এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফিল্ম বায়ো : ব্যক্তিগত অভিজ্ঞান ( ১ম অংশ )

    Nahid Ul Islam লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ জুলাই ২০২৫ | ৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ফিল্ম বায়ো :ব্যক্তিগত অভিজ্ঞান
    (লেখাটি শ্রী সত্যজিৎ রায়,জনাব গাস্তঁ রোবের্জ এবং কবি তরুণ সান্যাল - চিত্রবাণী আর অকাল প্রয়াত অমিতবাবুকে স্মরণ করে)

    “To please the majority is the requirement of the Planet Cinema As far as I’m concerned, I don’t make a concession to viewers, these victims of life, who think that a film is made only for their enjoyment, and who know nothing about their own existence ” - Andrzej Zulawski

    পঞ্চতন্ত্রঃ গল্প নাকি তর্জনী নির্দেশ?

    প্রাচীন ভারতীয় পণ্ডিত বিষ্ণু শর্মা ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে সংস্কৃত ভাষায় গ্রন্থটি লিখেছিলেন। এটি প্রাচীনতম টিকে থাকা গ্রন্থগুলির মধ্যে একটি। পঞ্চতন্ত্র এর উৎপত্তি সম্পর্কে কিংবদন্তি আছে যে, দাক্ষিণাত্য জনপদে মহিলারোপ্য নামে এক নগরে এক রাজা অমরশক্তি যার বহুশক্তি, উগ্রশক্তি ও অনন্তশক্তি নামের তিনটি পুত্র ছিল। এই তিন পুত্রই অত্যন্ত দুষ্কর্মা বা মূর্খ ছিল। অবস্থাদৃষ্টে রাজা মন্ত্রীবর্গকে বললেন, ‘‘মন্ত্রিগণ! আপনার জানেন যে, আমার এই পুত্রগণ শাস্ত্রজ্ঞানহীন, বিবেক ও বুদ্ধি শূন্য হইয়াছে। যাহা হউক, ইহাদিগের দিকে দৃষ্টি করিলে এই বিপুল রাজ্যও আমার নিতান্তই দুঃখজনক মনে হয়।’’ তিনি আরও জানালেন, ‘‘যে গাভী প্রসব করে না বা দুগ্ধও দেয় না, সেই গাভী রাখিয়া ফল কি?’’ অবিদ্বান সন্তানদের দুর্ভাবনায় মন্ত্রীবর্গের পরামর্শে জনৈক পণ্ডিত বিষ্ণু শর্মা কে আনা হল।

    রাজাকে পণ্ডিত বিষ্ণু শর্মা বলেছিলেন, ‘‘ভগবন! আপনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। আমি আপনাকে এক শত গ্রাম দান করিব।’’ অনন্তর বিষ্ণুশর্মা রাজাকে সম্ভোষ করিয়া বলিলেন, ‘‘দেব! আমার প্রকৃত কথা শুনুন, আমি এক শত গ্রাম দান লইয়া বিদ্যা বিক্রি করিব না। অধিক কি, আপনি শুনিয়া রাখুন, আমি একথা উচ্চ কণ্ঠে বলিতেছি। আমি অর্থলিস্পু হইয়া বলিতেছি না; আমার বয়ংক্রম 'অশীতিবর্ষ হইয়াছে, ইন্দ্রিয় ভোগ্য বিষয়ে আমি নিষ্পহ ; অর্থের আমার কোন প্রয়োজন নাই’। ’’

    পণ্ডিত বুঝতে পেরেছিলেন প্রচলিত উপকরণ এবং শিক্ষার কৌশলগুলি এই রাজকুমারদের সাথে ভালভাবে কাজ করবে না। এর পরিবর্তে পঞ্চতন্ত্রের গল্পগুলির মাধ্যমে তাদের শেখানোর সিদ্ধান্ত নেন। ঐতিহ্যগতভাবে বিষ্ণু শর্মার পাঁচটি খণ্ডের অধীনে একটি সংকলন পঞ্চতন্ত্রের গল্পগুলি। রাজপুত্রগণ সেই সকল শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া ছয় মাসের মধ্যে নীতিশান্ত্রে পারদর্শী হন।
    আদিতে গল্প ও কার্যত এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য কি আর রচয়িতার অভিপ্রায়ই বাকি তা সম্পর্কে কিঞ্চিত ধারণার দিতেই এ কাহিনীর অবতারণা।

    নীতিশাস্ত্র বা Ethics of moral phenomena হলো নৈতিক ঘটনার দার্শনিক অধ্যয়ন (philosophical study)। একে নৈতিক দর্শন (moral philosophy) ও বলা হয়। এর প্রধান শাখাগুলির মধ্যে রয়েছে আদর্শিক নীতিশাস্ত্র, প্রয়োগিক নীতিশাস্ত্র এবং মেটাএথিক্স (normative ethics, applied ethics and metaethics ) দর্শন - বিজ্ঞান এবং ঐশ্বরিকতা (বা ঐশ্বরিক পরিণতি, ঈশ্বরকে বিশ্বের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে বিশ্বাস করা, ঐশ্বরিক কর্ম)-র মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এটি কাজ করে। যদিও এটি বিজ্ঞানী এবং ধর্মতত্ত্ববিদ ও সাধারণ্যের একটি মতবৈরিতার ও বহুল বিতর্কিতালোচিত বিষয়।

    আর সিনেমার গোঁড়াতেও তাই ফিলসফি

    অ্যারিস্টটলের মূলভাব হলো, কবিতা হলো শিল্পের একটি অনুকরণমূলক (mimicry) রূপ। এই দিকগুলো শেখার যন্ত্র হিসেবে এবং বিশ্ব সম্পর্কে বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শিল্প কেন শিল্প, অন্যটি কেন শিল্প নয়? এর কোন ধরাবাঁধা সুত্র জবাব আমার অন্তত জানা নেই। তবে ব্যক্তি ও সমষ্টি, জন্য ও জনক, সিগ্নিফায়ার আর সিগ্নিফিকেন্স, আর শিল্পে চিহ্নমানতা – প্রতীক জিজ্ঞাসা কিংবা কে এর মান ঠিক করে দিলেন, এগুলো কেন এবং তা কিভাবে এ সকল কেবল বহুমাত্রিক আর যুগ প্রাচীন বিষয় হিসেবেই না আজকালকেও বহুল পঠিত ও নানা মুখিতত্ত্ব দ্বারা পরিবেষ্টিত। শিল্প জিজ্ঞাসা আর আত্ম জিজ্ঞাসা -জগত জিজ্ঞাসা সকল বোধই বোধ হয় জীবন জিজ্ঞাসায় এসে মিলেমিশে কোথায় যেন একাকার হয়ে গেছে এর হদিস আর আজ কেউ জানে না। এইসবই আর শব্দ ও ভিজুয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে সিনেমা বা প্ল্যাস্টিক আর্ট।

    তাই দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিটা সব কিছুতেই খুব প্রাসঙ্গিক। কারন সূত্রটা কেহ বলছেন ফিলসফি – সাইন্স ও স্পিরিচুয়ালিটি বা ডিভাইন আবার কেহ বলছেন কামসুত্র অর্থাৎ কর্ম – অর্থ ও ধর্ম। সেটা ইন্দ্রিয় পরায়ণ লোকেরা যাই বলুক সেন্সুয়ালিটি আর বা রিপুর নির্দেশে দাসত্ব অনুসারে প্রবৃত্তির অনুগমন বা মানুষের মনখেয়ালে চলাটাকে কোন কালেই পণ্ডিত বা বিদ্বৎসমাজ খুব একটা সুনজরে দেখে নাই।

    সত্য- সুন্দর আর কল্যাণ বা Longinus এর "On the Sublime" আর অ্যারিস্টটল যাই বলুন পশ্চিমা শিল্পতত্ত্বে প্রাগমেটিজম আধুনিক দর্শনের একটি অন্তর্মুখী ভাববাদী তত্ত্ব কার্যাবলীকে নিদিষ্ট পারপাস/ উদ্দেশের কথা বলেছে। তাহলে শিল্পের উদ্দেশ্যই কি? পশ্চিমা Axiology ( branch of philosophy- study of values and value judgments, what is considered "good," "valuable," or "worthy" in different contexts ছাড়াও) ethics, aesthetics, and economics, মূল্যবোধের প্রকৃতি, উৎস এবং প্রকারগুলিকে অধ্যয়ন করে। এটা শিল্প সাহিত্যেরও একটি প্রাথমিক উদ্দেশ্য।

    কিসেই বা উহার সার্থকতা ?

    প্রাচ্য, প্রতীচ্য কিংবা দূরপ্রাচ্যে শিল্প তার ধর্মজ - ব্যবহারিক ও আলংকারিক উপযোগিতার জন্যই আজানিত কারণে সুদূরাতিত কাল থেকেই মানব মনোসমাজে নিজস্ব স্থান নিয়েছে। তাই খ্রীস্টপূর্ব ১৬৫০০ থেকে ১৪০০০ অব্দের মাঝামাঝি কোনো সময়ে আঁকা আলতামিরার প্রথম গুহাচিত্র, ইলরা -অজন্তা আর গাজীর পট থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত শিল্প তাঁর স্বত্বায়- নিজস্বতায় রূপক, ধর্মীয় এবং ব্যবহারিক বা Art deco এবং decorative art, স্থাপত্য আর বাস্তু কলা ছাড়াও এর নানা দিক নিয়ে মানবিক অন্তর্জগতের এক মূর্ত প্রতিভু হয়ে উঠেছে।
    ‘’মৃচ্ছকটিক’’ নাটকটির (খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে দিকে রচিত ) মতো এ যুগে এসেও শিল্প- সাহিত্য আন্দোলন – স্থাপত্য ও বাস্তুকলা নিজ যুক্তি ও আদর্শকে প্রতিষ্ঠা, মত পথ দিকে তর্জনী নির্দেশ,আগম- নিগমের পথ বাৎলে দেয়া ছাড়াও এর দালিলিক গুরুত্ব বা বিবরণাদি- description/বর্ণনা ও ব্যাখ্যাদান ইত্যাদি কারণেও ফিল্ম আর্টের প্রায়োগিক ও উপযোগিতার ক্ষেত্রটির গুরুত্ব অনুধাবনযোগ্য। এ প্রসঙ্গে Stop Genocide, (1971) আর State is Born (1971) ডকুমেন্টরি ফিল্ম দুইটার কথা বললে আর অনুমানের অপেক্ষা রাখে না যে, ফিল্ম অভিঘাত আবেদনের কারণে ইন্ডিভিজুয়াল ও কালেক্টিভ মানস চেতনায় কতোখানি জোরালো ভুমিকা রাখতে সক্ষম।

    সাইকলজির কিংবা পলিতিকাল থিওরি, আচরণ বিজ্ঞান আর জীবন সংগ্রাম,প্রেম –অপ্রেমজ আবেগ – মন মন্থনের নানা বিষয় নিয়ে শিল্প -সাহিত্য নির্যাসে গড়ে ওঠা ফিল্ম কুশীলবদের নানাবিধ অভিব্যক্তি মানব অনুসন্ধানে ভূমিকা রেখে গেছে। ফিল্ম সাইকি, নিউরো সিমেনা - নিউরো সিনেমাটিক - নিউরটিক সেন্মা যাই হোক সাইবার সাইকির এ যুগে এর গবেষণার পরিধি বেড়েছে বৈ কমে নি।

    শিল্প কি স্বয়ম্ভূ?

    …তাই ঐশ্বরিকতা ধারনাটাই বোধকরি মানব জাতির কাছে সবথেকে নৈব্যক্তিক বিষয় আর তারপর সে নিজে। Microcosm থেকে সময়- প্রকৃতি, জন্ম/মৃত্যু হল নৈব্যক্তিকতার allegory আর ব্যাক্তি (সমষ্টির) নৈব্যক্তিক মেটাফর ও তার মৌলিক বহিঃপ্রকাশের উপমা কবিতা – চিত্র ও সুর লহরি। বিমূর্ত চিন্তা জগতে তাই জগত জিজ্ঞাসা- আত্ম জিজ্ঞাসা বা জীবন জিজ্ঞাসা কোথায় জানি না মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। আর কৈবল্য ?সরলার্থে ‘’ কেবলের সাথে -নিত্যের সাথে থাকা বা একা থাকা - বিচ্ছিন্ন থাকা ‘’। এই কন্সটেনট আর ভেরিয়েবেল, ইনফিনিটি আর অনিত্যতা, ইনার ফিলিং বা ভয়েজ অব ম্যান কাইন্ড যুগ পম্পরায় বারেবারে মিলেমিশে গেছে। তাই শিল্প সাধনার পরম ও চরম অভিলক্ষ্য কি এ জিজ্ঞাসা অনেকেরই? এ জন্যই কৈবল্য শব্দটি শিল্পকলা সাথেও জুড়ে দিয়ে কি কার্জ সমাধা হয়েছি তা সবিশেষ না জানলেও বাংলার লৌকিক শিল্প অন্বেষায় ধর্মজ-ব্যবহারিক ও আলঙ্কারিক শিল্পরীতি ও তাঁর লোক জিজ্ঞাসায় এখানো বহু বিষয়সুত্র লুকায়িত আছে।এটা অবশ্যই লেখকের একান্ত নিজস্ব ভাবনা জিজ্ঞাসার কথা।

    পূর্বরাগ

    ফরাসি বিপ্লবের দ্বারা উদ্দীপ্ত রোমান্টিসিজম ছিল আলোকিত যুগের বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদ এবং ধ্রুপদীবাদের প্রতিক্রিয়া।

    নিয়ন্ত্রণবাদ এর কর্তৃত্ব ও বৈষম্য, মেকিয়াভেলি আর ডন জুয়ানিসেম,উপনিবেশ আবিষ্কার ও দখলে আনা, ইউরোপীয় জাতি সমূহের নেসানালিজেম ধারণা ও প্রতিযোগিতা- সব কিছু নিয়েই ক্ষমতা চর্চার ইস্তেহার ওই ১৮ শতক। এ যুগে সংগঠিত শিল্প ও প্রযুক্তি বিপ্লবে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন - যন্ত্র আবিষ্কার ও উৎপাদন, বণ্টন, উপনিবেশ নির্ভর অর্থাগম গোটা দুনিয়াতেই এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সুচনা করেছিলো। ঠিক এই সময় বৈজ্ঞানিক ধারাবাহিকতায় ফিল্ম প্রযুক্তি ও ছাপাখানা আবিস্কার দুটো নব্য ধারার সৃজনশীল প্রকাশকে অবধারিত করে তুলেছিল। একটি প্ল্যাস্টিক আর্ট বা সিনেমা আর অন্যটি নভেল বই বা উপন্যাস। পশ্চিমের ওই নব উত্থানে আর সব কিছুর মতই হযরত Ibn al-Haytham (c 965 – 1040) The camera obscura আর নভেল এর আঁতুড় ঘর ফিলসফিকাল নভেল হিসেবে খ্যাত হযরত ইবন তফায়েল ‘’হাই বিন ইয়াকজান’’ প্রণিধান যোগ্য।

    ভাববাদী ও বস্তুবাদী দর্শন তাত্ত্বিক মেরুকরণ ছাড়াও এ সময়ে Naturalist and geologist Charles Darwin আর Alfred Russel Wallace (ইংরেজ প্রকৃতিবিদ, অভিযাত্রী, ভূগোলবিদ, নৃবিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী এবং চিত্রকর।) প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে বিবর্তন তত্ত্বের ধারণা করেছিলেন, তবে এতে গবেষক আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস বিশ্বাস করতেন যে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক নির্বাচন মানুষের বিবর্তন, বিশেষ করে মানুষের মনের বিকাশ এবং কিছু অনন্য মানবিক বৈশিষ্ট্যের সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করতে পারে না। তিনি প্রকৃতির নিয়মের পিছনে একটি নির্দেশক শক্তি বা "মহান মন" প্রস্তাব করেছিলেন, পরামর্শ দিয়েছিলেন যে আধ্যাত্মিকতা মানব বিবর্তনের এমন দিকগুলির অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে যা প্রাকৃতিক নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে সমাধান করতে পারে না। জীবনের উৎপত্তি এবং কিছু অনন্য মানব বৈশিষ্ট্যের পিছনে একটি "অলৌকিক" বা "অলৌকিক শক্তি"-তেও বিশ্বাস করতেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে প্রাকৃতিক নির্বাচন একটি উচ্চতর বুদ্ধিমত্তা বা "মহান মন" প্রাথমিক সৃষ্টি এবং মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী হতে পারে।

    Modernism-সময়ে ভাববাদ ও বস্তুবাদী দর্শন আর উপনিবেশ থেকে আসা সম্পদে নব্য অভিজাত সম্প্রদায় আর তাদের hedonism ও secular (ইংরেজি secular শব্দটির প্রতিশব্দটি আমাদের মনগড়া ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’ অর্থে নয়, প্রকৃতটি হল not connected with religious or spiritual matters non-church, non-religious, lay, temporal,worldly ইত্যাদি ) বা দুনিয়াবি মনোভাবের পণ্যায়ন ও ভগবাদের সাফাই গাইতে লিবারেলিজেম,laissez-faire আর post truth ও philosophy তে Relativism ইত্যাদি তত্ত্ব সহ বিজ্ঞানবাদ,মনস্তত্ত্ব -আচরণ বিজ্ঞান,গণমানুষের সংগ্রাম চেতনা - আর্ট মুভমেন্ট - সাহিত্য আন্দোলন ও ধারাসমুহ পরে Postmodernism আর Neoliberalism সিনেমাকে (film business এবং plastic art ) সকল অর্থে নানাভাব দারুন রকম প্রভাবিত ও চালিত করেছে। আর হ্যাঁ, Psychological warfare, যা PSYWAR নামেও পরিচিত ক্ষেত্রটিতেও সিনেমা শিল্পের নাম বোধকরি সর্বাগ্রেই আসবে। কেননা, সিনেমা হল যাবতীয় শিল্প-কলা ও সাহিত্য উপকরণ (যুগপৎ আর্ট এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ) ব্যতিরেকেও ফিল্মের অভিনিবেশ,প্রকরণ ও অনুধ্যান সকল মানবিক বোধ ও আবেগ সঞ্জাত রাসানুভুতির বিজ্ঞানপ্রদ- যুক্তিগ্রাহ্য -শিল্পসুসমা মণ্ডিত -কারিগরি উৎকর্ষতা ও অর্থায়নে একটি technical brilliance প্রসূত উৎপাদন প্রক্রিয়া ও সামগ্রী। সিনেমাকে সর্বদা যোগাযোগমূলক শিল্পের একটি বাহন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যা তার বহুমুখী বার্তার মাধ্যমে জটিল সনাক্তকরণ এবং অভিক্ষেপ প্রক্রিয়াগুলিকে রূপ দেয়, দর্শকের মধ্যে জ্ঞানীয়, আবেগপূর্ণ এবং আচরণগত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে (Epstein -1921)এবং এটি "তার অন্তর্নিহিত বর্ণনামূলক পদ্ধতি" (Eusebio 2017, p 6) এর কারণে মানসিক জীবনেকে বুঝতে (সঠিক) বর্ণনা প্রদান করতে পারে। বিশেষ করে, একটি সিনেমা হল একটি সাংস্কৃতিক পণ্য যা এমন একটি টেক্সট তৈরি করতে সক্ষম যার অর্থ বর্ণনা, দৃশ্য এবং শব্দ উপাদানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় (ivi: 8) যা বিভিন্ন শৃঙ্খলাগত কোণ অনুসারে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে এবং চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত অনুভূতির থিম ক্রমবর্ধমানভাবে রূপ পরিগ্রহ করেছে - ঠিক জ্ঞানের বিভিন্ন সংযোগস্থল ক্ষেত্রের মতই। এই দৃষ্টিকোণটি চলচ্চিত্রগুলিকে ``আবেগগত যন্ত্রের'' ভূমিকা প্রদান করে (মালাভাসি 2009, পৃ 36), দর্শকের মধ্যে অনুভূতির একটি সমষ্টিকে প্রাণ দেয় (Malavasi 2009, p 36)।

    ছবি এবং শব্দের এই থিসিস যা সিনেমা তৈরি করে প্রায় সর্বদা একটি রূপক মাত্রা গ্রহণ করে, সিনেমা "স্বভাবতই একটি গল্প, একটি কাহিনী" (Lotman 1973, p 71), এবং এটি হল এই ছবিগুলির উপলব্ধি যা দর্শকের মনে সচেতন এবং অচেতন প্রক্রিয়াগুলিকে সক্রিয় করে, আবেগগত বিষয়বস্তুকে উদ্বুদ্ধ করে …… আকার ধারণ করে।

    I Was Born, But… (Yasujiro Ozu, 1932) ফিল্ম প্রযুক্তিঃ সিনেমা আসলে একটি ভিজুয়াল দৃষ্টি বিভ্রম

    "একটি ছবি হাজার শব্দের সমান। হ্যাঁ, কিন্তু শুধুমাত্র যদি আপনি ছবিটি দেখেন এবং হাজার শব্দের সমান বলে মনে করেন" - উইলিয়াম সরোয়ান

    ক্যামেরা প্রত্যেক ছবি একটি ''ফ্রেম'' গঠন করে। এটা একটি কৌশল-এর মধ্য দিয়ে সম্পাদন করে পরে ফ্রেমগুলো ছবির একটি সারি একটি সুনির্দিষ্ট ফ্রেম রেট বা গতিতে সিনেমা প্রজেক্টরে চালানো হয়, (প্রতি সেকেন্ডে ফ্রেম সংখ্যা বা fps)। সিনেমার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেম রেট হল ২৪ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড (fps)। এতে করে (FPS এর কারণে) গতির মায়া বা বিভ্রম তৈরি হয়। যখন ছবিগুলো একটি নির্দিষ্ট ফ্রেম রেটে দ্রুততায় দেখানো হয় তখন একজনের চোখ ও মস্তিষ্ক আলাদা আলাদা ছবিগুলো একসাথে জোড়া দিয়ে একটা গতির ভ্রম দেখতে পায়। মনে প্রতীতি জন্মে যে সেগুলো মুভিং ইমেজ, তাই একে সর্ট ফর্মে মুভিও বলা হয় ও পরবর্তীতে সবাক যুগে একে টকিজ-ও বলা হয়েছিল।

    বহুমাত্রিক অভিঘাত এর নিজস্ব ব্যস্থাপনা মেকানিক্স – মার্কেটিং ও strategic initiatives, মতাদর্শ ও মনক্রিয়া,শিল্প চেতনা আর সাহিত্যবোধ, নান্দনিকতা ও কান্তিময় বিনোদন এর উপাচার নিয়ে প্রযুক্তিগত শিল্প মাধ্যম সিনেমার (ইনভেস্টার সন্তুষ্ট করা বা এওয়ার্ড বাগানো বা প্রোপ্যাগান্ডা চালানো ইত্যাদি যাই হোক চালিয়ে যাওয়া) নিজস্ব শিল্প চেতনাকে মাথায় রেখে (রিয়্যালিটি) ব্যাখ্যাদানে বিদ্যমান সুযোগ ও বিপুল বিস্তারি সম্ভাবনা ক্ষেত্র এই প্ল্যাস্টিক আর্ট বা ফিল্ম মানুষের অভিযাত্রিক মনের চিন্তা সমাধানের এক বিশাল খোঁড়াক জুগিয়ে গেছে।
    সিনেমাঃ দৃশ্যমান শব্দভাণ্ডার

    visual vocabulary (ai থেকে ) ( visual vocabulary capable of expressing its speech and message related to its spiritual aesthetic needs and social concerns as a meditative art combining sacred and mundane ) যা সকল সময়েই ফিল্মে গুরুত্বের সাথে বিবেচিত।

    "মুভিজ অ্যান্ড দ্য মডার্ন সাইকি" একটি বিষয় হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠিত হচ্ছে। নানা বিষয় ছাড়াও চলচ্চিত্র থেরাপির সাম্প্রতিক বৃদ্ধি, চিকিৎসা কৌশল, তত্ত্ব পরিবেশ ইত্যাদি এর নিয়ে যা পরিব্যপ্ত। প্রাথমিক ভৌতিক চলচ্চিত্র এবং শীতল যুদ্ধের থ্রিলার (যেমন ক্যালিগারি, মাবুস এবং দ্য ইপক্রেস ফাইল) জুড়ে থাকা মন-নিয়ন্ত্রক খলনায়ক থেকে শুরু করে অসংখ্য রাজনৈতিক রূপকথা এবং ব্যক্তিগত নাটক (শক করিডোর, স্পেলবাউন্ড, ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কাকু'স নেস্ট এবং গার্ল ইন্টারাপ্টেড) -এ থাকা আশ্রয়স্থল, মাদক, ভয় এবং ব্যাধি যা আমাদের অনেক প্রিয় চলচ্চিত্রে (একটি ছোট উদাহরণ হিসাবে, ভার্টিগো, নাইট অফ দ্য হান্টার, সাইকো, রেইনম্যান, ফাইট ক্লাব, রিকুয়েম ফর আ ড্রিম,ব্যাটম্যান বিগিনস সহ) বিস্তৃত। সিনেমায় মনোবিজ্ঞান বা মনোবিজ্ঞানের সিনেমাগুলি থেকে কারোর নিস্তার নেই। সিনেমা এবং মনোবিজ্ঞানের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া দেখে, এই বইটি পাঠকদের আজকের জীবনে চলচ্চিত্রের এত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবের কিছু মৌলিক কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট এবং মৌলিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। মুভিজ অ্যান্ড দ্য মডার্ন সাইকিফার্স্ট মনোবিশ্লেষণ, পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞান, আচরণগত কন্ডিশনিং এবং হিপনোসিসের মৌলিক ধারণাগুলি বর্ণনা করে, যা সকলেই চলচ্চিত্র এবং মনোরোগবিদ্যা উভয়ের ইতিহাসে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। Icahn School Of Medicine at Mount Sinai এর Ms Sharon Packer (Asst Clinical Professor of Psychiatry & Behavioral Science) সহ সকলে তাদের লেখায় এগুলোর ব্যাখ্যায় গেছেন ও অভিঘাত নিয়ে নিরন্তর আলোক অনুসন্ধান চলছে। সমালোচনামূলক চিহ্ন মানতার (sign systems on critical literacy abilities) ক্ষমতার উপর অন্যান্য সাইন সিস্টেমের প্রভাব সনাক্ত করার জন্য সেমিওটিক্স একটি কেন্দ্রীভূত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। ভিজ্যুয়াল যোগাযোগের সেমিওটিক্স পদ্ধতি একটা বিশেষ ধারণার উপর জোর দেয়। (Langrerhr, 2003)।

    একটি চিহ্ন একটি শব্দ, একটি শব্দ বা চাক্ষুষ চিত্র হতে পারে। এটি এমন একটি বস্তু যা কিছু মনের কাছে অন্য অর্থ নিয়ে দাঁড়ায়। Ferdinand de Saussure এর মতন (in Lechte, 1994 – কোট করেছেন ) John Lechte's work explores signs and visuals through a semiotic lens, often focusing on the relationship between visual representation and meaning in various contexts, including art, film, and the digital realm He examines how signs function in conveying social, political, and ideological messages, often challenging conventional interpretations of the image and its role in shaping our understanding of the world

    একটি চিহ্নকে দুটি উপাদানে বিভক্ত করেছেন - the signifier (শব্দ, চিত্র বা শব্দ) এবং the signified বার্জার ( in Moriarty, 1995a) যেমন উল্লেখ করেছেন, অর্থের সমস্যাটি এই সত্য থেকে উদ্ভূত হয় যে সিগনিফায়ার এবং the signified এর মধ্যে এই দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পর্ক স্বেচ্ছাচারী এবং প্রচলিত এগুলি বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্ন জিনিস বোঝাতে পারে।
    শিল্পকলায় ভিজুয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ বলতে চিত্রের মাধ্যমে একটি বার্তা তৈরি বা ধারণা প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিক উপাদান এবং কৌশল (অর্থ প্রকাশের জন্য রেখা, আকৃতি, রঙ, গঠন এবং রচনার মতো বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার এতে অন্তর্ভুক্ত) প্রয়োগকে বোঝায়। তাই প্রাসঙ্গিকভাবে সিনেমায় ভিজ্যুয়াল ম্যানিপুলেশন সর্বজন স্বীকৃত একটি বিষয় যা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দ্বারা ব্যবহৃত ইচ্ছাকৃত কৌশলগুলি যা দর্শকরা একটি চলচ্চিত্র আখ্যান এবং এর আবেগকে গ্রহণ উপলব্ধি করে এবং কীভাবে অনুভব করবে সেটিকেও প্রভাবিত করে। এই কৌশলগুলির মধ্যে সম্পাদনা, ক্যামেরার ভাষা বিশেষত কৌণিকতা, আলো এবং স্পেসাল এফেক্ট অন্যতম আর অভিনয় ও নাট্যকলার চিরাচরিত বিষয়গুলো তো আছেই - যার সবকটিই দর্শকের দৃষ্টি নিবদ্ধকরণ এবং দৃশ্য জগতের ব্যাখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়ে থাকে।

    (প্রথমাংশ শ্যাষ চলবে ইনশাল্লাহ)

    21st of Muharram, 1447 AH It corresponds to July 16, 2025
    আজ রোজ বুধবার ১লা শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
    ১৬ই জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, ২০শে মহররম ১৪৪৭ হিজরি
    সজীব নজরুল
    মালিবাগ চ্যেধুর পাড়া
    ঢাকা, বাংলাদেশ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন