এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...-৪১

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৯ মার্চ ২০২৫ | ২৪৫ বার পঠিত
  • ।। একচল্লিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    “আমি এসে গেছি… হ্যাঁ, নিয়ে এস,” শুধু এই কথাগুলো বলে ফোন রেখে দিল অরুণাভ। কাকে কী বলা হল কেউ বুঝল না, মুখ চাওয়াচাওয়ি করল সবাই, তবে রামাকৃষ্ণানের মুখে মৃদু হাসি দেখা গেল।

    একটু ইতস্তত করে গীতা বলল, “একটা কথা বলব স্যার?”
    “নিশ্চয়, নির্দ্বিধায় বল,” চশমা খুলে মুছতে মুছতে জানাল অরুণাভ।
    “উই আর গ্রেটফুল টু ইউ স্যার। আপনি জিএম স্যারের সামনে আমাদের আলাদা করে নাম করেছেন…”
    “কথায় বলে - আ ক্যাপ্টেন ইজ অ্যাজ গুড অ্যাজ হিজ অর হার টিম। টিম জিতলে তবেই ক্যাপ্টেন জেতে। তোমরা সবাই প্রচুর পরিশ্রম করে এই প্রোজেক্ট কমপ্লিট করেছ, তাই অ্যাজ পার্ট অফ অ্যাকনলেজিং দ্যাট, আমি ওখানে তোমাদের নাম করেছি,… আমার টিমকে সামনে রেখেছি।
    সমসের বলল, “স্যার, আমরা কি… মানে… আমাদের এই টিম কি ভেঙে দেওয়া হবে?”
    “ম্যানেজমেন্ট এই নিয়ে ডিসিশন নেবে। আপাততঃ ছুটি এনজয় কর। কাল পরশু স্পেশাল ছুটি, তারপরের দু-দিন উইক এন্ড। ইউ ডিজার্ভ দিস লিভ। মে বি আর্লি নেক্সট উইক তোমরা ম্যানেজমেন্টের ডিসিশন জেনে যাবে।”
    রামাকৃষ্ণানের ফোনটা বেজে উঠল, কথা শুনে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করল সে। “আই নিড টু ভলান্টিয়ার্স। মহাপাত্র, গোগোই - ক্যান ইউ প্লিজ কাম উইথ মি?”

    মহাপাত্র আর গোগোই বুঝল না কোথায় তাদের যেতে হবে, তবে উঠে পড়ল। রামাকৃষ্ণান এদের দু’জনকে নিয়ে বেরিয়ে গেলে গীতা ফের মুখ খুলল।
    “স্যার, আপনি ছুটি নেবেন না?”
    একটা নিঃশ্বাস ফেলল অরুণাভ। “হ্যাঁ, আমিও নেব।”
    সমসের বলল, “ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড স্যার, আপনি এখন কেমন আছেন?”
    “কাজের মধ্যে থাকলে আমি ভাল থাকি। কাজ না থাকলে আমার ফিজিক্যাল অ্যাণ্ড মেন্টাল প্রবলেম হয়।… কাজ মানে আমি অফিস ওয়ার্কের কথা বলছি।… অবশ্য আমি বই পড়তেও ভালবাসি। ছুটি নিয়ে হয়তো বই পড়ব।”
    একটু কিন্তু কিন্তু করে গীতা বলল, “স্যার, আপনার পরের প্রোজেক্টেও থাকতে চাই।”
    অরুণাভ হাসল, “আ রিপোর্টার ইজ অ্যাজ গুড অ্যাজ হিজ অর হার লাস্ট স্টোরি।” আর কিছু ব্যাখ্যা করল না সে।
    এ কথার মানে গীতা বুঝল না ঠিক, তবে মনে এল কিছু দিন আগে স্যার তাঁর ঘরে বলেছিলেন এটাই তাঁর শেষ প্রোজেক্ট। পরের প্রোজেক্টের কথাটা বলার জন্য তীব্র অনুশোচনা হল গীতার।

    অরুণাভর অফিসে সব চেয়ে কম কথা বলে মনোজ কুমার। এইবার মুখ খুলল সে, “স্যার, আপনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেটেছেন। আমরা তো সুস্থ অবস্থায় কাজ করেছি, আপনি তো তা ছিলেন না। দু’বার আপনাকে হসপিটালাইজড হতে হয়েছিল।”
    হাসল অরুণাভ, কোনও উত্তর দিল না।
    মনোজ বলল, “আপনি কয়েকদিন বেরিয়ে আসুন স্যার। ইফ আই অ্যাম অ্যালাওড টু সে, আপনিও এটা ডিজার্ভ করেন।”
    কথাগুলো ভাল লাগল অরুণাভর, বলল, “থ্যাংক ইউ মনোজ। তোমার প্রোপোজাল আমি মনে রাখব।”

    গলার আওয়াজ শুনে ঘরের সবাই তাকাল দরজার দিকে - দুটো ট্রের ওপরে একই ধরনের কিছু জিনিস, আর দুটো বড় ক্যারি ব্যাগ নিয়ে ভেতরে এল রামাকৃষ্ণান, গোগোই, মহাপাত্র আর কবিতা। সবাই টেবিলের ওপর থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে জায়গা বানাল ওদের নিয়ে আসা জিনিসগুলো রাখার জন্য। ট্রেতে রাখা ছোট লম্বাটে জিনিসগুলো গিফট প্যাক করা, প্রতিটা প্যাকেটের ওপর তাদের এক একজনের নাম লেখা। বড় ক্যারিব্যাগে কী আছে তা অবশ্য বোঝা গেল না, যে চারজন ওগুলো নিয়ে এল তারাও কিছু বলল না।

    অরুণাভ তার চেয়ারটা একটু সরাল, যাতে প্যাকেটগুলোর কাছে আসতে পারে। সামনে রাখা জলের বোতল থেকে একটু জল খেল সে। তারপর বলতে আরম্ভ করল, “অ্যাজ আ টোকেন অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যান্ড গ্র্যাটিচিউড, আমি তোমাদের একটা জিনিস দিতে চাই।”

    এটা অবশ্য সবাই গিফট র‍্যাপ করা আর নাম লেখা প্যাকেট দেখেই বুঝেছিল। পকেট থেকে সেই অ্যালফাবেটিক্যালি সাজানো নামের লিস্ট বার করল অরুণাভ। তার ইসারায় রামাকৃষ্ণান বড় ক্যারি ব্যাগ থেকে একটা প্যাকেট বার করলেন যেটা দেখে বোঝা গেল মিষ্টির বাক্স, বোকারোর নামকরা দোকানের।

    একটা লম্বাটে প্যাকেট তুলে অরুণাভ বলল, “এইটায় একটা ছোট গিফট আছে, এটা তোমাদের জন্য।” এবার সে তুলে নিল মিষ্টির বাক্স। “আর এইটা তোমাদের ফ্যামিলির জন্য। এই প্রজেক্টের জন্য তোমারা অফিসে খেটেছ, আর তার জন্য ওনারা বাড়িতে সাফার করেছেন কয়েক মাস ধরে। হয়তো আমায় গালাগালিও করেছেন… তাই দিস ইজ আ সিমপল ওয়ে টু সে সরি অ্যাণ্ড থ্যাংক ইউ টু দেম।”

    হাতের কাগজটার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেল অরুণাভ; মুখ তুলে সবাইকে দেখল। “একটা রিকোয়েস্ট, এই প্যাকেট তোমরা খুলবে আমি এই ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর।”

    এক এক করে সবার হাতে গিফট আর মিষ্টির প্যাকেট তুলে দিল এজিএম, এবার রামাকৃষ্ণানের নাম এল আভিধানিকভাবে ঠিক জায়গাতেই। আর তার বদলে একদম শেষে নাম এল সেক্রেটারি কবিতার। সবাই জিনিস পেয়ে গেলে অরুণাভ চলে গেল নিজের ঘরে। আর তার পরেই সবাই গিফট প্যাকেট খুলে ফেলল, দেখা গেল ভেতরে রয়েছে দামী কলমের সেট - প্রত্যেকের জন্য একই জিনিস। কিন্তু প্রতিটা প্যাকেটে ভাঁজ করা সাদা কাগজটা কী?

    কাগজের ভাঁজ খুলে যা পাওয়া গেল তার জন্য প্রস্তুত ছিল না কেউ। প্রত্যেকের কাজের প্রশংসা করে অরুণাভর নিজের হাতে লেখা নোট, আর সেটা প্রত্যেকের জন্য আলাদা।
    প্রাথমিক বিস্ময় কেটে গেলে কবিতা জানাল এই অফিসের পিওন, সিকিউরিটি গার্ড, ড্রাইভারদের জন্যেও আছে খামে ভরা ক্যাশ আর মিষ্টির প্যাকেট।

    সমসের বলল, “ফ্যামিলির জন্য মিষ্টির প্যাকেট - এটা একদম আনএক্সপেকটেড।”
    “স্যারের ফ্যামিলিও কিন্তু সাফার করেছে গত কয়েক মাস,” বলল কবিতা।
    “নিজের ফ্যামিলির জন্য উনি আনেননি?” জিজ্ঞাসা করল গীতা।
    মাথা নাড়ল কবিতা। “মিষ্টির অর্ডার আমি দিয়েছিলাম, লোকের সংখ্যা গুণে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। স্যার নিজেকে ধরেননি।”
    সমসের জিজ্ঞাসা করল, “আমরা দিতে পারি না?” বাকিরা সবাই সেই কথায় সায় দেয়।
    রামাকৃষ্ণান এবার মুখ খোলেন, “কবিতা আমায় বলেছিল যে স্যার নিজের বাড়িকে হিসেবে রাখেননি। তাই একটা প্যাকেট আমরা এক্সট্রা আনিয়েছি। সেটা স্যারকে জানিয়ে ওনার ড্রাইভারের হাতে দিয়ে দেব, ও পৌঁছে দেবে।”

    এ কথায় সবাই খুশি হয়। তখন ফের শোনা যায় মনোজের গলা, “স্যারকে কোনও গিফট দেব না আমরা?”
    … …
    সন্ধ্যাবেলা জিএমের বাংলোয় খাওয়াদাওয়া ভালই হল, নিমন্ত্রিতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই এই প্রথমবার এই বাড়িতে আসা। খুরানা স্যারের স্ত্রীও একবার দেখা দিয়ে গেলেন সবাইকে। জুনিয়র স্টাফরা একটা বড় ফুলের তোড়া এনেছিল সঙ্গে, ম্যাডাম সেটার খুবই প্রশংসা করলেন। হয়তো সেটা একেবারেই রুটিন ব্যাপার, তবুও ওদের ভাল লাগল। 
    অরুণাভ সরবত আর মিষ্টি ছাড়া কিছু খেল না, যদিও তার খাওয়া নিয়ে তেমন নিষেধ কিছু নেই। আসলে ওর খুব ক্লান্ত লাগছে, শরীর যেন আর দিচ্ছে না। একপাশে চুপচাপ বসে ছিল সে, এবার উঠবে উঠবে ভাবছে, এমন সময়ে রামাকৃষ্ণানের ফোন এল।
    “স্যার, আপনি কোথায়?”
    অরুণাভ জানাল সে কোথায়, তারপর জিজ্ঞাসা করল, “কেন?”
    “ওখানেই থাকুন স্যার, আসছি। দরকার আছে একটু।”
    “ঠিক আছে।”

    এখন এখানে রামাকৃষ্ণানজীর কী দরকার থাকতে পারে ভেবে পেল না সে। দু মিনিটের মধ্যে তিনি চলে এলেন, তবে একা নন, সঙ্গে তার অফিসের সবাই আর জিএম। এমন সদলবলে সবাই কেন? অবাক হল অরুণাভ।

    খুরানা সামনে এলে উঠে দাঁড়াল অরুণাভ, তাকে প্রায় ঘিরে ধরল বাকিরা।

    “দাস,” ভরাট গলায় বললেন জিএম, “আমার কাছে একটা স্পেশাল অনুরোধ এসেছে।“
    অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল অরুণাভ, তাকাল একবার রামাকৃষ্ণানের দিকে, ফিরে পেল মৃদু হাসি। বাকি স্টাফদের থেকেও একই রকম ব্যবহার পেল সে।
    “এরা তোমায় একটা গিফট দিতে চায়, আর সেটা তোমায় দেওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করেছে আমায়।” একটা পাতলা লম্বা সাদা খাম, ওপরে অরুণাভর নাম লেখা, বাড়িয়ে ধরলেন খুরানা, হাত বাড়িয়ে সেটা নিল সে। একটা ভাঁজ করা কাগজ আছে ভেতরে সেটা বোঝা গেল।
    “ওপেন ইট,” বললেন জিএম। 

    খাম খুলে অরুণাভ দেখল একটা নয়, দুটো কাগজ আছে ভাঁজ করা, জেমস ক্লিপ দিয়ে একটার সঙ্গে আর একটা আটকানো। একটা প্রিন্টআউট - রামাকৃষ্ণানের মেল অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে পাঠানো একটা মেলের হার্ড কপি। তাতে দেখা যাচ্ছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজনে অরুণাভর জন্য দশ হাজার টাকা জমা পড়েছে। ভ্রূ কুঁচকে অন্য কাগজটার দিকে দেখল সে - একটা হাতে লেখা নোট, নিচে সবার সই। নোটে বলা হয়েছে অরুণাভ বই পড়তে ভালবাসে, তাই এই টাকা তারা দিচ্ছে তাদের প্রিয় এজিএম স্যারকে। কী বই স্যারের দরকার তারা জানে না, তাই টাকাই দিচ্ছে তারা। আর আশা করে যে দাস স্যার এজন্য কিছু মনে করবে না।
    এইবার পুরোটা বুঝতে পারল অরুণাভ, এই ধরনের উপহারের জন্য অরুণাভ যদি বিরক্ত হয় বা রেগে যায়, তাই সিনিয়র লোক রামাকৃষ্ণানের অ্যাকাউন্ট থেকে মেল আর খোদ জিএমের হাত দিয়ে তাকে দেওয়ানো।

    সবাই একটু উৎকণ্ঠার সঙ্গে তার দিকে তাকিয়েছিল। দাস স্যারের ক্লান্ত চোখ দুটো উজ্বল হওয়াতে আর মুখে হাসি ফুটে ওঠায় আশ্বস্ত হল সবাই।
    “থ্যাংক ইউ, আমি সত্যিই অভিভূত,” বলল অরুণাভ।
    এবার সবাই হাততালি দিয়ে উঠল।
    রামাকৃষ্ণান বলল, “গিফট কার্ডও দেওয়া যেত, কিন্তু সেটা আসতে সময় লেগে যাবে। তাই এই রাস্তা নিতে হল।”
    “ঠিক আছে, নো প্রব্লেম…,” উত্তর দিল অরুণাভ।
    সবাই মিলে ছবি তোলা হল জিএম স্যারকে সঙ্গে নিয়ে, কিম্বা শুধু অরুণাভর সাথে। সকালে অফিসে এমন ছবি উঠলেও সেটা খুব ফরম্যাল ব্যাপার ছিল, এখানে অতটা নয়।

    চলে আসার আগে খুরানার কাছে গেল অরুণাভ।
    “দাস, ইউ আর অ্যান ইন্সপিরেশন টু আদারস। ক’দিন ছুটি কাটিয়ে অফিসে ফিরে এস,” বললেন জিএম।
    কিছুক্ষণ চুপ থেকে উত্তর দিল অরুণাভ, “ফিরতে আমরা সবাই চাই স্যার, কেবল কোথায় ফিরব সেটাই জানি না।” এই হেঁয়ালির অর্থ বুঝলেন না খুরানা, তাকিয়ে তাকলেন, তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল অরুণাভ, “থ্যাংক ইউ স্যার, থ্যাংক ইউ ফর এভরিথিং।”
    হাত মিলিয়ে “গুড নাইট” বলে চলে গেল দাস, খুরানা তাকিয়ে রইলেন। ধীরে ধীরে তাঁর চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল, পরশু দিন একটা মিটিং ডাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন। 
    গাড়িতে এসে উঠল অরুণাভ, রাত হয়ে গেছে বেশ, তবে ঠান্ডা তেমন নেই, আকাশে সুন্দর চাঁদ আর তারা দেখা যাচ্ছে, পূর্ণিমা মনে হয় দু-এক দিনের মধ্যেই। গাড়ি চলতে শুরু করলে অরুণাভ বলল, “বিকাশ, একবার মাইন হয়ে বাড়ি ফিরব।”

    জিএমের বাংলো থেকে মাইন আর অরুণাভর বাড়ি দু-দিকে। গাড়ি বাঁ দিকে ঘুরিয়ে মিনিট ছয় সাত যেতেই মাইনের গেট, অসময়ে দাস সাহেবের গাড়ির আসা-যাওয়া দেখতে অভ্যস্ত সিকিউরিটির লোকেরা তাড়াতাড়ি গেট খুলে দিল। বিকাশ ভেতরে ঢুকতে যাচ্ছিল, বারণ করল অরুণাভ, নেমে এল গাড়ি থেকে। দু’পা হেঁটে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেল সে, মিনিট খানেক সোজা তাকিয়ে থাকল ভেতরের দিকে, তারপর ফিরে গেল গাড়িতে, গেটের গার্ডরা আর গাড়ির ড্রাইভার - সবাই অবাক হল।

    এবার বাড়ি, গাড়ি ঘুরিয়ে নিল বিকাশ। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৯ মার্চ ২০২৫ | ২৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিস্ময় রায় | 2401:4900:7335:cbf1::a39:***:*** | ২৯ মার্চ ২০২৫ ১২:০৮541974
  • উপন্যাস তার লম্বা দৌড়ের শেষ ল্যাপের দিকে এগোচ্ছে।  ফুটে উঠছে প্রোটাগনিস্টের উইদড্রয়াল সিমটমস্ !  রচয়িতা গোটা এপিসোড জুড়ে এক কর্মবীরের বিদায়ী বিষণ্ণতাকে নিবিড় ভাবে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। পরবর্তী অংশের জন্য পাঠকচিত্তে অপেক্ষা রইল ••••••••
     
  • Nirmalya Nag | ২৯ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩৮541976
  • @বিস্ময় রায় - অনেক ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। 
  • Ranjan Roy | ২৯ মার্চ ২০২৫ ১৭:০৭541978
  • লেখকএর কলমকে কুর্নিশ! 
    কীভাবে অবশ্যম্ভাবী সমাপ্তি আসে, পর্দা নামে--সেটা দেখার অধীর অপেক্ষায়।
  • Kuntala | ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৩542020
  • উদগ্রীব হয়ে রইলাম শেষটা পড়ার জন্য। খুব সুন্দর ভাবে, হালকা হালকা করে, একটু একটু পরতের পর পরত খুলেছেন কাহিনীর। শেষ হয়ে গেলেও তার জের থেকে যাবে।
    কাজের সুত্রে রাণীগন্জ-ঝরিয়ার কয়লাখনি অঞ্চল আমার চষে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা আছে। তাই আরো উপভোগ করতে পেরেছি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন