তাই VISUAL CONCEPT। Mise-en-Scène শব্দটি থিয়েটার থেকে আসচে । এ দৃশ্য ধারণা (visual concept) বলতে এমন একটি বিভাগ বা ধারণাকে বোঝায় যা সাধারনত আকার, রঙ এবং অন্যান্য দৃশ্য উপাদানের সংমিশ্রণে (মঞ্চে/কামেরার উপস্থিত) সংগঠিত দৃশ্যাবলী । এগুলো থেকে দর্শনেন্দ্রিয় দৃশ্যমান ধরণগুলি সনাক্ত করে এবং নতুন উদাহরণগুলিতে সেগুলিকে সাধারণীকরণ করে । এই ধারণাগুলি মূর্ত বা বিমূর্ত (Concreat and abstract ) হতে পারে যা জগৎ দৃশ্যকে বুঝবার ও তা সংহত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর সাথে একাত্মকরণ জনিত কারণে আবেগ অনুভূত হওয়ারও জোর সংযুক্তি রয়েছে । আলো, রঙ, রচনা , গতিবিধি আর ফ্রেম এ দৃশ্য দ্রষ্টব্যের আকার ও শট দৈর্ঘ্য এবং ক্যামেরার কৌণিকতা মতো চলচ্চিত্র কৌশলগুলি দর্শকদের অভিজ্ঞতা এবং চিত্র ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিতে হেরফের করে এই কৌশলগুলি ধারাবাহিকতার বিভ্রম তৈরি করতে পারে, মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে, আবেগ জাগাতে পারে এবং এমনকি বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে(নব) রূপ দিতে পারে।
VISUAL RHETORIC: Visual Elements এর মাধ্যমে কোনও বার্তা প্রেরণ, শ্রোতাদের প্ররোচিত করা, অথবা একটি নির্দিষ্ট আবেগগত প্রতিক্রিয়া জাগানোর জন্য চিত্রের ব্যবহারকে বোঝায়। চলচ্চিত্র কৌশলগুলি বা Film techniques দ্বারা এর মধ্যে বিশ্লেষণ করা হয় যে, কিভাবে দৃশ্যমান বিষয়গুলি কি অর্থ প্রকাশ ও পরিগ্রহ করবে আর তাই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান ও শ্রাব্য উপাদান এবং Symbolism (প্রতীকবাদ) তত্ত্বের প্রায়োগিক উপস্থিতিই দেখতে পাওয়া যায় । প্রপস এবং পোশাক থেকে শুরু করে আলো এবং ক্যামেরার কোণ , আর বস্তু নিচয়ের অবস্থিতি ও ফ্রেমে গমনাগমন- কৌণিকতা পর্যন্ত সকল কিছুর যে কোন প্রকার অর্থবাচকতা এমনি কি এর দ্ব্যর্থবোধক নিদিষ্ট পরিনতিবাচকতা দাড় করাতে পারেন ঘাঘু ফিল্ম মেকার । দর্শকদের অভিজ্ঞতা এবং চিত্র ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিতে হেরফের করে একটি নির্দিষ্ট রঙ একটি চরিত্র ও তার ব্যক্তিত্ব বা আবেগকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে ফিল্ম। তাই ভারতীয় নাট্যতত্ত্বে কান্তি বিদ্যার রস, ভাব- বিভাব ও অনুভাবগুলোও সম্পস্থিত হয়েছে ফিল্মে তার নিজস্বতা ( রঙ – সপ্তক কিংবা অঙ্গ সঞ্চালনাদি ও এক্সপ্রেসান , সংলাপ) নিয়েই। এযুগে সম্পাদনায় কম্পিউটার কৌশল যেমন ফিল্ম মেকিং-এ নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে আবার অন্য দিকে আফটার এফেক্ট ইত্যাদি কৃত্রিম ভিজুয়াল এফেক্ট ফিল্মকে আরেক রুপ দিয়ে ফেলেছে । শব্দ , সঙ্গীত আর সংলাপ অভিঘাত কোনটিই অনুপেক্ষণীয় নয় ।
‘’ for the taboo object is thought to be "contagious", its pollution inevitably transmitted to the violator’’.
যোগাযোগ বলতে এক বা একাধিক ব্যক্তির দ্বারা এমন বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণের কাজকে বোঝায় যা শব্দ দ্বারা বিকৃত হয়, একটি প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটে, কিছু প্রভাব ফেলে এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য কিছু সুযোগ প্রদান করে (ডেভিটো, ১৯৯১)। ভাষাগত বা অ-ভাষাগত, মৌখিক বা অমৌখিক, প্রতিটি বার্তা ব্যবস্থাই লক্ষণের (sign & symbol )একটি ব্যবস্থা। তাই, মানুষ লক্ষণের জগতে নিমজ্জিত - মানুষ হওয়া মানে লক্ষণের স্রষ্টা, প্রচারক এবং ভোক্তা হওয়া (ট্রেনহোলিন, ১৯৮৬)। অর্থ কীভাবে উৎপন্ন এবং প্রকাশ করা হয়? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং সংস্কৃতির মধ্যস্থতায় অর্থ গঠনের জন্য মানুষ লক্ষণ ব্যবহার করে কারণ, যেমন লেস্টার (১৯৯৫) বলেছেন, দৃশ্যমান ভাষার অস্তিত্ব স্বীকার করার সমস্যা হল স্থিরচিত্র বা চলচ্চিত্রের ফটোগ্রাফিতে কোনও শব্দ - চিত্রগত উপাদান - নেই, বরং দৃশ্যমান বর্ণনার কোনও সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য ভাষা নেই। যেহেতু আমরা ইলেকট্রনিক মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত একটি পৃথিবীতে বাস করি, বিজ্ঞাপনদাতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গ্রাফিক শিল্পী, চিত্র-নির্মাতাদের মতো দৃশ্যমান বার্তার প্রযোজকরা সকলেই আমাদের অর্থ তৈরির প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য চিত্র এবং লক্ষণ ব্যবহার করে থাকেন।
Film Experience
. ‘’We break down and recompose the universe according to our wonderful whims’’.— Manifesto of Futurist Cinematography, 1916
As soon as the lights are lowered, the huge rectangle of the screen — previously noted without interest — becomes the viewer’s total universe. What transpires here in bursts of light and darkness is accepted as life; the images reach out to him; he enters them. The many mysteries of film begin at this moment; the acceptance of a flat surface as three-dimensional, of sudden action-, scale- or set-changes as ordinary, of a border delimiting this fraudulent universe as normal, of black-and-white as reality. The spectator, Rudolf Arnheim points out,3 experiences no shock at finding a world in which depth perception has been altered, sizes and distances flattened and the sky is the same colour as the human face.
proudly proclaimed poetry (the subconcious) the supreme weapon of know- ledge and conquest. Rationalism and realism were insufficient precisely because they omitted instinct and the subconcious. Wallace Fowlie has defined the realist as one who tells us what he sees of the world, the philosopher, what he thinks of it, the poet, what he knows. (4) Poetic knowledge is "truer" than rational knowledge: the poet-artist is the seer, possessing magic qualities which neither he nor the spectator fully grasp.
?
‘It is at the movies that the only absolutely modern mystery is celebrated’,said André Breton.' It is appropriate that it was a surrealist who so well expressed the curious combination of technology and metaphysics ' that is cinema; for modern science’s realiza-tion of a continuum from the rational to the irrational relates directly to the very nature of the film-viewing process. This entails a darkened theatre, greater openness to suggestion, the semi-hypnotic trance of the viewer, the surfacing of deeper desires and anxieties, and the inhibition of reasoned response in favour of ‘gut-level’ reaction. Far from representing a defeat in man’s struggle toward consciousness, the acceptance of this inevitable duality (the flowing into each other of rationalism and irrationality) is itself a step toward the future. The mechanics of the film-viewing process have been discussed by Mauerhofer, Kracauer, Stephenson-Debrix and others,’though a comprehensive analysis remains to be undertaken. The viewer enters the theatre willingly, if not eagerly, ready for surrender, (and deeply dissatisfied later if the film is ‘bad’ and the illusion does not ‘work’). The film experience requires total darkness; the viewer must not be distracted from the bright rectangle from which huge shapes impinge on him. Unlike the low-pressure television experience (during which the viewer remains aware of room environment and other people, aided by appropriately named ‘breaks’), the film experience is total, isolating, hallucinatory. The viewer ‘forgets’ where or who he is and is offended by stray light, street or audience noises which destroy the anticipated,accepted illusion.
ও Fuzzy logic ফাজি লজিক হল এক ধরণের বহু-মূল্যবান লজিক যা ভেরিয়েবলগুলিকে কেবল সত্য বা মিথ্যার পরিবর্তে এবং 1 এর মধ্যে সত্য মান রাখতে দেয়। এটি আংশিক সত্য উপস্থাপন করতে এবং অনিশ্চতা এবং অস্পষ্টতা পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়, যা এটিকে AI, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্যবান করে তোলে।
তাই ফিল্ম কে লোক সংস্কৃতির অংশও বলবার প্রয়াস বা এক প্রকার চল কোথাও কোথাও লক্ষ্য করা গিয়েছে । আর জর্জেস মেলিয়েস (Georges Méliès ) চলচ্চিত্রে তার অনেক উদ্ভাবনের জন্য বিখ্যাত। তিনি কাল্পনিক আখ্যান (fictional film ) সিনেমা নির্মাণকারী প্রথম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন এবং তাকে চলচ্চিত্রে বিশেষ প্রভাবের উদ্ভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাথমিক David Wark Griffith , Robert J. Flaherty -এর Nanook of the North , Italian Futurism , French Impressionist Cinema, Sir Charles Spencer Chaplin ও Joseph Frank Buster Keaton এবং Robert Wiene এর The Cabinet of Dr. Caligari আর Fritz Lang সাহেবের Metropolis ফিল্মকে একটি ছকে আনবার কাজটি সেরে দিয়েছিল । আর Sergei Mikhailovich Eisenstein ও তারবাদে Basil Wright তার The Song of Ceylon এ ( a 1934 British documentary film produced by John Grierson for the Ceylon Tea Propaganda Board.) ফিল্মের প্রচারণামূলক কাজে ব্যবহারের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করেছিলেন । এছাড়াও পূর্বাপর বিভিন্ন সময়ে নানা দার্শনিক মাতবাদপুষ্ট , রাজনৈতিক মতাদর্শ ও শিল্প – সাহিত্য আন্দোলন – avant-garde movements –প্রযুক্তি উৎকর্ষতা ফিল্মশিল্প স্কলারগণ ধারাবাহিক ভাবে ফিল্মের নিজস্ব ভাষা ব্যাকরণকে সমৃদ্ধতর ও তাত্ত্বিক ভিত্তি দিয়েছেন । লোক প্রিয়তা শিল্পের খুব বড় মাপকাঠি এটা মানতে অনেকেই হয়তো নারাজ । তবু এদের ভেতর নির্বাক যুগের পর সবাক যুগে ১৯২৬-এ সিঙ্ক্রোনাইজড মিউজিক্যাল স্কোর এবং সাউন্ড এফেক্ট সমৃদ্ধ চলচ্চিত্র ‘ডন জুয়ান’ ও ১৯২৭ সালের শেষের দিকে, ওয়ার্নার্স –রা ‘’ দ্য জ্যাজ সিঙ্গার’’ ফিল্মটি প্রকাশ করেন। Short Film "The Love of Zero" (1928) ও ১৯৩০ এ ‘’Under The Roofs Of Paris’’ এগুলি ফিল্ম বিনোদন শিল্পে অন্য মাত্রা আনে । এরপর Film Noir , Neorealism , German Expressionism , Polish Film School , Nouvelle vague , Parallel cinema, or New Indian Cinema, ব্রিটিশ নিউ ওয়েভ , চেক নিউ ওয়েভ ও যুগস্লয়াভ ব্লেক সিনেমা , The House Un-American Activities Committee, টেলিভিশন এর প্রসার ও জনপ্রিয়তা - কিউবা ও লেফট সিনেমা , Third Cinema এবং New German Cinema , Berlin School (early 2000s) ও American New Wave , Iranian New Wave ,. Budapest School (est. 1972-1984) , Australian New Wave , L.A. Rebellion . No Wave Cinema , Japanese New Wave , Film noir
, American Avent guard cinema ,ড্রাগ কাউন্টার কালচার , এ্যন্টি এসটেবলিস্মেন্ট কাউন্টার কালচার , Americanization বিরোধিতা , ন ওয়েভ American underground filmmaker, The American independent film movement, guerrilla filmmaking সহ সরকারি মন ভঙ্গি , অর্থলগ্নীর সমস্যা ইত্যাদি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা আর অধুনা কম্পিউটার নানাভাবে ফিল্ম মাধ্যমকে প্রভাবাধীন রেখেছে ।
যেমনটা দেখা গেছিলো , জ্যাক নিকলসন, ডেনিস হপার এবং পিটার ফন্ডা অভিনীত ইজি রাইডার যা ১৯৬০-এর দশকের যুব সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্বাধীনতা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুভূতিকে ধারণ করে লোক প্রীতির দিকে খেয়াল ও পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক মন্দের মূলে থাকা একটি নৃশংস "প্রতিষ্ঠানের" নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরেছিল । এছাড়া মাফিয়া জগত , ভায়লেন্স আর যৌনতাকে পূঁজি করে বহু বিস্তর ব্যবসা সফল ছবি হয়েছে । The American Film Institute also compiled a list of influential films, including "Citizen Kane," "Casablanca," "The Godfather," and "Gone with the Wind" , Sweet Smell of Success (1957) ,Paths of Glory (1957) ছাড়াও Lawrence of Arabia,The Guns of Navarone,Secrets & Lies (1996) , The Conformist (1970) , The Great Escape ,থেকে শুরু করে alfred Hitchcock , western movies ও war movies সহ নানান ঘরানার ছবির পসরা নিয়ে সারা দুনিয়াকেই এক প্রকার নাচিয়ে ছেড়ে দিয়েছে অ্যামেরিকান মুভি থিয়েটার ।
এক্সপেরিমেন্টাল সিনেমা ও Subverive Art:
‘Your order is meaningless , my chaos is significant’ -Nathanael West
Subversion (from Latin subvertere 'overthrow') refers to a process by which the values and principles of a system in place are contradicted or reversed in an attempt to sabotage the established social order and its structures of power, authority, tradition, hierarchy, and social norms.
"subversive ইংরেজি শব্দটি অনেকটা এমনই কিছু –যা একটি প্রতিষ্ঠিত বা বিদ্যমান ব্যবস্থা, বিশেষ করে আইনত গঠিত সরকার বা বিশ্বাসের একটি সেটকে ধ্বংস বা উৎখাত, ধ্বংস বা দুর্বল করার প্রবণতা বা ইচ্ছা।
শিল্প - সাহিত্য ও চলচ্চিত্র দর্শনে বিভিন্ন নব্যবাদী ধারণা পরীক্ষা নিরীক্ষা , মনঃসমীক্ষণ তত্ত্ব , বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রবণতা বিশেষত surrealist অঙ্কন - Absurdistদের সাহিত্য রীতি - existentialism ও NON MEANING OF ART (আর দ্বিতীয় মহা সমর উত্তর ) সময়ে nihilism শিল্পের ... এবং দৃশ্যমান নিষিদ্ধকরণের রীতি প্রথা ও মনোভাবের (visual taboo) উপর আক্রমণ এবং খোলামেলা, বাধাহীন প্রদর্শনের মাধ্যমে সমাজ কাঠামো প্রথা-প্রতিষ্ঠান , মূল্যবোধ , অচলতা ও প্রবণতাকে প্রতি আক্রমন নির্মূল ,গভীরভাবে ধ্বংসাত্মক প্রবনতার কারনে প্রচলিত নৈতিকতা এবং ধর্মের উপর আঘাত এবং ফলত আইন ও শৃঙ্খলার উপরও প্রত্যাঘাত করেছে।
এটি চিরন্তন মূল্যবোধের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং তাদের ঐতিহাসিকতাকে অসৌজন্য ও নগ্নভাবে উন্মোচিত করেছে। এটি ইন্দ্রিয় এবং লালসার বৈধতাকে বৈধ মানবিক বিশেষাধিকার হিসেবে কোথাও কোথাও ঘোষণা করে। এটি প্রকাশ করে যে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ যা ক্ষতিকারক বলে ঘোষণা করে তা আসলে উপকারীও হতে পারে।
এটি জন্ম ও মৃত্যু, আমাদের প্রথম এবং শেষ রহস্য, মানবিক আলোচনার ক্ষেত্রে নিয়ে আসে এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতা সহজ করে। এটি যুক্তিবাদী মনোভাবকে উৎসাহিত করে যা মূলত অ্যাটাভিস্টিক কুসংস্কারের সাথে সাংঘর্ষিক। এটি অঙ্গ এবং মলমূত্রকে রহস্যমুক্ত করে। এটি মানুষকে পাপী হিসেবে সহ্য করে না, বরং তাকে এবং তার কর্মকে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করে। যারা নিষিদ্ধকরণ বাতিল করে তাদের কাছে, "মানুষের কিছুই বিজাতীয় নয়," কারণ তারা মানব প্রচেষ্টার বহুমুখীতা এবং শুধুমাত্র সাধারণ কাঠামো এবং মহাজাগতিক পরিবেশ দ্বারা সীমাবদ্ধ একটি উদ্যোগের বৈচিত্র্য দেখে অবাক হয়। শিল্পের এই ধ্বংসাত্মক প্রবণতা কে নিয়ে Subversive art, যা সাধারণভাবে, এমন শিল্পকর্ম যা সমাজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত নিয়ম, মূল্যবোধ এবং ক্ষমতা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করে বা প্রতিষ্ঠিত সামাজিক, রাজনৈতিক, বা সাংস্কৃতিক রীতিনীতি এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে, দুর্বল করে, বা বিকৃত করে ও ক্ষুণ্ন করে। এর মধ্যে সামাজিক কাঠামো, রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা সাংস্কৃতিক বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রতি নিয়ম জড়িত থাকতে পারে। এর উপাদান প্রায়শই স্থিতাবস্থা ব্যাহত করার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যঙ্গ, বিদ্রূপ এবং সরাসরি সমালোচনা ইত্যাদি ।
তাই "subversive ART ‘এটি প্রায়শই সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে উস্কে দেওয়া, ব্যাহত করা এবং উৎসাহিত করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। subversive ART এর বিধ্বংসী প্রবনতা বিভিন্ন রূপ নিতে পারে, রাস্তার শিল্প এবং অভিনয় থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র এবং সাহিত্য ও কাপড় জামা পর্যন্ত। স্থিতাবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ করে এ বিধ্বংসী শিল্পের লক্ষ্য কর্তৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, ক্ষমতার কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করে এবং বৈষম্য প্রকাশ করে বিদ্যমান শৃঙ্খলাকে ব্যাহত করা।
আর তাই " subversive film"ও হলো এমন একটি চলচ্চিত্র যা প্রতিষ্ঠিত নিয়ম, মূল্যবোধ বা ক্ষমতা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করে বা অবমূল্যায়ন করে। এটি কর্তৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, সামাজিক অবিচারকে প্রকাশ করে, অথবা স্থিতাবস্থার বিরোধিতা করে বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে তা করতে পারে। এ চলচ্চিত্রগুলি চিন্তা-উদ্দীপক, বিতর্কিত এবং প্রায়শই সীমানা লঙ্ঘন করতে পারে।এক্ষেত্রে চলচ্চিত্রে বিপর্যয় আখ্যান / subversive film কৌশল, চরিত্র বিকাশ এবং চাক্ষুষ নান্দনিকতার মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে যা ঐতিহ্যবাহী গল্প বলাকে চ্যালেঞ্জ করে।(Counter-hegemonic) প্রতি-আধিপত্যবাদী চলচ্চিত্রগুলি প্রায়শই সামাজিক অবিচার তুলে ধরার জন্য এবং মূলধারার সিনেমায় সাধারণত প্রান্তিককৃত বিকল্প আখ্যানগুলিকে প্রচার করার জন্য বিপর্যয় ব্যবহার করে। বিপর্যয়কে ক্ষমতায়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তাদের আখ্যান পুনরুদ্ধার করতে এবং পরিচয়, জাতি, লিঙ্গ এবং যৌনতার বিষয়গুলি ঘিরে সমালোচনামূলক সংলাপ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
চলচ্চিত্রকে প্রকাশের জন্য অবচেতনঃ Where Is The Friend's House?
…and The attack on the visual taboo ...এবং নিষিদ্ধদৃশ্যমানকরণের উপর আক্রমণ এবং খোলামেলা, বাধাহীন প্রদর্শনের মাধ্যমে এর নির্মূল , গভীরভাবে তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে । কারণ এটি প্রচলিত নৈতিকতা এবং ধর্মের উপর আঘাত করে এবং এর ফলে আইন ও শৃঙ্খলার উপরও আঘাত করে। এটি শাশ্বত মূল্যবোধের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং অভদ্রভাবে তাদের ঐতিহাসিকতা উন্মোচিত করে। এটি ইন্দ্রিয় এবং লালসার বৈধতাকে বৈধ মানবিক বিশেষাধিকার হিসেবে ঘোষণা করে। এটি প্রকাশ করে যে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ যা ক্ষতিকারক বলে ঘোষণা করে তা আসলে উপকারী হতে পারে। এটি জন্ম এবং মৃত্যু, আমাদের প্রথম এবং শেষ রহস্য, মানবিক আলোচনার ক্ষেত্রে নিয়ে আসে এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতা সহজ করে। এটি যুক্তিবাদী মনোভাবকে উৎসাহিত করে যা মূলত অ্যাটাভিস্টিক কুসংস্কারের সাথে সাংঘর্ষিক। এটি অঙ্গ এবং মলত্যাগকে রহস্যমুক্ত করে। এটি মানুষকে পাপী হিসেবে সহ্য করে না, বরং তাকে এবং তার কর্মগুলিকে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করে। যারা নিষিদ্ধকরণ বাতিল করে তাদের কাছে, "মানুষের কিছুই বিজাতীয় নয়," কারণ তারা মানব প্রচেষ্টার বহুমুখীতা এবং শুধুমাত্র সাধারণ কাঠামো এবং মহাজাগতিক পরিবেশ দ্বারা সীমাবদ্ধ একটি উদ্যোগের বৈচিত্র্য দেখে অবাক হয়।
"বিষাক্ত" (toxic )শব্দটি এমন একটি সিনেমার বিষয়বস্তু বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় যা নেতিবাচক বা ক্ষতিকারক আচরণ, বিশ্বাস বা মনোভাব (সহিংসতার চিত্রায়ন, অবাস্তব সৌন্দর্যের মান, অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক এবং ক্ষতিকারক কর্মের মহিমা প্রকাশ) প্রচার করে। toxic cinema বিষয়বস্তুর প্রভাবে দর্শকদের মনোভাব, আচরণ এবং সামগ্রিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
নিউরোসিনেমা বা নিউরোসিনেমেটিক্স এবং
Portraying বা depiction, portraiture, effigy, picture ...
যখন আমরা কোন সিনেমা দেখি, তখন বাস্তব জীবনে সিনেমার পরিস্থিতি অনুভব করলে আমাদের মস্তিষ্কের অনেক প্রতিক্রিয়া একই রকম হয়। আমরা যখন সিনেমার ভেতরে প্রবেশ করি, গভীরভাবে বোধগম্যতার সাথে জড়িত থাকি, তখন আমরা এই প্রতিক্রিয়াগুলি আরও বেশি অনুভব করি। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আবেগগত ক্যাথারসিস হয়। দর্শকদের মস্তিষ্ক পর্দায় চরিত্রগুলির আবেগকে প্রতিফলিত করার প্রবণতা রাখে।
Neurocinematics হচ্ছে সিনেমা দেখা, বা সিনেমার নির্দিষ্ট দৃশ্যগুলি কীভাবে মানুষের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং কোনও সিনেমা বা দৃশ্যের প্রতি মানুষের মস্তিষ্ক যে প্রতিক্রিয়া দেয় তার বিজ্ঞান । নিউরোসিনেমা বা নিউরোসিনেমেটিক্স এর গবেষণার বিশেষায়িত বিসয়গুলি চর্চা ২০০০ ১ম দশকে শুরু হয়েছে যদিও, এই ধারণাটি চলচ্চিত্রের প্রাথমিক বছরগুলি থেকেই প্রচলিত।)হল সিনেমা দেখা, অথবা সিনেমার নির্দিষ্ট দৃশ্যগুলি মানুষের মস্তিষ্ককে কীভাবে প্রভাবিত করে এবং যে কোনও সিনেমা বা দৃশ্যের প্রতি মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া কী তা বোঝার বিজ্ঞান। নিউরোসিনেমা শব্দটি এসেছে স্নায়ুবিজ্ঞানীদের কাছ থেকে যারা অধ্যয়ন করেন যে কোন সিনেমার কোন অংশগুলি দর্শকের মস্তিষ্কের উপর (fMRI মেশিনে) সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। এই জ্ঞান অর্জন কেবল স্নায়ুবিজ্ঞানের স্তরেই নয়, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্যও উপকারী। সের্গেই আইজেনস্টাইনের মন্টেজ তত্ত্ব , কুলেশভ এফেক্ট " , ডিডব্লিউ গ্রিফিথের কাজ চলচ্চিত্রের এই ধারণার কথা উল্লেখ করে আলফ্রেড হিচকক বলেন , "[চলচ্চিত্র] সৃষ্টি দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার একটি সঠিক বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তৈরি"।তিনি এমআরআই প্রযুক্তির ধারণার অনেক আগেই এই কথাটি বলেছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিপণন সংস্থাগুলি নিউরো মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এই গবেষণার ক্ষেত্রে তাদের পা রেখেছে । তাঁরা "fMRI, EEG, inter-subject correlation analysis (ISC),গ্যালভানিক ত্বকের প্রতিক্রিয়া, চোখের ট্র্যাকিং এবং অন্যান্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি" ব্যবহার করছেন।
( চলবে ) । ।