এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বাকিসব  শোনা কথা

  • অবশিল্পায়নের প্রতিবেদন

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | শোনা কথা | ২০ মার্চ ২০২৫ | ৪১ বার পঠিত
  • বর্তমানে কোনো দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক জিডিপি এক কিম্ভূতকিমাকার বস্তু যাতে স্থায়ীত্ত্বর [সাস্টেইনেবিলিটি] থেকে বেশি জোর দেওয়া হয় জিনিসপত্র বিক্রির ওপর। কেউ সাইকেল চালিয়ে বা গণ পরিবহনে করে কাজের জায়গায় গেলে যতটা জিডিপি বাড়বে , তার প্রায় দশগুণ বাড়বে যদি তিনি গাড়ি করে কাজের জায়গায় যান। অথবা কেউ ধরুন ১০০ টাকা রোজগার করেন , তার মধ্যে আশি টাকা সঞ্চয় করেন , বাকি ২০ টাকা বাজারে খরচ করেন , তার জিডিপি যদি ১ হয়। আর কেউ ১০০ টাকা রোজগার করেন , সেটা পুরোটা বাজারে উড়িয়ে তো দেনই , তার ওপর ক্রেডিট কার্ড , ব্যাংক ঋণ ইত্যাদিতে বাজার থেকে আরো পঞ্চাশ টাকা ধার নেন , অর্থাৎ বাজারে মোট খরচ করেন ১৫০ টাকা , তার জিডিপি হবে ১০। 
     

     
    জিডিপি সহজে বুঝতে গেলে আমরা ওপরের ছবিতে ভারতের জিডিপির যে তিনটি প্রধান ভাগ তার দিকে তাকাতে পারি। ভাগগুলি মোটের ওপর হল কৃষি , শিল্প ও পরিষেবা। শিল্পের মধ্যে প্রধান হল কারখানা সংক্রান্ত ও বাড়ি, রাস্তা, টানেল নির্মাণ, খনি অর্থাৎ অসংগঠিত কাজের জায়গা। জিডিপির ওপর সেই ভাগের কর্মীসংখ্যা নির্ভর করে না। অল্প কর্মী দিয়েও প্রচুর আয় হলে অর্থনীতিতে সেই ভাগের জিডিপি বেড়ে যায়। ফলে ভারতে কৃষিক্ষেত্রে ~৪৫% মানুষ কাজ করলেও অর্থনীতিতে কৃষিক্ষেত্রের ভূমিকা তত বেশি নয়।
     
    এই যেমন , আমরা যদি গত তিরিশ বছরে বিশ্বব্যাংকের তথ্য দেখি , দেখব জিডিপিতে কৃষির গুরুত্ত্ব ক্রমশ কমছে। উন্নত দেশগুলিতে জিডিপিতে কৃষির গুরত্ত্ব ~২ শতাংশেরও কম। [1]

     
    এবারে শিল্পের তথ্যের দিকে তাকানো যেতে পারে। এখানেও দেখা যাচ্ছে সব দেশের গ্রাফ নিম্নমুখী -

     
    এখানে কিন্তু নির্মাণশিল্পও আছে , সেটা সরিয়ে শুধু কলকারখানার দিকে তাকালে টেবিলটা এরকম -

     
    অর্থাৎ , উন্নত দেশগুলির জিডিপিতে কৃষির পাশাপাশি শিল্পের গুরুত্ত্বও কমছে। অবধারিত ভাবে তাহলে জিডিপিতে অংশীদারি বাড়ছে তৃতীয় ক্ষেত্রের - পরিষেবার -

     
    এখানে দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ~৭৭ শতাংশ জিডিপি আসে পরিষেবা থেকে। পুরো পৃথিবীর দিকে তাকালে , এই দেশগুলি শিল্পে প্রথম দশে নেই , সেই তালিকায় মূলত আছে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি  -

     
    পুরো শিল্প ছেড়ে দিয়ে , পুরো পৃথিবীর কলকারখানার দিকে তাকালে দেখা যাবে হুহু করে কলকারখানা বেড়েছে কাম্বোডিয়া , ভিয়েতনাম , মালয়েশিয়া , মায়ানমার এমনকি বাংলাদেশেও [২০২৩ পর্যন্ত]। এছাড়াও এই তালিকায় আছে বহু ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্র -



     
    শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির দিকে তাকালেও একই নকশা লক্ষ্য করা যাবে। কলকারখানা বেড়েছে আয়ারল্যান্ড , স্লোভাকিয়ার মত ছোট দেশগুলিতে। জার্মানির মত একদা শিল্পনির্ভর দেশে কলকারখানা ক্রমশ কমছে। [2]

     

     
    একটা দেশের অর্থনীতিতে একটা কর্পোরেশনের কতটা প্রভাব থাকতে পারে। সেটা বোঝার জন্য ডেনমার্ক ও নোভো নরডিস্কের উদাহরণ দেওয়া যায়। আগে ফিনল্যান্ড ও র মধ্যে সম্পর্কও এরকম ছিল। নোভো নরডিস্কের বাজারি মূলধন গোটা ডেনমার্কের জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাবার পর সারা ডেনমার্ক জুড়ে সুদের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটি একটি ওষুধের কোম্পানি যারা মধুমেহ এবং রোগা হবার দুটি বিখ্যাত ওষুধ বানায়। [ ইলন মাস্ক নিজে ওজন কমানোর জন্য সেটা ব্যবহার করেন একথা বলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গেছিল ] [3]
     
    মধ্যযুগে ইউরোপের শহরগুলিতে স্বায়ত্ত্বশাসিত নানা কুটিরশিল্প ও বাণিজ্যিক গিল্ডগুলির বড় ভূমিকা ছিল। ছোট ছোট কারখানা ছিল ঘিঞ্জি শহরেই। প্রায়ই প্লেগের মত মহামারি লাগত। শিল্প বিপ্লবের পর কারখানা বড় শহর থেকে ছোট শহরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। লন্ডনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে ম্যানচেস্টার , লিভারপুল। ভারতে এই মডেলের নকলে তৈরী হয় জামশেদপুর। উপনিবেশ থেকে যে জিনিস জাহাজে ছমাস ধরে যাবার ফলে আগেই পচে যাচ্ছিল , সেগুলোর কারখানা উপনিবেশেই তৈরী শুরু হল। যেমন পাট অথবা নীল, চা , কফি। ইংরেজ আমলে জেলা সদর তৈরী শুরু হয়। সেখানে থাকবে কিছু সরকারি অফিস। সরকারী কর্মচারীরা থাকার জায়গা পাবেন। তাদের সন্তানদের জন্য থাকবে একটি করে জেলা স্কুল। জেলা সদরগুলি মাকড়সার জালের মত ক্যালক্যাটার সঙ্গে রেলপথে যুক্ত থাকবে। 
     
    স্বাধীনতার পর নেহেরুর সমাজতান্ত্রিক কায়দায় ভারী শিল্প স্থাপন শুরু হয় এই মডেলে, শহর থেকে দূরে। যেমন দুর্গাপুর। এক একটি বড় কারখানাকে কেন্দ্র করে শিল্পনির্ভর জনপদ গড়ে উঠতে থাকে। সেখানকার শ্রমিক ও ম্যানেজারদের কোয়ার্টার , বাংলো। তাদের বাচ্চাদের জন্য স্কুল , খেলার মাঠ , লাইব্রেরী ইত্যাদি। আর কারখানার মালিকরা থাকেন বড় শহরে। কারখানার অফিসটা বড় শহরে। সেখানে করণিকেরা কাজ করেন। উদ্বৃত্ত লাভের অর্থ জমা হয় ব্যাংকের বড় শহরের শাখায়। 'সীমাবদ্ধ' সিনেমায় যেমন দেখানো হয়েছিল , বড় শহরের অভিজাত ক্লাবে বসে শহরের উপকণ্ঠে কারখানার গেটে বোমা মারার ছক কষা হবে। শ্রমিকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে তালা ঝোলাবে কারখানার ফটকে। অথচ বড় শহরের অফিসের বাইরে শান্তিকল্যাণ হবে। 
     
    এখন আরো একধাপ এগিয়ে দেশজুড়ে গড়ে উঠেছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। মুন্দ্রার বা জামনগরের মত সেইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে কি চলছে, বানতলার বা আগ্রার চর্মনগরীতে কত দূষণ তা বড় শহরে বসে বোঝা সম্ভবই না। পুরোটাই ভোক্তাদের চোখের আড়ালে। নতুন এই মডেলে ইউরোপ আমেরিকায় বায়ুদূষণ নেই। সদাই নীলাকাশ। কারণ কারখানাই তো নেই। সবই আমদানি। উন্নত দেশের অর্থনীতির ভরকেন্দ্র এখন পরিষেবা।
     
    বাংলায় নবাবী আমলে শাসনের কেন্দ্র ছিল মুর্শিদাবাদ। কিন্তু রাঢ় বাংলার সামন্তরা সেখানে ভিড় জমাননি। খেলাটা বদলে যায় ইউরোপীয় বণিকরা আসার পর। প্রথমে হুগলি তীরবর্তী জনপদ এবং পরে ক্যালক্যাটা ক্ষমতা ও অর্থনীতির কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। সামন্তরা তখন এই সব জায়গাতে বড় বড় জমিদারবাড়ি তৈরী করে গ্রাম থেকে এসে সেখানেই থাকতে শুরু করলেন। গ্রামে ছড়ি ঘোরাতে শুরু করে নায়েব জোতদার মহাজনরা , জমিদার কালেভদ্রে পালকি করে যেতেন। রাস্তায় ডাকাতদের উপদ্রব ছিল। আর বাকি সময় শহরে শখের পায়রা ওড়ানো ই প্ৰ। আদি সামন্তরা প্রজাদের থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তয় নির্দিষ্ট খাজনা দিতে না পারলে জমিদারি নিলাম হয়ে যেত।
     
    একবিংশ শতাব্দীর পুঁজির ধর্ম বিমূর্ততা। যেকোনো পণ্য বা পরিষেবা থেকে শ্রমকে বিযুক্ত করে দেওয়া, শ্রমিককে অদৃশ্য করে দেওয়া। যা একরকম বিভ্রম। ম্যানড্রেকের জাদুর মত ভোজবাজি। হাত ঘোরালেই বাড়িতে চলে আসছে জিনিস। কোনো প্যাক করা খাবারে পুষ্টিগুণ লেখা থাকে, জিনিসটির বীজ মাটিতে পোঁতা থেকে ঘরে পৌঁছে যাওয়া পর্যন্ত কতজন তার পিছনে শ্রম দিয়েছে লেখা থাকে না। দোকানে সারি সারি জিনিস সাজানো থাকে , লেবেলে দাম দেখে তুলে নিলেই হয়। সেই দামের কতটা শ্রমের মূল্য হিসেবে যাচ্ছে লেখা থাকে না। একইরকম ভাবে এআই এজেন্টের সঙ্গে চ্যাট করার সময় লেখা থাকে না এই উত্তরটা দিতে আসলে কতটা বিদ্যুৎ লাগছে। এতটাই শক্তি অনবরত লাগবে যে মাইক্রোসফট একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবার চালিয়ে সেখান থেকে বিদ্যুৎ কিনতে চায়। [4]
     

     
    গ্রীসের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস এই নতুন ব্যবস্থাকে বলেছেন প্রযুক্তিভিত্তিক সামন্ততন্ত্র [টেকনোফিউডালিজম] , যেখানে ক্লাউডালিস্টরা ক্রমে পুরোনো পুঁজিপতিদের সরিয়ে দিচ্ছেন। ভারুফাকিসের তত্ত্ব অনুযায়ী , ২০০৮ সালের বিশ্বজোড়া মন্দার পরে পুঁজির দুই স্তম্ভ পুঁজি এবং বাজারে আমূল পরিবর্তন আসে। ব্যাঙ্কগুলির পুঁজি সম্পূর্ণ মুছে যায় এবং সে জায়গায় রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কগুলি টাকা ছাপতে শুরু করে। আর বাজার পরিবর্তিত হয়ে যায় প্ল্যাটফর্মে। ক্লাউডালিস্টরা নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ক্লাউড স্পেস ভাড়া দেবার পরিবর্তে গড়ে তুলছেন উদ্বৃত্ত্ব সম্পদ। এও জানা কথা যে এই নতুন পুঁজিমঞ্চ গুলি কিছুই উৎপাদন করে না। ফেসবুক পৃথিবীর সবথেকে বড় মিডিয়া কোম্পানি , কিন্তু তারা নিজেরা কোনো মিডিয়া উৎপাদন করে না। ইউটিউব পৃথিবীর সবথেকে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম কিন্তু নিজেরা কোনো ভিডিও বানায় না। উবের কোনোও গাড়ির মালিক নয়। স্বতন্ত্র এক বাস্তুতন্ত্র , যেখানে বাইরের নিয়ম খাটে না। মালিকের নিয়মই শেষ কথা। 
    আমাজনে প্রতিটি জিনিস বিক্রি করার জন্য আমাজন বিক্রেতাদের থেকে একটা অংশ কেটে নেয়। তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গাড়ি চালালে প্রতি ভাড়া পিছু উবের কমিশন নেয়। হোটেল বুকিং করার জন্য প্রতি হোটেলের থেকে কমিশন নেয় এয়ারবিএনবি। ভারুফাকিস বলেছেন যারা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং এখন মনিটাইজেশনের টাকায় জীবন নির্বাহ করেন তারা আধুনিক ভূমিদাস মাত্র। অন্যের জমিতে লাঙল চালিয়ে ফসল ফলাচ্ছেন , কোনোরকম বেগতিক দেখলে তাদেরকে রাতারাতি প্ল্যাটফর্ম লাথিয়ে দিতে পারে [ডিপ্ল্যাটফরমিং]। পরপর দশটি রাইড প্রত্যাখ্যান করলে একজন চালককে এক সপ্তাহের জন্য আর উবের কোনো গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না।
     
    শিল্প চলে গেলে শিল্পনগরীরা ভুতুড়ে পোড়োবাড়ি হয়ে যায়। যেমন ডেট্রয়েট। যেমন হুগলি নদীর দুপাড়ের সারি সারি চটকল। মাংস কাটার কারখানা ভেঙে স্টারবাকসের কফিশপ তৈরী হয়। যারা মাংস কাটত তারা সেখানে কাজ পাবে না। কারণ ধোপদুরস্ত পরিষেবা দিতে পারবে না। অপরাধ বাড়ে। উদাহরণ হিসেবে মার্গারেট থ্যাচারের 'বিগ ব্যাং' , যার ফলে যুক্তরাজ্যে অবশিল্পায়ন শুরু হয়। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
     

     
    ফরাসী বিপ্লবের পর নাপোলিয়ঁর তীব্র অসূয়া ছিল ইউরোপের সার্ডিনিয়া , অস্ট্রিয়া , প্রুশিয়া , সুইডেন , ডেনমার্ক , নেদারল্যান্ড , রাশিয়ার জার সমস্ত রাজতন্ত্রের ওপর। ইংল্যান্ডের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ [এখনকার ভাষায় স্যাংশান ?] থেকে সমস্ত রাজাদের প্রজাদের মধ্যে বিপ্লবী চিন্তাভাবনার প্রসার , অর্থসাহায্য করতেন। একটানা যুদ্ধ ও অন্যন্য কাজের অভিঘাতে অস্ট্রিয়ার হাজার বছরের পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য টুকরো টুকরো হয়ে যায়। লুক্সেমবুর্গ , বেলজিয়ামের মত ছোট ডাচিগুলি তৈরী হয়। নাপোলিয়ঁ ছিলেন প্রজাতন্ত্রের ধ্বজাধারী পোস্টার বয় যিনি তারপর একসময় নিজেই সম্রাট হয়ে উঠেছিলেন। এখন যেমন আমেরিকা ও ইউরোপ, যুক্তরাজ্য গণতন্ত্রর দূত। তারা সার্বভৌম দেশে দেশে নাক গলিয়ে যুদ্ধ লাগায় , তাতে অবধারিত কিছু মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েন। তখন তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে নিজেদের মহানুভব হিসেবে তুলে ধরা। উদ্বাস্তুদের অবশ্য নতুন দেশে বিনামূল্যে জমি বন্টন করা হয় না , তাদেরকে দিয়ে করানো হয় নানা অপ্রিয় কাজ যা সেখানকার নাগরিকরা করতে চায় না। 
     
    সবুজ বিপ্লব এসে অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ত্ব কমিয়ে দিয়েছে। কারণ সেখানে আর বর্ষা , পোকার উপদ্রব এসবের অনিশ্চয়তা নেই। অটোমেশন , রোবট এসে অর্থনীতিতে শিল্পের গুরুত্ত্ব কমিয়ে দিচ্ছে। কারণ এখন আর মানুষের ভুল নেই , রোবটরা ২৪ ঘন্টা কাজ করে। এরপরের ধাপ হিসেবে উন্নত এআই এজেন্টরা এসে পরিষেবার গুরুত্ত্ব কমিয়ে দেবে। একজন ভূগোলের স্নাতকও হয়ত সেলফ সার্ভিস এআই এজেন্ট বানিয়ে মালদার মত শহরতলিতে খুলে ফেলবে ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম। তাকে এমবিএ আর করতে হবে না। ক্লাউডালিস্টরা চানও তাই , তারা ক্রমাগত বলছেন কলেজ ডিগ্রির আর দরকার নেই। মেকলে মিনিটে আমরা যদি ফিরে যাই দেখতে পাব নতুন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরী হয়েছিল তৎকালীন নতুন পুঁজিপতিদের দেওয়া অর্থে। সে রকফেলার হোন বা এন্ড্রু কার্নেগী। ভারতে আজিম প্রেমজি , শিব নাদার থেকে আদানি সবাই আগেই টপাটপ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে ফেলেছেন। ভবিশ আগরওয়াল বা দীপিন্দার গোয়েলদের মত নতুন পুঁজিপতিরা আদৌ সে পথে যাবেন ?
     
    পুঁজিবাদ মৃত। পুঁজিবাদ দীর্ঘজীবী হোক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বাকিসব | ২০ মার্চ ২০২৫ | ৪১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উংলি - Malay Roychoudhury
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন