এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... - ৩৫

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩২৭ বার পঠিত
  •                                                             ।। পঁয়ত্রিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    অবাক হয়ে তাকায় ইন্দ্র, প্রায় ছয় ফুট লম্বা লোকটির চেহারা অ্যাথলিটদের মত, তবে একে আগে কখনও দেখেছে বলে মনে হচ্ছে না তার। বয়স ৩৫-৩৬ হবে, জিনস আর টি-শার্টের ওপর একটা জ্যাকেট পরা, লম্বা চুলে পনি-টেল আর যত্নলালিত বাহারি গোঁফ আর দাড়ি। 

    “হ্যাঁ, আমি ডক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, কিন্তু আপনাকে তো চিনলাম না,” বলল ইন্দ্র।
    “আমি জয়ন্ত নারলিকার। নাহ, অবশ্যই সেই বিখ্যাত অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট নই।” মৃদু হাসল লোকটি, বোঝা গেল এই কথাটা সে বলেই থাকে। “আমি মিউজিশিয়ান। আপনি গান শুনতে ভালবাসেন, আমি বাজাতে।”
    এইবার একটা সন্দেহ উঁকি দিয়ে গেল ইন্দ্রর মনে, “বাই এনি চান্স আপনি কি দিল্লিতে থাকেন?”
    চোখ ভর্তি হাসি নিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ জানাল জয়ন্ত। “আপনার যেটা মনে হচ্ছে সেটাই ঠিক ডক্টর। আমি অঞ্জলির হাজব্যান্ড।”
    লিফটটা আচমকা থেমে গেল, এক তলা এসে গেছে।
    লিফটের বাইরে বেরিয়ে এসে রাজা হাত বাড়িয়ে দিল জয়ন্তর দিকে, বলল, “আমি রাজীব মুখার্জি। ইন্দ্রনীলের ছোটবেলার বন্ধু। আপনাকে মনে হচ্ছে এয়ারপোর্টে দেখলাম সন্ধ্যাবেলা।”
    “হ্যাঁ, আমি পাটনা যাচ্ছিলাম। আপনিও কি তাই? আটকে গেছেন?” রাজার সাথে হাত মিলিয়ে উত্তর দিল জয়ন্ত।
    “হ্যাঁ, আমিও তাই। ইয়ে… আপনারা কথা বলুন, আমি একটা সিগারেট খেয়ে আসছি।” রাজা বুঝতে পারছে এদের কথা বলার সময়ে তার সামনে থাকাটা ঠিক হবে না।

    রাজা সরে যাওয়ার পর বাকি দুজনেই প্রায় একই ভাবনার মধ্যে ছিল - কী কথা বলবে অন্যজনের সাথে। আগে অনেকবারই মনে হয়েছে কখনও দেখা হলে কেমন হবে সেটা, অঞ্জলি থাকলে এক রকম, আর না থাকলে অন্য।

    প্রথম কথাটা ইন্দ্রই বলল। “আমি শুনেছিলাম অঞ্জলি যাকে বিয়ে করেছে তিনি মিউজিশিয়ান। আপনি আমায় চিনে ফেললন তাতেই মনে হল…”
    “আপনাকে চিনতে পারা কোনও ব্যাপারই ছিল না আমার পক্ষে। আপনার নানা ছবি অন্ততঃ হাজার বার দেখেছি। আপনার কথা অঞ্জলি আমায় অনেক বলেছে … আর সেগুলো সবই ভাল কথা।”
    “মানে…!!” অবাক হয় ইন্দ্র। “সত্যি বলছেন?”
    “একদম সত্যি। … বাট দ্য গুড থিং ইজ শি নেভার কমপেয়ারস।… আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় আপনাদের ডিভোর্স হয়েছিল কেন।”
    চুপ করে থাকল ইন্দ্র, তার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে - সে খুশি হবে, নাকি দুঃখ পাবে বুঝতে পারছিল না। বলল,”আসলে আমি দিল্লির লাইফস্টাইলে একদম মিসফিট, বোকারো ছাড়তে চাইনি, আর ও থাকতে চায়নি।”
    “তাই কী?” জিজ্ঞাসা করল জয়ন্ত। অত্যন্ত অবাক হল ইন্দ্র। আর কী হতে পারে? ওদিকে দূর থেকে একজন লোক জয়ন্তের নাম ধরে ডাকল, সে উত্তরে হাত তুলে বলল একটু পরেই আসছে।
    “আমি বুঝলাম না, কী বলতে চাইছেন?” জিজ্ঞাসা করল ডাক্তার।
    “ছেড়ে দিন না, আজ আর জেনে কী করবেন?” বলল জয়ন্ত।
    “না, আপনি প্লিজ বলুন। আপনাকে কী বলেছে অঞ্জলি এই নিয়ে?”
    জয়ন্ত একটু ভেবে নিল কী ভাবে জানাবে কথাটা, তারপর বলল, “দিল্লির লাইফ নিয়ে আপনার বিতৃষ্ণাটা বাদ দিলে আর একটা কথাই আমি জানি যেটা আপনার বিরুদ্ধে যায়।”
    শুনতে লাগল ইন্দ্রনীল, উত্তর দিল না। “আপনি ওকে সময় দেননি প্রেগন্যান্সির সময়ে, সেটা ওর ওপর প্রচন্ড ইমপ্যাক্ট তৈরি করেছিল, আর সেই মেন্টাল স্ট্রেস থেকেই মিসক্যারেজটা হয়,” বলল জয়ন্ত। তারপরেই তাড়াতাড়ি যোগ করল, “মানে এটাই ওর ধারণা।”

    ইন্দ্রনীলের এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল সব কিছু। এই অভিযোগটা একদম নতুন, তবে ভেবে দেখলে সত্যি হতেও পারে। ওই সময়ে তিনজন ক্রিটিক্যাল রোগী ভর্তি ছিল তার আণ্ডারে। তখনও বোকারোর হাসপাতালে সে নতুন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সে প্রাণপণ লড়াই করেছিল ওই রোগীদের জন্য। একজন মারা যায় হাসপাতালেই, অন্য একজনকে বাড়ি ফেরাতে পেরেছিল সে মোটামুটি সুস্থ করে, পরে অবশ্য তাঁর মৃত্যু হয়। আর তৃতীয় জন এখন সুস্থ, অবশ্য তাঁর মনের জোর আর আর্থিক ক্ষমতা দুইই অন্য দুই রোগীর চেয়ে বেশি ছিল। এই পরিস্থিতি তো অঞ্জলির অজানা ছিল না, তবু তার মনে এতটা আঘাত এসেছিল এই জন্য। তবে মিসক্যারেজের তো আরও একটা কারণ ছিল।

    “ওর ইউটেরাসে…,” কিন্তু কিন্তু করে শুরু করেও থেমে গেল ইন্দ্রনীল।
    “জানি, একটা ফাইব্রয়েড ছিল,” বলল অঞ্জলির বর্তমান স্বামী, “হয়তো সেটাই আসল কারণ মিসক্যারেজের। আসলে মনের কথা কে বুঝতে পারে বলুন।” কয়েক সেকেন্ড নীরব থেকে ফের শুরু করল সে,”তবে এটা জানা থাকায় আমার সুবিধে হয়েছিল। আমাদের ছেলে হওয়ার সময়ে আমি ওকে ছেড়ে খুব একটা থাকিনি… আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করেও।”
    চুপ করে থাকল ইন্দ্রনীল।
    কিছু একটা ভেবে জয়ন্ত বলল,”আরও একটা ফ্যাক্টর আছে। বোকারোতে তো অঞ্জলি কোনও চাকরি করত না। ফলে আপনি না থাকলে ও পুরো একা। এখন অবশ্য চাকরি করে।”
    “আপনার ছেলে কেমন আছে?” প্রাক্তনকে জিজ্ঞাসা করল বর্তমান।
    “ভাল।… আপনি কেমন আছেন? বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন?”
    “হ্যাঁ, ওর ফ্লাইট এখানে আসায় আমায় ফোন করেছিল। অনেক দিন দেখা হয়নি, হাতে সময়ও ছিল, তাই চলে এলাম।”
    “আমারও যাওয়ার কথা ছিল পাটনায়, একটা শো আছে আমাদের কাল সন্ধ্যাবেলা। সকালের ফ্লাইটে চলে যাব। যে ডাকল আমায় একটু আগে আমাদের ব্যান্ডেরই ছেলে। ওরা আগেই ডিনারের জন্য নেমে এসেছিল। আমার একটু দেরি হল। আর তাই আপনার সাথে দেখা হল।” হেসে বলল জয়ন্ত।
    “বম্বে গেছিলেন কেন?"
    “ওখানেও একটা শো ছিল আমাদের।”
    “ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড, আপনি এই ব্যান্ডে কী করেন?”
    “আমি স্ট্রিং প্লেয়ার। তবে এই ব্যান্ডে রেগুলার নই। অন্য একজন আসতে পারেনি, তাই আমি এসেছি। আমাদের ফিল্ডে এমন হয়।“
    “তাহলে আপনি অন্য কোথাও রেগুলার? সরি, কেমন জেরা করার মত শোনাচ্ছে।”
    ”না না। এ তো সাধারণ কথা। আসলে আমি বিভিন্ন গ্রুপের সাথে যুক্ত। নানা কমার্সিয়ালে মিউজিকের কাজ করি। প্লাস আমার বাড়িতে একটা ছোট স্টুডিও আছে। অনেকেই সেখানে রেকর্ডিং করাতে আসে।“
    “আপনার বাড়ি কোথায়?”
    “পটপরগঞ্জে,“ বলল জয়ন্ত।
    “আচ্ছা, আমি থাকতাম কালকাজিতে।“
    “জানি।“
    “আপনি আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন, কিন্তু আমি কিছুই জানি না।“

    পুরনো মুচকি হাসিটা ফিরে আসে জয়ন্তর চোখে। “চেষ্টা করেছিলেন কখনও? আপনার সঙ্গে তো অঞ্জলির কথা হয় মাঝে সাঝে।” চুপ করে থাকে ইন্দ্রনীল, সত্যিই সে জানার চেষ্টা করেনি। জয়ন্ত বলে, “অঞ্জলি প্রথম দিকে আপনাকে নিয়ে কিছু বলেনি। আমি জানতে চেয়েছিলাম বলেই বলেছে। ছবি দেখতে চেয়েছিলাম বলেই দেখিয়েছে।“
    আরও কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে ইন্দ্রনীল, তারপর ঘড়ি দেখে। প্রায় সাড়ে ন’টা বাজে, তাকে ফিরতে হবে অনেক দূর। “আমায় এবার যেতে হবে,” বলে সে।
    “আসুন। এই আমার কার্ড। চাইলে স্বচ্ছন্দে যোগাযোগ করতে পারেন। বিশেষ করে দিল্লি এলে” বলল জয়ন্ত।
    ওয়ালেট থেকে নিজের কার্ড বার করে জয়ন্তকে দিল ইন্দ্রনীল, হাত মেলাল দুজনে। “গুড নাইট।“
    উত্তরে জয়ন্তও শুভ রাত্রি জানিয়ে চলে গেল তার সঙ্গীদের দিকে।

    একটু দূর থেকে দু’জনকে দেখছিল রাজা, এবার এগিয়ে এল সে। বন্ধুকে দেখে ইন্দ্র বলল, “আসি রে।“
    “আরে আমি তো গাড়ি অবধি যাব,“ বলল রাজা, দেখল ইন্দ্র অন্যমনস্ক হয়ে আছে। “কী ভাবছিস?”
    উত্তর দিল না ইন্দ্রনীল, জয়ন্তর কথাগুলো তার কানের মধ্যে বাজছে। অঞ্জলি পরোক্ষে তাকেই ডিভোর্সের জন্য দায়ী করেছে? সত্যিই কি সে সময় দিত না স্ত্রীকে? আর সেই জন্যই মিসক্যারেজ হল?

    সেই রাতটা মনে এল  ইন্দ্রর। বৃষ্টি পড়ছিল খুব, বাজও পড়ছিল মাঝে মাঝে। তার মধ্যেই অনেক রাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে এল সে। সন্ধ্যায় বাড়ি এসেও আবার যেতে হয়েছিল এক রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়াতে। ক্লান্ত শরীরে ঘরে ঢুকে দেখে বাইরের ঘরে সোফায় বসে আছে অঞ্জলি। ঘরে টিউব লাইট নয়, কম পাওয়ারের একটা আলো জ্বলছে।
    “এ কি! তুমি শোওনি কেন এখনও?” জিজ্ঞাসা করে ইন্দ্রনীল। “এত রাত করে কেউ এই অবস্থায়?” একটু বিরক্ত গলাতেই বলে সে।
    উত্তর দেয় না অঞ্জলি, অদ্ভুত ভাবে তাকায় স্বামীর দিকে। সে দৃষ্টিতে কী ছিল আজও জানে না ইন্দ্রনীল – ক্ষোভ, দুঃখ, অভিমান, রাগ – সব কিছুই মনে হয় মেশানো ছিল তাতে। তবে বেশিক্ষণের জন্য নয়, ইন্দ্রনীলকে একরকম উপেক্ষা করেই সে উঠে চলে যাচ্ছিল শোবার ঘরের দিকে।

    যেতে যেতে হঠাৎই দাঁড়িয়ে গেল সে। ডান হাতটা পেটের কাছে নিয়ে গেল আর দুই চোখে যন্ত্রণার ছাপ ফুটে উঠল। এবার বাঁ-হাতটাও গেল পেটের কাছে,, দু’হাতে তলপেটটা চেপে ধরল সে, দুলতে লাগল পুরো শরীরটা। “কী হল?” বলে ছুটে গেল ইন্দ্র, ধরে ফেলল স্ত্রীকে, নয়তো ব্যালান্স হারিয়ে পড়ে যেত সে। তীব্র ব্যথায় চোখমুখ কুঁচকে গেল অঞ্জলির, কপাল থেকে ঘাম গড়াচ্ছে, আর তার মধ্যেই টের পেল তার দুই পা বেয়ে তরল কিছু নামছে। যন্ত্রণার প্রতিটি ঢেউতে সে তরল বেরিয়েই আসছে তার শরীরের ভিতর থেকে। আতংকিত হয়ে ইন্দ্র দেখল অঞ্জলির ক্রিম রঙের প্লাজো রক্তে ক্রমশঃ লাল হয়ে যাচ্ছে। এখুনি ফোন করা দরকার হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য, কিন্তু অঞ্জলির শরীর মনে হয় ছেড়ে দিয়েছে, ওর পুরো ওজনটা এসে পড়ছে ইন্দ্রের ওপর। ধীরে ধীরে মাটিতে বসে পড়ল দুজনেই।

    স্ত্রীকে কোনও রকমে বসিয়ে রেখে উঠে আসে ইন্দ্রনীল, টেবিল থেকে ফোন তুলে হাসপাতালে ফোন করে। এখনই অ্যাম্বুলেন্স লাগবে, কিন্তু ওদিকে সাড়া দিচ্ছে না কেউ। সময় চলে যাচ্ছে দ্রুত, শেষ পর্যন্ত ফোন ধরে একজন কেউ। প্রায় চিৎকার করে কথা বলতে শুরু করে ইন্দ্রনীল, আর তার মধ্যেই চোখ ঘুরিয়ে দেখল মেঝেতে শুয়ে পড়েছে অঞ্জলি। এগারো সপ্তাহ ধরে তার শরীরের মধ্যে যে বাস করছিল, তার সময় ফুরিয়ে গেল আচমকা, কোনও নোটিশ না দিয়ে সে চলে গেল। জানলার কাঁচের মধ্যে দিয়ে ঝলসে উঠল বিদ্যুতের আলো।

    পা-টা পিছলে যায় ইন্দ্রনীলের, হোটেলের রিসেপশন থেকে বাইরে বেরোবার পথে যে তিনটে সিঁড়ি আছে সেটা খেয়াল করেনি সে। রাজা এসে তাকে ধরে তোলে। ওই মূহুর্তে তেমন পায়ে ব্যথা না বুঝলেও পরে ভালই যন্ত্রণা শুরু হয়, ফলে গাড়ি চালিয়ে বোকারো ফিরতে অনেক সময় লেগে যায় ইন্দ্রনীলের।

    তবে অঞ্জলির প্রাক্তন স্বামীকে তার চেয়েও অনেক বেশি যন্ত্রণা দিতে থাকে নতুন করে জেগে ওঠা পুরনো কাঁটার ক্ষত। এর থেকে মুক্তির উপায় আছে কিছু? (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫১541127
  • যন্ত্রণার সাথী হলাম।
  • Nirmalya Nag | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:৩১541147
  • @ রঞ্জনদা - এই তিনটি শব্দ আমার কাছে ৩০০ শব্দের সমান। আজ আর ধন্যবাদ বলব না।
  • :|: | 2607:fb90:bd19:e32a:a8d0:2360:873b:***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:৩৮541148
  • টাইটেলে টাইপোটি ঠিক করে দিতে পারেন ইচ্ছে হলে। 
  • Nirmalya Nag | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫১541157
  • @ :|: - ধন্যবাদ। ঠিক করে দিলাম। 
  • গবু | 202.8.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৪541173
  • ভালো লাগছে। চিত্রনাট্যের মেটেরিয়াল হতে পারে মনে হয়।
  • Kuntala | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৯541176
  • ছাড়াছাড়ির পরের সম্পর্ক নিয়ে এতো সংবেদনশীল অথচ ন্যাকামি ও মেলোড্রামা বিহীন শান্ত লেখা অনেকদিন পরে পড়ছি।
  • Nirmalya Nag | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪২541179
  • @গবু - ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। 
     
    @Kuntala - ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। ওই মেলোড্রামার ফাঁদে আমিও পড়েছিলাম এই পর্ব নিয়ে ভাবনার প্রাথমিক স্তরে, পরে অবশ্য তাকে আর আমল দিইনি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন