আদলাজ থেকে ফেরার পথে গান্ধীনগর - আহমেদাবাদ এয়ারপোর্টের রাস্তায়। রাস্তার ধারে ন্যায়ারা এনার্জি , আদানি সিএনজির পাম্প। গুজরাতের রাজধানী আহমেদাবাদ থেকে কুড়ি কিলোমিটার উত্তরে গান্ধীনগর। মণিভূষণ ভট্টাচার্যের 'গান্ধীনগরে এক রাত্রি' মনে পড়তে পারে। ১৯৭৪ সালে এই অঞ্চল নবনির্মাণ ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কম করে একশো জনের মৃত্যু এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের চিমনভাই প্যাটেলের ইস্তফা। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের একমাত্র আন্দোলন যা একটি নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিল। বাংলার নকশালবাড়ি আর গুজরাটের এই ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতেই জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ... ...
এই কেল্লার ভেতর একখানা নতুন গির্জা , স্কুল , খেলার মাঠ এইসব আছে। শনিবার বলে সবই বন্ধ। সেখান থেকে আবার দেবকা সৈকতে এসে টানা পাঁচিলের ওপর বসে আরব সাগরের হাওয়া খাওয়া গেল। সাবুর পাঁপড় , ঝালমুড়ি , টকঝাল চানাচুর এইসব ফেরিওয়ালারা ঘোরাঘুরি করছে। এই সৈকত রোজ পরিষ্কার করা হয় বলে মনে হল , প্লাস্টিক বা অন্যন্য নোংরা নেই। একজায়গায় ধাপ ধাপ করা আছে সৈকতে নামার জন্য। সেখানে দুখানা চৌকো বারান্দাওলা ঘরের মধ্যে কিছু জলখাবারের কাউন্টার, এছাড়া কোনো স্থায়ী খাবারের দোকান নেই। একটু আগে যে নির্মীয়মাণ রাস্তা দিয়ে দেবকা সৈকতে এসেছি, সেখানেই ফেরত যেতে হল তন্দুরি পমফ্রেট ইত্যাদি খাবার জন্য। এই রাস্তার দুধারে যাবতীয় হোটেল , খাবার জায়গা , ট্যাটু পার্লার ইত্যাদি। রাস্তাতেও ট্যাটু করানোর জন্য কেউ কেউ বাক্স নিয়ে বসে আছে। ... ...
চার্চ গেট থেকে ছেড়ে মেরিন লাইন্স, চারনি রোড, গ্র্যান্ট রোড, মুম্বাই সেন্ট্রাল। থামতে থামতে যাচ্ছে। বান্দ্রা, খার রোড পেরিয়ে সান্তা ক্রুজে নেমে উবের অটো। জুহু তারা রাস্তা ধরে যাবার সময়েই বোঝা গেল এই এক দামি এলাকা। লোকজনের পোশাক, গাড়ি, দুপাশের খাবার জায়গা, হোটেল দেখেই টের পাওয়া যাচ্ছে। অথচ জুহুর সৈকত এত নোংরা যে সন্ধ্যেবেলা কিছুক্ষন পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ে প্লাস্টিক এসে ঠোকরাচ্ছে। কালো লম্বা প্লাস্টিক জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। সেসব দেখে আর আরো উত্তরে ভারসোভা সৈকত যাবার প্রবৃত্তি হল না। কিছুক্ষণ বাদে বাদেই মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ উড়ে আরব সাগরের দিগন্তে মিলিয়ে যাচ্ছে। ... ...
গাড়িগুলো ইউনিয়নের। এরা চালান। ইউনিয়নকে কিছু দিতে হয়। কুমায়ুনের স্থানীয় মানুষদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াতের জন্য বড় বলভরসা এই সব শেয়ার ট্যাক্সি। সমস্ত শেয়ার গাড়িগুলোতে ড্যাশবোর্ডের ওপর নকল ঘাসের সবুজ চাদর। চালকরা সমস্ত খুচরো নোট ড্যাশবোর্ডের ওপর অথবা চাদরের নিচে ছড়িয়ে রেখেছে। বেগুনি কমলা সবুজ। খুচরো ফেরত দিতে সুবিধা হয়। একহাতে বাঁকে গাড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে অন্যহাতে রিমোট দিয়ে তারা গাড়ির স্পিকারের গান বদলায় , আওয়াজ কমায় বাড়ায়। এছাড়াও পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নেবার সময় টুং টুং করে বেজে ওঠে পিছনে দেখার আয়নাতে লাগানো পিতলের ঘণ্টা। ... ...
ওই হ্রদে যাবার জন্যই মান্ডিতে আগমন। হ্রদের তীরে ব্যাসদেবের পিতা পরাশর ঋষি ধ্যান করতেন বলে ~ছশো বছর আগে এক মন্দির বানিয়ে দেন মান্ডির রাজা। ঋষির নামেই সমস্ত উপত্যকা , হ্রদ , মন্দিরের নাম হয়ে যায়। ... ...
বাইরের ঘরের এই সবুজ রঙের সোফাটা এমনিতে দেখলে মনে হয় একবারে কালচে শ্যাওলামাখা একটা পাথরের স্ল্যাব। হাত রাখলেও মনে হয়, ওপরে চাদর পাতা কঠিন কাঠের বেঞ্চ। কিন্তু জিনিসটার ওপর শুলেই কাঠিন্য আর বোঝা যায় না, আচ্ছাদনটা ধীরে ধীরে নরম হতে থাকে। তারপর একসময় নিলয় ডুবে যায় সোফার ভেতর। আর শুয়ে মোবাইল ঘাঁটতে শুরু করলে এই পুরো ডুবে যাওয়াটা এত তাড়াতাড়ি হয় যে নিলয় ইদানীং আলাদা করে কিছু বুঝতেও পারে না। ... ...
বাইরে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামছে। জীবন্ত সম্প্রচারের সময় হয়ে এল। এই গুহাতে কোনো প্রাকৃতিক আলো , হাওয়া আসে না। গুহার নকল সিলিংকে পেঁচিয়ে শুয়ে আছে গোলাপি এলইডি আলোকলতা। তাদের ফুলের আভায় সারা ঘরে এক অদ্ভুত হালকা আলো আঁধারির খেলা। ... ...
ট্রেন থেকে কিছুই মরুভূমি দেখা গেল না। স্টেশন থেকে বেরোতেই যেটা সহজেই বোঝা গেল - জায়গাটা বেশ নোংরা। অথচ জয়পুর উদয়পুরের মত এখানেও প্রচুর জার্মান আর অন্যন্য ইউরোপীয় পর্যটকদের ভিড়। সকালবেলা রাস্তাঘাট সরু , নোংরা এবং ঘিঞ্জি। কিছুদূর হেঁটে গেলে যোধপুরের বিখ্যাত ঘন্টাঘর। তাকে ঘিরে যোধপুরের প্রধান বাজার। সকালবেলা পেঁয়াজ কচুরি আর দুধের চা। কচুরির পুরের ভেতর পেঁয়াজ ছড়ানো থাকে বলে এরকম নাম। ... ...
পুরোনো দিল্লির বাকি তিন শহর ... ...
পুরোনো দিল্লির প্রথম পাঁচটা শহর ... ...