটা চাননি। আর তাই, তাঁর ভাবচ্ছায়ায় বেড়ে ওঠা আমাদের ছোট্ট স্কুলকেও সেভাবে বেড়ে উঠতে দেননি আমাদের দাদা দিদিরা। আজ এতো বছর পরে, চারদিকের বিপুল আয়োজনের বহর দেখে আমার সেই ফেলে আসা সময়ের শহুরে শান্তিনিকেতনের কথাই বারংবার মনে পড়ে। শুধু আমি কেন,যারাই এই পাঠশালায় কোনো না কোনো সময় অতিবাহিত করেছে তাঁরা সকলেই আমার সুরে সুর মেলাতে। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
রবির আলোয় শরীর ভিজিয়ে চলতে চলতে অনেক কথা পেরিয়ে এসেছি। এবার কথা গুটিয়ে আনার পালা। শেষ করবো এক মজার গপ্পো দিয়ে। টিফিনের ঘণ্টা বেজেছে বেশ খানিকক্ষণ হয়েছে। কোনো রকমে টিফিনের বাক্স ফাঁকা করে অনেকেই ছুটেছি উল্টোদিকের বাগানবাড়িতে। সেখানে চলবে ক্ষণিকের মুক্তির উল্লাস যাপন। আমাদের মধ্য থেকে অতি উৎসাহী কয়েকজন আমগাছে আম ঝুলতে দেখে প্রবল উৎসাহে গাছ বাইতে শুরু করেছে। হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বাকিরা তাদের উৎসাহিত করে চলেছি। এমন সময় সহসা অকুস্থলে এসে হাজির হয়েছেন আমাদের হেডমাস্টার মশাই। তাঁকে দেখে আমাদের প্রাণপাখি পাঁজর পিঞ্জরের বাইরে ফুরুৎ। কম্পমান কলেবর তখন ইষ্ট স্মরণে ব্যস্ত।
তিনি এসে বললেন – ওভাবে কেউ গাছে ওঠে? যারা গাছে উঠেছিলে তারা এদিকে এসো। আজ তোমাদের গাছে চড়া শেখাবো।বলেই পরনের ধুতিটাকে খাটো করে গুটিয়ে নিলেন, গায়ের পাঞ্জাবিটা খুলে একজনকে ধরতে দিলেন ; আর তারপরেই তরতরিয়ে গাছে চড়তে শুরু করলেন পাকা গেছো দাদার মতো। আমরা সবাই বিস্ময়ে হতবাক। হেডমাস্টার মশাই অবশ্য নির্বিকার চিত্ত। খানিক বাদেই নেমে এলেন তিনি। “ শোনো বাপুরা, জীবনে চড়াইয়ের পথ সবসময় খাড়াই। সতর্ক থাকতে হবে সবসময়। এটাও কিন্তু শিক্ষা, খুব বড়ো শিক্ষা। চলো, ক্লাস শুরুর সময় হলো”। আমরা সবাই স্কুলে ফিরে এলাম।
স্কুল আমাদের কখনোই বিদ্যা বিষয়ী করে গড়ে তুলতে চায়নি। কোনো দিন কেউ মুখ ফুটে বলেননি তোমাকে এই হতে হবে। স্কুল চেয়েছিলো কিছু ভালো মানুষ হিসেবে আমাদের গড়ে তুলতে। আর সেই চাওয়া থেকেই হয়তো আমরা সবাই অমলকান্তি হতে চেয়েছিলাম, “ ক্ষান্তবর্ষণ কাক ডাকা বিকেলের লাজুক রোদ্দুর” শরীরে জড়িয়ে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।