এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গান

  • পদ্মা-মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র থেকে আরবসাগর

    সম্বিৎ লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গান | ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৫৩ বার পঠিত
  • প্রথম
    ভারতীয় গানের মূলতঃ দুই ধারা। লোকগানের ধারা - যে গান সাধারণ মানুষ রচনা করে চর্চা করেন - আর ধ্রুপদী গানের ধারা - যে গানের সুনির্দিষ্ট ব্যকরণ তৈরি হয়ে গেছে। গত প্রায় একশ বছরে বাংলা ও হিন্দির জনপ্রিয় গায়ক ও সুরকারদের মধ্যে হাতে গুনে বলা যায় যাঁরা এই দুই ধারাতেই সমান স্বচ্ছন্দ। এনাদের মধ্যে অন্যতম ও অগ্রগণ্য অবশ্যই শচীন দেববর্মন। শচীন দেববর্মনের জন্ম ত্রিপুরার রাজবংশে। নিজেই লিখেছেন, "ত্রিপুরা সম্বন্ধে এই প্রবাদ যে, সেখানকার রাজবাড়িতে রাজা, রানী, কুমার, কুমারী থেকে দাসদাসী পর্যন্ত সবাই গান গায়। গলায় সুর নেই, গান গাইতে পারে না এমন কেউ নাকি সেখানে জন্মায় না। ত্রিপুরার ধানের ক্ষেতে চাষী গান গাইতে গাইতে চাষ করে; নদীর জলে মাঝিরা গানের টান না দিয়ে নৌকা চালাতে জানে না; জেলেরা গান গেয়ে মাছ ধরে, তাঁতিরা তাঁত বুনতে বুনতে আর মজুররা পরিশ্রম করতে করতে গান গায়। সেখানকার লোকেদের গানের গলা ভগবৎ প্রদত্ত।" [সরগমের নিখাদ - শচীন দেববর্মন।]

    ছেলেবেলা থেকেই মার্গসঙ্গীত শিখেছেন বাবার কাছে। "বাবা খুব নিপুণ হস্তে সেতার বাজাতেন আর তা ছাড়া চমৎকার গলা ছিল তাঁর ধ্রুপদাঙ্গ গানের। ... মার্গসঙ্গীতে আমার প্রথম গুরু আমার  বাবা।" [সরগমের নিখাদ - শচীন দেববর্মন] সেই সঙ্গে প্রভাবিত হয়েছিলেন ছোড়দা কিরণকুমার দেববর্মনের সঙ্গীতে। মেজদি তিলোত্তমা দেবীও খুব ভাল গান গাইতেন। পুজো আর হোলির সময়ে ভারতবর্ষের বিখ্যাত গুণী গায়ক-বাদকরা তাঁদের বাড়িতে আমন্ত্রিত হয়ে আসতেন। বলেছেন এই ভাবে মার্গসঙ্গীতে কান তাঁর তৈরি হয়েছে ছোট থেকে। পরে কলকাতায় এসে হিন্দুস্তানী ক্লাসিকাল শিখতে শুরু করে প্রথমে কৃষ্ণচন্দ্র দে-র কাছে। তারপরে তাঁর গুরু ওস্তাদ বাদল খাঁর কাছে তালিম নেন। সেই সূত্রে পরে বাদল খাঁর ছাত্র ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন। ঠুংরির শিক্ষা শ্যামলাল ক্ষেত্রীর কাছে। একমুখীনতা না থাকলেও, শচীনকর্তার মার্গসঙ্গীতের শিক্ষা ছিল দীর্ঘ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ।

    শচীনকর্তার বাবা রাজকুমারদের স্বেচ্ছাচারীতার আবহাওয়া থেকে সরাতে শচীনকর্তাকে ক্লাস ফাইভে রাজধানী আগরতলার 'রাজকুমার বোর্ডিং' থেকে সরিয়ে কুমিল্লায় নিজের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন। এই সময়ে গ্রাম্যসঙ্গীত শোনার অভিজ্ঞতা হয় দুজন পরিচারকের কাছে - মাধব ও আনোয়ার। মাধব সুর করে রামায়ণ শোনাতেন। আর আনোয়ার রাতে দোতারা বাজিয়ে ভাটিয়ালি গান গাইত। কর্তা লিখেছেন, "আমি মার্গসঙ্গীত যত পছন্দ করতাম, ঠিক ততখানি মাধব আনোয়ারের গানেও মুগ্ধ হতাম।" তাছাড়া জ্ঞান হওয়া ইস্তক  ত্রিপুরার নিজস্ব টিপরাই বাঁশি বাজাতে পারতেন।

    কাজেই শচীনকর্তার সঙ্গীতের বুনিয়াদ তৈরি হয়েছিল এই দুই গানের ধারায় প্রায় সমান সমান। শচীনকর্তা যখন পরবর্তীকালে গানে সুর করছেন - সেখানে দেখব এই দুই ধারার নানা সাঙ্গীতিক এলিমেন্ট এসে উপস্থিত হচ্ছে তাঁর কম্পোজিশনে। নিজের গাওয়া গানে এর সঙ্গে জুটছে লোকসঙ্গীত গাওয়ার কিছু বিশেষ টেকনিক। ১৯৩৯ সালের গান 'কাঁদিব না ফাগুন গেলে' এই দু ধারার মিশ্রণের এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। গানের চলনে শুরু থেকেই একটি রাগধর্মী গান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মীড়ের ব্যবহার, শব্দের একটি অক্ষরে সুরের কারুকার্য রাগাশ্রয়ী গানকে মনে করায়। 'বনের হিয়া জুড়ে' লাইনে 'হিয়া' শব্দের 'য়া'-তে দু-মাত্রায় ছোট কাজটি, বা আভোগের শেষে 'কাঁদিব না'-র 'না' মীড়ের ব্যবহার কখনই লোকসঙ্গীতের থেকে মজলিশি গানকেই মনে করাবে। অথচ, গানটির শুরুর সুরটিতে রে-বর্জিত আরোহণ সিগনেচার বাংলার লোকগান - যা আমরা কর্তার 'শ্যামরূপ ধরিয়া এসেছে মরণ' বা 'নিশীথে যাইও ফুলবনে'-তে পাই। অথচ সব মিলিয়ে যখন গানটা শুনি, মজলিশি গানের অবয়বে লোকসঙ্গীতের সুর কিনা এসব ছাপিয়ে সম্পূর্ণ বাংলার নিজস্ব একটি আধুনিক গান হিসেবে জেগে থাকে। এই প্রসঙ্গে, আর একটা গানের উল্লেখ করব। ১৯৪৮ সালের গান 'বঁধু গো এই মধু-মাস' গানটিও চলনে-বলনে আপাদমস্তক একটি আধুনিক গান। কিন্তু এ গানের সঞ্চারীর প্রথম লাইন 'আমার এ প্রেম ধূপের সুরভী যেন'-র যা সুর সে একই সুর পাচ্ছি ১৯৬০ সালের গান 'দূর কোন পরবাসে'-র অন্তরার প্রথম লাইন 'তুমি ফিরে এলে আমার কবরী খুলি'। 'দূর কোন পরবাসে' স্বাদে-গন্ধে একটি লোকগানের আদল নিয়েছে। কাজেই একটি বাংলা আধুনিকের সুর সহজে বাংলা লোকগানের আদলে খাপে খাপ বসে গেল। নটবেহাগ রাগে আগ্রা ঘরানার বন্দিশ 'ঝন ঝন ঝন পায়েল বাজে', যা ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁসাহেব জনপ্রিয় করেছিলেন, ভিত্তি করে কর্তা ১৯৩৭ সালে বাংলায় 'ঝন ঝন ঝন মঞ্জির বাজে' করেছিলেন। সেই গানই যখন হিন্দিতে 'বুজদিল' ছবির জন্যে লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে গাওয়ালেন, অন্তরায় জুড়ে দিলেন বাংলা কীর্তনের সুর। আবার সেই দুই ধারার মিশ্রণ।

    এই মিশ্রণ শুধু সুরেই আবদ্ধ যে তা নয়। লোকসঙ্গীত গাওয়ার যে টেকনিক, তা ব্যবহার করলেন নিজের বাংলা আধুনিক গানে। লোকসঙ্গীতে যে সুরের মোচড়ে গলা ভাঙার টেকনিক, সে টেকনিক কর্তা নিজের বাংলা আধুনিকে ব্যবহার করেছেন।

    জীবনের শেষে এসে বলছেন, "পূর্ববঙ্গের এই অঞ্চলের (কুমিল্লা - স.ব.) এমন কোন গ্রাম নেই বা এমন কোন নদী নেই, যেখানে আমি না ঘুরেছি। ছুটি ও পড়াশোনার ফাঁকে আমি গান সংগ্রহ করতাম। আমার এখনকার যা কিছু সংগ্রহ যা কিছু পুঁজি সে সবই ওই সময়কার সংগ্রহেরই সম্পদ। আজ আমি শুধু ওই একটি সম্পদেই সমৃদ্ধ, যে সম্পদের আস্বাদন করে আমার মনপ্রাণ এখনও ভরে ওঠে। যে সম্পদের জোরে আমি সুরের সেবা করে চলেছি - তার আদি হল আমার ওইসব দিনের সংগ্রহ ও স্মৃতি।" [সরগমের নিখাদ - শচীন দেববর্মন]

    রাগসঙ্গীতের সঙ্গে লোকসঙ্গীতের এই চর্চার ফলে শচীনদেবের আধুনিক গানের সুরে একটি অনন্য ব্যাপার ঘটল। গানের সুরের যে ভাবে মাত্রা-বিভাজন করলেন এবং গানের লাইনকে যেভাবে ভাঙলেন। তালের ওপর দখলকে এই পথে নিয়ে গেলেন। তার ফলে পেলাম 'তুমি আর / নেই / সে তুমি / জানিনা / জানিনা কেন / এমন হয়'। কিংবা, 'ও জানি / ভোমরা কেন / কথা কয়না'। আরও কিছু উদাহরণ দেওয়া যেত, কিন্তু গানগুলো না শোনালে, লিখে এই মাত্রা-বিভাজন আর লাইন ভাঙার স্বকীয়তা বোঝানো শক্ত। বম্বেতে গিয়েও এই প্রয়োগ চলবে, যেমন 'পিয়া তো সে / নয়না লাগে /রে'। হয়ত বম্বের অভিজ্ঞতা তাঁকে এই ছন্দ-তালের পরীক্ষায় উদবুদ্ধ করেছিল।

    ১৯৪৪ সালে বম্বে যাবার পরে খুব স্বাভাবিকভাবেই শচীনদেবের সঙ্গীতচিন্তায় ও তার প্রয়োগে পরিবর্তন হতে থাকে। বিশেষত স্বাধীনতার পরে বম্বে ক্রমশঃ নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধানের পাঁচমিশেলি শহুরে হতে থাকে। তার প্রভাবে পড়ে হিন্দি সিনেমার সঙ্গীতেও। যদিও চাল-চলনে, ভাষায় শচীনদেব শেষদিন অব্দি টপ-টু-বটম বাঙালি হয়ে ছিলেন, সঙ্গীতের আদর্শ ছাত্র হিসেবে যা কিছু ভাল ও নতুন তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গ্রহণ বর্জনে তাঁর মধ্যে কোন গোঁড়ামি ছিল না। ফলে তাঁর গানে নানারকম নতুন জিনিসের আমদানী দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত, শচীন দেববর্মন তাঁর গানের সুরে নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য রক্ষা করে যেতে পেরেছিলেন। কোন ছাঁচ বা প্যাটার্নের মধ্যে কর্তার গানকে ফেলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। হয়ত এই কারণেই ১৯৪৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সালে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত সুরকার হিসেবে শুধু সক্রিয়ই থাকতে পেরেছেন যে তাইই নয়, নিজের সৃষ্টির সজীবতা এমনই বজায় রাখতে পেরেছিলেন যে নতুন সুরকারদের থেকে তাঁর চাহিদা কিছুমাত্র কম ছিল না। নিজে কাজ নিতেন মেপে মেপে, ফলে নিজের সৃষ্টির পুনরাবর্তন তাঁকে করতে হয়নি। পুলক বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন শচীনকর্তার কাজ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কর্তার জবানি - "কুয়া জান? পাতকুয়া? পাতকুয়া থেকে একসঙ্গে সব জল তুলে নিলে কুয়া শুকিয়ে যায়। কুয়াতে জল জমবার সময় দিতে হয়। মিউজিক ডিরেকশনও তাই। টাকার লোভে একগাদা ছবিতে কাজ করলে আমি ফুরিয়ে যাব। আমার ইয়ারলি কোটা আছে। তার বেশি আমি কাজ করি না। আমার এ বছরের কোটা কমপ্লিট। যে যত টাকাই দিক এ বছরে আর আমি ছবি করব না।" [কথায় কথায় রাত হয়ে যায় - পুলক বন্দোপাধ্যায়]

    এই পরিমিতিবোধ শচীনকর্তা তাঁর সৃষ্টিতে সবসময়ে দেখিয়ে এসেছে। গানের যন্ত্রানুষঙ্গেও সেই পরিমিতিবোধ। এ ছাড়াও অনেক গানে, বিশেষতঃ বাংলা গানে, বিশেষ কিছু যন্ত্রর অনুষঙ্গ গানের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি মিলে যায়। কে ভুলতে পারে 'মন দিল না বঁধু'-র তবলা আর উডব্লকের সম্মিলিত রিদম সেকশন, বা একইরকমভাবে 'তুমি আর নেই সে তুমি'-র তবলার ঠেকা, 'পথ চেয়ে রব' সেতারের অনুষঙ্গ প্রায় গায়কের সঙ্গে যেন যুগলবন্দী, 'বর্ণে-গন্ধে-ছন্দে-গীতিতে' গানে সন্তুরের ব্যবহার, 'ঘুম ভুলেছি'-তে এসরাজ, 'ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে' গানে ব্রজতরঙ্গ ও তবলা - এসবই যন্ত্রের ব্যবহারের খুব সুচিন্তিত ও ডেলিবারেট প্রয়োগ। হিন্দি গানেও - যেখানে যার যত বড় অর্কেস্ট্রা, সে তত বড় সঙ্গীত পরিচালক - এরকম এক সরল সমীকরণ আছে - সেখানে তাঁর যন্ত্রের ব্যবহার খুবই ডেলিবেরাট। শোনা যায় শচীনদেবের নির্দেশ ছিল তাঁর গানে যে প্রিলিউড বা ইন্টারলিউড মিউজিক যেন আট বারের (মাত্রা) বেশি লম্বা না হয়। বলতেন, গান বিয়ের কনের মতন। তাকে বেশি গয়না পরালে আসল রূপ চাপা পড়ে যায়। যদিও তা সত্ত্বেও হিন্দি গানে, বিশেষতঃ ষাটের দশকের পর থেকে, তাঁর সঙ্গীতের যন্ত্রায়োজনের ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে। যেমন ১৯৬৫ সালের গাইড ছবির 'পিয়া তো সে নয়না লাগে' গানের যন্ত্রানুষঙ্গের আয়োজন ওয়েস্টার্ন অপেরার গানের সমস্পর্ধী। অবশ্য রেকর্ডিস্ট মঙ্গেশ দেশাইয়ের কথায় এই ছবিতে কর্তা সঙ্গীতের রাশ অনেকটাই রাহুল দেববর্মনের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন। সত্যি বলতে সঙ্গীতায়োজন ব্যাপারটা শচীনকর্তা কতটা ভালবাসতেন সেটা নিয়ে মাঝে মাঝে আমার প্রশ্ন জাগে। অথচ হিন্দি ছবির গানে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করতে গেলে সঙ্গীতায়োজনে দড় হতেই হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    প্রথম
  • ধারাবাহিক | ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন