এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... - ৪০

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২২ মার্চ ২০২৫ | ৩১০ বার পঠিত
  • ।। চল্লিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    আজকের দিনটা স্পেশাল, অরুণাভর প্রোজেক্ট রিপোর্ট জমা পড়বে। সকাল বেলা খাবার টেবিলে যখন এসে বসল তার স্বামী, বিনীতা খেয়াল করল বিবাহ বার্ষিকীতে তার উপহার দেওয়া টাইটা পরতে ভোলেনি সে। আজ যেন তার ক্লান্তি টান্তি সব উধাও হয়ে গেছে, কাল সন্ধ্যাতেও ছিল না অন্যান্য দিনের মত।
    বই মুখে দিয়ে যথারীতি ব্রেকফাস্ট সারল সে, বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে বিনীতা বলল, “কনগ্রাচুলেশনস।”
    শিশুর মত হাসল অরুণাভ, চোখ দুটো তার চকচক করে উঠল চশমার ফাঁক দিয়ে। “থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ…। আসি।”
    “এস,” বলল তার স্ত্রী।

    এত আনন্দের একটাই কারণ হতে পারে, ভাবল বিনীতা, এই প্রোজেক্ট যে শেষ করতে পারবে সেই আত্মবিশ্বাস সম্ভবত শেষের দিকে আর ছিল না অরুণাভর। ঘটনা তো কম ঘটেনি - বার দুই-তিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, অফিসে শর্মার কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা, বাইরে কুৎসা রটানো, বিনীতার নিজের কিছু ঘটনাও এর সাথে যোগ হয়ে যাওয়া। এত রকম ঝামেলা পেরিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রিপোর্ট আর কেউ জমা দিতে পারত বলে মনে হয় না। অফিসের কাজের প্রতি স্বামীর এই নিষ্ঠাকে বিনীতা বরাবর শ্রদ্ধা করে এসেছে, যদিও অনেকটা সেই জন্যই স্ত্রীর সাথে তার মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে আর সেটা ক্রমশঃ বেড়েই গেছে।

    ইন্দ্রনীলের একটা কথা মনে পড়ে গেল বিনীতার; একবার সে ইঙ্গিত করেছিল যতদিন এই প্রোজেক্টের  কাজ শেষ না হবে, ততদিন তার ভালমন্দ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। ব্যাপারটা অনেকটা পর্বতারোহীদের মত - এই অভিযাত্রীরা বেশিরভাগ সময়ে দুর্ঘটনায় পড়েন চূড়ায় আরোহন করার পর। তার একাধিক কারণ থাকে - শিখরে পৌঁছাতে প্রচুর শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করার পর তারা যখন নামতে শুরু করেন, ক্লান্তি তাদের গ্রাস করে, ফলে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। অনেকেই আবার আত্মতুষ্টির শিকার হন, ভুল করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর একটা বিষয় হল সামনে কোনও বড় লক্ষ্য না থাকা। যে কাজ করার জন্য এত কষ্ট করা, তা শেষ হয়ে গেছে, এখন ফিরে যেতে হবে প্রতিদিনের গতানুগতিক জীবনে। এই মন খারাপ থেকেই আসে অবসাদ। 

    অফিস বেরোনোর সময়ে অরুণাভর হাসি বিনীতাকে মনে করিয়ে দিল তার স্বামীর শিখর জয় সমাপ্ত।


    অরুণাভর প্রোজেক্টের কর্মীরা সবাই আজ বেশ খুশি, শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। আজ আর অন্য কাজ নেই, ওরা আলোচনা করছিল রিপোর্ট জমা হয়ে গেলে নিশ্চয় তাদের টিম ভেঙে দেওয়া হবে, অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট থেকে যারা এসেছিল তাদের সেখানেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এমন সময়ে অরুণাভর ঘর থেকে বেরিয়ে রামাকৃষ্ণান এসে উপস্থিত হল।

    “সবাই সেজেগুজে এসেছ তো?” রামাকৃষ্ণানের অদ্ভুত প্রশ্নে সকলেই অবাক হয়ে গেল।
    শংকর জিজ্ঞাসা করল, “কেন স্যার?”
    “রিপোর্ট জমা জিএমের ঘরে হবে না, মিটিং রুমে হবে,” বলল রামাকৃষ্ণান, তারপর চুপ করে গেল। সবাই বুঝল আরও কিছু বলার আছে ওনার। সবার দিকে তাকিয়ে ফের মুখ খুলল তাদের মধ্যে সব চেয়ে সিনিয়র কর্মী। “আমরা সবাই প্রেজেন্ট থাকব।”
    হাসি ফুটে উঠল সকলের মুখে। গীতা জিজ্ঞাসা করল, “ডিসিশন চেঞ্জ হল কেন স্যার?”
    “দাস স্যার চেয়েছেন বলে,” জানাল রামাকৃষ্ণান। “ঠিক ১২টায় রিপোর্ট সাবমিশন হবে, তার আগে সবাই মিটিং রুমে চলে যেও।”

    কাঁটায় কাঁটায় বারোটায় মিটিং রুমে এলেন জিএম স্যার, সঙ্গে অরুণাভ এবং অন্যান্য এজিএমরা। গোমড়া মুখ শর্মাও রয়েছে তাদের মধ্যে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই অনিচ্ছায় সে এসেছে। অরুণাভর অফিসের সবাই এর মধ্যেই সেখানে উপস্থিত ছিল, কয়েকটা অতিরিক্ত চেয়ার আনা হয়েছে ঘরে। আলোয় ঝলমল করছে ঘর, বড় টেবিলের ওপর রাখা রয়েছে ফুলদানিতে ফুল, জলের গ্লাস। আর চেয়ারগুলোর পাশে একটা ছোট টেবিলের ওপর দুই সারিতে রাখা আছে রিপোর্টের বেশ কয়েকটা কপি।
    অফিসিয়াল ফটোগ্রাফারও ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে রয়েছে গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে, কথা বলা শুরু হলেই সে তার কাজ আরম্ভ করবে।

    খুরানা সবাইকে বসতে বললেন। তারপর অরুণাভর দিকে তাকিয়ে বললেন, “ইয়েস দাস, আই বিলিভ ইউ হ্যাভ সামথিং টু অ্যানাউন্স।”
    হাতে একটা কাগজ নিয়ে উঠে দাঁড়াল অরুণাভ, তাকিয়ে নিল একবার সামনে বসে থাকা সবার দিকে, খেয়াল করল শর্মা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে আছে। এবার যা খুশি করুক ও, আর কোনও দুশ্চিন্তা নেই অরুণাভর।
    “আমরা প্রোজেক্ট শেষ করেছি আর সেটা করতে পেরেছি নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগেই। কেন এই প্রোজেক্ট, কী ভাবে আমাদের সাহায্য করবে এই প্রোজেক্ট সেটা আপনারা সবাই জানেন, তাই নিয়ে বলার কিছু নেই। কেবল এইটুকুই বলব আমরা রিপোর্টকে পাঁচটা ভাগে ভাগ করেছি। প্রথমে ওভারভিউ যেখানে বলা হয়েছে আমাদের বর্তমান অবস্থা কী আর আমরা কোথায় পৌঁছতে চাইছি। সেকেন্ড পার্ট হচ্ছে মেশিনারিস - আমাদের কী কী আছে আর আমরা নতুন কী চাইছি। তিন নম্বর ভাগে আসছে এনভায়রনমেন্ট - মাইনের পলিউশনকে মডার্ন ওয়েতে কেমন ভাবে কমানো যেতে পারে, তাই নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।”

    একটু থামল অরুণাভ, হাতে ধরা কাগজটার দিকে এক ঝলক দেখে নিল, ইতিমধ্যে ফটোগ্রাফারের ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্ব বেশ কয়েকবার জ্বলে উঠেছে। 
    ফের শুরু করল অরুণাভ। “ফোর্থ পার্ট হল ওয়ার্কফোর্স। আমাদের এক্সিসটিং ম্যানপাওয়ারকে সামান্য রিঅর্গানাইজ করে নিয়ে আর সামান্য কিছু ফ্রেশ অ্যাপয়েন্টমেণ্টের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে পারি ভবিষ্যতের পথে। এর ডিটেলস এই পার্টে পাওয়া যাবে। আর লাস্ট, অ্যান্ড দ্য মোস্ট ইম্পরট্যান্ট পার্ট হল ফিফথ পার্ট - ফিনান্স। এই নতুন জিনিসগুলো করার জন্য আমাদের মানিটারি রিকোয়্যারমেন্ট কেমন হবে সেটাই বলা হয়েছে এই অংশে।”

    একটু থেমে গ্লাস থেকে এক ঢোঁক জল খেল অরুণাভ, রুমাল দিয়ে মুখ মুছে নিল। “এই রিপোর্ট শেষ করার জন্য আমাদের টিমের প্রতিটি মেম্বার আমানুষিক পরিশ্রম করেছে গত কয়েক মাস ধরে। এদের ধন্যবাদ দিয়ে আমি ছোট করতে চাই না। বাট, অন দিস অকেশন, আমি এদের সঙ্গে আপনাদের নতুন করে একবার পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।”

    অরুণাভ হাতের কাগজ দেখে দেখে অ্যালফাবেটিক্যালি তার টিমের প্রত্যেক সদস্যের নাম বলে গেল। এক এক জনের নাম বলা হলে তারা উঠে দাঁড়াচ্ছে, জিএম হাততালি দিচ্ছে দেখে বাকিরাও দিতে শুরু করল। রামাকৃষ্ণানের নাম লিস্টে ছিল একদম শেষে, যদিও আভিধানিকভাবে তা হওয়ার কথা নয়।

    এইবার পাশে বসে থাকা খুরানার দিকে তাকাল অরুণাভ, একটু নাটকীয়ভাবে বলল, “আই অ্যাম গ্রেটফুল টু জিএম স্যার, যাঁর কোঅপারেশন না পেলে কাজ করাই যেত না। নাও, অন বিহাফ অফ আওয়ার টিম, রামাকৃষ্ণানজী উইল হ্যান্ড ওভার দ্য রিপোর্ট টু ইউ স্যার। রামাকৃষ্ণানজী…”
    হাত বাড়িয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ইসারা করে অরুণাভ, তবে রামাকৃষ্ণান এজন্য প্রস্তুত ছিলেন না। এই কাজটা যে তাঁকেই করতে হবে সেটা মোটেই জানা ছিল না।

    রামাকৃষ্ণান ইতস্তত করে বললেন, “স্যার…আমি…”
    “ইয়েস রামাকৃষ্ণানজী, আপনি। দ্য সিনিওরমোস্ট মেম্বার অফ আওয়ার টিম। প্লিজ…”

    রামাকৃষ্ণান নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে জিএমের সামনে গিয়ে রিপোর্ট তাঁর হাতে তুলে দেন। সবাই হাততালি দেয়। ফটোগ্রাফার ক্যামেরায় ছবি তোলে, অরুণাভর টিমের কয়েকজন মোবাইলেও ছবি তুলে রাখে। জিএম রামাকৃষ্ণানের সঙ্গে হাত মেলান। রামাকৃষ্ণান এর পর অন্য তিন অফিসারের হাতেও রিপোর্ট তুলে দেন।
    রামাকৃষ্ণান নিজের জায়গায় ফিরে গেলে জিএম বলেন, “কুসুমবনি উইল ফরএভার বি গ্রেটফুল টু ইউ দাস ফর দিস স্টুপেন্ডাস জব। লেট মি সে অন বিহাফ অফ অব অল দ্য স্টাফ মেম্বারস অফ কুসুমবনি, থ্যাংক ইউ দাস। আই ডোন্ট নো হাও ইউ ম্যানেজড ইট উইদিন সাচ আ শর্ট টাইম। অ্যান্ড দ্যাট টু ইন সাচ আ পুওর হেলথ।”

    অরুণাভ বলে, “ধন্যবাদ আমার প্রাপ্য নয় স্যার। ইটস ম্যানেজড বিকজ অফ দিজ (হাত বাড়িয়ে নিজের দলের সদস্যদের দেখায়) ভেরি স্মার্ট, হাইলি ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড এক্সট্রিমলি হার্ড ওয়ার্কিং পিপল। দে স্লগড ফর মান্থস ফর দিস ডে। আমি ওদের প্রমিজ করেছি কাল থেকে দু’দিনের ছুটি।”  
    “এভরিথিং গ্রান্টেড,” বললেন খুরানা। “আমার অনুরোধ আপনারা সবাই আজ আমার বাড়িতে ডিনার করবেন। হোপ নোবডি হ্যাজ এনি প্রবলেম?”
    জুনিয়ররা সবাই সমস্বরে “নো স্যার", "থ্যাংক ইউ স্যার" ইত্যাদি বলে ওঠে। সিনিয়র স্টাফদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে।

    “আচ্ছা, তাহলে আজ সন্ধ্যায় দেখা হচ্ছে আবার,” জিএম স্যার মিটিং রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন।

    শর্মাও বেরিয়ে যেতে গিয়ে ফিরে এল, এগিয়ে এল অরুণাভর দিকে, হাত বাড়িয়ে বলল, “কনগ্র্যাচুলেশনশ দাস, ইটস রিয়েলি আ গ্রেট জব।”
    অরুণাভ হাত মেলাল, মাপা প্রফেশনাল হাসি হেসে ‘থ্যাংক ইউ’ বলল। শর্মার পর বাকি অফিসাররাও অরুণাভর সাথে হাত মিলিয়ে চলে গেল।

    কিছুক্ষণ পরে খুরানার ঘরে গেল অরুণাভ, স্যারকে ধন্যবাদ না দিলে চলে না। 
    “আমায় ধন্যবাদ কেন দাস? আমি কী করেছি?” জিজ্ঞাসা করেন জিএম।
    “আমি খুব একটা সুস্থ ছিলাম না, বারবার কাজ আটকে যাচ্ছিল সে জন্য।… তার ওপর একজন খুব প্রেসার ক্রিয়েট করেছিল আপনার ওপর যাতে সে নিজে কাজটা পেতে পারে। আপনি আমার ওপর ভরসা রেখেছিলেন, আমায় প্রোজেক্ট থেকে সরাননি… আপনাকে ধন্যবাদ দেব না তো কাকে দেব স্যার?” উত্তর দিল অরুণাভ।
    “দাস, আমি জানি শর্মা আর অবিনাশ কুমার তোমার ফ্যামিলি নিয়েও অনেক বাজে কথা বলেছে অফিসে, বাইরেও। যে লোক এমন করতে পারে তার হাতে আমি দায়িত্ব দেব কী করে? শর্মার এগেনস্টে কিছু স্টেপ নেওয়া যায় কি না দেখতে হবে।”
    “ছেড়ে দিন স্যার, কী হবে আর স্টেপ নিয়ে? আর অফিসের বাইরের ইস্যু নিয়ে রিউমার ছড়িয়েছে বলে আপনি কেমন করেই বা স্টেপ নেবেন?”
    “দ্যাট ইউ লিভ টু মি।… যাকগে, এবার কয়েক দিন রেস্ট নাও।”
    “হ্যাঁ স্যার, কয়েক দিন বাড়িতে থাকব।”
    “গুড, তার পর চাইলে বাড়ি থেকেই কাজ করবে বা অফিসে আসবে… যেমন খুশি। শরীরের দিকে এবার একটু নজর দাও।”
    কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে অরুণাভ, তারপর বলে। “বাড়িতে ভাল লাগে না স্যার। আমি এমনিতেই ফ্যামিলি ম্যান নই, তার ওপর গত কয়েক মাসের কাজের চাপে ফ্যামিলি থেকে আরও দূরে সরে গেছি।”
    খুরানার মনে পড়ে কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েকে কাছে পায়নি বলে অনুযোগ করেছিল দাস। তিনি নিজেও দুই সন্তানের বাবা, তাদের মধ্যে ছোটটি মেয়ে, ফলে অরুণাভর মানসিক অবস্থাটা বুঝতে পারছিলেন তিনি। নন-ফ্যামিলি ম্যান থেকে ফ্যামিলি ম্যান হয়ে যাওয়ার পথ সহজ নয়।
    “আসি স্যার, আমি ছুটির জন্য অফিসিয়ালি জানিয়ে দেব,” জানায় অরুণাভ, চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ে সে।
    “এস, ওবেলা আসছ তো আমার ওখানে?”
    “নিশ্চয় যাব স্যার।” ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় অরুণাভ।
    মনে মনে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন খুরানা - আর সামান্য যে ক’টা দিন কাজ-পাগল লোকটির জীবনে আছে সেই সময়টুকুর জন্য যেন সে পরিবারের সান্নিধ্য পায়।
    জিএমের ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের অফিসে ফিরে এল অরুণাভ, তবে চেম্বারে ঢুকল না। বরং বাকি সবাই যেখানে বসে কাজ করে সেখানে গেল। আজ ছুটির আবহাওয়ায় সবাই গল্প করছিল, এত দিনের কাজের সময়ের ভালমন্দ, সন্ধ্যায় জিএম স্যারের বাড়ির নেমন্তন্ন - এইসব নিয়েই কথা হচ্ছিল। আচমকা অরুণাভকে দেখে আশ্চর্য হয়ে উঠে দাঁড়াল সবাই।

    “একটু বসতে পারি?” অবাক মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল অরুণাভ।
    সবাই একসঙ্গে বসতে বলল দাস স্যারকে; তারা তো বটেই, এমনকি রামাকৃষ্ণানও মনে করতে পারলেন না আগে কখনও ওনাকে এই ঘরে বসতে দেখেছেন কি না।  
    একটা চেয়ারে বসে পকেট থেকে ফোন বার করল অরুণাভ, একটা নম্বর ডায়াল করল ধীরেসুস্থে। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২২ মার্চ ২০২৫ | ৩১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd89:4ace:cd11:3095:251a:***:*** | ২২ মার্চ ২০২৫ ০৩:০৪541825
  • এইখানে কিছু গোলমাল লাগছে: 
    "অফিস বেরোনোর সময়ে ইন্দ্রনীলের হাসি বিনীতাকে মনে করিয়ে দিল তার স্বামীর শিখর জয় সমাপ্ত।

    ইন্দ্রনীলের প্রোজেক্টের কর্মীরা সবাই আজ বেশ খুশি, শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে।"
  • Nirmalya Nag | ২২ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪৪541831
  • @ :|: - ধন্যবাদ, ঠিক করে দিয়েছি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন