এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফিল্ম বায়ো : ব্যক্তিগত অভিজ্ঞান (  ২য়  অংশ )

    Nahid Ul Islam লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ জুলাই ২০২৫ | ৪২ বার পঠিত
  • ফিল্ম প্রযুক্তিঃ সিনেমা আসলে একটি ভিজুয়াল দৃষ্টি বিভ্রম 
    I Was Born, But… (Yasujiro Ozu, 1932)  image
      
    "একটি ছবি হাজার শব্দের সমান। হ্যাঁ, কিন্তু শুধুমাত্র যদি আপনি ছবিটি দেখেন এবং হাজার শব্দের সমান বলে মনে করেন" -  উইলিয়াম সরোয়ান
    ক্যামেরা প্রত্যেক ছবি একটি ''ফ্রেম'' গঠন করে। এটা একটি কৌশল-এর মধ্য দিয়ে সম্পাদন করে পরে ফ্রেমগুলো ছবির একটি সারি একটি সুনির্দিষ্ট ফ্রেম রেট  বা গতিতে সিনেমা প্রজেক্টরে চালানো হয়, (প্রতি সেকেন্ডে ফ্রেম সংখ্যা বা fps)। সিনেমার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেম রেট হল ২৪ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড (fps)। এতে করে (FPS এর কারণে) গতির মায়া  বা বিভ্রম তৈরি হয় ।  যখন ছবিগুলো একটি নির্দিষ্ট ফ্রেম রেটে দ্রুততায় দেখানো হয় তখন একজনের চোখ ও মস্তিষ্ক আলাদা আলাদা ছবিগুলো একসাথে জোড়া দিয়ে একটা গতির ভ্রম দেখতে পায়। মনে প্রতীতি জন্মে যে সেগুলো  মুভিং ইমেজ ,  তাই একে সর্ট ফর্মে মুভিও বলা হয় ও পরবর্তীতে সবাক যুগে একে টকিজ-ও বলা হয়েছিল ।    
    বহুমাত্রিক অভিঘাত এর নিজস্ব ব্যস্থাপনা মেকানিক্স – মার্কেটিং ও strategic initiatives,মতাদর্শ ও মনক্রিয়া ,শিল্প চেতনা আর সাহিত্যবোধ , নান্দনিকতা ও কান্তিময় বিনোদন এর উপাচার নিয়ে  প্রযুক্তিগত  শিল্প মাধ্যম সিনেমার  (ইনভেস্টার সন্তুষ্ট করা বা এওয়ার্ড বাগানো বা প্রোপ্যাগান্ডা চালানো ইত্যাদি যাই হোক চালিয়ে যাওয়া ) নিজস্ব শিল্প চেতনাকে মাথায় রেখে ( রিয়্যালিটি) ব্যাখ্যাদানে বিদ্যমান সুযোগ ও বিপুল বিস্তারি সম্ভাবনা ক্ষেত্র এই প্ল্যাস্টিক আর্ট বা ফিল্ম মানুষের অভিযাত্রিক মনের চিন্তা সমাধানের এক বিশাল খোঁড়াক জুগিয়ে গেছে।   
     
     
    সিনেমাঃ দৃশ্যমান শব্দভাণ্ডার 

    visual vocabulary (ai থেকে ) ( visual vocabulary capable of expressing its speech and message related to its spiritual aesthetic needs and social concerns as a meditative art combining sacred and mundane. ) যা সকল সময়েই ফিল্মে গুরুত্বের সাথে বিবেচিত। 
    "মুভিজ অ্যান্ড দ্য মডার্ন সাইকি" একটি বিষয় হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠিত হচ্ছে । নানা বিষয় ছাড়াও  চলচ্চিত্র থেরাপির সাম্প্রতিক বৃদ্ধি, চিকিৎসা কৌশল, তত্ত্ব পরিবেশ ইত্যাদি এর নিয়ে যা পরিব্যপ্ত।  প্রাথমিক ভৌতিক চলচ্চিত্র এবং শীতল যুদ্ধের থ্রিলার (যেমন ক্যালিগারি, মাবুস এবং দ্য ইপক্রেস ফাইল) জুড়ে থাকা মন-নিয়ন্ত্রক খলনায়ক থেকে শুরু করে অসংখ্য রাজনৈতিক রূপকথা এবং ব্যক্তিগত নাটক (শক করিডোর, স্পেলবাউন্ড, ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কাকু'স নেস্ট এবং গার্ল ইন্টারাপ্টেড) -এ থাকা আশ্রয়স্থল, মাদক, ভয় এবং ব্যাধি যা আমাদের অনেক প্রিয় চলচ্চিত্রে (একটি ছোট উদাহরণ হিসাবে, ভার্টিগো, নাইট অফ দ্য হান্টার, সাইকো, রেইনম্যান, ফাইট ক্লাব, রিকুয়েম ফর আ ড্রিম ,ব্যাটম্যান বিগিনস সহ) বিস্তৃত । সিনেমায় মনোবিজ্ঞান বা  মনোবিজ্ঞানের সিনেমাগুলি থেকে কারোর নিস্তার নেই। সিনেমা এবং মনোবিজ্ঞানের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া দেখে, এই বইটি পাঠকদের আজকের জীবনে চলচ্চিত্রের এত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবের কিছু মৌলিক কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট এবং মৌলিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। মুভিজ অ্যান্ড দ্য মডার্ন সাইকিফার্স্ট মনোবিশ্লেষণ, পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞান, আচরণগত কন্ডিশনিং এবং হিপনোসিসের মৌলিক ধারণাগুলি বর্ণনা করে, যা সকলেই চলচ্চিত্র এবং মনোরোগবিদ্যা উভয়ের ইতিহাসে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। Icahn School Of Medicine at Mount Sinai এর Ms.Sharon Packer (Asst. Clinical Professor of Psychiatry & Behavioral Science ) সহ সকলে তাদের লেখায় এগুলোর ব্যাখ্যায় গেছেন ও অভিঘাত নিয়ে নিরন্তর আলোক অনুসন্ধান চলছে ।  সমালোচনামূলক চিহ্ন মানতার (sign systems on critical literacy abilities) ক্ষমতার উপর অন্যান্য সাইন সিস্টেমের প্রভাব সনাক্ত করার জন্য সেমিওটিক্স একটি কেন্দ্রীভূত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। ভিজ্যুয়াল যোগাযোগের সেমিওটিক্স পদ্ধতি একটা বিশেষ ধারণার উপর জোর দেয় ।(Langrerhr,2003)।
    একটি চিহ্ন একটি শব্দ, একটি শব্দ বা চাক্ষুষ চিত্র হতে পারে। এটি এমন একটি বস্তু যা কিছু মনের কাছে অন্য অর্থ নিয়ে দাঁড়ায়। Ferdinand de Saussure এর মতন  (in Lechte, 1994 – কোট করেছেন ) John Lechte's work explores signs and visuals through a semiotic lens, often focusing on the relationship between visual representation and meaning in various contexts, including art, film, and the digital realm. He examines how signs function in conveying social, political, and ideological messages, often challenging conventional interpretations of the image and its role in shaping our understanding of the world.               
     একটি চিহ্নকে দুটি উপাদানে বিভক্ত করেছেন - the signifier (শব্দ, চিত্র বা শব্দ) এবং the signified. বার্জার ( in Moriarty, 1995a ) যেমন উল্লেখ করেছেন, অর্থের সমস্যাটি এই সত্য থেকে উদ্ভূত হয় যে সিগনিফায়ার এবং the signified এর মধ্যে এই দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পর্ক স্বেচ্ছাচারী এবং প্রচলিত এগুলি বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্ন জিনিস বোঝাতে পারে।
    শিল্পকলায় ভিজুয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ বলতে চিত্রের মাধ্যমে একটি বার্তা তৈরি বা ধারণা প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিক উপাদান এবং কৌশল (অর্থ প্রকাশের জন্য রেখা, আকৃতি, রঙ, গঠন এবং রচনার মতো বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার এতে অন্তর্ভুক্ত)  প্রয়োগকে বোঝায়। তাই প্রাসঙ্গিকভাবে  সিনেমায় ভিজ্যুয়াল ম্যানিপুলেশন সর্বজন স্বীকৃত একটি বিষয়  যা  চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দ্বারা ব্যবহৃত ইচ্ছাকৃত কৌশলগুলি যা  দর্শকরা একটি চলচ্চিত্র আখ্যান এবং এর আবেগকে গ্রহণ উপলব্ধি করে এবং কীভাবে অনুভব করবে সেটিকেও প্রভাবিত করে ।   এই কৌশলগুলির মধ্যে সম্পাদনা, ক্যামেরার ভাষা বিশেষত কৌণিকতা , আলো এবং স্পেসাল এফেক্ট  অন্যতম আর অভিনয় ও নাট্যকলার চিরাচরিত বিষয়গুলো তো আছেই ।
     যার সবকটিই দর্শকের দৃষ্টি নিবদ্ধকরণ এবং দৃশ্য জগতের ব্যাখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়ে থাকে। 
     
    সিনেমা শিল্প-  Some Kind of Mirror: Creating Marilyn Monroe    
    সিনেমা আমাদের অভিজ্ঞতা এবং সাংস্কৃতিক আখ্যানের আবেগগত এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রতিফলন প্রদান করে , আত্মদর্শন এবং আত্ম-আবিষ্কারের জন্য অনুঘটক হিসেবে  কাজ করতে পারে যা মানসিকতার উপর গভীর প্রভাব ফেলে  যার মধ্যে রয়েছে আবেগগত মুক্তি, প্রতিফলন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গির অন্বেষণ যা আমাদের  চিন্তাভাবনা,  আবেগ এবং আচরণকে প্রভাবিত করে। এটি ব্যক্তিদের তাদের অভ্যন্তরীণ জগৎ অন্বেষণ করতে এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করে। শব্দার্থিক বা  সেমিওটিক্স অথবা দৃশ্যমান চিন্তাভাবনা (Visual Thinking) এবং দৃশ্যমান চিহ্ন (Visual sign ) আর সিনেমা মানসিকতা (Cinema psyche )  ইত্যাদি সিনেমা রাজনীতির সাইন ভিজ্যুয়াল বুঝতে সহায়তা করে ।  সিনেমা ব্যক্তিদের এমন অনুভূতি অনুভব করার এবং প্রক্রিয়া( ভুত বা গত ) করার জন্য একটি নিরাপদ/ স্বস্তিস্থান প্রদান করতে পারে যা তারা অন্য কোথায়  লাভ/ প্রকাশ (সম্ভাব্য অন্তর্দৃষ্টি )করতে পারে না । তদুপরি,  সিনেমা সম্প্রদায়কে অনুভূতি (নিয়ে বা ) প্রদান করতে পারে ।  সম্পর্কিত চরিত্র এবং  আখ্যানের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যক্তিদের একাকীত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। আর  মোটিফের কথা না বললে প্রকৃতই এ লেখার অঙ্গহানি হবে । মোটিফ হলো শিল্পের, বিশেষ করে সঙ্গীতের, প্রধান উপাদান বা মূল বিষয়বস্তু। সাধারণ অর্থে, মোটিফ বলতে এমন একটি পুনরাবৃত্ত উপাদানকে বোঝায় যা শিল্প, সাহিত্য বা সঙ্গীতের কোনও কাজের মধ্যে প্রতীকী বা বিষয়ভিত্তিক তাৎপর্য বহন করে। এটি একটি দৃশ্য উপাদান, একটি বাক্যাংশ, একটি চিত্র, একটি শব্দ, অথবা একটি ধারণা হতে পারে যা সামগ্রিক অর্থকে উন্নত করতে এবং আখ্যানের বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করার জন্য সমগ্র রচনা জুড়ে সাধারণতপুনরাবৃত্তি করা হয়। 
    দৃশ্য রেজোলিউশন  ছাড়াও ঘটিত কারণে ট্যাবু (Visual Taboo) হল ( মানসিক- সামাজিক ইত্যাদি কারণে )নিষেধাজ্ঞা, নিষেধাজ্ঞার জনিত দৃশ্য প্রতিবর্তী ক্রিয়া বা এড়িয়ে চলার মানসিক প্রবণতা ।  এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রায় সকল  সমাজেই বিদ্যমান যা গোষ্ঠীর ধারণার উপর ভিত্তি করে  থেকে তৈরি হয় । ফিল্ম বিশেষত Experimental films – আভা গার্ড   ,  Underground film, Guerrilla filmmaking, Independent film   ,  No wave cinema ,  সাবভারসিভ  সিনেমা ,আর্ট নেরেটিভ  ছবি  এ ধরণের   প্রচলিত নরমস বিরোধী উপাদানকে কাজে লাগিয়েছে ।                                                                                                                                                      Visual Thinking Strategies -Cyberpsychology ও Visual language processing (VLP)  এ বিষয়াবলী লিয়ে অধুনা artificial intelligence  দিয়ে  লোকেরা কাজ করছে ।
    সিনেমার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি মনস্তাত্ত্বিক ধারণা হল (অ্যারিস্টটলের তৈরি ) ক্যাথারসিস । সিনেমা, বিশেষ করে যেগুলো তীব্র আবেগগত পরিস্থিতি চিত্রিত করে, সেগুলো দর্শকদের জন্য একটি ক্যাথারটিক অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে। সমাজ জীবনের প্রতিফলন এবং আত্ম-আবিষ্কার , মানসিকতার আয়না হিসেবে সিনেমা এবং অচেতনকে অন্বেষণ করার মতো বিষয়গুলো ফিল্মে এসেছে  আর ফিল্ম প্রজুক্তি ও ফ্রয়েড এর  মনোবিশ্লেষণ তত্ত্ব  উভয়ই ১৯ শতকের শেষের দিকে আত্ম প্রকাশ করেছিল এবং  চলচ্চিত্র পণ্ডিত এবং মনোবিশ্লেষকরা একইভাবে বছরের পর বছর ধরে একটি উত্তেজনাপূর্ণ  আন্তঃবিষয়ক সংলাপে জড়িত পড়েছিলেন। মনোবিশ্লেষণমূলক  পদ্ধতির সাথে ফিল্ম  সেমিওটিক্সের অধ্যয়ন এই আন্তঃবিষয়ক সংলাপের একটি উদাহরণ। এই বিষয়ে, মেটজ (1980) যুক্তি দেন যে ‘’মনোবিশ্লেষণ চলচ্চিত্র উপভোগে দর্শক এবং ফিল্মিক বস্তুর মধ্যে ঘটে যাওয়া সম্পর্কগুলি বোঝার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে’’। Aesthetics ও সাইকোলজিকাল অভিঘাত তৈরি প্রসঙ্গে তাই একজন বলছিলেন –‘’ আবার অন্যদিকে Angles and camera position are not only important considerations when you want to get a favourable shot of someone. To take a simple example, a skilled photographer can make a crowd out of a few stragglers and vice versa ‘’।  সিনেমার ভাষা এবং মনোবিশ্লেষণের ভাষা (প্রক্ষেপণ, উপস্থাপনা, ক্ষেত্র এবং চিত্র) কীভাবে ওভারল্যাপ করে তা কেবল ভাবতে হবে কারণ সিনেমার কাঠামো আমাদের মনোবিজ্ঞানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, চলচ্চিত্রের নির্দিষ্ট চিত্ররের প্রভাব ব্যক্তির মধ্যে অচেনা অনুভূতিগুলিকে সক্রিয় করতে পারে, নীরব  অভিজ্ঞতাগুলিকেও বাক দান করে।                                                                                                
    এছাড়াও ফিল্ম দেখবার মনস্তত্ত্বে একটি জটিল আবর্তন বিদ্যমান । আর্থিক ও সময়ের বিনিয়োগ ছাড়াও দর্শকের মানসিক আত্মসমর্পণ অনেকটাই সম্মোহন প্রক্রিয়ার মতই । প্রায় অন্ধকার একটি বিশালাকার  স্থাপনা বা সিনেমা হল  যেখানে আলোর অনুপস্থিতিতে তাঁর ধারণায় তিনি  বিরাজমান আর  প্রক্ষিপ্ত বিষয়াবলীও তেমনি বিপুলায়তনের ও পুলকপ্রদ ।  স্বাভাবিক প্রতিবর্তী  সেখানে কেমন হতে পারে , তা সহজেই অনুমেয় । এরপর এটিই যখন টিভি স্ক্রিন হয়ে ঘটনা বহুল চরিত্রগুলোকে বাড়ির বৈঠকখানা বা লিভিং রুমে নিয়ে হাজির হয়েছিল  তার  আর এক মানসিক অভিঘাত এবং ইন্টারনেটের পার্সোনাল ডিভাইসের এ  যুগে আরও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে দিয়েছে সিনেমা ।  যার মুলে রয়ে গেছে  সিনেমার শিল্পের মৌলিক মানসিক দ্যোতনা সৃষ্টিক্ষম নিজস্ব বাস্তবতা আর চিরচেনা সেই সিনেমা এবং অবচেতন । চলচ্চিত্র দেখার অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে দর্শক এবং তাদের নিজস্ব গল্পের সাথে মিথস্ক্রিয়া করার পদ্ধতি - দৃশ্যমান চিত্রগুলির স্কিলফুল প্রেজেন্টেসান  এমন পরিচয় তৈরি করে যা  (দর্শন ও শ্রবণ )  ইন্দ্রিয়কে কমবেশি অনুভূতিমূলক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে নিয়ে তার মনকে ব্যপ্ত করে ফেলে । Georges Méliès /জর্জ মেলিয়েস ছিলেন একজন ফরাসি ঐন্দ্রজালিক ম্যাজিশিয়ান  ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি চলচ্চিত্রের শুরুর সময়ে অনেক প্রযুক্তিগত ও বর্ণনাধর্মী fiction film তৈরি ও বিকাশের পথ দেখান। 
    সিনেমাকে সর্বদা খুব ঐ যোগাযোগমূলক শিল্পের একটি বাহন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যা তার বহুমুখী বার্তাগুলির মাধ্যমে জটিল সনাক্তকরণ এবং একীভূত হবার সম্ভাবনা ,  অভিক্ষেপ প্রক্রিয়াগুলিকে রূপ দান , দর্শকের মধ্যে জ্ঞানীয়, আবেগপূর্ণ এবং আচরণগত প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তোলে। এপস্টাইন (১৯২১) মতে , ‘সিনেমা হল মানসিক, এবং এটি এর অন্তর্নিহিত বর্ণনামূলক পদ্ধতির" কারণে মানসিক জীবনকে বুঝতে সঠিক বর্ণনা প্রদান করতে পারে  (ইউসেবিও ২০১৭, পৃ. ৬)। বিশেষ করে, একটি সিনেমা হল "একটি সাংস্কৃতিক পণ্য যা এমন একটি পাঠ্য তৈরি করতে সক্ষম যার অর্থ বর্ণনামূলক, দৃশ্যমান এবং শব্দ উপাদানের উপর ভিত্তি করে" (ঐ: ৮) যা বিভিন্ন শৃঙ্খলাগত কোণ অনুসারে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে এবং চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত অনুভূতির থিমটি জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংযোগস্থলে  ক্রমবর্ধমানভাবে একটি আকার ধারণ করে। এই দৃষ্টিকোণ সিনেমাকে "আবেগগত যন্ত্র" (মালাভাসি ২০০৯, পৃ. ৩৬) এর ভূমিকার জন্য দায়ী করে, যা দর্শকের মধ্যে অনুভূতির একটি সমষ্টিকে প্রান দেয়। আর তাই ফিল্মে  VISUAL  taboo আর VISUAL thinking বিষয়টিও  খুব প্রাসঙ্গিক ও পঠিত বিষয় কারণ এর প্রশ্ন ও কারোয়াই হল  how  cinema works in the subconscious? 
    ( দ্বিতীয় অংশ  শ্যা ষ ।চলিবে ) 
    ২৪  of Muharram, 1447 AH It corresponds to July 18, 2025
    আজ রোজ শুক্রবার  ৩ লা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
    সজীব নজরুল
    মালিবাগ চ্যেধুর পাড়া
    ঢাকা, বাংলাদেশ

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন