এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ২৪

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০১ নভেম্বর ২০২৪ | ৪২৮ বার পঠিত
  • ।। চব্বিশ ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    ঘুমচোখে উঠে বিছানায় বসল অরুণাভ, ঘরে নাইট ল্যাম্প জ্বলছে। এই আলোটা আগে ঘরে ছিল না, সে অসুস্থ হওয়ার পর এসেছে। সেই ল্যাম্পের হালকা আলোয় প্রথমে মনে করল ওয়াশরুমে গেছে বিনীতা। তার নিজেরও একটু সেখানে যাওয়ার দরকার। একটু পরেই বুঝল বাথরুমে তার স্ত্রী নেই, তখন নিজেই গেল। হালকা হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসার পর মনে হল কথাবার্তার শব্দ আসছে বাইরে থেকে। 
    বেডরুমের ভেজানো দরজাটা খুলল অরুণাভ, বাইরে প্যাসেজের আলোটা জ্বলছে। ওদিকে গেস্টরুমের দরজাটা খোলা, সেখান থেকেই গলা পাওয়া যাচ্ছে বিনীতা আর ইন্দ্রনীলের। পা টিপে টিপে দরজার কাছাকাছি গেল অরুণাভ। আড়াল থেকে শুনতে লাগল কথা।

    ডিভোর্সের কারণ জানতে চাওয়ায় ইন্দ্রনীল চুপ করে আছে দেখে বিনীতা বলল, “আপনাকে তো বললাম, আপত্তি থাকলে বলার দরকার নেই।”
    “আপত্তির কিছু নেই। আসলে আমি ভাবছিলাম মিস্টার দাসও সেদিন আমার বাড়িতে একই কথা জিজ্ঞেস করেছিলেন।”
    “কী বলেছিলেন ওকে?”
    “এড়িয়ে গেছিলাম।”
    “আমাকেও কি এড়িয়ে যাবেন?”
    “না, আপনার কাছে এড়িয়ে যাব না।” একটু থামল ডাক্তার, তারপর শুরু করল, “আমার স্ত্রী ছিলেন বর্ন অ্যান্ড রেজড ইন ডেলহি। উনি ওখানকার জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। আমি আবার সেখানে ডাঙ্গায় তোলা মাছের মত ছিলাম, আমার ভাল লাগত না। কাজ করতাম ওইটুকুই। এক সময়ে দিল্লি ছাড়ার কথা ভাবলাম, আমার স্ত্রী আপত্তি করলেন। আবার কিছু দিন রয়ে গেলাম। শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না। এখানে চাকরি নিয়ে চলে এলাম। আমার স্ত্রী কিছু দিন দিল্লি-বোকারো করলেন। তার পর জানালেন তিনি ডিভোর্স চান। মিউচুয়াল ডিভোর্স হয়ে গেল। ব্যাস।”
    “তার মানে আপনি দিল্লি না ছাড়লে আপনার ডিভোর্স নাও হতে পারত?” বিনীতা জানতে চাইল।
    হাসল ইন্দ্রনীল। “এটা তো হাইপোথেটিক্যাল প্রশ্ন হয়ে গেল ম্যাডাম।”
    “তবু…”
    “হ্যাঁ, বলতে পারেন যেহেতু অন্য আর কোনও ব্যাপার জানা ছিল না।”
    “বাচ্চা নেই আপনাদের?”
    ইন্দ্রনীল বলল, “একটা মিসক্যারেজ হয়। তার পর আর চেষ্টা করা হয়নি। ও অবশ্য আবার বিয়ে করেছে, একটা ছেলে হয়েছে। বছর দুই- আড়াই বয়স হবে।”

    এত খোঁজখবর করছে কেন বিনীতা, কী চাইছে ও? দরজার আড়ালে থেকে ভাবল অরুণাভ। তারপর সরে এল সেখান থেকে, নিজের ওপরই বিরক্ত হল আড়ি পাতার জন্য। নিজের ভবিষ্যতের কথা ভাবার অধিকার অবশ্যই আছে বিনীতার। শোবার ঘরে ফিরে এসে ঘুমোবার চেষ্টা করল সে। ডাক্তার বলেছিল নতুন ওষুধ দিয়েছে, ভাল ঘুম যাতে হয়। টয়লেট পেয়েছিল বলে মনে হয় ঘুম ভেঙে গেছিল।

    ওদিকে মৃদু হেসে ইন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করল বিনীতা, “প্রাক্তন স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ আছে তাহলে?”
    ইন্দ্রনীলও হাসল, “বছরে দু-তিন বার ফোনাফুনি হয়।”
    “হুমমম…” নিঃশ্বাস ফেলল বিনীতা। “আপনার জীবনেও তো নানা রকম চেঞ্জ।”
    “চেঞ্জ ইজ দ্য ওনলি কনসট্যান্ট ইন লাইফ, ম্যাডাম,” বলল ইন্দ্রনীল।
    বিনীতা একটু সময় চুপ করে থাকল। “আরও যে কত বদল আসবে কে জানে…”
    “নিজের কথা বলছেন?” জানতে চাইল ইন্দ্রনীল।
    বিনীতা একটু থেমে উত্তর দিল, “সবার কথাই বলছি।”

    এর পর দু’জনেই কিছুক্ষণ চুপ। ইন্দ্রনীল নেমে এল খাটের ওপর থেকে, বিনীতা ভাবল ডাক্তার হয়তো ওয়াশরুমে যাবে।
    “আমি একটু রোগীকে দেখে আসছি।” ঘর থেকে বেরিয়ে গেল সে।
    বিনীতা যেমন চেয়ারে বসেছিল, তেমনই রইল। একগাদা ভাবনাচিন্তায় ডুবে গেল। রাত প্রায় একটা বাজে, ঘুম আসছে না তার।

    নাইট ল্যাম্পের আলোয় শব্দ না করে অরুণাভর ঘরে ঢুকল ইন্দ্রনীল। ঘুমাচ্ছে মনে হয় তার রোগী। অরুণাভর নিঃশ্বাস নেওয়ার ধরনটা কি বদলে গেল ইন্দ্র বিছানার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে? রোগীর কপালে হাত রাখল ডাক্তার, জ্বর নেই। অরুণাভর একটা হাত কম্বলের বাইরে ছিল, আলতো করে সেই হাতটা তুলে পালস দেখল। ঘুমন্ত মানুষের তুলনায় বেশি রয়েছে পালস রেট। জেগে আছে তার রোগী। ঘুমের ভান কেন করছে? আগেই উঠেছে? ইন্দ্র আর বিনীতার কথার শব্দে ঘুম ভেঙেছে? টয়লেট পেয়েছিল? উঠে কি গেস্ট রুমের দিকে গেছিল? নানা প্রশ্ন মনে এল তার। তবে কিছু বলল না সে, ফিরে এল যেখানে সে ছিল। 

    গেস্ট রুমে এসে ইন্দ্র দেখল জানলাটা খুলেছে বিনীতা। দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে আসছে ঠান্ডা। 
    পায়ের আওয়াজ পেয়ে বিনীতা ফিরে তাকাল। “বাঁশি শুনতে পাচ্ছেন?”
    জানলার কাছে এসে কান পেতে শুনল ইন্দ্রনীল। “হ্যাঁ, কিন্তু  এই ঠান্ডায় এত রাতে বাইরে কে বাজাচ্ছে?”
    “গঙ্গা বলে একটি ট্রাইবাল ছেলে,” বলল বিনীতা।
    “আপনি চেনেন?”
    “না, তবে জানি। এখানকার সবাই জানে।”
    “একটা গল্প আছে মনে হচ্ছে?” আগ্রহী হল ইন্দ্রনীল।
    “আছে। শুনবেন?” বলল বিনীতা।
    “নিশ্চয়।”

    খাটের ওপর উঠে নিজের জায়গায় বসে ইন্দ্রনীল। জানলা বন্ধ করে চেয়ারে ফিরে আসে বিনীতাও। মনে মনে সাজিয়ে নেয় গল্পটা। অবশ্য গল্প ঠিক নয়, সত্যি ঘটনা। তিনজন মানুষ যার সাথে জড়িত - দু’জন তরুণ আর এক জন তরুণী। 

    বছর দুই আগের ঘটনা। গঙ্গা এই কুসুমবনী কোলিয়ারিতেই কাজ করে। সে পছন্দ করে রিমিল নামের একটি মেয়েকে। গঙ্গার বন্ধু মঙ্গলও রিমিলকে চায়। রিমিলের সঙ্গে এদের দুজনেরই  সম্পর্ক ভাল, সে বোঝে এরা দু-জনেই তাকে ভালবাসে। কিন্তু সে নিজে যে কাকে বেশি চায় সেটা বুঝতে পারে না। গঙ্গা কাজের ছেলে, ভাল বাঁশি বাজায়, তবে মদ খেলে তার আর কোন কিছুই খেয়াল থাকে না। মঙ্গলের দায়িত্ববোধ আছে, একটা ছোট দোকান চালায়। তবে সে বড্ড বেশি আবেপ্রবণ যেটা মাঝে মাঝেই সমস্যা তৈরি করে। গঙ্গা আর মঙ্গলের মধ্যে এক দিন জোর ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে কে রিমিলকে বিয়ে করবে তাই নিয়ে। শেষে তারা ঠিক করে রিমিল নিজেই জানাক কাকে সে বিয়ে করবে, তার সিদ্ধান্ত দুজনেই মেনে নেবে। রিমিল দুই দিন সময় চায়। তার পর এক সন্ধ্যায় তাদের দু’জনকেই ডেকে জানায় ওদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া তার পক্ষে খুবই কঠিন ছিল, তবু একটা সিদ্ধান্তে সে পৌঁছেছে। এটাও জানায় সে আশা করে এর ফলে গঙ্গা আর মঙ্গলের সম্পর্কে কোন চিড় ধরবে না। দুই বন্ধু এই কথা মেনে নিলে রিমিল বলে সে ঠিক করেছে গঙ্গাকে বিয়ে করবে। 

    এতক্ষণ চুপ করে গল্প শুনছিল ইন্দ্রনীল। এবার মুখ খুলল, “একটা ত্রিকোণ প্রেম জন্ম নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।”
    “কী জন্ম নেয় দেখুন,” বলে বিনীতা। ফের গল্প শুরু করে।

    রিমিলকে পাওয়ার আনন্দে গঙ্গা প্রচুর মদ খায়। আর হতাশায় যন্ত্রণায় মঙ্গল গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে দু দিন পরে। ছেলের মৃত্যুর জন্য মঙ্গলের মা সরাসরি রিমিলকে দায়ী করে। অন্যান্য লোকেরাও বলে রিমিল যখন জানত মঙ্গল অতি আবেগপ্রবণ, তখন তার বুঝে কাজ করা উচিৎ দিল। সব দিক থেকে আক্রান্ত রিমিল গঙ্গার কাছে যায়। বন্ধু হারানোর দুঃখে সেদিনও মদ খেয়েছে সে। গঙ্গা জানায় তাদেরই জন্য আজ মঙ্গল নেই, ওর কথা তাদের ভাবা উচিৎ দিল। মানসিক আশ্রয়ের জন্য যার কাছে ছুটে এসেছিল রিমিল, সেও পরোক্ষে তাকেই দায়ী করল। পাহাড় থেকে নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে রিমিল। বন্ধু আর হবু বৌ দু-জনকেই হারায় গঙ্গা। তার মনে প্রশ্ন জাগে রিমিল তাহলে আসলে ভালবাসত কাকে। 

    গল্প শেষে দু’জনেই কিছুক্ষণ চুপচাপ। তারপর ইন্দ্রনীল মুখ খুলল।
    “সত্যিই তো, রিমিল কাকে ভালবাসত?”
    বিনীতা বলল, “রিমিল নিজেই কি সেটা জানতো? হয়তো দু-জনকেই।”
    “তাহলে গঙ্গাকেই বা বাছল কেন?” জিজ্ঞাসা করল ইন্দ্রনীল।
    “বিয়ে তো একজনকেই করতে হত। কেন একে বাছল, ওকে নয়, তার উত্তর আজ আর কে দেবে?”

    আরও একটা প্রশ্ন আসে ইন্দ্রনীলের মনে। “মঙ্গল সুইসাইড করার পর রিমিল যদি গঙ্গাকে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় পেত, তাহলে কী হত?... অবশ্য এটাও হাইপোথেটিক্যাল প্রশ্ন।”
    বিনীতা মাথা নাড়ল। “সেটাও কেউ জানে না। তবে গঙ্গা মদ ছেড়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ও এখন একটা সংস্থা খুলেছে যারা মদ খাওয়ার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ারনেস ড্রাইভ চালায়। আর রাতের দিকে মাঝে মাঝে একা বসে বাঁশি বাজায়। কাছেই থাকে এখন, হাওয়া এদিকে থাকলে শোনা যায়।”
    ইন্দ্রনীল বলল, “এটাও তো পরিবর্তন।”
    বিনীতা উত্তর দিল, “বললেন না পরিবর্তনটাই কনস্ট্যান্ট।… আর এক রাউন্ড কফি চলবে?”
    ইন্দ্রনীল এই কথার উত্তর দেয় না। ঘুরে বসে বিনীতার দিকে, একবার দরজার দিকে তাকায়, তারপর জিজ্ঞাসা করে, “আপনি কেমন পরিবর্তন চান ম্যাডাম? কনসিডারিং ইওর কারেন্ট সিচুয়েশন, ধরুন আজ থেকে দু বছর পরে?” বিনীতা অন্যদিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকে। ইন্দ্রনীল ফের ডাকে, “ম্যাডাম....”

    বিনীতা এবার সোজাসুজি তাকায় ইন্দ্রনীলের দিকে। উত্তরের জন্য অপেক্ষা করে ডাক্তার। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০১ নভেম্বর ২০২৪ | ৪২৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৫539021
  • যাঃ এইখানে এসে থামল? 
  • Nirmalya Nag | ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৩০539026
  • @স্বাতী রায় - মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। দেখুন এর প পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৬539264
  • এক সপ্তাহ হয়ে গেল তো ... 
  • Nirmalya Nag | ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৪539296
  • @স্বাতী রায় - এই সপ্তাহে দিতে পারলাম না। ক্ষমাপ্রার্থী।
  • Ranjan Roy | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:১১539335
  • পাঠকদের অবস্থান রিমিলের মত।
    ক্লিফ হ্যাংগার!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন