এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আহা পথের প্রান্তে এক ব্যাগের ঘায়ে… 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ নভেম্বর ২০২৫ | ১৫০ বার পঠিত
  • নির্মাল্য নাগ

    সকাল সকাল গৌহাটি এয়ারপোর্টে নামার পর লাগেজ পত্তর বুঝে নিতে যেটুকু সময়, তারপরেই আমরা তিন তিরিক্ষে নয় জন উঠে পড়লাম গাড়িতে, লম্বা ট্রাভেলার গাড়িতে লম্বা পথ সামনে। আপাতত গন্তব্য ভালুকপং, সেখান থেকে ডিরাং হয়ে তাওয়াং - অরুণচল প্রদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্কিটে ভ্রমণের উদ্দেশ্য তিন পরিবারের। 

    চটজলদি ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়ে যাত্রা হল শুরু। আসামের  রাজধানী শহর ছেড়ে আসার কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে হাইওয়েতে গাড়ি কমতে লাগল, রোদের তেজ বেড়ে চলেছে। ভালুকপং যেতে প্রায় পাঁচ ঘন্টা লাগবে, এ ছাড়াও লাঞ্চ করা আছে, নামেরি ন্যাশনাল পার্ক যাওয়া আছে, ইনার লাইন পারমিট (আই এল পি) বানানো আছে। এসবে সময় লাগতে পারে, অন্য কোনও কারণেও থামতে হতে পারে, যেমন জল কিনতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছনের সিটে বসে মোবাইলে গান চালিয়েছে, আমরা - তাদের বাবা-মায়েরা - এটা ওটা আলোচনা করছি। অমিত বসেছে ড্রাইভার বিপুলের পাশের সিটে। দেড়শো কিলোমিটারের বেশি চলে এসেছি আমরা এয়ারপোর্ট থেকে, এখনও বেশ দেরি আছে ভালুকপং। এমন সময়ে অমিতের মোবাইল বেজে উঠল। কেজো অফিসিয়াল গলায় ওই প্রান্ত থেকে একজন জানাল এয়ারলাইন থেকে কথা বলছে, তারপর জানতে চাইল নির্মাল্য নাগ সঙ্গে আছে কি না। আমাদের সবার প্লেনের টিকিট অমিতই কেটেছিল। ও জিজ্ঞাসা করল, “হ্যাঁ, কেন?” ওপাশ থেকে উত্তর এল, “ওনার একটা লাগেজ বদল হয়ে গেছে।”

    আমাদের ট্রাভেলার গাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে হাইওয়ের এক পাশে, পিছনের দরজাটা খোলা। আমরা দাঁড়িয়ে আছি তার পাশে। দুই দিকে চাষের জমি আর তাদের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। যা এক দিকে চলে গেছে তেজপুর হয়ে ভালুকপং-এর দিকে। আর অন্য দিকে গৌহাটি, যেখানকার এয়ারপোর্টে অন্য একজনের নীল রঙের ট্রলি ব্যাগ যে আমাদের সাথে চলে এসেছে, তা নিশ্চিত হয়েছি কয়েক মিনিট আগে; আর আমাদেরটি যে কোথায় জানা নেই। 

    আমাদের নীল রঙের ট্রলি ব্যাগটি ছিল আমার ঊণিশ বর্ষের কন্যার, তাতে নিজের হাতে যত্ন করে গুছিয়েছিল সাত দিনের পোশাক, সাজগোজের জিনিস, আর দুটো দামী জ্যাকেট, অরুণাচলের ঠান্ডায় কাজে লাগবে বলে। আর হুবহু একই রকম দেখতে যে ব্যাগটা আমাদের বাসে রয়েছে তাতে রয়েছে একটা ইউনিভার্সিটি লেভেলের বায়োটেকনোলজির বই, তিনটে প্রায় কিছু না লেখা ল্যাব খাতা, একটা তোয়ালে আর বেশ কয়েকটা পুরুষদের ব্যবহারের অন্তর্বাস, এক বাক্স মিষ্টি, আর টুকটাক কিছু জিনিস। খাতায় রাজস্থানের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লেখা। 

    আর এই অদ্ভুত সাড়ে বত্রিশভাজার মালিক যিনি, তাঁর নাম পাওয়া যাচ্ছে ব্যাগের গায়ে লাগানো এয়ারলাইনের ট্যাগ থেকে। নাম (মনে করুন মিস্টার এল) থেকে পরিস্কার উত্তরপূর্বাঞ্চলেরই কেউ। ফোন নম্বর পাওয়ার আশায় ব্যাগ কিঞ্চিৎ ঘাঁটতে হল; তালা দেওয়া নেই, ঠিক যেমন আমাদেরটিতেও ছিল না। আমাদের ভুল আমরা নাম দেখিনি ব্যাগ নেওয়ার সময়ে, তিনিও নিশ্চয় দেখেননি; দেখলে অনেক আগেই এই সমস্যার কথা জানা যেত, হয়তো সমাধানও বেরিয়ে যেত এতক্ষণে। কন্যার মুখের দিকে তাকাতে পারছি না; কনভেয়র বেল্ট থেকে ব্যাগ আমিই তুলেছিলাম। 

    আমরা নিজেরা আলোচনা করছিলাম আমাদের ব্যাগ যাঁর কাছে আছে তাঁর ফোন নম্বর পেলে নিজেরাই কথা বলে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। কথা ছিল এয়ারলাইন অমিতকে ১২টায় ফোন করবে (কারণ তেনাদের করা যাবে না, ওই ফোন ওয়ান ওয়ে), পৌনে একটায় সেই ফোন এল, জানতে চাইল আমাদের কাছে অমুক ব্যক্তির ট্রলি ব্যাগ আছে কি না। অমিত ইতিবাচক উত্তর দিয়ে জানতে চাইল সেই ব্যক্তির ফোন নম্বর যাঁর কাছে আমাদের ব্যাগ গেছে আর যিনি এয়ারলাইনকে বাক্স বদলের কথা জানিয়েছেন। কোম্পানি জানাল সেটা সম্ভব নয়, তাদের পলিসির বিরুদ্ধে।  এবার কী করণীয়? 

    আমি ইতিমধ্যে অপূর্বকে জানিয়েছিলাম এই অবস্থার কথা। অপূর্বই আমাদের এই ভ্রমণের ব্যাবস্থা করেছে। ড্রাইভার বিপুল নিয়ে এল একটা ছোট রেস্টুরেন্টে, গাড়িটা ছায়ায় রাখা যাবে, গলা ভেজানোও যাবে। আমরা চেনাজানা নানাজনকে ফোন করছিলাম যাঁরা এয়ারলাইন থেকে ফোন নম্বর জেনে দিতেও পারেন। লাভ কিছুই হচ্ছিল না। এমন সময়ে অপূর্বর ফোন - ও সেই কাঙ্ক্ষিত ১০ অংকের সংখ্যাটি জোগাড় করে ফেলেছে আর তার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। উফফফ… রাজাগজা হলে ওকে তিনটে গ্রাম উপহার দিতাম। 

    কী জেনেছে অপূর্ব? আসাম থেকে আমাদের ব্যাগ চলে গেছে মেঘালয়ে, আর আমরা চলেছি অরুণাচলের দিকে। শিলং থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কোনও এক জায়গায় বিয়ে বাড়িতে গেছেন মিস্টার এল। তাঁদের দলের মোট নয়টি ব্যাগের একটি চলে এসেছে আমাদের সাথে। আমার ফোন নম্বর এল বাবুকে ও দিয়ে দিয়েছে, আমাকেও পাঠিয়েছে ওনারটি। এবার আমরা নিজেরা কথাবার্তা বলে ঘরের ব্যাগ ঘরে ফিরিয়ে আনতে হবে। 

    খুব ভাল কথা, লাগাও ফোন এল-কে। খুব খারাপ ব্যাপার, ফোনে তেনাকে পাওয়া গেল না। বেজেই চলেছে, অথবা সংযোগ হচ্ছে না। এবার কী করণীয়? তা ছাড়া তাঁকে পেলেও তো এখনই ব্যাগ পাওয়া যাবে না। আমরা তো চরকি পাক খাব অরুণাচলে, ব্যাগ পাবই বা কোথায় আর কী ভাবে? অনন্তকাল তো আর মাঝপথে এই ভাবে আটকে থাকাও যায় না। ভালুকপং-এ আই এল পি-র অফিসও বন্ধ হয়ে যাবে, আর তা হলে আমরা অরুণাচলে ঢুকতেই পারব না। কিন্তু মেয়ে দিনের পর দিন এক পোশাকেই থাকবে না কি?

    দুই সমস্যার সমাধান করল দু'জন। অমিত জানাল সামনে বড় শহর তেজপুর আসছে। সেখানে কিছু পোশাক কিনে নেওয়া যেতে পারে; কন্যা রাজী। আমাদের ছবি আর পরিচয় পত্র হোয়াটসঅ্যাপ করে ওর পরিচিতকে পাঠিয়ে দিল বিপুল, সে আমাদের আই এল পি বানিয়ে রাখবে। তাহলে আর কী? চালাও পানসি বেলঘরিয়া; থুড়ি, চালাও বাস ভালুকপং। অপূর্বকে সব জানিয়ে আমাদের ট্রাভেলার গাড়ি ফের ছুটে চলল অরুণাচলের দিকে।

    যেতে যেতে এল-কে (জেমস বন্ডের এম-এর মত শোনাচ্ছে অনেকটা) ফোনে পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চলতে লাগল। অবশেষে এক সময়ে রাধা ‘'রা” দিল। এল বাবু জানালেন তিনি রুটের বাসের ড্রাইভারের হাত দিয়ে ব্যাগ ভালুকপং পাঠাতে পারবেন, আমরাও ঠিক একই পথ নেব। এইভাবে জিনিসপত্র যে পাঠানো হয় তা জানতাম, তাই মনটা খুশি খুশি হয়ে উঠল। কিন্তু, এল জানালেন, সমস্যা একটাই - উনি আছেন বাস টারমিনাস থেকে অনেক দূরে, বিয়ে বাড়িতেও কাজকর্ম আছে। পাঠাতে পারবেন কি না নিশ্চিত নন, পারলে জানিয়ে দেবেন। ব্যাস, বুক ভরা আশা ধুক করে নিভে গেল।

    এরপর ভালুকপং এল, গেল। পরের দিন ডিরাং এল, গেল। এল-এর থেকে আর কোনও যোগাযোগ নেই। ইতিমধ্যে অপূর্ব আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে রেখেছে - গৌহাটিতে একটা ঠিকানা দিয়েছে দুই পক্ষকে, যেখানে হারানো ট্রলি ব্যাগ ফেরত দিয়ে নিজেরটি নিয়ে নেওয়া যাবে। তারপরেও সব চুপচাপ। 

    তাওয়াং পৌঁছবার পর তথাগত বুদ্ধের কৃপায় অন্ধকারে আলোর দর্শন হল, মানে মেসেজ এল। “আমি আগামী অমুক  তারিখ রাজস্থান ফিরিয়া যাইতেছি। উক্ত দিবসের পূর্বে পেটিকা পুনরপি হস্তগত হওয়া প্রয়োজন। ব্যাবস্থা লইবেন। ইতি–”। তাওয়াং থেকে কী ব্যাবস্থা লইব জানি না। উত্তর দিলাম, “চেষ্টার ত্রুটি রহিবে না। সফলকাম হইলে জানাইবো।”

    অমুক তারিখের আগের দিন এলকে জানালাম কিছু করা সম্ভব হয়নি। ঠিকানা দিলে গৌহাটি বা কলকাতা ফিরে পোস্ট করে পাঠাবো। আমাদেরটিও ওই ভাবে পাঠাতে পারেন। দু দিন পরে, আমরা তখন বমডিলায়, মেসেজ এল - “ভাবিয়া দেখিলাম, পেটিকা ত্যাগ ও গ্রহণ এই দুইটি ঘটনা একই কালে ঘটাই বাঞ্ছনীয়। অতয়েব ও অতঃপর নিম্নলিখিত ব্যক্তির সহিত বাক্যালাপ করিবেন। ইতি-”। 

    নতুন লোকটির সাথে ফোনে কথা হল, ভাঙা ভাঙা বাংলা বলে। জানাল গৌহাটিতে আমাদের হোটেলে এসে ব্যাগ আদান-প্রদান করতে তার আপত্তি নেই। তবে একটু রাত হবে আসতে, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময়ে আসবে। 

    গাড়ি গৌহাটি ঢোকার একটু আগে থেকে কথা হল বার দুই। সন্ধ্যা বেলা বাইরে চা খেতে গিয়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেলাম আমরা। হোটেলে ফিরে দেখে বিয়ের অনুষ্ঠান আছে সেখানে; কিচেনের লোকেরা আমাদের ডিনার করিয়ে দিতে পারলে বাঁচে। এল-এর ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে নিচে নামলাম ডিনার করতে, আর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোন। বললাম, “রিসেপশনে চলে আসুন।”

    মাঝারি হাইট, গোল মুখ, মাথায় অল্প টাক - মিস্টার এল-এর প্রতিনিধি মিস্টার এস এলেন। পুরো ভিজে গেছেন অসময়ের বৃষ্টিতে। তবে আসল কথা হল সঙ্গে এনেছেন সেই সাত রাজার ধন এক মানিক, যেটি নিজেও কিঞ্চিৎ সিক্ত। চা অফার করলাম, সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করে বললেন, “রাত হয়েছে, টু হুইলারে করে ফিরতে প্রায় আধ ঘন্টা লাগবে।” বললাম, “আপনি ব্যাগ খুলে একবার দেখে নিন।” জিভ কেটে বললেন, “কোনও দরকার নেই।”

    তাঁদের সুটকেস নিয়ে এস বাবু চলে যাওয়ার পর কন্যা নিজের ব্যাগ খুলে দেখল যেমনটি ছিল গোছানোর পরে, তেমনই রয়েছে সব। গৌহাটি থেকে যাত্রা শুরুর মুহূর্তেই যাকে হারিয়েছিলাম, তাকে ফিরে পেলাম ওই একই এয়ারপোর্ট থেকে ফিরতি যাত্রার ১৮ ঘন্টা আগে, মাঝখানে কেবল কেটে সাতটা দিন। দুটো ব্যাগ পাশাপাশি রেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ নভেম্বর ২০২৫ | ১৫০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    লাল রঙ - Nirmalya Nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ১১ নভেম্বর ২০২৫ ০০:২৫735676
  • ক্কী কান্ড! ফেলুদা'কে খবর দেবেন তো! হীরেটা সাবধানে রেখেছেন তো? laugh
  • :|: | 2607:fb90:bd92:243d:38dc:5180:f5f4:***:*** | ১১ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:৫৪735681
  • আপনি না থাকলে লেখাটি মিস করতুম ঠিকই কিন্তু এল মশায় মানে সৌমিত্রর সঙ্গে নাইকার মানে আমাদের অপন্না সেনের একটি হ্হপাপ্রেই মিস হয়ে গেলো! ;)
  • Aditi Dasgupta | ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৫৯735685
  • দারুন অভিজ্ঞতা ---- সারা ভ্রমণ এক হারানো বাক্স আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে চললো অথচ তাকে ছুঁতে পেলেন না। বাক্স বদলের সৌমিত্র এ ছেলে নয়, রোমান্টিসিজম আর বাস্তব বোধ দুটোরই বেশ অভাব, অন্যের অসুবিধা নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথাও নেই। কাজেই চলবে না! 
    বাক্স যখন গোছানোই আছে কন্যের, আরেকটা টুর হয়ে যাওয়াই ভালো। দার্জিলিং ই সই। আমার উনিশে ফিরে যাওয়া মন তাইই বলছে।
  • Somnath mukhopadhyay | ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০৯735693
  • বাক্স বদলের ঘটনা নিয়ে অদিতি দি জম্পেশ এক রহস্য কাহিনি লিখে ফেলুন। নির্মাল্য বাবু প্লট একেবারে সাজিয়ে দিয়েছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন