এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... - ৩১

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪০১ বার পঠিত
  • ।। একত্রিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ] 

    বিনয়ের ‘কালারিং’ এসে গেছে স্কুল থেকে। মামুকে রঙিনও খুব পছন্দ করে, তবে দেখা কম হয়। এবার তার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে আমের আচার নিয়ে এসেছে বিনয়, সে জন্য ভাগ্নি খুব খুশি। বিকেল বেলা গেস্ট রুমে বসে মামুকে তার ড্রইং-এর খাতা দেখাচ্ছে। 
    “বাঃ, কালারিং তো বহুত আচ্ছা কালারিং করতা হ্যায়,” রঙিনের আঁকা সিনারি দেখে মন্তব্য করল বিনয়।
    রঙিন তাকালো মামুর মুখের দিকে। “করতা নয়, করতি। আমি তো মেয়ে।”
    বিনয় নিজের কান মুললো। “সরি, সরি। করতি হ্যায়, করতি হ্যায়।”
    “তুমি খালি হিন্দি কেন বল?” অভিযোগ করল রঙিন।
    “হিন্দি হামারা রাষ্ট্রভাষা হ্যায়,” গম্ভীরভাবে বলল বিনয়।
    রঙিনের মনে একটা গভীর সন্দেহ এসেছে। “মামু, তুমি কি বাড়িতেও হিন্দি বল?”
    বিনয় দ্রুত উত্তর দিল, “হাঁ, হাঁ… বাড়িমে ভি হিন্দি বোলতি হুঁ।”
    “ওফ, এবার বোলতা হুঁ হবে, তুমি তো ছেলে,” মামার ভুল শুধরে দিল ভাগ্নি।
    “ওফ, কেয়া কঠিন ভাষা হ্যায়।… বিন্তি কি বেটি ভি তো টিচার লাগ রাহা হ্যায়।”
    “আমি যখন বড় হব, তখন টিচার হব,” রঙিন ঘোষণা করল।
    “বহুত আচ্ছা। কিস সাবজেক্ট কা টিচার?” জানতে চাইল মামু।
    কিন্তু এই প্রশ্নটা বড্ড কঠিন। খানিক ভেবেচিন্তে রঙিন বলল, “জানি না।”
    বিনয়ের চোখ যায় খোলা ড্রইং খাতার দিকে। জিজ্ঞাসা করে, “ড্রইং টিচার?”
    রঙিন প্রশ্নটা মনে মনে বিবেচনা করে। সঠিক উত্তর খুঁজে পায় না। ড্রইং খাতার পাতা ওলটাতে ওলটাতে এক জায়গায় এসে থামে।
    “এই ছবিটা দেখে ডক্টর আঙ্কল ভেরি গুড বলেছে।”
    “ডক্টর আঙ্কল কৌন?” জিজ্ঞাসা করে বিনয়।
    “বাবার ডাক্তার।”
    “ডক্টর আঙ্কল কাঁহা দেখা ইয়ে ড্রইং?”
    “এখানে।”
    একটু অবাক হয় বিনয়। জিজ্ঞাসা করে, “ডক্টর আঙ্কল আসেন এখানে?”
    “আসে তো। ডিনার করেছে। এক দিন বাবার খুব শরীর খারাপ ছিল, সেদিন রাতেও ছিল।”
    “বাঃ, ভাল ডাক্তার। কী নাম?”
    “কী যেন বিশ্বাস,” বলে রঙিন।
    “সারনেম বিশ্বাস? বাঙালি? আর নাম কী যেন?”
    “দ্যুৎ, কী যেন কারো নাম হয়? আমি নাম জানি না,” মামাকে জানাল ভাগ্নি।
    হেসে উঠল বিনয়।

    *** 
    রাতে খেতে বসেছে অরুণাভ, বিনয়, রঙিন। বিনীতা রান্নাঘর থেকে একটা পাত্র নিয়ে এসে টেবিলে রাখে। তারপর নিজে টেবিলে বসতে বসতে বিসপাতিয়াকে রুটি নিয়ে আসতে বলে। 
    অরুণাভ বিনয়কে জিজ্ঞাসা করে, “আপনি আছেন তো কয়েক দিন?”
    “সাত দিন, এক হপ্তা,” জানায় বিনয়।
    “গুড,” বলে অরুণাভ।
    বিসপাতিয়া ইতিমধ্যে ক্যাসেরোলে করে রুটি দিয়ে গেছে টেবিলে। সেখান থেকে সবাইকে রুটি দিতে দিতে বিনীতা বলে, “আর গুড ! সাত দিন ধরে ঘরেই তো বসে থাকবে। বললাম চল দু-দিন ঘুরে আসি, তাও তো…”
    অরুণাভ একটু জোরের সঙ্গে বলে, “বললাম তো কাজটা শেষ হলে যাব.....”
    বিনয় বলে, “নেহি নেহি, ইয়ে ঠিক নেহি হ্যায়। ঘুরতে যানা শরীরকে লিয়ে আচ্ছা হোতা হ্যায়।”
    বিনীতা বলল, “সে আর ওকে কে বলবে? কাজে না গেলেই বরং ওর শরীর খারাপ হয়।”
    রঙিনের এই সব কথা ভাল লাগছে না। সে মসুর ডালের বাটিতে চুমুক দিয়ে খানিকটা খেয়ে নিল। তারপর বলল, “আমায় আর একটু ডাল দাও।”
    বিনীতা রঙিনকে ডাল দেয়।
    অরুণাভ কিছু একটা ভাবছিল। এবার বলল, “এক দিনের জন্য কোথাও যাওয়া যেতে পারে। সকালে বেরিয়ে সন্ধ্যায় ফেরা।”
    “হাঁ হাঁ, ইয়ে প্রস্তাব আচ্ছা যায়। চারদিকে তো বহুত সুন্দর সুন্দর জায়গা হ্যায়।… হামারা ভি এক প্রস্তাব হ্যায়।” সবাই বিনয়ের দিকে তাকাল, সেও সবার মুখের দিকে দেখে নিয়ে বলল, “পিকনিক মে গেলে কেমন হোগা?”
    রঙিন সবার আগে হাত তুলল। “আমি যাব পিকনিক।”
    অরুণাভ বলল, “ঠিক আছে। হোক পিকনিক।”
    সবার মুখেই হাসি ফুটল। বিনীতা বলল, “রান্না কিন্তু স্পটেই করা হবে। বিসপাতিয়া যাবে সঙ্গে। বাড়ি থেকে খাবার প্যাক করে নিয়ে গিয়ে পিকনিক জমে না।”
    “ওনলি ফাইভ ! পিকনিক জমেগা তো?” জিজ্ঞাসা করল বিনয়।
    “গায়ত্রী আর রঞ্জিতজীকে বলা যায়,” বলল বিনীতা।
    “নিশ্চয়,” জানাল অরুণাভ।
    “ইয়ে দো কওন হ্যায় জী?” জানতে চাইল রঙিনের মামু।
    বিনীতা জানাল এরা দুজন হল তার বান্ধবী আর তার স্বামী।
    “বহুত আচ্ছা। তেরা বান্ধবী মানে তো মেরা ভি বান্ধবী হ্যায়। অর কোই?”
    অরুণাভ বলল, “অওর ডক্টর বিশ্বাস।”
    “কোলম্যানকা ডক্টর?”
    অরুণাভ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়।
    “ওনাকে আবার কেন?” অস্বস্তির সঙ্গে বলল বিনীতা।
    স্ত্রীর আপত্তি উড়িয়ে দিল স্বামী। “নয়ই বা কেন? ওনাকে তো এখন ফ্যামিলি ফ্রেন্ড বলা যায়।”
    বিনয় বলল, “হাঁ হাঁ, কিউ নেহি? যো ডাক্তার হ্যায় ও তো পরিবারকা বন্ধু হ্যায়। আর পরিবারকা বন্ধু মেরা ভি বন্ধু হ্যায়।”
    বিনীতা হাল ছেড়ে দেয়। দাদাকে জিজ্ঞাসা করে, “তোকে আর দুটো রুটি দিই?”
    “দো নেহি, এক রুটি।… আচ্ছা তো আট হুয়া। অর দো হোতা তো বহুত আচ্ছা হোতা।”
    অরুণাভ বলে, “দেখছি আর দুজন পাওয়া যায় কি না।”
    “বহুত আচ্ছা। অর দো মিলেগা তো পিকনিক জমকে দই হো যায়গা।”
    তিন-চার জন ড্রাইভারকেও হিসেবে রাখার কথা জানাল বিনীতা। কোথায় হবে পিকনিক তাই নিয়ে আলোচনায় এল তোপচাঁচি লেক, গুয়াই ড্যাম, বারমো। সব দিক ভেবে গুয়াই ড্যামই ঠিক করা হল।
    “লেকিন কব হোগা পিকনিক?”
    “রবিবার,” জানাল অরুণাভ।
    বিনয় হাত তুলে প্রায় চেঁচিয়ে উঠলঃ “থ্রি চিয়ারস ফর কোলম্যান ! হিপ হিপ-”
    “হুরররে!!” বলল রঙিন।
    অরুণাভ বিনীতাকে মেনু ঠিক করতে বলল, বাজার টাজার করতে হবে।
    “কাল গায়ত্রীর সাথে কথা বলছি। ওরা যদি যেতে পারে তাহলে আমি আর ও মিলে মেনু ঠিক করে ফেলব কাল। পরশু শনিবার বাজার।”
    “আমি কিন্তু রবিবারের আগে সময় দিতে পারব না। শনিবারে একটা জরুরী মিটিংও আছে,” জানাল অরুণাভ।
    বিনয় অভয় দিল। “তুম মিটিং করো কোলম্যান। ইটিং কা বাজার ম্যায় দেখুঙ্গা।”

    ***
    পিকনিকে যাদের নাম ভাবা হয়েছিল তাদের সবাইকেই পাওয়া গেছে। আরও দু জন - কবিতা আর তার হাজব্যান্ড সুনীল - আসবে। ডাক্তারকে ফোন করেছিল অরুণাভ, সে নিমরাজি হয়েছে। অনেক দিন পর একটা আউটিং-এর সুযোগ পেয়ে বিনীতা খুব খুশি। ইন্দ্রনীলের ফ্ল্যাট থেকে ডিনার সেরে ফেরার পর তাকে একটা আউটিং প্রমিস করেছিল বিনীতা, সেটা এতদিন হয়ে ওঠেনি। পরিস্থিতিও ঘুরে গেছে কিছুটা। গায়ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মেনু ঠিক করে ফেলেছে বিনীতা। প্যাকড ব্রেকফাস্ট দিয়ে শুরু। দুপুরে ভাত, মুগ ডাল, আলু ভাজা, ইলিশ মাছ ভাজা, ইলিশের ঝাল, চিকেন, স্যালাড, টমেটোর চাটনি আর মিষ্টি। সফট আর হার্ড ড্রিংকসও থাকবে।

    ঠিক হয়েছে বিনীতা আর বিনয় বাজার করবে, রঞ্জিত চেয়ার টেবিল শতরঞ্জি বাসন ইত্যাদি সামলাবে। সুনীল নিজে থেকেই মদের দায়িত্ব নিয়েছে।

    কিন্তু সন্ধ্যাবেলা বাজারে গিয়ে মুশকিলে পড়ল ভাইবোন। ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না তেমন। যে দুজনের কাছে ইলিশ আছে সেটা বিনীতার পছন্দ হচ্ছে না। বাজারের বাইরে বেরিয়ে আসে দুজনে। বিনীতার চোখে মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
    বিনয় বলে, “ইলিশ না পেলে কী আর করবি? অন্য মাছ নে।”
    “ইলিশ হলে ভাল হত,” বলল বিনীতা।
    “তা তো হত। কিন্তু নেই তো। (বিনীতা চুপ করে থাকে) ভেটকিগুলো তো ভালই ছিল। সেগুলোই নেওয়া যাক। কী বলিস?”
    “একটু দাঁড়া,” বলে বিনীতা ব্যাগ থেকে ফোন বার করে।

    আজ রঞ্জিত তাড়াতাড়ি বাড়ি এসেছে। কর্তাগিন্নী মিলে টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখছিল চা খেতে খেতে। এমন সময়ে ফোন বাজল গায়ত্রীর। 
    গায়ত্রী ফোন হাতে নিয়ে বলল, “হ্যাঁ বিনীতা, বল…” 
    রঞ্জিত রিমোট তুলে টিভির ভল্যুম কমিয়ে দেয়।
    গায়ত্রী ফোনে কথা বলে, “না পেলে কী করবি? অন্য কিছু দেখ।… না না, ভেটকি নিস না। ফ্রাই করার অনেক ঝামেলা আছে, প্রচুর সময় লাগে।… হুঁ, বুঝতে পারছি।… ঠিক আছে দেখা যাক।”

    ফোন রেখে চায়ের কাপ তুলে নেয় গায়ত্রী। রঞ্জিতকে বলে, “ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না, বিনীতার ভাল লাগছে না।”

    গায়ত্রী দেখে অন্যমনস্কভাবে বসে আছে তার স্বামী। জিজ্ঞাসা করে, “কী হল”
    “একটা কথা মনে হল,” বলল রঞ্জিত।
    “কী?”
    “আজ সন্তোষের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।”
    “কোন্‌ সন্তোষ?”
    “তুমি চেন না, কোলিয়ারির এক ইউনিয়ন নেতা।”
    “কী হয়েছে তার?”
    “বিনীতা ভাবির নিন্দে করতে চাইছিল ডাক্তারবাবুকে জড়িয়ে, আমি কাটিয়ে দিলাম।”
    “এ আর নতুন না কি?”
    “আমার মনে হচ্ছে অন্য একটা কথা।… দেখ, এত কিছু কথা হচ্ছে… সবাই ভাবির নামে বলছে, ডাক্তারের নামে কেউ কিচ্ছু বলছে না। এক হাতেই যেন তালি বেজেছে… একটা মানুষকে শান্তিতে–,” থেমে গেল রঞ্জিত, কথা শেষ করল না।
    কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে গায়ত্রী বলল, “বিনীতাকেই এদের বেশির ভাগ চেনে… মানে দাদার স্ত্রী হিসেবে জানে। কিন্তু ডাক্তারকে চেনে না।… তাছাড়া মেয়েদের নামে বলা অনেক বেশি মুখরোচক। আমাদের সংস্কৃতিই এই।”
    “সংস্কৃতি…আর আমাদের এই সংস্কৃতিকে চালিয়ে নিয়ে যায় এই সব সিরিয়াল।” রিমোট তুলে টিভি বন্ধ করে দেয় রঞ্জিত। গম্ভীর হয়ে বসে থাকে।
    একটু পরে রিমোটটা রেখে দেয়, স্বাভাবিক গলায় প্রশ্ন করে, “কী বলছিলে ইলিশ নিয়ে?” 

    ***
    সকাল বেলা ইরিগেশন ক্যানালের পাশ দিয়ে চলেছে পর পর দুটো গাড়ি গুয়াই ড্যামের দিকে। অরুণাভদের গাড়িতে রয়েছে এজিএম সাহেব, বিনয়, বিকাশ আর বিনীতা আর রঙিন। গায়ত্রীদের ভাড়া করা গাড়িতে কিছু মালপত্রসহ রয়েছে রঞ্জিত, গায়ত্রী, বিসপাতিয়া আর ড্রাইভার। বাকিরা নিজেদের মত এসে যাবে। 

    ইলিশ পাওয়া যায়নি, মেনুতে একটু বদল আনতে হচ্ছে। এইটুকু বাদ দিলে বিনীতার আশা পিকনিক ভাল ভাবেই হবে। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সহেলি | 2600:8804:8261:7300:c4ce:a4d2:b6d9:***:*** | ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৯540620
  • ভারী সুন্দর লাগছে পড়তে 
  • Nirmalya Nag | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫১540637
  • @সহেলি - ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন