এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ১৭

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪১৬ বার পঠিত
  • ।। সতেরো।।
     
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ] 

    অরুণাভর সেক্রেটারি কবিতার টেবিলে রাখা ইন্টারকমটা বেজে ওঠে। রিশেপশন থেকে জানাচ্ছে শেলটার ডেভেলপার্সের তরফ থেকে নাদিম আহমদ বলে একজন দেখা করতে চান এজিএম সাহেবের সঙ্গে। কবিতা তাকে পাঠিয়ে দিতে বলে।

    কবিতা স্যারকে ফোন করে জানায় শেলটার ডেভেলপার্স থেকে যার আসার ছিল তিনি এসেছেন। অরুণাভ বলে পাঁচ মিনিট পরে তার ঘরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। গত চার দিনে আরও তিন জন লোক নানা ডেভেলপারের অফিস থেকে এসেছে। কবিতা একটু অবাকই হয়েছিল প্রথমে। স্যার তো অফিস টাইমে প্রাইভেট কাজ তো একদমই করেন না। পরে অবশ্য ভেবে দেখল উনি তো এখন সপ্তাহের সাত দিনই অফিস করছেন। দু-এক বার বাড়ির কাজেও অফিসের গাড়ি ব্যবহার করছেন, আগে যেটা ভাবাই যেত না। গাড়ি অবশ্য প্রধানতঃ ওনার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজেই ব্যবহার হয়েছে, আর একবার বোনকে স্টেশন থেকে আনতে আর ছেড়ে দিতে।

    নাদিম আহমেদ এসে দাঁড়ালে কবিতা তাকে বসতে বলল। মিনিট তিন বাদে অরুণাভ ফোন করার পর তাকে ভেতরে যেতে বলল কবিতা।

    প্রসপেকটাস খুলে অরুণাভকে ১০০০ স্কোয়ার ফুটের তিন কামরার ফ্ল্যাটের নকশা দেখায় নাদিম। বোকারো শহরের প্রান্তে তিনটে ফ্ল্যাট বাড়ি নিয়ে একটা মাঝারি প্রোজেক্ট। এক একটা বাড়ি পাঁচ তলা, গ্রাউন্ড ফ্লোরটা  গ্যারেজ। প্রতি ফ্লোরে তিনটে করে ফ্ল্যাট।
    “স্যার, আমাদের এই প্রোজেক্টের কমপাউন্ডে প্রায় ২০ পার সেন্ট জায়গা ওপেন রাখা হবে। বাচ্চাদের ছোট পার্ক থাকবে, মর্নিং ওয়াক করা যাবে। একটা কমিউনিটি হল থাকবে, যেটা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা যাবে,” বলল শেলটার ডেভেলপার্সের লোক।
    “ঠিক আছে। আমি ডিসিশন নিয়ে আপনাদের জানাবো,” বলল অরুণাভ। প্রসপেক্টাসটা কিনে নিল সে।
    “আপনি তাড়াতাড়ি ডিসিশন নিলে ভাল হয় স্যার। থ্রি-রুম ফ্ল্যাট প্রায় সবই বুক হয়ে গেছে।”
    “ঠিক আছে।”
    “দুটো পাবলিক সেক্টর ব্যাংক আর একটা প্রাইভেট ব্যাংকের সাথে আমাদের টাই-আপ আছে। যদি চান ওদের থেকে লোন নিতে পারবেন। লিগ্যাল ব্যাপারগুলো অলরেডি দেখা আছে ওদের। অন্য ব্যাংকে গেলে লোন স্যাংশন হতে সময় লাগবে।”
    “গুড, থ্যাংক ইউ।”
    উঠে পড়ল নাদিম। “একটা রিকোয়েস্ট করছি স্যার। আপনার চেনা কারও যদি ফ্ল্যাট লাগে তাহলে আমার ফোন নাম্বারটা দেবেন। আসছি স্যার,” বলল নাদিম।

    ডেভেলপার্সের লোক চলে গেলে গোটা চারটে প্রসপেক্টাস খুলে বসল অরুণাভ। একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এবং সেটা এখনই নিয়ে নিতে হবে। অফিসের কাজ আটকে থাকছে। প্রথমেই একটাকে বাদ দিল দাম খুব বেশি বলে। আর একটাকে সরিয়ে রাখল জায়গাটা তার পছন্দ নয় বলে। রইল বাকি দুই। এই দুটোর মধ্যে একটাকে নিতে হবে।

    বোকারো স্টিল প্ল্যান্টের এক অফিসার মুখার্জীকে ফোন করবে মনে করল সে। একই ক্লাবের সদস্য ওরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একে অন্যের পরামর্শ নিয়ে থাকে দু’জনেই। যদিও ক্লাবে খুব একটা যায় না অরুণাভ। কী ভেবে শেষ পর্যন্ত আর ফোন করল না সে। বরং কল করল স্ত্রীকে, যেটা সাধারণতঃ করে না।  বিনীতার ফোন বেজে বেজে থেমে গেল ক্লাসে আছে হয়তো; কখন রিং ব্যাক করবে কে জানে। বিরক্ত হল অরুণাভ। বিনীতার ফোন যদি দ্রুত না আসে তবে দরকার নেই কাউকে, এই ব্যাপারটা নিজেই মেটাবে সে, এবং এখনই। 

    পছন্দ করা দুটো প্রসপেক্টাসের দিকে ফের মন দিল অরুণাভ। এইমাত্র শেলটার ডেভেলপার্সের ছেলেটি যেটা দিয়ে গেল সেটা বিনীতার স্কুলের কাছে, তবে দাম একটু বেশি। আর অন্যটার দাম তুলনায় কম, তবে স্কুল থেকে দূরত্বটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ফ্যাক্টর সবই মোটামুটি একই রকম। ইন্টারকমে রামাকৃষ্ণানজীর একটা ফোন এল, মিনিট তিনেক কথা বলে অধৈর্যভাবে ঘড়ির দিকে তাকাল সে, বিনীতার কাছ থেকে কোনও ফোন এল না এখনও। অরুণাভর বিরক্তি বাড়ছে, এইটার একটা ডিসশন নিয়ে নিলে অফিসের কাজে মন বসাতে পারে। এখনও অনেক কাজ বাকি, পরে শরীর কেমন থাকবে কে বলতে পারে? তাই এই প্রজেক্টটা শেষ হলে নিশ্চিন্ত হবে সে। এমনিতেই বাড়ির ঝামেলা একেবারেই পছন্দ করে না অরুণাভ। বোনের কথা ফেলতে পারল না তাই… বিষয়টা যে জরুরী সেটা অস্বীকার করছে না সে, কিন্তু নিজের কাজ ফেলে এইসব নিয়ে আর ভাবতে পারছে না সে। পরে ফ্ল্যাটের কাজ দেখতে টেখতে যেতে হলে বিনীতাকেই যেতে হবে।

    মোবাইল বেজে উঠল অরুণাভর, বিনীতা না কি? নাহ, আনসেভড নম্বর।
    “হ্যালো?”
    “গুড আফটারনুন স্যার। এক মিনিট কথা বলতে পারি?”
    “কে কথা বলছেন? কী ব্যাপার?”
    “ক্রেডিট কার্ডে ভাল অফার ছিল স্যার। দশ লাখ অবধি…”
    আর কথা না শুনে ফোনটা কেটে দিল অরুণাভ, এটাও সাধারণতঃ করা না সে।

    একটু ভাবল অরুণাভ। সে কোলিয়ারির দায়িত্ববান অফিসার, এত কাজ সামলায়, আউট অফ দ্য বক্স সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে তার সুনাম আছে। কিন্তু নিজের অফিসের চৌহদ্দীর বাইরে মাঝে মাঝে সে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারে না। তখন অন্যের সাহায্য লাগে। 
    এই শেলটার ডেভেলপার্স-এর ফ্ল্যাট ছয়-সাত মাসের মধ্যে রেডি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে নাদিম বলে ছেলেটি। আচ্ছা, মুখার্জীকে ফোন করার কথাটা তার আগে মনে হল কেন? বিনীতার সাথে যোগাযোগ করাটাই স্বাভাবিক ছিল না কি? তার নিজের কিছু হয়ে গেলে ও-ই তো থাকবে থাকবে ওখানে। 
    নাহ, বিনীতার ফোনের জন্য আর অপেক্ষা করা যাবে না। অরুণাভ ঠিক করে ফেলল যে ফ্ল্যাটটা স্কুল থেকে কাছে হবে সেটাই নেবে। কাগজপত্র সইসাবুদ করার জন্য নাদিমকে ফোন করে পরের দিন ফার্স্ট আওয়ারে আসতে বলে দিল সে। নিশ্চিন্ত হয়ে অফিসের কাজে মন দিল সে।

    কিছুক্ষণ পরে বিনীতার ফোন যখন এল, তখন একটা জটিল হিসেবের মধ্যে ডুবে ছিল অরুণাভ। স্ত্রীকে বলে দিল হাত লেগে ফোন হয়ে গিয়েছিল। সত্যি বলতে হলে এখন অনেক কথা বলতে হবে। তাতে হিসেবটা গুলিয়ে যেতে পারে।

    অফিস থেকে ফিরে বিনীতাকে সবই বলল অরুণাভ। আর এটাও জানিয়ে দিল অফিসের কাজ ফেলে রেখে তার পক্ষে ফ্ল্যাটের কাজ দেখতে যাওয়া সম্ভব হবে না। কারণ উইক-এন্ডেও সে সন্ধ্যের আগে ফ্রি হতে পারবে কি না বলা কঠিন। তাই ও কাজটা বিনীতাকেই করতে হবে। ফ্ল্যাটও তার নামেই কেনা হবে। বিভিন্ন সময়ে যে টাকা পাঠাতে হবে ডেভেলপারকে সেটা অনলাইনে বা চেকে পাঠিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত অবশ্য অরুণাভ নিজেই করবে।

    তার সাথে বিন্দুমাত্র আলোচনা না করেই যে ফ্ল্যাট বুক করে ফেলা হয়েছে তাতে একটুও অবাক হল না বিনীতা। কেবল জিজ্ঞাসা করল কেনার টাকাটা কী ভাবে আসবে।
    “লোন নেব। এমন ভাবে নেব যাতে পরে তোমার অসুবিধে না হয়,” বলল অরুণাভ।
    “আমিও কিছু দেব,” বলল বিনীতা।
    “দিও। যা দেবে আমার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিও… চেকে বা ইলেকট্রনিক্যালি,” বলল অরুণাভ, বলে নিজের কাজ নিয়ে বসে গেল।

    একটা নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার যে উৎসাহ থাকে লোকের, রেডি থাকলে পাঁচ-সাতটা দেখা হয়, সেখান থেকে একটা পছন্দ করা হয়। রেডি না থাকলে জায়গাটা একটু দেখে আসে লোকে - সে সব কোনও কিছুই হল না বিনীতার। ফ্ল্যাটের কাগজ হাতে ধরিয়ে দিয়েছে তার স্বামী। সেটা খুলে দেখার ইচ্ছেও এই মূহুর্তে হল না বিনীতার। 

    *** 
    সময়ের কাঁটা এগিয়ে চলে। কুসুমবনী কয়লা খনির উপর দিয়ে সাদা মেঘ ভেসে ভেসে দেশান্তরে যায়। খনির পাশের রাস্তায় ধুলো ওড়া বন্ধ করতে স্প্রিংকলার জল ছিটিয়ে চলে। বিনীতার বাগানে নতুন লাগানো গাছে ফুল ধরছে ভালই, তবে বাইরে চা খাওয়া আর হয়নি। বিনীতার নিজেরই ইচ্ছে হয়নি। স্কুল আর অফিস চলছে, অরুণাভ এখন একটু ভাল আছে, কাশিটা আগের মত হচ্ছে না। একটু অন্য রকম কিছু দরকার, কিছু দিন কেন, কয়েক ঘন্টার জন্য হলেও বিনীতার ভাল লাগবে। সে উপায় কি আর আছে?

    ফের হাসপাতালে যেতে হল অরুণাভকে, এবার একটা রুটিন চেক আপ। দেখে শুনে ইন্দ্রনীল বলল, “ঠিকই আছেন। তবে পরিশ্রমটা একটু কম করলে ভাল হয়।”
    অরুণাভ উত্তর দেয়, “কাজ শেষ করতে হবে বলেছি না ডাক্তারবাবু। পরিশ্রম করতেই হবে। ও কথা ছাড়ুন। শুনুন, বোকারোয় একটা ফ্ল্যাট বুক করেছি।”
    অবাক হল ডাক্তার, “ফ্ল্যাট? এখানে? হঠাৎ?”
    “বৌ, মেয়ের জন্য কিছু তো রেখে যেতে হবে,” বলল রোগী।
    “হুমমম, ভাল করেছেন। বাই দ্য ওয়ে, আমি একটা জিনিস ভাবছিলাম।”
    “কী?” জিজ্ঞাসা করল অরুণাভ।
    “অবশ্য যদি আপনাদের আপত্তি না থাকে,” একটু দ্বিধার সঙ্গে বলল ইন্দ্রনীল।
    “ব্যাপারটা কী বলবেন তো।”
    “সেদিন আপনাদের ওখানে তো দারুণ খাওয়া দাওয়া করলাম। একদিন রিটার্ন হোক। আপনারা তিন জন ডিনারে আসুন আমার বাড়ি। ধরুন সামনের রবিবার সন্ধ্যাবেলা। রান্নাটা আমি মন্দ করি না।”
    একটু ভেবে নিল অরুণাভ, তারপর বলল, “হবে, তবে সাতটা সাড়ে সাতটা হবে আসতে। তার আগে পারব না।”
    ইন্দ্রনীল জিজ্ঞাসা করল, “ম্যাডাম, রঙিন সবাই আসবেন তো?”
    “বিনীতার ব্যাপারটা অবশ্য জানি না। জিজ্ঞাসা করে আপনাকে বলে দেব,” জানায় অরুণাভ।

    বাড়ি ফিরে অরুণাভ নেমন্তন্নের কথা জানায় বিনীতাকে। একটু ইতস্ততঃ করে সে, তারপর রাজি হয়।

    সামনের রবিবার, মানে আর তিন দিন। জন্মদিনের রাতের হৃদয় আর মস্তিষ্কের লড়াইটা ফের টের পায় বিনীতা। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪১৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন