এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ৩৬

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫৭ বার পঠিত
  • ।। ছত্রিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    পিকনিকের পর কেটে গেছে বেশ কিছু দিন। বিনয় ফিরে গেছে জলপাইগুড়ি। এর মধ্যে একবার কেমো নিতে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল অরুণাভকে। ডাক্তার তার পেশাগত গাম্ভীর্য বজায় রেখে দুটো-একটা কথা বলেছে, অরুণাভও কোনও ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে যায়নি। সেদিন বিনীতা ছিল না সঙ্গে। 
      
    চার-পাঁচ দিন হল অরুণাভর শরীরটা ভাল যাচ্ছে না, ক্লান্তি এসে যাচ্ছে অল্প সময় কাজ করলেই। এমনটা আগে কোনও দিন হয়নি তার, এমনকি অসুখ ধরা পড়ার পরেও। অনেক কাজ বাকি আছে এখনও, নিজের ক্লান্তিতে নিজের ওপরেই রাগ আর বিরক্তি আসছে এজিএম সাহেবের। নিজের নেওয়া চ্যালেঞ্জ হেরে যাওয়া চলে না, তাই ক্লান্ত হলেও আরও বেশি কাজ করতে চাইছে সে, আর তার ফলে আরও অবসন্ন হয়ে পড়ছে সে। আর সে জন্য বিরক্তি আরও বাড়ছে। এই ভিসাস সার্কল থেকে বেরোনোর রাস্তা জানা নেই অরুণাভর।

    সেদিন  নিজের অফিসে বসে কম্পিউটারে কাজ করছিল সে, একটা জায়গায় খটকা লাগল। কম্পিউটারেই থাকা অন্য একটা ফাইল থেকে কিছু তথ্য একটা কাগজে নোট করল, তারপর টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা ফ্ল্যাট ফাইল বার করে সেখান থেকে দেখল একটা পাতা, মেলাতে লাগল কম্পিউটারের তথ্য আর নোট নেওয়া কাগজের হিসাব। বার বার দেখেও যা থাকা উচিত ছিল তা মিলল না। চোখে মুখে বিরক্তি ফুটে উঠল তার। ইন্টারকমটা তুলে নেয়। ফোন করে রামাকৃষ্ণণজীকে, বেজে যায় ফোন। 
     
    আগেও এই রকম ভুল বেরিয়েছে কয়েকটা,  আজও একই জিনিস! এরা ভেবেছেটা কী? তাকে প্রোজেক্টটা শেষ করতে দেবে না? এমনিতেই শর্মা তার ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে, আর তার ওপর কাজের এই ছিরি? রাগে চোখমুখ লাল হয়ে ওঠে অরুণাভর। দরকার নেই রামাকৃষ্ণণজীকে, যার ভুল তাকেই সোজা তলব করতে হবে। এবার একটা মোবাইল নম্বর ডায়াল করে সে। আজ একটা হেস্তনেস্ত করা দরকার।

    দু’ মিনিট পরে অরুণাভর ঘরের দরজায় নক করে সমসের, তারপর ভেতরে আসে। “আমায় ডেকেছেন স্যার?” জিজ্ঞাসা করে সে।
    “এদিকে এস,” বিরক্তি লোকানোর কোনও চেষ্টাই করে না এজিএম। সমসের টেবিলের সামনে এগিয়ে এলে তার দিকে একরকম ছুঁড়েই দেয় ফ্ল্যাট ফাইলটা। “ডু ইউ অ্যাপ্লাই ইয়োর মাইন্ড হোয়াইল ওয়ার্কিং, সমসের? কী লিখেছ এখানে?”
    সমসের বুঝতে পারে না কী ভুল তার হয়েছে। অস্বস্তির সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে সেটা।
    “কী ভুল হয়েছে দেখতে হলে তো ফাইলটা তুলতে হবে, না কি?” বলে অরুণাভ।
    স্যারের এমন কণ্ঠস্বরের সাথে একেবারেই পরিচিত নয় সমসের, ফাইলটা ধীরে ধীরে হাতে তুলে নেয় সে, এবার কী করবে বুঝতে না পেরে অরুণাভর দিকে তাকায়।
    “পেজ নাম্বার থার্টিন, এনট্রি নামবার ফর্টি-টু, বার করো।” অরুণাভর আদেশ পালন করে সমসের, তবে ভুলটা বুঝে উঠতে পারে না।
    “স্যার, আমি… ঠিক…”
    “ডু ইউ নো দ্য ডিফারেন্স বিটুইন বাকেট হুইল এক্সক্যাভেটার অ্যান্ড বাকেট চেন এক্সক্যাভেটর?”
    ঢোঁক গেলে সমসের, “স্যার…।”
    “ইয়েস অর নো?”
    “ইয়েস স্যার।”
    “তো কী লিখেছ এখানে? ডোন্ট ইউ চেক হোয়াট ইউ রাইট? কে চেক করবে এ সব? ডু ইউ থিংক উই হ্যাভ প্লেন্টি অফ টাইম ইন আওয়ার হ্যান্ডস?”
    সমসের এইবার ভুলটা বুঝতে পারে - স্পেসিফিকেশনে উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে। বলে, “সরি স্যার, এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।”
    “ডু ইট। অ্যান্ড চেক ফর আদার মিসটেকস অ্যাজ ওয়েল।… গো,” আঙুল তুলে দরজার দিকে দেখায় অরুণাভ।

    সমসের আনোয়ার বেরিয়ে আসে অরুণাভর কেবিন থেকে, তার মুখ তার ক্ষোভে অপমানে কালো হয়ে আছে। নিজের টেবিলে পৌঁছে দুই কনুই টেবিলে রেখে মুখে হাত চাপা দিয়ে বসে থাকে সে। পাশের ডেস্ক থেকে গীতা তার দিকে মুখ ফেরায়।
    “কী হয়েছে?” জিজ্ঞাসা করে গীতা।

    গীতার গলা শুনে অনেকেই ফিরে তাকায়। সমসের উত্তর দেয় না, একইভাবে বসে থাকে। দু'জন নিজেদের জায়গা ছেড়ে উঠে আসে ওর টেবিলের কাছে।
    শংকর গোগোই বলে স্যারের মুড মনে হয় খুব খারাপ। অমিত মহাপাত্র সমসেরকে জিজ্ঞাসা করে, “কিছু ভুল হয়েছে?”
    “এক্সকাভেটরের স্পেসিফিকেশন লিখতে ভুল হয়েছিল… এত বাজে ভাবে বলল…” উত্তর দিল সমসের।
    শংকর জলের বোতল এগিয়ে দেয়, হাত বাড়িয়ে সেটা নেয় সমসের। ইসারায় তাকে জল খাওয়ার পরামর্শ দেয় সে, বলে “দাস সাহেবের ব্যাড মুড খুব রেয়ার জিনিস। তোকে ফেস করতে হল এটা তোরই ব্যাড লাক। নে, জলদি জলদি কারেক্ট করে দে। দেরি হলে আবার অন্য প্রবলেম হবে।”

    সমসের আর গীতা এই প্রথম অরুণাভর কাছে কাজ করছে। গত কয়েক মাসে এমন ঘটনা একবারও ঘটেনি।
    অন্য সমস্যার কথা শুনে গীতা জিজ্ঞাসা করে, “কী প্রবলেম হবে?”
    অমিত বলে, “আর কিছু না। এখন ঝাড় খেয়েছে সমসের, তখন আমরা সবাই খাব।”
    শংকর বলে, “রামাকৃষ্ণান স্যার থাকলে মনে হয় ওকে ঝাড় খেতে হত না।”

    অমিত আর শংকর ফিরে যায় নিজের জায়গায়। সমসের জল খাচ্ছে, এমন সময়ে ফের সমসেরের মোবাইল বেজে ওঠে। দাস স্যারের নাম ফুটে উঠেছে দেখে ঘাবড়ে যায় সে। তাড়াতাড়ি ফোন তুলে বলে “ইয়েস স্যার… আসছি স্যার।”

    সবাই আবার সমসেরের দিকে ফিরে তাকায়। জলের বোতল রেখে এগিয়ে যাচ্ছিল সে, হঠাৎই দ্রুত ফিরে এসে আগের বার আনা ফাইলটা তুলে নিয়ে ফের এগোয়। তার চোখমুখের অবস্থা ফাঁসির আসামীর মত।

    শংকর অমিতকে বলে, “আবার কিছু ভুল বেরিয়েছে মনে হয়। পুওর সমসের।”

    ওদিকে অরুণাভর ঘরের দরজা সামান্য ফাঁক করে সমসের, জিজ্ঞাসার সুরে বলে, “স্যার...?”

    অরুণাভর চোখ কমপিউটারে ছিল, মাথা ঝাঁকিয়ে সমসেরকে ভেতরে আসতে বলে সে। সমসের ভয়ে ভয়ে টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়। “আর দু’ মিনিটেই কারেকশন করে দেব স্যার…”
    অরুণাভ হাতের ইসারায় তাকে বসতে বলে, তারপর কাজ বন্ধ রেখে সমসেরের দিকে যোরে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে কথা শুরু করে। তার স্বর এখন নরম। “ভুল আমাদের সবার হয় সমসের।”
    স্যারের গলার স্বরে আশ্বস্ত হয় সামনে বসে থাকা অধস্তন কর্মচারী। “সরি স্যার। আসলে তাড়াহুড়ো করে করতে গেছিলাম। তাই ভুল হয়ে গেছিল।
    অরুণাভ বলে, “তোমার ভুলের কথা আমি বলছি না। (সমসের বুঝতে পারে না) তোমরা প্রচন্ড প্রেসারে কাজ করছ, একটা দুটো ভুল হতেই পারে। আই শুডন্ট হ্যাভ টকড টু ইউ লাইক দ্যাট। আই অ্যাম সরি।”
    হতবাক সমসের শুধু তাকিয়ে থাকে দাস সাহেবের দিকে।
    অরুণাভ বলে, “আর এটাও জেনে রাখ যে আই অ্যাম টু আন্ডার মাচ প্রেসার,ফর সেভেরাল রিজনস।… ব্যাস এইটাই বলার ছিল… এস। মন দিয়ে কাজ কর।”
    সমসের “থ্যাংক ইউ স্যার” বলে উঠে চলে যায়।

    কয়েক ঘণ্টা পরে সন্ধ্যাবেলায় তার নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই বাড়ি ফেরে ক্লান্ত অবসন্ন অরুণাভ, বাইরের ঘরের সোফায় ধপাস করে বসে পড়ে সে।
    উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে বিনীতা। “শরীর খারাপ লাগছে?”
    অরুণাভ বলে, “নাহ, ক্লান্ত লাগছে খুব। একটু জল দাও।”

    বিনীতা জল এনে দেয়, পড়া ফেলে ঘরে আসে রঙিনও। অরুণাভ তাকে দেখে হাসে, তারপর জল খায়। উঠে খুব ধীরে ধীরে নিজের ঘরের দিকে এগোয়, স্ত্রী এসে তাকে ধরে।
    “আরে ধরার দরকার নেই…,” বলে অরুণাভ।

    বিনীতা কোনও উত্তর দেয় না, যেমন ধরে ছিল ধরেই থাকে। দুজনে মিলে এগোয় ঘরের দিকে। অরুণাভ হাত বাড়িয়ে বিনীতার কাঁধে হাত রাখে। রঙিন আসে পিছন পিছন, তবে ঘরে ঢোকে না, দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। অরুণাভ জামাকাপড় ছাড়ে, বিনীতা ঘরে পরার পোশাক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার হাত থেকে সেগুলো নিয়ে পরে নেয় অরুনাভ, তারপর শুয়ে পড়ে বিছানায়।
    বিনীতা রঙিনকে বলে, “বিসপাতিয়াকে বল তো বাবার চা এখানে দিয়ে যেতে।” 
    রঙিন ছুট লাগায় রান্নাঘরের দিকে। বিনীতা অরুণাভর ছাড়া পোশাকগুলো মাটি থেকে তোলে। “বললে তো শুনবে না, নইলে বলতাম দু’দিন ছুটি নাও।”

    অরুণাভ ক্লিষ্ট হাসি হাসে। ইসারায় বিনীতাকে পাশে বসতে বলে। বিনীতা বসতে গিয়ে দেখে ট্রেতে করে চা নিয়ে আসছে বিসপাতিয়া, সঙ্গে রঙিনও আছে। বিনীতা বিসপাতিয়ার হাত থেকে চায়ের ট্রে নেয়। বিসপাতিয়া চলে যায়, তবে রঙিন থেকে যায়।
    বিনীতা মেয়েকে বলে, “যাও পড়াটা শেষ করে নাও, বাবা এখন রেস্ট নেবে।”

    রঙিনের যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না, সে অনিচ্ছুকভাবে চলে যায়। চায়ের ট্রে নিয়ে বিছানায় বসে বিনীতা। অরুণাভও ধীরে ধীরে উঠে বসে, চায়ের কাপে চুমুক দেয়।
    বিনীতা জিজ্ঞাসা করে, “কি? নেবে ছুটি?”
    অরুণাভ উত্তর দেয়, “কাজটা তো করতে হবে। জটিল কাজ, এমন আগে কখনও করিনি। তবে প্রায় শেষ করে এনেছি।”
    “শরীর ঠিক থাকবে, তবেই তো কাজ শেষ করবে। ... কী অসুবিধে হচ্ছে বল।”
    “ক্লান্ত লাগছে খুব… বুকে হাঁপ ধরছে… আর… না, আর কিছু না।”
    বিনীতা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। “বুকে হাঁপ ধরেছে! কেন?”
    “জানি না, গত কয়েকদিন ধরেই হচ্ছে।”
    “কয়েকদিন ধরে হচ্ছে, আর আমায় জানাওনি! ডাক্তারবাবুকেও তো বলতে পারতে। দাঁড়াও, ফোন করি…”
    “কাকে?”
    “ডাক্তারবাবুকে।”
    অরুণাভ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওঠে, চায়ের কাপটা ঠকাস করে নামিয়ে রাখে ট্রের ওপর।  “প্রতি মুহুর্তে ডাক্তারকে ডাকতে হবে? আমি কিছু বুঝি না, না?”
    বিনীতা প্রচন্ড অবাক হয়। “মানে? হঠাৎ কী হল তোমার?”
    “আমার কিছু হয়নি। হয়েছে তোমার। যে কোন ছুতোয় ডাক্তারকে ডাকতে চাও তুমি। পিকনিকের দিন কী হয়েছিল আমি জানি না ভাবছ?”

    একটা নিঃশ্বাস ফেলল বিনীতা - ইন্দ্রনীলকে জড়িয়ে এই অভিযোগটা এত দিন বাইরের লোকের মুখে মুখে ফিরছিল, এবার বলছে ঘরের লোকও। একটা লম্বা চাপান উতোরের জন্য তৈরি হল সে। তবে তার আগে আরও দু-একটা কথা ভাবার আছে। 

    “কী হল, কথা বলছ না কেন? কোনও উত্তর দেওয়ার নেই তোমার?” বিকৃত স্বরে জিজ্ঞাসা করল অরুণাভ। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন