।। চোদ্দ ।।
[ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]
রঙিন রাতেই বিসাকে বলে দিয়েছিল ও যখন ঘুম থেকে উঠবে তখন যেন ডেকে দেয়। সেই মত ডেকেও দিয়েছে বিসপাতিয়া, তারপর নিজের কাজে চলে গেছে। রঙিন এখন অপেক্ষা করছে, তবে বিছানা ছাড়েনি। চোখ তার খোলা, শুয়ে শুয়ে তাকিয়ে আছে ভেজানো দরজার দিকে।
ছাদ থেকে নেমে এল বিনীতা, মেয়েকে স্কুলের জন্য রেডি করতে হবে। দরজা খোলার শব্দ হতেই রঙিন চোখ বুজে ফেলল। বিছানার কাছে এসে বিনীতা ঝুঁকে পড়ল মেয়ের দিকে। গায়ে হাত দিয়ে ডাকল, “রঙিন, উঠে পড়ো, দেরি হয়ে যাবে।”
রঙিন এক ঝটকায় পাশ ফেরে, বালিশটাও একটু টেনে নেয় হাত দিয়ে। বালিশ সরে যেতেই তার নিচ থেকে একটা কার্ড বেরিয়ে আসে। কার্ডে একটা হাতে আঁকা পাহাড়ের ছবি, তলায় লেখা, ‘হ্যাপি বার্থডে মা’। বিনীতা কার্ড-টা হাতে তুলে নেয়, তারপর প্রবল খুশিতে রঙিনকে জড়িয়ে ধরে।
“ও রে আমার সোনা, মাকে সারপ্রাইজ দেবে বলে চুপি চুপি জেগে বসে আছো।” মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে চুমু খায় মা।
আদর খাওয়া হলে মেয়ে বলে, “হ্যাপি বার্থডে মা”।
“থ্যাংক ইউ সোনা, কার্ডটা খুব সুন্দর হয়েছে।… এবার লক্ষ্মী মেয়ের মতো উঠে পড়ো, না হলে স্কুলের দেরী হয়ে যাবে,” বলল বিনীতা।
চটপট খেয়ে নিয়ে স্কুল চলে যায় রঙিন, অরুণাভও যথারীতি বই মুখে নিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরেছে। বিনীতাও চুপচাপ খবরের কাগজে চোখ বুলিয়েছে একই ডাইনিং টেবিলে বসে। তার স্বামী এবার অফিসে জন্য বেরোবে। স্যারের ব্যাগ আর টিফিন নিয়ে বিকাশ চলে গেছে গাড়িতে, অরুণাভ বারান্দায় বসে জুতো পরছে। বিনীতা খবরের কাগজটা টেবিলের ওপর রেখে বাইরের ঘরে আসে, সদর দরজায় দাঁড়ায়। জুতো পরা হয়ে গেছে, হাত দুটো ঘষে একটু ঝেড়ে নেয় অরুণাভ, বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে হঠাৎ থামে, ঘুরে তাকায় স্ত্রীর দিকে। “হ্যাপি বার্থডে,” বলে ওঠে সে।
খুব অবাক হয় বিনীতা। চোদ্দ বছরের বিবাহিত জীবনে এই প্রথম এই শব্দ দুটো শুনল সে স্বামীর মুখে। সবাই হয়তো মুখে বলে না, তবে শুভেচ্ছার প্রকাশটা থাকে। সেটাও কোনও দিন দেখেনি বিনীতা। “থ্যাংক ইউ,” মুখে হাসি টেনে এনে বলে সে। গাড়িতে গিয়ে ওঠে অরুণাভ।
বিকেল বেলা স্কুল থেকে ফিরে আসে বিনীতা। যথারীতি একা একা বসে চা খাচ্ছিল ডাইনিং রুমে বসে, রঙিন আসে তার ড্রইং খাতা নিয়ে। আজ পার্কে খেলতে যায়নি সে। একটা স্টিলের বাটি আর গ্লাসের ছবি এঁকেছে, স্টিল লাইফ। বিসপাতিয়া চা দিতে এসে হেসে জানিয়েছিল বিটিয়া একটা বাটি আর গ্লাস চেয়ে নিয়ে গেছে রান্নাঘর থেকে। তাহলে এই জন্যই নিয়ে গেছিল। ছবিটা দেখল বিনীতা, পড়ার জন্য টেবিল থাকলেও আঁকাআঁকিটা সে মেঝেতে বসেই করে। কয়েকটা বই পরপর রেখে একটা উঁচু প্ল্যাটফর্ম মত করা হয়েছে, তার ওপর রাখা হয়েছে উপুড় করা বাটি আর সোজা গ্লাস। মেয়ের প্রথম স্টিল লাইফ। ইন্দ্রনীল ডাক্তার বেশ কিছু দিন আগেই বলেছিল এমন ছবি আঁকার জন্য, এত দিন বাদে মেয়ের খেয়াল হয়েছে। ছবি খুব একটা বোঝে না বিনীতা, তবে প্রথম আঁকা স্টিল লাইফ হিসেবে মন্দ লাগল না তার। তবে আলো-ছায়ার ব্যাপারটা ঠিক মত আসেনি মনে হচ্ছে। মেয়ের আঁকায় ঝোঁক রয়েছে, একজন শিক্ষকের খোঁজ করতে হবে।
বিসপাতিয়া চায়ের কাপ ডিশ নিয়ে গেল। বিনীতা ফের রঙিনের খাতাটা নিয়ে পুরনো আঁকাগুলো দেখতে লাগল, ওর যে খটকাটা লাগছে কিন্তু মেয়েকে বোঝাতে পারছে না নিজের অজ্ঞানতার জন্য, সেইটা যদি ধরতে পারে। হঠাৎই কলিং বেল বেজে উঠল।
এই সময়ে আবার কে এল! অরুণাভই কোনও কারণে তাড়াতাড়ি ফিরে এল নাকি? এইসব ভাবতে ভাবতে নিজেই উঠল সে দরজা খোলার জন্য, রঙিনও এল সঙ্গে।
“হ্যাপি বার্থডেএএএ…।” দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সমবেত গলায় শোনা গেল।
প্রচন্ড অবাক হয়ে বিনীতা দেখল গায়ত্রী, রণজিৎ, অরুণাভর সেক্রেটারি কবিতা, অফিসেরও কয়েক জন যাদের বিনীতা ভাল চেনে না - সব মিলিয়ে প্রায় সাত-আট জন দাঁড়িয়ে আছে।
“আপনারা…?” হতবাক বিনীতা শুধু এইটুকুই বলতে পারে।
“দাদা আমাদের সবাইকে ইনভাইট করেছেন,” বলল গায়ত্রী।
বিনীতা কয়েক সেকেন্ড হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর সম্বিত ফিরে পায়। “আসুন, আসুন, ভেতরে আসুন… বসুন।”
সবার বসার জায়গা হয় না। রঞ্জিত ডাইনিং রুম থেকে আরও চেয়ার নিয়ে আসে বাইরের ঘরে।
একটা বড় ফুলের বোকে আর কেকের বাক্স বিনীতার হাতে তুলে দেয় অতিথিরা।
সবাইকে ধন্যবাদ দেয় বিনীতা। বলে, “আপনারা একটু বসুন, আমি আসছি।”
রান্নাঘরে ঢোকে বিনীতা। প্রচন্ড বিব্রত সে, এতজন মানুষকে নেমন্তন্ন করা হয়েছে কিন্তু সেটা বিনীতাকেই বলার কোনও প্রয়োজন মনে করেনি অরুণাভ! বিসপাতিয়াকে বলে, “চা করো, আট কাপ মত… না। ১০ কাপ। ভুজিয়া টুজিয়া আছে তো?”
“আছে ভাবি,” বলে বিসপাতিয়া।
“ঠিক আছে। তুমি চা বসাও, আমি কাপ বার করে আনছি,” বলল বিনীতা।
কাবার্ড থেকে কাপ বার করতে ডাইনিং রুমে আসতেই গায়ত্রীর মুখোমুখি হয় বিনীতা। সে ভেতরে এসেছে।
“কি রে, এত টেনস দেখাচ্ছে কেন?” প্রশ্ন করে গায়ত্রী।
“এত জনকে ইনভাইট করলে তো ঘরের লোককে সেটা জানাতে হয়,” বিরক্ত বিনীতা বলে ওঠে।
“সে কি! তুই জানতিস না আমরা আসব?”
“না।” কাবার্ড থেকে কাপডিশ বার করতে থাকে বিনীতা, তাকে সাহায্য করে গায়ত্রী। আজ স্কুল যায়নি গায়ত্রী, তবে সকালেই তাকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল।
“দাদা তোকে সারপ্রাইজ দিয়েছে,” গায়ত্রী বলল বন্ধুকে।
“সারপ্রাইজ দিয়ে এত জনের খাবার আসবে কী করে? আমার ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। আগেও এমন হয়েছে কয়েক বার, তবে তখন লোক ছিল মাত্র এক-দু জন। আর এবার…”
“ফোন করে দেখ না দাদাকে, হয়তো খাবার আনবে,” বলে গায়ত্রী।
ডাইনিং টেবিলের ওপর থেকে মোবাইলটা তুলে নেয় বিনীতা। ফোন করে অরুণাভকে, ওপার থেকে সাড়া পায় না।
“বেজে যাচ্ছে,” হতাশ হয়ে ফোন নামিয়ে রাখে সে।
“দাদা নিশ্চয় কিছু আনবে,” বলল গায়ত্রী।
“আনবে কি না সেটাও তো জানতে হবে,” বলে বিনীতা। আবার ফোন করে। “ফোনটা পর্যন্ত ধরছে না।”
বন্ধুর অসহায়তাটা বুঝতে পারে গায়ত্রী। বলে, “ঠিক আছে, চা টা তো দে। পরে দেখা যাবে। দরকার হলে রঞ্জিত এনে দেবে খাবার। এখন ও ঘরে চল, সবাই বসে আছে।”
চায়ের কাপগুলো বিনীতা আর গায়ত্রী নিয়ে যায় রান্নাঘরে। বাইরের ঘর থেকে রঙিনের গলা শুনতে পাওয়া যায় - “মাআআআ…”
বিনীতা আর গায়ত্রী বাইরের ঘরে এসে দেখে প্রচুর খাবারের প্যাকেট নিয়ে ঘরে ঢুকছে ড্রাইভার বিকাশ, তাকে সাহায্য করছে রঞ্জিত আর সবার পিছনে কেকের বাক্স নিয়ে আসছে অরুণাভ। গায়ত্রী হাসি মুখে বন্ধুর দিকে তাকায়। আর বিনীতা হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে স্বামীর দিকে। রঞ্জিত আর বিকাশ ভেতরে গিয়ে ডাইনিং টেবিলের ওপর প্যাকেটগুলো রাখে। তাদের সাথে রঙিনও গেছে ভেতরে। ওদিকে অরুণাভ স্ত্রীর হাতে কেকের প্যাকেট তুলে দিয়ে বাইরের দরজার দিকে তাকায়। তার ভাব দেখে মনে হয় আরও কেউ আছে বাইরে।
আর কে এল? মুহূর্তের মধ্যে আশা আর আশঙ্কা মেশানো একটা মিশ্র অনুভূতি হয় বিনীতার মনে। ডাক্তারবাবু নাকি? তারপর তার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ঘরে আসে অরুণাভর বোন অরুনিমা।
বিস্ময়ের শেষ নেই। কেকের বাক্স গায়ত্রীর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিনীতা প্রায় দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে অরুণিমা-কে।
“আমি তো জানিই না তোমার আসার কথা। কি কান্ড!”
অরুণিমা বলল, “লাস্ট উইকে আসার প্ল্যান ছিল। দাদা না করলো। বললো, পসিবল হলে আজ আসতে।”
সারপ্রাইজ পার্টিতে সারপ্রাইজ গেস্ট, ভাবল বিনীতা। মুখে বলল, “বস, বস।”
ইতিমধ্যে গায়ত্রী ভেতরে গেছে কেকের বাক্স রাখতে, আর রঙিন ঘরে ঢুকেছে। এত লোককে এক সঙ্গে সে আগে কখনও দেখেনি এই বাড়িতে। পিসিকেও অনেক দিন পরে দেখছে সে।
অরুণাভ সবার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিল বোনের। তারপরেই ভাইঝিকে দেখতে পেল অরুণিমা। “হ্যাল্লো সুইটি, কত বড় হয়ে গেছো। কোন ক্লাস হল?”
“টু,” উত্তর দিল রঙিন। তার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিল পিসি।
তার পরের সময়টা খুব সুন্দর কাটল বিনীতার। এমনটা যে হতে পারে সেটা ছিল তার স্বপ্নেরও অতীত। ভোর বেলা ছাদে গিয়েছিল যখন, তখন এমন ভাবেইনি।
ডাইনিং টেবিলের চারদিক ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। সমবেত 'হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ' গানের মধ্যে কেক কাটল বিনীতা, খাইয়ে দিল রঙিন, অরুণিমা আর গায়ত্রীকে। এত জন জুনিয়র কলিগের মাঝখানে তাদের এজিএম স্যারকে কেক খাওয়াতে গেল না বিনীতা।
মজার মজার কথা বলে রঞ্জিত মাতিয়ে রাখল পার্টি। কবিতা আর একজন অফিস কলিগ কিশোর কুমার আর লতা মঙ্গেসকারের গান করল কয়েকটা। বাকিরা অনেকেই সাথে গলা মেলাল বা তাল দিল। গায়ত্রীর অনুরোধে “সখী ভাবনা কাহারে বলে” গানটা হিন্দিতে গাইল বিনীতা - ‘জানে পেয়ার কিসে কহতে হ্যায়, জানে দর্দ কিসে কহতে হ্যায়…”
গানের মধ্যে ডুবে গিয়েছিল সে, গান শেষে সবার হাততালিতে সে ফিরে এল তাদের ড্রইং রুমে।
খাবার ভালই এনেছিল অরুণাভ, ভেজ আর ননভেজ চাইনিজ। বোকারোর নামী রেস্টুরেন্টের। প্লেট গ্লাস চামচ আনতেও ভোলেনি। খাবারের ব্যাপারে এতখানি গুছিয়ে কাজ করা অসম্ভব অরুণাভর পক্ষে। বিনীতা নিশ্চিত যে সেক্রেটারি কবিতা খাবার আনার পুরো ব্যাপারটা সামলেছে।
এবার অতিথিদের যাওয়ার পালা। কবিতাকে একটু আলাদা ডেকে নিল বিনীতা, বলল, “ওনার একটু খেয়াল রেখ প্লিজ, যা কাজ-পাগল লোক। শরীরের দিকে কোনও নজর দেয় না।”
কবিতার বিয়ে হয়েছে অল্প কিছুদিন হল। বিনীতার হাতটা ধরল সে, বলল, “রাখব ম্যাডাম, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।”
সবাই চলে গেলে দৃশ্যতঃই ক্লান্ত অরুণাভ সোফায় গা এলিয়ে দেয়, বিনীতাও বসেছে। এমন সময়ে হাতে একটা বড় লম্বা বাক্স নিয়ে ঘরে আসে অরুণিমা। সেটা গিফট র্যাপ করা।
“রঙিন, কোথায় গেলে?” ডাকল পিসি।
ভাইঝি ঘরে এলে তার হাতে বাক্সটা তুলে দেয় অরুণিমা। “আই হ্যাভ আ লিটল গিফট ফর দিস লাভলি লিটল লেডি।”
“থ্যাংক ইউ। কিন্তু এটা কী?” প্রশ্ন করল রঙিন।
“খুলে দেখ।”
পিসির সাহায্য নিয়ে বাইরের বাহারি মোড়কটা খোলে রঙিন। তারপরেই চোখ যায় প্যাকেটের গায়ে ছাপা ভেতরের জিনিসটার নাম আর ছবির দিকে।
“টেলিস্কোওওওওপ!!!”
“পছন্দ?” জিজ্ঞেস করে অরুণিমা।
রঙিন হাসিমুখে মাথা ঝাঁকায়। “তুমি মুম্বাই থেকে এনেছ?”
রঙিনকে নকল করে মাখা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বলে অরুণিমা।
বিনীতার মনে পড়ে টেলিস্কোপের কথা বাবাকে বলেছিল রঙিন কিছুদিন আগে।
“আজ রাত হয়ে গেছে, কাল ওটা খুলে দেখব,” বলল অরুণাভ।
তার গলার স্বরে ক্লান্তি। তারপরেই কাশি হয় কয়েকবার। উদ্বিগ্ন গলায় বিনীতা জিজ্ঞাসা করে, “শরীর খারাপ লাগছে?”
মাথা নাড়ে অরূণাভ। “নাহ, টায়ার্ড লাগছে।”
“তুই শুয়ে পর না,” দাদাকে বলে বোন।
“আরও এক জনের আসার কথা। দেরি হচ্ছে কেন বুঝছি না,” দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকায় অরুণাভ, রাত ন’টা বেজে পাঁচ মিনিট।
বিনীতার মনে ফিরে আসে কিছুক্ষণ আগের অনুভূতি। সেই লোক কি?
কলিং বেল বেজে ওঠে বাইরে। (ক্রমশঃ)
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।