এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • সময়ের চিহ্ন

    Anirban M লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫৩ বার পঠিত
  • “নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
              একটু আগুন দে
    আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
              বাঁচার আনন্দে”
    --- যমুনাবতী, শঙ্খ ঘোষ

    বাংলা সাহিত্যে প্রায় প্রবাদ হয়ে যাওয়া এই দুটি লাইন কিছুদিন আগে চোখে পড়ল আমার এক ছাত্রের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে, ঝলসানো কাবাবের ছবির সঙ্গে। ছবি ও কবিতার এই অনুষঙ্গ বুকে লাগলো ধক করে। টেনে বের করলাম অনেকদিন আগে পড়া কবিতার মুহূর্ত বই থেকে সেই পৃষ্ঠাগুলি যেখানে কবি স্বয়ং ব্যাখ্যা করছেন এই কবিতা রচনার প্রেক্ষাপটঃ

    “চার বছর পেরিয়ে গেছে স্বাধীনতার পর, দেশের মানুষের কাছে তার খবর এসে পৌঁছেছে, কিন্তু খাবার এসে পৌঁছয়নি তখনো। চাল ডালের আর্জি নিয়ে লোকে তাই কখনো কখনো শহরে এসে দাঁড়ায়, খিদের একটা সুরাহা চায় তারা। তেমনি এক দাবির আন্দোলনে কুচবিহার কাঁপছে তখন। অনেক মানুষের মিছিল চলে এসেছে শহরের বুকে, হাকিম সাহেবের দরবারে।
    এসব সময়ে যেমন হয় তেমনই হলো। নিরাপত্তার জন্য তৈরি রইল পুলিশের কর্ডন। নিষিদ্ধ সীমা পর্যন্ত এসে থমকে গেল মিছিল। ঘোষণা আছে যে কর্ডন ভাঙলেই চলবে গুলি, তাই তারা ভাঙতে চায় না নিষেধ। তারা কেবল জানাতে গিয়েছিল তাদের নিরুপায় দশা। তাই নিষেধের সামনে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে পুলিশ আর জনতা।
    তারপর ধৈর্য যায় ভেঙ্গে। কার ধৈর্য, তা আমরা জানি না। কিন্তু কাগজে খবর ছিল এই যে। মিছিলের একেবারে সামনে থেকে একটি ষোলো বছরের মেয়েকে কর্ডনের এপারে টেনে নেয় পুলিশ, আর অবৈধ এই সীমালঙ্ঘনের অভিযোগে সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে তাকে, পথের ওপরই মৃত্যু হয় তার। স্বাধীন দেশের স্বাধীন পুলিশের হাতে স্বাধীন এক কিশোরীর কত অনায়াস সেই মৃত্যু!”

    সামান্য ভাতের দাবিতে আন্দোলনরত এক কিশোরীর রাষ্ট্রীয় হত্যা আলোড়িত করেছিল শঙ্খ ঘোষকে এবং সেই আলোড়নের ফলশ্রুতি যমুনাবতীর মত অমোঘ কবিতা। সেই ঘটনার প্রায় পঁচাত্তর বছর পরে সেই সব রক্ত চিহ্নিত অক্ষরমালা যখন জুড়ে যায় ঝলসানো কাবাবের সঙ্গে তখন তার মধ্যে এক ধরনের অশ্লীলতা নিহিত থাকে যা বুকে ধাক্কা দেয়। আমার ছাত্রটিকে জিজ্ঞেস করি এই কবিতার পটভূমিকা সম্পর্কে সে কিছু জানে কিনা। সে জানায় সে শুধু এই কবিতায় সুরারোপ করা একটি গান শুনেছে। তাকে জানাই এই কবিতার পটভূমি, তাকে পড়াই কবিতার মুহূর্তের এই অংশটি। আমার ছাত্রটি বুদ্ধিমান, সংবেদনশীল। আমার বক্তব্যের তাৎপর্য বু্ঝে সরিয়ে নেয় তার স্টেটাস। কিন্তু এই ঘটনাটি আমার মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রশ্নের জন্ম দেয় যা সম্প্রতি আমার মধ্যে আবার ফিরে আসে মহীনের ঘোড়াগুলির একটি গান শুনতে গিয়ে – চৈত্রের কাফন।

    মহীনের গানের বিশেষ প্রসঙ্গে ঢোকার আগে আমার সাধারণ সংশয় নিয়ে আলোচনা করি। যেকোন শিল্পের গায়ে সময়ের চিহ্ন থাকে। কিন্তু যেকোন শিল্পীরই প্রয়াস থাকে সমসাময়িকতাকে অতিক্রম করে চিরন্তন হওয়ার। যেকোন বড় মাপের শিল্পের গায়ে তাই সমকাল এবং চিরকালের এই টানাপোড়েনের চিহ্ন লেগে থাকে। গদ্যের ক্ষেত্রে সমসময় এবং চিরন্তনতার চিহ্নকে আলাদা করা তুলনায় সহজ বলে আমার মনে হয়। যেমন ধরুন, শেক্সপিয়ারের নাটকে সপ্তদশ শতকের ইউরোপীয় সমাজের চিহ্ন লেগে আছে। কিন্তু তার মধ্যে থেকে সেই সব নাটকের চিরন্তন নিহিতার্থকে আলাদা করে নেওয়া কঠিন নয়। সমস্যাটা বেশি চিত্রকলা বা কবিতার মত মাধ্যমে যেখানে সমসময় লুকিয়ে থাকে বিমূর্ত ইমেজারির স্তরে স্তরে। সেখানে সমসময়ের চিহ্নকে না চিনতে পারলেও শিল্পের সমঝদারির পথ বন্ধ হয়ে যায় না। যমুনাবতী কবিতাটিই ভাবুন। যদি না লেখা হত কবিতার মুহূর্ত, তাহলে হয়ত আমরা জানতেও পারতাম না এই কবিতার পেছনে রয়েছে খাদ্য আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। আমি ভেবে দেখার চেষ্টা করেছি  এই আখ্যান নিরপেক্ষ ভাবে পড়লে কী ভাবে ভাবতাম এই কবিতাটি নিয়ে। হয়ত এই কবিতার ভেতরে যে রাজনীতি অন্তঃসলিলা রয়েছে সেটার একটা আঁচ পেতাম, কিন্তু নিশ্চিত জানতাম না ঠিক কী নিয়ে লেখা এই কবিতা। আর যদি এই কবিতা পৌঁছয় পঞ্চাশের দশকের বাংলার রাজনৈতিক পরিমন্ডল না জানা কারো কাছে? তার পক্ষে কি সত্যি জানা সম্ভব এই কবিতার সঠিক মানে? বা অন্য ভাবে বললে, ইতিহাস না জানা কোন পাঠক যে ভাবে বুঝবেন এই কবিতা তা কি ভুল? নাকি তিনি যা বুঝবেন সেটিই এই কবিতার চিরন্তন মানে যার থেকে সমসাময়িকতার খোলস ঝরে গেছে? এই উত্তর-আধুনিক যুগ (নাকি উত্তর উত্তরাধুনিক?)  সব পাঠকেই মান্যতা দেয়। কিন্তু তার মধ্যে কোন পাঠ কি অন্য পাঠের থেকে বেশি ঠিক?

    এই সংশয় আমাকে থিতু হতে দেয় না কোন একটি নির্দিষ্ট পাঠে। সেই সংশয়ই আমার কাছে একবার ফিরে এল মহীনের চৈত্রের কাফন গানটা শুনতে গিয়ে। গানের কথা এই রকমঃ

    “যে গেছে বনমাঝে চৈত্র বিকেলে
     যে গেছে ছায়াপ্রাণ বনবীথিতলে
     বন জানে অভিমানে গেছে সে
     অবহেলে যে গেছে অশ্রুময়
     বন-অন্তরালে।

     আকাশে কেঁপেছে বাঁশিসুর
     আঁচলে উড়েছে ময়ূর
     চলে যাই বলেছিলে চলে যাই
     মহুল তরুর বাহু ছুঁয়ে
     যে গেছে অশ্রুময় বন অন্তরালে।

     সে বুঝি শুয়ে আছে চৈত্রের
     হলুদ বিকেল যেখানে
     চূর্ণ ফুল ঝরে তার আঁচলে
     যেখানে চূর্ণ ফুল ঝরে তার কাফনে”।

    এই লেখাটিতে একটি বিষাদ আছে। এবং যেহেতু আমি এই কবিতার কোন পটভূমি জানি না,  কবিতার একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে আমি ভেবে নিই এই বিষাদ চিরবিদায়ের যা আমাদের জীবন বা অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। এই গানটি রেকর্ড হয় ১৯৭৯ তে, কবে লেখা ঠিক জানা নেই। কিন্তু এই লেখাটি পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে পড়ে যায় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে গেছে বনে কবিতাটি। ছেলে গেছে বনে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে -- নকশাল দমনের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস তখন চরমে। পুলিশের হাতে বুদ্ধিমান, আদর্শবাদী, তরুণ ছাত্রদের মৃত্যু সুভাষকে বিচলিত করে ভীষণ ভাবে। কিন্তু বাহান্ন বছরের সুভাষের রাজনৈতিক আনুগত্য ছিল সিপিআই-এর প্রতি যাদের রাজনৈতিক মতবাদ সিপিআই-(এম এল) বা নকশালদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তবু সেই মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে কষ্ট পাচ্ছেন সুভাষ, লিখছেন এই কবিতা, ছেলে গেছে বনে। কবিতাটি বেশ বড়, তাও খুব ভাল লাগা এই কবিতার কিছুটা উদ্ধৃত না করে পারছি না --

    “ফেলে রেখে আমাকে বন্ধনে
    মুক্তির লড়াই লড়বে বলে
    ছেলে গেছে বনে।
    পাশের টেবিলে একটা লোক
    একেবারে টুপভুজঙ্গ।
    সোডার বোতলে আমি ঠিক রাখছি চোখ,
    কিছুতেই মাত্রা ছাড়াব না।
    পুরনো স্মৃতির সঙ্গ
    নেব আজ ঝেড়ে ফেলে সব দুর্ভাবনা।
    নাও যদি মেলে গাড়ি —
    কাগজের নৌকো ঠেলে
    জুতো হাতে হেঁটে যাব বাড়ি।
    ঝরাতে ঝরাতে যাব সারা রাস্তা মাঠের শিশির,
    বড় বড় ঠেউ তুলে যতই দেখাক ভয়
    পাড়-ভাঙা নদী
    ফিরে পেতে চাই সেই বাল্যের বিস্ময়,
    যে-রোমাঞ্চ অন্ধকারে যেতে হাতে-ঝোলানো লন্ঠনে।
    ফেলে রেখে আমাকে বন্ধনে
    ছেলে গেছে বনে।
    পাবে না জেনেও কাল রাত-দুপুরে বন্দুক উঁচিয়ে
    দু-গাড়ি পুলিশ
    সারা বাড়ি খুঁজে গেল তন্ন তন্ন করে।
    পেরিয়ে চল্লিশ
    যে আগুন প্রায় নিবন্ত, ওরা তার তুলছে আঁচ খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে।
    এখনও মিছিল গেলে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়াই রাস্তায়
    যে কোনো সভায় গিয়ে শুনি
    কে কী বলে।
    কেউ কিছু ভালো করলে দিই তাতে সায়।
    সংসারে ডুবেছি, তাই জ্বালাই না ধুনি।
    ফেলে রেখে আমাকে বন্ধনে
    ছেলে গেছে বনে।
    অথচ তারই হাতে দেখছি মুক্তপাখা
    যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত
    আমারই পতাকা”।
     
    মহীনের গানটি শুনতে শুনতে আমার মনে ফিরে আসে এই কবিতা -- মনে হয় মহীনের চৈত্রের কাফনের গায়ে কোথাও যেন বনে যাওয়া ছেলের রক্ত লেগে আছে, কোথাও যেন সম্পর্ক আছে এই দুটি লেখার। মহীনের গানে সেভাবে বাম রাজনীতির ছাপ পাওয়া যায় না। কিন্তু সত্তরের কলকাতায় দাঁড়িয়ে নকশাল আন্দোলন এবং তা থেকে তৈরি হওয়া রক্তস্রোতকে কোন শিল্পীই কি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতে পারেন? এর কোন নিশ্চিত উত্তর জানা নেই আমাদের। কিন্তু যদি এই সম্ভাবনা সত্যি হয় তাহলে সমসময় আর চিরকালীন চিহ্নের একটি চমৎকার পরিক্রমা যেন দেখতে পাই আমরা। সুভাষের কবিতায় সমকালের ছাপ স্পষ্ট, কবি ইচ্ছে করেই যেন রেখেছেন সেসব যাতে পড়তে বসে পাঠকের চিনে নিতে ভুল না হয় তাঁর সময়কে। কিন্তু মহীনের গানে এসে সেই সব মৃত্যু যেন বাঁধা পড়ছে চিরন্তন কিছু চিত্রকল্পে,যা সমসাময়িকতার গন্ডীতে বাঁধা পড়ে না।
     
    এই দুটি গান ও কবিতা আরেকবার আমার মধ্যে শিল্পে সমকাল আর চিরন্তনতার দন্দ্বকে উস্কে দিয়ে গেল। আগে ভাবছিলাম সময় এবং বিস্মৃতি কীভাবে শিল্পের গা থেকে খুলে নিতে পারে সমকালীনতার আভরণ। এখন মনে হচ্ছে শুধু সময় না, একটা ভাবনা যখন এক শিল্পীর থেকে অন্য শিল্পীর কাছে যায় তখনও বদলে যেতে পারে সমকাল-চিরকালের এই ভারসাম্য। এবং হয়ত এই বহুত্বের মধ্যেই শিল্পের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে। আমরা শুধু ঘুরে মরি আসল অর্থের খোঁজে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন