এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বাকিসব  শোনা কথা

  • আড়াইশো, গেছো, মামী ও অন্যান্য নিকনেমাবলী 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | শোনা কথা | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮৭২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ‘নেম’ অর্থাৎ নাম হচ্ছে সেই জিনিস যা দিয়ে আমি পটলা আর আপনি প্রেমাংশু-কে আলাদা করা জানা এবং চেনা যায়। আর ‘নিকনেম’ হচ্ছে ডাকনামের অনেক চেয়ে বেশি কিছু, যার বাংলা হয় না, তবে জটায়ুর ‘ছদমোনাম’ অনেকটা কাছাকাছি আসতে পারে। 

    নাম আর ‘ছদমোনাম’ নিয়ে মহামতি শরদিন্দু ব্যোমকেশের মুখ দিয়ে কিছু বার্তা দিয়েছেন। ‘উপসংহার’ কাহিনী থেকে সরাসরি তুলে দিই। 
    “মানুষের সত্যিকার নামকরণ হয় সম্পূর্ণ খেয়ালের বশে, অধিকাংশ স্থলেই কানা ছেলের নাম হয় পদ্মলোচন। যেমন তোমার নাম অজিত, আমার নাম ব্যোমকেশ—আমাদের বর্ণনা হিসাবে নাম-দুটোর কোনও সার্থকতা নেই। কিন্তু মানুষ যখন ভেবে চিন্তে ছদ্মনাম গ্রহণ করে তখন তার মধ্যে অনেকখানি ইঙ্গিত পুরে দেবার চেষ্টা করে। কোকনদ শব্দটা তোমাকে কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে না? কোনও একটা শব্দগত সাদৃশ্য?’

    এখন “মানুষ যখন ভেবে চিন্তে ছদ্মনাম” যেমন নিতে পারে, তেমনই দিতেও পারে। আর যখন দেয় তখনই খেলা জমে। সেনগুপ্ত স্যারের নিকনাম ‘স্প্রিং ম্যান’ হয়ে যায় আর তাঁর ছাত্রী পর্ণার বেলায় তা হয় ‘পিসি’। কারা দিল এই সব নাম, বলা বাহুল্য অন্য ছাত্রছাত্রীরা। অথবা ধরুন অফিসের বসের নাম পালটে গিয়ে দাঁড়াল ‘ম্যাও’ আর ডিপার্টমেন্টের অন্য একজনের ক্ষেত্রে ‘পাইনি’। এই বার নামাবলী পরিয়েছে সহকর্মীরা। 

    কিন্তু এই নামগুলো কী ভাবে দেওয়া হয়? “ভেবেচিন্তে” যখন দেওয়া হয় তখন নামকরনের “সার্থকতা” বিচার করেই দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিকনেমকরনের মধ্যে তেমন মৌলিকতা নজরে আসে না - আকারে বড়সড় চেহারার অধিকারীকে তাকে “মোটা” বলে ডাকার মত। কিন্তু এই বিষয়ে উদ্ভাবনী ক্ষমতা চোখে পড়ে ওই রকমই একজনের নাম দেওয়া হয় “বেলুগা” (প্লেন)।
    এই নামকরনের ধারাকে মোটামুটি তিন-চারটে ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। তুলনামূলক, বিকৃতিমূলক, আত্মীয়তাসূচক আর চার নম্বরটি হল অন্যান্য। সব ক্ষেত্রেই ‘বডি শেমিং’-এর আইডিয়াকে গোল্লায় পাঠানো হয়।

    অবশ্য ভাগগুলো অনেক সময়েই একে অন্যের সাথে ওভারল্যাপ করে যায়, আর এই লেখার উদ্দেশ্যও অ্যাকাডেমিক নয়। তাই উদাহরণের পথেই হাঁটা যাক।

    ‘আলু’ নামের একজনকে প্রায় প্রত্যেক ক্লাসেই পাওয়া যায়। কারণটা সহজবোধ্য, তারা মোটা। আলুর জুড়ি হিসেবে পেঁয়াজ বা রসুনকে কিন্তু কখনোই পাওয়া যায় না। যদিও ‘আদা’ নামের একজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বড় শরীর বা মাথাওয়ালা লোকদের অন্য নামও হয় - ‘কাতলা’। 

    শুধু মোটা নয়, রোগাসোগা মানুষদেরও নিকনেম থাকে। যেমন ‘ডান্ডা’, ‘শসা’, ‘আড়াইশো’ (মানে ব্যক্তির ওজন আড়াইশো গ্রাম আর কি)। আর একজন রোগা লোকের নিকনেম ছিল ‘বোতল’। তাকে নিয়ে একবার বেশ কেলোর কীর্তি হয়েছিল। যে সেই কীর্তিটি ঘটিয়েছিল তার মুখেই শোনা যাক।

    “আমি প্রায় ৪০ বছর পরে অতনুর কাছ থেকে বোতলের ফোন নম্বর পেয়ে ফোন করেছি। ওদিক থেকে এক গ্রাম্ভারি গলায় ‘হেলো’ শুনে বললাম, ‘বোতল আছে?’ ওদিক থেকে উত্তর এল, ‘এখানে বোতল পাওয়া যায় না, এটা ভদ্রলোকের বাড়ি।’ কানেকশন প্রায় কেটে দিচ্ছে, প্রায় মরিয়া হয়ে মেমরিকে কম্পিউটার স্পীডে চালিয়ে বললাম ‘সরি সরি, দেবজিত আছে?’  ওদিকের গলা বলল, আমিই দেবজিত। বলুন?’"

    নিকনেমের তালিকায় কী নেই? লুচি, বোঁদে, মগ, ছানা, জন্তু, ইঁদুর, গাভি, হনু। কিম্বা গব্বর, ল্যাক্টো, বচ্চন, নাড়ু, বচু, গুরু, পাতাল, ড্যানি। এগুলো প্রায় সবই তুলনাত্মক। একেকটা নামের পিছনে আছে একেকটা ইতিহাস। তবে কি জানেন, ইতিহাস অনেক ক্ষেত্রেই তলিয়ে গেছে অনেক। তুলে আনা খুব চাপের। 

    তবে কিছু কিছু ইতিহাস পাওয়াও যায়। একজনের নাম খটু। ক্লাস সেভেন এইটে একবার খুব ছোট করে চুল কেটে স্কুলে এসেছিল। খোট্টা ছাঁট,আর সেখান থেকে খটু।

    কলেজে একজনের নাম ছিল 'শিশু'। জুনিয়র ছেলেপিলেরা তাকে শিশুদা বলে ডাকত। কারণ তার মুখ ছিল কচি বাচ্চাদের মত। ‘কচি’ নামও অবশ্য রাখা হয়েছে একই কারণে।

    র‍্যাঁদোর ভারী গলার আওয়াজ এমন ছিল যে মনে হত কেউ র‍্যাঁদা চালাচ্ছে।

    কোনও কারণে একবার কেউ গাছে উঠেছিল। ব্যাস, তার নাম হয়ে গেল ‘গেছো’। তা হোক, নাম যতক্ষণ বন্ধুদের মধ্যে থাকে ততক্ষণ সমস্যা নেই। গোলমাল হয়ে যায় যখন সেই নাম চলে আসে গার্জেনদের কাছে। গেছোর এক বান্ধবীর কথায় শোনা যাক - “গেছো একবার আমার বাড়িতে ফোন করেছিল, স্কুলের শেষের দিকে বা ১২ এর পরে পরে। আসল নাম বলায় মা বুঝতে পারেনি কে, যেই গেছো বলেছে তখন বুঝেছে।”

    গেছোকে নিয়ে সমস্যায় অন্যেও পড়েছে। যেমন এই বন্ধু। “হঠাৎই একদিন এক  ফোন করে বলল, "কি রে?  আমায়  চিনতে পারছিস? আমি তন্ময় বলছি।’ আমি তো হাঁ। কে তন্ময়! বুঝতে পারছি না। বললাম ‘চিনতে পারছি না। কে বলছেন?’ সে বলল ‘আমি তন্ময় মুখার্জি রে’। তখন বললাম, ‘ওহ! তাই বল। তুই গেছো। তা গেছো  বলতে কি হয়েছিল! তা না! কোথাকার তন্ময় এলেন।”
    ঠিক নিকনেম না হলেও গার্জেন আর ফোন নিয়ে আর একটা ঘটনা বলার লোভ সামলানো গেল না। যাঁর কাছে এই ঘটনা শোনা, যিনি তাঁর জবানীতেই বলা যাক।

    “কলেজে পড়ার সময়ের কথা। ল্যান্ডলাইনের যুগ। আমাদের এক বন্ধু আরেকটি ছেলেকে ফোন করেছে। ও প্রান্ত থেকে ফোন তোলা মাত্র এদিক থেকে আমাদের বন্ধু বলতে শুরু করলো, কী ব্যাপার অনেকদিন তোর কোন খবর নেই। বলে দু চারটে খিস্তি খাস্তা, যেমন বন্ধুদের মধ্যে হয় আর কি। তো এ প্রান্তের বন্ধুটি বলে চলেছে,,,, খানিকক্ষণ বাদে তার খেয়াল হলো যে ওদিক থেকে হ্যাঁ-হুঁর বেশি কিছু আসছে না। পাল্টা খিস্তিও শোনা যাচ্ছে না। একটু সন্দিগ্ধ হয়েই সে জিজ্ঞাসা করল, কিবে শুয়োরের বাচ্চা, কিছু বলছিস না কেন? এইবার ওপার থেকে গলা ভেসে এলো,আমি শুয়োর বলছি। দাঁড়াও, বাচ্চাকে ফোনটা দিচ্ছি।”

    যাই হোক, স্বভাব নিয়েও নামকরন হয়। একজনের চলার ভঙ্গিতে একটা লাফানোর ভাব আছে বলে তার নাম ‘স্প্রিং ম্যান’, গলার আওয়াজ মানানসই বলে অন্য একজনের নাম ‘ম্যাও’। ‘হাসু’ নামকরণ সার্থক করে একজন আজও সদা হাস্যময়, সদানন্দ রূপে সে বিরাজমান, সবার প্রিয় বন্ধু।

    তবে সব স্বভাব আর তা নিয়ে নামকরনের কেস এত সরল হয় না। যেমন ইনি, খুব বড় বাইরের সমস্যা থাকায় যাঁর নাম ছিল হেগো। সেটা এমন কিছু না, খুব কমন নিক। কিন্তু কালে কালে সেটা হয়ে গেলো ইয়াগো। আর তিনি যখন আমেরিকায় পিএইচডি করতে গেলেন, অন্যের মুখে শুনে সাহেবরাও তাকে ওই নামে ডাকতে শুরু করল। 

    এইবার দুটো উচ্চাঙ্গ উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন ডাকনামকরন। ১)  "লাইফবয়" কারণ ছেলেটির পিতৃদেবের নাম ছিল জীবন। ২) এই ছেলেটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের খেলায় ক্রিকেটে ওপেন করত। কিন্তু স্কোর করত হয় ০, নয়তো ১। তাই তার নাম হয়েছিল “বাইনারি”।

    আত্মীয়র নামেও কাঁড়ি কাঁড়ি নিকনেম হয়। দাদু, পিসি, মাসী ইত্যাদি। একটি ছেলে তার বন্ধুদের মধ্যে জেঠু বলে পরিচিত ছিলো। অনেক ব্যাচেই  এরকম জেঠুরা বিরাজ করেন। অসুবিধে কিছু ছিলো না। 
    একদিন ক্লাসের ক’টি ছেলে জেঠুর বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে দেখে জিজ্ঞেস করেছিলো, "কাকু, জেঠু আছে?"

    একজন মেয়ের নিকনাম ছিল শালী। সে যাকে বিয়ে করে তিনি তাঁর কলেজে মামা বলে পরিচিত ছিলেন। অতয়েব তখন শালী হয়ে যায় মামী।

    তবে কিছু নাম, ওই যাকে বলে, হয়ে যায়। শেখরের গপ্পো বলা যেতে পারে। শেখর তখন ইসকুল ছেড়ে চাকরিবাকরি করে, বিয়েথা করেছে, তার ছেলে মোটামুটি বড় হয়েছে। এমন সময়ে স্কুলেরই বন্ধু মোহন, যে ততদিনে নামী নাট্য ব্যক্তিত্ব, জানালো তাদের শো-এর কয়েকটা টিকিট হলে রেখে দেবে। আত্মীয় পরিজন সমভিব্যহারে শেখর হলের কাছে এসে পৌঁছল। এবার শেখরের মুখেই শোনা যাক। “গিরিশ মঞ্চে পৌঁছে ভিজয় দীনানাথ চৌহান স্টাইলে ছেলেকে বললাম, ‘একটু স্মার্ট হ দেখি। কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞেস করতো শেখর ভট্টাচার্যের নামে কি কয়েকটা টিকিট রেখে গিয়েছেন মোহন আঙ্কেল?’ ছেলে অত্যুৎসাহে কাউন্টারে গেল, তারপ কাঁচুমাচু মুখে ফিরে এসে বললো, ‘তোমার নামে কোনো টিকিট নেই বাবা। ঘন্টু বলে একটা লোকের নামে রাখা আছে।”

    আরও একজনের কথা। “স্কুল জীবন শেষ হওয়ার বেশ কয়েকবছর পরে। একদিন বাসে এক ভদ্রলোক আমাকে অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করছেন আর ইতস্তত করছেন। তারপর আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন আপনি অমুক স্কুলে পড়তেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন বলল, আমাকে চিনতে পারছিস? আমি তো মাথা নাড়লাম, তখন সে আরও অনেক প্রশ্ন করে নিশ্চিত হল যে আমি ওর সাথে এক ক্লাসেই পড়তাম। এবার খুব হতাশ হয়ে বলল, আমাকে চিনতে পারছিস না আমি কৃষ্ণেন্দু। আমি স্ট্রেট বললাম আমাদের ক্লাসে ওই নামে কেউ ছিলো না। বাসের অনেক আমাদের দেখছে, আমাদের কথা শুনছে। তখন মরিয়া হয়ে সে বলল, আমি কেন্দি। আমি বললাম সেটা আগে বলবি তো।” 

    বড় হওয়ার পর অনেকে নিকনেমগুলো ভুলে যেতে চায়, ওই নামে ডাকলে বিরক্ত হয়। কেউ কেউ আবার আনন্দ পায় নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়। বলে, ৩০/৪০ বছর আগের ছোটবেলা ফিরে আসে ওই নামগুলোর সাথে সাথে। 

    শেষে একখান ডিসক্লেইমার দেওয়া যাক। এখানে আসল নাম যে ক’টা বলা হয়েছে সেগুলো একটাও আসলে আসল নয়। নিকনেম আর ঘটনাগুলোর কিছু নিজের দেখা, বাকিগুলো বিভিন্নজনের থেকে শোনা। আপনার চেনাজানা কেউ বেরিয়ে যেতেও পারে। নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।

    শেষের পরে একটা পুনশ্চ দেওয়া যাক। মামী আর শালীর গপ্পো শুনে একজন এইটি জানিয়েছেন।
    “আমার পরিচিত একটি মেয়ে তার জেঠিমার ভাইকে মামা বলে সম্বোধন করতো। পরবর্তীকালে এর সঙ্গেই তার প্রেম এবং বিয়ে হয়। এর পর একটি অতি নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্যাম্পাসে পোস্টার পড়েছিলো -
    ‘আমার মামা, আমার স্বামী, 
    আমিই আমার নিজের মামী।’"
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বাকিসব | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮৭২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উংলি - Malay Roychoudhury
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:f447:5036:770b:***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৭540710
  • আমার ইস্কুলের কেমিস্ট্রি স্যারের নিকনেম ছিল দিলিপেট (ওনার আসল নাম ছিল দিলীপ)। একজন ফিজিক্স ​​​​​​​স্যারের ​​​​​​​নাম ​​​​​​​ছিল ​​​​​​​চার্লি, তিনি ​​​​​​​খুব ​​​​​​​তাড়াতাড়ি ​​​​​​​চলাফেরা ​​​​​​​করতেন। ​​​​​​​আর ​​​​​​​বাংলার ​​​​​​​স্যারের ​​​​​​​ডাকনাম ​​​​​​​ছিল ​​​​​​​সখি। তিনি যদি ​​​​​​​পড়া ​​​​​​​ধরতেন, ​​​​​​​আর কেউ ​​​​​​​যদি ​​​​​​​উত্তর ​​​​​​​না ​​​​​​​দিতে ​​​​​​​পারতো, ​​​​​​​তাহলে ​​​​​​​বলতেন, ​​​​​​​"আহা, ​​​​​​​নন্দন ​​​​​​​কাননে ​​​​​​​এসেছো, পড়তে ​​​​​​​কি ​​​​​​​আর ​​​​​​​এসেছো? ​​​​​​​এসো, ​​​​​​​ক্লাসের ​​​​​​​এই ​​​​​​​কোনে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম গ্রহন ​​​​​​​করো"। 
     
    আমার ​​​​​​​মায়ের ​​​​​​​ইস্কুলে ​​​​​​​একজন ​​​​​​​স্যারের ডাকনাম ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​হয়েছিল ​​​​​​​ঝোল। তিনি ​​​​​​​নাকি ​​​​​​​কোন ​​​​​​​একবার ​​​​​​​স্কুলের ​​​​​​​পিকনিকে ​​​​​​​গিয়ে ​​​​​​​বেশ ​​​​​​​কয়েকবার মাংসের ​​​​​​​ঝোল চেয়েছিলেন। 
     
  • :|: | 2607:fb90:bd89:59ec:9cc9:58dc:b977:***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৫540716
  • "‘আলু’ নামের একজনকে প্রায় প্রত্যেক ক্লাসেই পাওয়া যায়। কারণটা সহজবোধ্য, তারা মোটা।"
    আলু নিক নেম অর্জন করতে গেলে কিন্তু শুধু মোটা হলেই হয়না। অন্য কোয়ালি লাগে। 
  • dc | 2a02:26f7:d6cc:680d:0:81c3:f080:***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৫540717
  • আমিও তাই ভাবছিলাম laugh
  • ae | 118.2.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৬540728
  • এই ধরুন হোস্টেলে এক শীতের সকালে একজনকে দেখে মনে হল এর চেহারাটা হরলিক্সের বোতলের মত, তো তার পর থেকে তাকে বোতল নামেই ডাকা হতে লাগল। আর এই নামকরণ যিনি করলেন, তার নাম হল প্রিন্সি, কারণ তিনি রোজ রাতে শাল মুড়ি দিয়ে লোকে কি পড়াশুনো করছে সেটা দেখে বেড়াতেন আর অসম্ভব মোটা গলায় লোকের পিলে চমকাতেন। 
    আবার সেই হোস্টেলেই একটি নিতান্ত সরল ছেলের নাম ছিল কন্ডোম। সুপারের সামনে তাকে ডাকাডাকি করায় কি হয়েছিল তা আবার অন্য গপ্প 
     
  • syandi | 2402:e280:3d81:135:1d09:c0f9:92d9:***:*** | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৪540730
  • ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৫ ,
    একদম ঠিক ধরেছেন! শুধু গোলগাল চেহারার জন্য 'আলু' নামে ডাকা হলে নামকরণের সার্থকতা জিনিসটাই থাকে না। আমাদের এক বন্ধুর নাম দেওয়া হয়েছিল 'আলু' কারণ সে সময় এবং সুযোগ পেলেই মেয়েদের সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করত এবং গল্প জুড়ে দিত। 
     
    @লেখক ,কি আশ্চর্য সমাপতন! আমাদের এক ভীষণ ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে লাইফবয় বলে ডাকা হত ক্লাস নাইন থেকেই কারণ বন্ধুর বাবার নাম জীবন। আরো অবাক করার বিষয় হল আপনার লেখাটা পড়াকালীন সময়ে ওয়াটসআ্যাপে তার কল এল।
  • . | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:২৭540731
  • আমার এক বন্ধুর নাম আলু।
    অরিন্দম —> আলুর দম —> আলু
  • s | 100.36.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:০৩540732
  • আমার ইউনিভার্সিটির এক বন্ধুকে ডাকা হত জারোয়া বলে, কারণ তার বাড়ি ছিল আন্দামানে। 
  • | 146.196.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:১৮540734
  •  আমার সঙ্গে স্কুলে আলু পেঁয়াজ দুইই ছিল, মোটাসোটা গোলগাল আলু আর দুষ্টু স্বভাবের  বেশ ধারাল চেহারার পেঁয়াজ--প্রায় পঞ্চাশ বছর আগেকার দেখা মুখ দুটো পরিষ্কার মনে পড়ছে। 
  • Nirmalya Nag | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৬540736
  • সবাইকে অনেক ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। 
     
    আলু নামের পিছনে গোলগাল হওয়া ছাড়া আরও একটা ফ্যাক্টর কিন্তু সব সময়ে থাকে না। যদিও সে রকম মনে হওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়।
     
    @syandi - পুরো 'টেলিপ্যাথেটিক' ব্যাপার তোlaugh। এখন আমার আর আপনার লাইফবয় একই ব্যক্তি কি না কে জানে!
     
    @উ - যাক, পেঁয়াজ পাওয়া গেল। আমি কেবল আদা পেয়েছিলাম। কেউ হয়তো রসুনও পেয়ে যাবেন। 
  • syandi | 2402:e280:3d81:135:a4bd:8b2d:f8aa:***:*** | ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৫540765
  • ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৬,
     হতে পারে, তবে সে সম্ভাবনা বোধ হয় খুব কম। আমার বন্ধু লাইফবয়ের ইনিশিয়াল হল S. P; এখন দেখুন সেই বটে কিনা :-)
     
     
  • Nirmalya Nag | ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৪540772
  • @syandi ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৫540765
     
    আমি যে লাইফবয়ের উল্লেখ করেছি তাঁর নামের আদ্যাক্ষর A. সুতরাং দুইজন ব্যক্তি আলাদা, অথচ ঠিক একই কারণে তাঁরা সমনামী হয়েছিলেন। এনাকে অবশ্য আমি চিনি না, যাঁর কাছে এনার কথা শুনেছিলাম, তিনিই নামের আদ্যাক্ষর জানালেন। 
  • বিপ্লব রহমান | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২৩540794
  • আমাদের স্কুলে মোটাসোটা এক স্যারের নামকরণ হয়েছিল "ভেসপা", আর উচ্চারণ জড়তার কারণে অংক স্যারের নামকরণ হয়েছিল " হুইস্কি"! 
     
    সেরাম লেখা devil
  • Nirmalya Nag | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৫540796
  • @ বিপ্লব রহমান - ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন