এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... - ২২

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | ৪১২ বার পঠিত
  • ।। বাইশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]
      
    বিনীতা আতঙ্কিত মুখে স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, এমন সময়ে তার মোবাইল বেজে উঠল। ইন্দ্রনীল ফোন করছে; ফোনটা ধরতেই ওপার থেকে ডাক্তার বলল, “সরি ফোন ধরতে পারিনি… এক জন পেশেন্টের–”
    কথা শেষ করতে দিল না বিনীতা। “ওর আবার ব্লাড এল কাশির সঙ্গে।”
    “কখন?”
    “এখনই, এক মিনিটও হয়নি। বৃষ্টিতে ভিজেছে, জ্বর এসেছে, প্যারাসিটামল দেবো কি না জানার জন্য আপনাকে ফোন করেছিলাম। না পেয়ে মাথা ধুয়ে দিলাম। তার পরেই কাশির সাথে…”
    কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইল ইন্দ্রনীল, তারপর বলল, “কিছু খেয়েছেন উনি?”
    “না।”
    একটা ওষুধের নাম করে সেটা দিতে বলল ইন্দ্রনীল।
    “এ ওষুধটা একবারে প্রথম দিকে দিয়েছিলাম। সম্ভবতঃ এখন ফুরিয়ে গেছে। আমি হোয়াটস্যাপ করে নামটা পাঠাচ্ছি। না থাকলে আনিয়ে নিন।… ড্রাইভার কি আছে এখনও?”
    “আছে।”
    “গুড, ওটা আনান। কিছু খাইয়ে দিন ওনাকে। দুধ, রুটি, টোস্ট, সুজি যা হোক। তারপর প্যারাসিটামল দিন। ওষুধটা এসে গেলে ওটাও দিয়ে দেবেন।”
    “আচ্ছা।”
    “এখন সাতটা পনের বাজে। ঠিক আটটা পনেরতে আমায় ফোন করুন। কেমন থাকছেন জানান। তার আগে জ্বরটা একটু দেখবেন। ও হ্যাঁ, ওই ওষুধটার জন্য ড্রাইভারকে কোনও বড় দোকানে পাঠান। রাখছি। আটটা পনেরতে ফোন করুন। যদি সম্ভব হয়, ড্রাইভারকে ততক্ষণ পর্যন্ত আটকে রাখুন।”
    “ইয়ে… ফোনটা…”
    “ডোন্ট ওয়ারি, ফোন ধরব। তবে না ধরলেও চিন্তা করবেন না। রাখছি।”

    শেষের কথাগুলো কিছুই বুঝতে পারল না বিনীতা। বার বার বলল ঠিক আটটা পনেরতে ফোন করতে। আবার এটাও বলল ‘ফোন না ধরলেও চিন্তা করবেন না’! এর  মানে কী?

    ডাক্তারের হেঁয়ালি ভরা কথা নিয়ে ভাবার সময় নেই বিনীতার। ইন্দ্রনীলের মেসেজ ঢুকে গেছে। একটা নয় দুটো ওষুধের নাম পাঠিয়েছে - যে কোনও একটা পেলেই হবে। কী ভাবে খেতে হবে সেটাও লেখা আছে। ভাগ্যিস বিকাশ এখনও রয়েছে।

    ড্রাইভারকে দোকানে পাঠিয়ে অরুণাভর জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করতে গেল বিনীতা। এখনও মাঝে মাঝে কাশছে তার স্বামী। তবে রক্ত আর ওঠেনি। দুধ বিস্কুট খাইয়ে তারপর প্যারাসিটামল দিল বিনীতা।

    কপাল ভাল বলতে হবে, ইন্দ্রনীলের বলে দেওয়া ওষুধটা বিকাশ পেয়ে গেল কাছাকাছি দোকানেই। ফলে পৌনে আটটার মধ্যেই সে ওষুধটাও পড়ে গেল। ঠিক আধ ঘণ্টা পরে সোয়া আটটার সময়ে ডাক্তারকে ফোন করল বিনীতা। ধরবে তো ডাক্তার?

    ধরল না, ফোন বেজে বেজে থেমে গেল। দু’ মিনিট অপেক্ষা করে ফের ফোন করল বিনীতা, এবার এনগেজড টোন এল। বিরক্ত হল বিনীতা। নিজে বার বার করে ফোন করতে বলার পর সেটা না ধরাটা, বা রিং ব্যাক না করাটা কী রকম ভদ্রতা? রোগী নিয়ে ব্যাস্ততা থাকতেই পারে ডাক্তারের, তবে অরুণাভও তো রোগী। তার ভালমন্দও তো দেখতে হবে। এই লোককে কি না তার ভাল লেগেছিল!

    মোবাইল বাজছে। ইন্দ্রনীল নিশ্চয়, নাহ - গায়ত্রী।
    “হ্যালো?”
    “দাদার ডাক্তারের নাম ইন্দ্রনীল বিশ্বাস তো?”
    “হ্যাঁ, কেন?”
    “ওনাকে নিয়ে আজ হসপিটালে কিছু একটা হয়েছে।”
    “কী হয়েছে?” উৎকণ্ঠিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল বিনীতা।
    “এক এমএলএ-র আত্মীয় ওনার পেশেন্ট ছিল, সে আজ মারা গেছে। তাই নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। টিভিতে দেখাচ্ছে।”
    সেই জন্যই কি ফোন ধরছিল না ইন্দ্রনীল! ‘না ধরলেও চিন্তা করবেন না’ এই কথার সাথে  হাসপাতালের ঝামেলার কোনও যোগ আছে না কি!
    “কী হয়েছে? ওনাকে মারধর করেছে? হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছে?”
    “না, তবে জোর হল্লাবাজি হয়েছে। হাসপাতাল বলেছে তাদের কোনও দোষ নেই। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখী হতেও তারা রাজী।”
    বিনীতা টের পেল আর একটা কল আসছে তার ফোনে, এক ঝলক তাকিয়ে দেখল - ইন্দ্রনীল।
    “আমি রাখছি, ডাক্তারবাবু ফোন করছেন,” বলে গায়ত্রীর উত্তরের অপেক্ষা না করেই কলটা কেটে দিল সে।
    ইন্দ্রনীলকে ফোন করতেই ধরল সে। কোনও ভূমিকা না করেই বলল, “জ্বর কমেছে?
    “হ্যাঁ, এখন ১০০।”
    “ওষুধটা দিয়েছেন?”
    “হ্যাঁ।” 
    “কাশি হচ্ছে? ব্লাড?”
    “কাশি হচ্ছে, তবে আগের মত নয়। ব্লাড আর ওঠেনি।”
    “গুড, একটু পরে আবার কনট্যাক্ট করছি।”
    “ডাক্তারবাবু…”
    “বলুন।”
    “হাসপাতালে কী হয়েছে আজ? আমি শুনলাম…”
    “চিন্তা করবেন না। এসব পলিটিক্যাল ঝামেলা নতুন কিছু নয়।… আধ ঘন্টা বাদে ফের যোগাযোগ করছি। আর হ্যাঁ, ড্রাইভারকে আর একটু থাকতে বলুন।”
    ফোন কেটে দিল ইন্দ্রনীল।
    ন’টা বেজে কুড়ি মিনিটে অরুণাভর বাড়ির সামনে একটা গাড়ি এসে থামল। তার থেকে নেমে এসে বেল বাজাল ইন্দ্রনীল।

    ডাক্তারকে আচমকা বাড়িতে দেখে অবাক হল বিনীতা, তারপর খুশি হল, খুব খুশি হল, নানা কারণে।

    ইন্দ্রনীল আজ খুব কম কথার মানুষ। সোজা পেশেন্ট দেখতে চাইল। শোবার ঘরে আনা হলে নানা ভাবে অরুণাভকে পরীক্ষা করল সে। জ্বর মাপল, প্রেসার দেখল। প্রেসক্রিপশন চেয়ে নিয়ে তার তালিকার সঙ্গে ঘরে থাকা ওষুধগুলো মিলিয়ে নিল। বিছানার পাশে একটা চেয়ার দেওয়া হয়েছে ডাক্তারকে।

    অরুণাভর বার দুই কাশি হল। “হাসপাতালে যাব না ডাক্তার। আমার অনেক কাজ বাকি, গেলেই দেরি হয়ে যাবে।”

    প্রেসক্রিপশনের কাগজে একটা নতুন ওষুধ লিখল ইন্দ্রনীল। বিনীতাকে বলল বিকাশকে দিয়ে ওটা আনিয়ে নিতে, তারপর ওর ছুটি। বিনীতা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে অরুণাভর দিকে তাকাল সে। আগে অরুণাভ ‘ডাক্তারবাবু’ বলে ডাকত, সেই দিন ওর কোয়ার্টারে মদ খাওয়ার পর ‘ডাক্তার’ বলে ডাকা শুরু করেছিল। আজও যে সেই সম্বোধনই বজায় রেখেছে সেটা খেয়াল করল সে।

    “আপনাকে হসপিটালে যাতে না যেতে হয় সেই চেষ্টাই করছি। একটু কোঅপারেট করুন আপনিও। জরুরী কাজ যখন আছে, সেটা শেষ করার জন্য শরীরের দিকে একটু খেয়ালও তো রাখতে হবে,” বলল ইন্দ্রনীল।
    “সরি, আজ একটু ফ্রেশ হওয়ার জন্য মাইনের দিকে গেছিলাম অফিস থেকে বেরিয়ে। তখনই…”
    “মাইনের দিকে গেছিলেন? মুখে মাস্ক ছিল?”
    “না।”
    “হুমম… যাকগে, চিন্তা করবেন না। খুব দরকার না হলে আপনাকে হসপিটালে যেতে বলব না। নিন, আর কথা বলবেন না। রেস্ট নিন। তবে তার আগে জল খান।”

    পাশের টেবিলে রাখা বোতল থেকে গ্লাসে জল ঢেলে অরুণাভর হাতে দেয় ইন্দ্র। খেয়ে নিয়ে গ্লাস ফেরত দিয়ে শুয়ে পড়ে এজিএম সাহেব, চোখ বোজে।

    ইন্দ্রনীল চেয়ার ছেড়ে ওঠে, বাইরের ঘরের দিকে যায়। রঙিনের ঘরের দরজা পেরিয়ে ডাইনিং রুমে পৌঁছতেই দেখে বিনীতা আসছে হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে, ডাক্তারকে দেখে থেমে গেল সে।

    “আপনার চা নিয়ে যাচ্ছিলাম,” বলল বিনীতা।
    “ওষুধ আসছে?”
    “হ্যাঁ, বিকাশ গেছে।”
    “গুড, আপনি ওনার ডিনারের ব্যাপারটা দেখুন। আর হ্যাঁ, আমায় আজকের রাতটা এখানে থাকলে ভাল হয়। অবশ্য যদি আপনাদের কোনও প্রবলেম না হয়।”
    আতঙ্কটা ফিরে আসে বিনীতার। “ওর কি…”
    হাত তুলে অভয় দেয় ইন্দ্রনীল। “চিন্তা করবে না, একটা প্রিকশনারি মেজার বলতে পারেন।”
    “বেশ তো, আপনি থাকুন। আমাদের কোনও অসুবিধে নেই।”
    “থ্যাংক ইউ। তবে আমার খাওয়া নিয়ে ব্যাস্ত হবেন না। আমি খেয়ে এসেছি।”
    মাথা নেড়ে ‘ঠিক আছে’ বোঝায় বিনীতা। মুখে বলে, “আপনার চা-টা ঘরে দিয়ে আসি।”
    এবার মাথা নেড়ে না বলে ইন্দ্রনীল। “আমিই নিয়ে যাচ্ছি চা। আপনি ওনার খাওয়ার অ্যারেঞ্জমেন্ট করুন।”

    চা নিয়ে বেডরুমে ফিরে আসে ইন্দ্রনীল। ঘুমন্ত অরুণাভর কপালে হাত রাখে, জ্বর আর বাড়েনি। চা খেতে খেতে পায়চারি করছিল ডাক্তার, দেখছিল ঘরটা। বিছানার পাশে বেডসাইড টেবিলে বই, টেবিল ল্যাম্প, জলের বোতল আর গ্লাস। এক পাশে ড্রেসিং টেবিল, তার সামনে একটা টুল। ড্রেসিং টেবিলের এক পাশের দেওয়ালের খানিকটা অংশ পিছন দিকে সরে যাওয়ায় একটা গহ্বর তৈরি হয়েছে। সেই ফাঁকে একটা আলমারি ধরে যেতে পারে। অবশ্য কোনও আলমারি ওখানে নেই। গহ্বরের সামনে ঝুলছে একটা পর্দা, সেটা এক পাশে খানিকটা সরে যাওয়ায় ভিতরটা একটু দেখা যাচ্ছে। সেখানে কয়েকটা রডে ঝুলছে ঘরোয়া পোশাক, অন্তর্বাস - পুরুষের, মহিলারও। এই দেওয়ালের পিছনেই রঙিনের ঘরের একটা দেওয়াল, আগেই খেয়াল করেছিল ইন্দ্রনীল। আর সেই দেওয়ালেও সম্ভবত একই রকম গহ্বর আছে। অন্য দেওয়ালে একটা দরজা, সম্ভবত অ্যাটাচড ওয়াশরুম। সে দরজার পাশে একটা বই-এর আলমারি, আর তার পরেই আর একটা দরজা, মনে হয় বারান্দার। সে দরজার পাশে মেঝেতে একটা ওয়েস্ট পেপার বাস্কেট। আর দরজার পাশেই বড় জানালা। যে দরজা দিয়ে সে এই ঘরে এসেছে তার মাথার ওপরে দেওয়াল ঘড়ি আর পাশের দেওয়ালে একটা তিন পাল্লার বড় আলমারি।

    একটা আওয়াজ পেয়ে ঘুরে তাকাল ইন্দ্রনীল। রঙিন দাঁড়িয়ে দরজায়। একবার বাবাকে দেখে নিয়ে তার দিকেই তাকাল মেয়ে।
    এগিয়ে গেল ইন্দ্রনীল, কোমর ঝুঁকিয়ে নিচু হয়ে নিজের মাথা আনল রঙিনের মুখের কাছাকাছি। নিচু গলায় জিজ্ঞাসা করল, “কি রঙিন, কী করছিলে?”
    “হোম ওয়ার্ক।”
    “বাহ, তুমি তো ভেরি গুড গার্ল। একা একাই হোম ওয়ার্ক কর।”
    “আজ একাই করছিলাম।”
    “আর অন্য দিন?”
    “মা থাকে।”
    “তুমি কোন ঘরে শোও, রঙিন?”
    “এই পাশের ঘরে।”
    “একাই শোও? ভয় করে না।”
    “বিসাও শোয়।”
    “বিসা– ও আচ্ছা,” রঙিন যে বিসপাতিয়ার কথা বলছে সেটা বুঝতে পারে ইন্দ্রনীল।
    রঙিনকে খেতে আসার জন্য ডাকতে আসছিল বিনীতা। দরজার মুখে দাঁড়িয়ে দেখল মেয়ের সঙ্গে কথা বলছে ডাক্তার; আর বিছানায় শুয়ে ঘুমোচ্ছে তার রোগী। দু’জন লোক আর একজন বাচ্চাকে এক ফ্রেমে দেখতে দেখতে অনেক কিছু মনে হচ্ছিল বিনীতার - মনে হচ্ছিল অতীত, বর্তমান আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা।

    “এসো, রঙিন। বিসা তোমার খাবার দিচ্ছে। আমি বাবার খাবার নিয়ে আসব।” মায়ের ডাক শুনে ডাইনিং রুমের দিকে চলে যায় রঙিন, সোজা হয়ে দাঁড়ায় ইন্দ্রনীল।

    চৌকাঠের দু’দিকে দাঁড়িয়ে একে অন্যের দিকে কয়েক মূহুর্ত তাকিয়ে থাকে ইন্দ্রনীল আর বিনীতা। কিছুদিন আগেই ইন্দ্রনীলের শোয়ার ঘরে ছিল তারা দু’জন – না, তিন জন ছিল।

    তৃতীয় জনের খাবার আনার জন্য রান্নাঘরের দিকে চলে গেল বিনীতা। ইন্দ্রনীলের কানে দেওয়াল ঘড়ির টিক টিক শব্দ কানে এল। (ক্রমশঃ) 
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | ৪১২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mahua Banerjee | ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৩৪538831
  • খুব ভালো লাগছে।
  • Nirmalya Nag | ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৬538913
  • @ Mahua Banerjee - অনেক ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন