এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে - ৩০ 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪৫৬ বার পঠিত
  • ।। ত্রিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    সন্ধ্যাবেলা ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে রঙিন ইংরাজী কবিতা মুখস্থ করছে, পাশে বসে আছে বিনীতা। তার হাতে রঙিনের অঙ্ক বই, পাতা ওল্টাচ্ছে না, পড়ছে না - শুধুই ধরে আছে। চোখ দেওয়ালের দিকে। একবার ঘড়ির দিকে তাকায়, প্রায় সাড়ে সাতটা বাজে। তারপর তাকায় রঙিনের দিকে।

    “হল? এবার ম্যাথস কর,” মেয়েকে বলে সে।
    “বললে যে পোয়েম মুখস্থ করতে?” উত্তর দেয় রঙিন।
    “এখনও মুখস্থ হয়নি?” বিনীতার গলায় বিরক্তি।
    “এই মাত্র তো শুরু করলাম,” বলে রঙিন।
    বিনীতা বলে, “চটপট কর। সারা সন্ধ্যায় শুধু পোয়েম পড়বে নাকি? আর দু’ বার পড়, তারপর ম্যাথস করবে।” হাতের বইটা খোলে সে, কয়েকটা পাতা উলটে এক জায়গায় থামে।  “এক্সারসাইজ সেভেন-এর লাস্ট তিনটে অঙ্ক করবে।”

    উঠে পড়ে বিনীতা। রঙিন বই থেকে মুখ তুলে বলে, “বস না।”
    বিনীতা বাইরের ঘরের দিকে যেতে যেতে উত্তর দেয়, “আমার কাজ আছে, সারা দিন তোমার পাশে বসে থাকলে হবে না।”
    রঙিন মুখ গোমড়া করে বসে থাকে।
    বাইরের ঘরে এসে সোফায় বসে বিনীতা। টেবিলের ওপর থেকে খবরের কাগজ তুলে দেয়, একটুখানি দেখে, তারপর টেবিলেই রেখে দেয়। একটা ম্যাগাজিন তোলে। কয়েক পাতা উলটে সেটাও ফেলে দেয় টেবিলে। উঠে ফের ডাইনিং রুম পেরিয়ে রান্নাঘরের সামনে যায়, বিসপাতিয়া সবজী কাটছে সেখানে।
    “চা বসাও বিসপাতিয়া,” বাড়ির কর্ত্রী বলে।
    বিসপাতিয়া জানায় সাবজী তো মনে হয় এখনই এসে যাবেন। তখন এক সঙ্গেই না হয় চা করে দেবে।
    ঝাঁঝিয়ে ওঠে বিনীতা। “আমায় এখনই দাও। টি-ব্যাগ দিয়ে বানিয়ে দাও। সাবজী যখন আসবে, তখন ওকে দিও।”

    একটু অবাক হয় বিসপাতিয়া; সচরাচর এমন গলায় কথা বলে না বিনীতা। কিছু বলে না, তরকারি কোটা ছেড়ে সসপ্যান বার করে চায়ের জল বসায়। বিনীতা ফিরে যায় ড্রইং রুমে, এবার তুলে নেয় একটা বই। সেটার পাতা ওলটাতে থাকে। বিসপাতিয়া চা নিয়ে এলে ডাইনিং টেবিলে দিতে বলে। টেবিলে বসে চায়ে কয়েকটা চুমুক দিয়েছে বিনীতা, এমন সময়ে বাইরে গাড়ি থামার শব্দ পাওয়া যায় বাইরে। কলিং বেল বাজে। বিসপাতিয়া দরজা খুলতে যায়।
    বিনীতা রঙিনকে বলে, “এখনও অঙ্ক হয়নি?”
    “করছি।”
    “তাড়াতাড়ি কর।”
    অরুণাভ এসে দরজায় দাঁড়ায়। বিনীতা মেয়ের খাতার ওপর ঝুঁকে পড়ে।
    “এই জায়গাটা ভুল না হয়, দেখে কর,” মেয়েকে বলে মা।
    ওদিকে অরুণাভ স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করে, “গেছিলে ফ্ল্যাট দেখতে?”
    মেয়ের খাতার দিকে তাকিয়েই সংক্ষিপ্ত জবাব দেয় বিনীতা, “হ্যাঁ।”
    “ডাক্তার যেতে পেরেছিল?” জানতে চায় অরুণাভ।
    “হ্যাঁ।”
    “কেমন দেখলে কাজ?”
    বিনীতা নিরাসক্তভাবে উত্তর দেয়, “ভাল।”
    “কতটা কাজ বাকি আছে আর?”
    “অল্পই,” জানায় বিনীতা, তারপর রঙিনকে বলে, “এতক্ষণ লাগছে কেন? তাড়াতাড়ি কর।”
    এবার একটু বিরক্ত হয় অরুণাভ। “কী ব্যাপার? কিছু তো বলবে। ডাক্তার কী বলল?”
    এবার স্বামীর দিকে ঘোরে বিনীতা। “বললাম তো ভাল কাজ হচ্ছে। আর ডাক্তারবাবুর কেমন লেগেছে সেটা ওনাকেই জিজ্ঞেস কর।” 
    চা শেষ না করেই চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ে বিনীতা। রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে গলা তুলে বলে, “সাবজীর জন্য চা বসাও বিসপাতিয়া।” বাইরের ঘরের দরজায় তখনও দাঁড়িয়ে অরুণাভ; তাকে বিনীতা বলে “সর।”
    অরুণাভ একটু সরে যায়, বিনীতা ড্রইং রুমে গিয়ে সোফায় বসে। স্বামী বুঝতে পারে না স্ত্রীর এমন অদ্ভুত ব্যবহারের কারণ। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সেও ঘরের ভেতরে যায়। জিজ্ঞাসা করে, “ফ্ল্যাট-এর কাজ পছন্দ হয়নি?”
    বিনীতা চুপচাপ বই-এর পাতা উলটে যায়।
    অরুণাভ বলে, “ঠিক আছে, কাল আমার সঙ্গে চল। যা যা পছন্দ হয়নি পালটে দিতে বলব।”
    বিনীতা ফের ঝাঁঝিয়ে ওঠে। “আমি বলেছি আমার পছন্দ হয়নি?... আর সবাই তো তোমার খেলার পুতুল না? তুমি বলবে আর সব কিছু পালটে যাবে।”
    ধীরে ধীরে অন্য সোফায় বসে অরুণাভ, জিজ্ঞাসা করে, “কী হয়েছে?”
    “কী আবার হবে? কিছুই হয়নি।”

    কিছু যে একটা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত অরুণাভ, তবে সেটা কী তা আর জানার চেষ্টা করে না সে। কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে বলে, “যা কিছু হয়, তা ভালর জন্যই হয়।”
    হতাশভাবে মাথা নাড়ে বিনীতা। “আমার বকবক করতে ভাল লাগছে না। অন্য দিন তো চুপ করে বসে থাক, আজকে এত কথা কেন!”
    অরুণাভর দার্শনিক সত্তা জেগে ওঠে। “আর যা হওয়ার, তা তো হয়ই। প্লেটো বলেছিলেন, বাচ্চারা না হয় অন্ধকারকে ভয় পায়। কিন্তু জীবনের ট্রাজেডি হল যখন বড়রা আলোকে ভয় পায়।”

    সোফা ছেড়ে উঠে যায় বিনীতা, রওনা হয় ছাদের সিঁড়ির দিকে। চুপ করে বসে থাকে অরুণাভ। ঠান্ডার মধ্যে ছাদে উঠে বেঞ্চে বসে বিনীতা। চাঁদের আলোয় ভরা ছাদ। 
    ওদিকে ইন্দ্রনীলের কোয়ার্টার প্রায় অন্ধকার। কেবল ছোট ঘরটায় একটা টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে। সেই আলোয় দেখা যাচ্ছে ‘ক্যাথেড্রাল' সিরিজের বাঁধানো ছবিটা। রকিং চেয়ারটায় চোখ বুজে বসে আছে ইন্দ্রনীল, হাতে হুইস্কির গ্লাস। রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজছে প্রায় অন্ধকার ঘরে - "তুমি কোন ভাঙনের পথে এলে…”

    ছাদে একা বসে থাকা বিনীতার চোখে জল টলটল করছে, পাতা ফেলতেই এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল গাল বেয়ে। জলটা মুছে নিল সে, জীবনের সমস্যাগুলোও যদি এমন সহজে মুছে ফেলা যেত! বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলল সে। 

    ডাইনিং রুম থেকে আস্তে আস্তে উঠে বাইরের ঘরের দিকে যায় রঙিন। গিয়ে বাবার কোলে বসে পড়ে।

    ***
    পরের দিন সকাল। অফিস যাওয়ার আগে ডাইনিং টেবিলে বসে খাচ্ছে অরুণাভ। আজ ব্যতিক্রমী দিনগুলোর একটা, বই নেই তার সাথে। অন্য দিকে চুপ করে গালে হাত দিয়ে বসে বিনীতা। সামনে আধ খাওয়া চায়ের কাপ, রাতে একদম ঘুম হয়নি তার। আজকাল এমনিতেই ঘুম ভাল হয় না। এলোমোলাভাবে ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টায় সে।

    অরুণাভ মৃদু গলায় বলে, “আজ আমার হাতে বই নেই, তোমার কাছে মাগোজিন। উলটে গেল যে।”
    কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে বিনীতা। তারপর বলে, “সকালের ওষুধটা খেয়েছ?”
    “খেয়েছি,” উত্তর দেয় অরুণাভ।
    আবার একটু নীরবতা। বিনীতা বলে, “কোথাও ঘুরে আসি চল, ভাল লাগছে না।”
    “এখন তো পারব না। রিপোর্টটা শেষ হোক। তারপর নিশ্চয় যাব।”

    কলিংবেল বেজে ওঠে। বিকাশ এসে গেল মনে হয়। বিসপাতিয়াকে ডাকতে গিয়ে বিনীতার খেয়াল হয় সে ওয়াশরুমের দিকে গেছে একটু আগে। নিজেই উঠে এসে বাইরে দরজা খোলে। বিকাশ নয়, হাসিমুখে যে গোলগাল বছর ৪০-এর ভদ্রলোক সুটকেস নিয়ে দাঁড়িয়ে, তাকে দেখে বিনীতার চোখ মুখ অবাক থেকে আনন্দে ভরে ওঠে।
    “কি রে বিন্তি? কৈসা হ্যায়?” বলে ওঠে বিনীতার দাদা বিনয়।
    “তুই!!! একটা খবর দিবি তো? আয়, আয়।” ভেতর দিকে মুখ ফিরিয়ে স্বামীকে ডাকে বিনীতা। “শুনছো, দেখে যাও।”
    “সারপ্রাইজ দেনা মুঝে বহুত পছন্দ হ্যায়,” ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলে বিনয়। “বাপ রে বাপ। বাইরে মে কি ঠান্ডা রে বিন্তি। মিস্টার কোলম্যান কাঁহা হ্যায়?”
    দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে অরুণাভ, তারও চোখে খুশির ছোঁয়া। “এই যে দাদা।”
    “শরীর টরির সব ঠিক ঠাক হ্যায়? মনে হোতা হ্যায় অফিস যাওয়ার জন্য বিলকুল রেডি হ্যায়।”
    “শরীর ভাল আছে। এই তো খেয়ে নিয়ে অফিস বেরোব,” বলে অরুণাভ। বিনীতার এই ভুলভাল হিন্দি বলা দাদাটিকে পছন্দই করে সে।
    “ভেরি গুড, মুঝে ভি খিদে পায়া হ্যায়,” জানায় বিনয়। ইতিমধ্যে সোফায় বসেছে সে।
    বিনীতা বলে, “হাতমুখ ধুয়ে নে, খাবার দিচ্ছি। রাতে কী খেলি? ট্রেনের খাবার?”
    “নেহি নেহি, ঘর কা খানা। ইধার বহুত ঠান্ডা হ্যায় লেকিন আবহাওয়া ভি বহুত আচ্ছা হ্যায়। জলদি জলদি খিদে পা যাতা হ্যায়।”
    বিনীতা “দাঁড়া আসছি” বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়, বিসপাতিয়াকে বলতে হবে দাদার খাবারের ব্যাবস্থা করতে।
    বিনয় অরুণাভকে বলে, “আরে আপ ইঁহা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কেয়া করতা হ্যায়? খানা খাইয়ে। কোলম্যানকা অফিস যানে মে দের হোগা তো কোল উঠনে সে... উঠনে সে... (উপযুক্ত শব্দটা খুঁজে পায় না সে)... কেয়া কর দেগা?”
    অরুণাভ হাসে, জিজ্ঞাসা করে, “ইনকার কর দেগা?”
    বিনয় বলে, “রাইট। কোল উঠনে সে ইনকার কার দেগা। বেটি কাঁহা হ্যায়?”
    “স্কুলে। আমি তাহলে খেয়ে নিই?”
    বিনয় বলে, “হাঁ হাঁ, খা লো, অফিস ভি যাও। লেকিন জলদি জলদি ফিরে আনা।” 

    কিছুক্ষণ পরের কথা। বিনয় পোশাক বদল করেছে, খাবার টেবিলে বসেছে। বিনীতাও রয়েছে তার সামনে। বিসপাতিয়া পুরি তরকারি এনে দেয়।
    বিনীতা বলে, “এটা খা, তারপর চা দেব।”
    বিনয় বিসপাতিয়াকে জিজ্ঞাসা করে, “কাঁচা লঙ্কা হ্যায়?”
    বুঝতে না পেরে বিসপাতিয়া অবাক হয়ে চেয়ে থাকে, ফলে তাকে প্রশ্নটা অন্যভাবে শুনতে হয়, “কাঁচা লঙ্কা… সবুজ সবুজ… নেহি হ্যায়?”
    বিনীতা বিসপাতিয়াকে উদ্ধার করে, “হরা মির্চ” নিয়ে আসতে বলে। একটা ডিশে করে চাহিদা মত জিনিস দিয়ে যায় সে।
    “তুই হিন্দিটা বন্ধ কর না বাপু,” বিনীতা করুণ গলায় বলে।
    বিনয় জোরে জোরে মাথা নাড়ে। “তু তো জানতা হায়, হাম যব বেঙ্গলকা বাহার যাতা যায়, তো হিন্দিই বোলতা হায়ে। অ্যায়সা  রিকোয়েস্ট কভি নেহি করেগা। নেহি তো হামারাই এক দিন কি তুমারাই এক দিন..”
    বিনীতা হেসে ওঠে। “আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে।”
    “বহুত হুয়া।… কেমন আছিস রে বিন্তি?” গলার স্বর বদলে গেছে বিনয়ের।
    হাসি বন্ধ হয় বিনীতার। “যেমন দেখছিস।”
    বিনয় বলল, “চোখের নিচে কালি পড়েছে, তা ছাড়া ভালই তো মনে হচ্ছে রে।”
    “তাহলে ভালই আছি।”
    “আর কোলম্যান?”
    “এমনিতে ঠিকই আছে। তবে.....” নিঃশ্বাস ফেলে চুপ করে যায় বিনীতা।
    বিনয় বলে, “এক বার বাইরে কোথাও দেখাতে পারতিস। মুম্বাই, কলকাতা, দিল্লি, ভেলোর....”
    দাদার কথার উত্তরে বিনীতা জানায়, “বলেছিলাম, ও রাজী নয়। বলল অত সময় নষ্ট করা যাবে না।”
    “সময় নষ্ট মানে?”
    “অফিসের একটা জরুরী কাজ করছে কয়েক মাস ধরে। ভয় পাচ্ছে সেটা শেষ হওয়ার আগেই যদি কিছু হয়ে যায়।”
    কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে বিনয়। “যে ডাক্তার দেখছে সে ভাল তো?”
    “সব কাগজপত্র কলকাতায় এক ডাক্তারের কাছে পাঠানো হযেছিল। সে বলেছে ট্রিটমেন্ট ঠিকই হচ্ছে।”
    বিসপাতিয়া চা নিয়ে আসে। এক চুমুক খেয়ে “আহহ” বলে ওঠে বিনয়। “বহুত আচ্ছা চায়।… কালারিং কব আয়গা? কব আয়গা কালারিং?” (ক্রমশঃ) 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 117.197.***.*** | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:১৬540442
  • এই লেখাটা টান টান এগোচ্ছে। 
     
  • Nirmalya Nag | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৪540448
  • @ স্বাতী রায় - মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 
  • Ranjan Roy | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৫540451
  • অনেক আগে এই পাতায় 'অচল সিকি' অন্য কোন লেখার সম্পর্কে বলেছিল---'লেখাটা কাঁপাকাঁপি এগোচ্ছে'। 
    আমারও বলতে ইচ্ছে করছে--"এই লেখাটি কাঁপাকাঁপি এগোচ্ছে"। 
  • Nirmalya Nag | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫১540452
  • @Ranjan Roy - ধন্যবাদ রঞ্জন দা মতামত দেওয়ার জন্য। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন