এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... - ৩২

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩৯৩ বার পঠিত
  • ।। বত্রিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    পিকনিক স্পটের কাছাকাছি এসে অরুণাভ আর গায়ত্রীদের গাড়ি দুটো রাস্তার এক পাশে থামে।  আশেপাশে অনেক গাছপালা, একটু দূরে মূল ড্যামের মাথাটা দেখা যাচ্ছে। একটা গাছের নীচে তিনটে টেবিলের ওপর রঙিন ছাতা লাগানো হয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েকটা চেয়ার। গোটা তিনেক শতরঞ্জিও এসেছে। ডেকরেটরদের একটা ছোট ট্রাক থেকে অন্যান্য মালপত্র নামছে। রান্না আর অন্যান্য কাজে সাহায্যর জন্য আনা হয়েছে দু’জন মহিলাকে।

    আজকে আকাশ ঝকঝকে নীল, রোদটাও মিঠে। সবার আগে গাড়ি থেকে নামে বিনয়। নেমেই একটু এগিয়ে যায়, জায়গাটা দেখে। এদিকে একে একে অন্যরা নামতে থাকে।
    বিনয় মুগ্ধ দৃষ্টিতে চারদিক দেখছে। বড় একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বিশুদ্ধ বাতাস ভেতরে টেনে নেয় সে। অরুণাভ বিনয়ের কাছে আসে, তার হাতে রয়েছে বাক্সে ভরা টেলিস্কোপ। আরও কিছু খেলার সরঞ্জাম আনা হয়েছে। 
    “জায়গা পছন্দ?” বিনয়কে জিজ্ঞাসা করে অরুণাভ। তারপর চশমাটা ঠিক করে নেয় সে, একটু লুজ হয়ে গেছে। দোকানে নিয়ে যেতে হবে ঠিক করাতে। 
    “খুব সুন্দর,” উত্তর দেয় বিনয়।  
    রঙিনের খুব পছন্দ হয়েছে এই জায়গাটা। এর আগে একবারই স্কুল থেকে পিকনিকে গিয়েছিল সে। জীবনের দ্বিতীয় পিকনিকে এসে সে ছুটোছুটি শুরু করেছে। একবার ছুটে গেল ট্রাকের দিকে। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার, কড়াই, ডেকচি, শতরঞ্জি, রান্নার জিনিসপত্র নামানো হচ্ছে। এই ব্যাপারটা রঞ্জিতের দায়িত্ব, সে দাঁড়িয়ে থেকে পুরো ব্যাপারটা সামলাচ্ছে।

    সেখান থেকে মা আর গায়ত্রী আন্টিকে দেখেতে পেয়ে সে ছুট লাগাল তাদের দিকে। 
    গায়ত্রী তখন বিনীতাকে জিজ্ঞাসা করছে, “ডাক্তারবাবু কখন আসবেন?”
    “জানি না, বলেছে 'চেষ্টা করব',” উত্তর দেয় বিনীতা।
    রঙিন ছুটে এলে তার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দেয় গায়ত্রী। বিনীতাকে জিজ্ঞাসা করে, “আর কবিতারা?”
    বিনীতা বলে, “ওদের একটু দেরি হতে পারে। বলেছে আমরা যেন ব্রেকফাস্ট করে নিই।”
    রঙিন দূরে ছুটে যাচ্ছিল। তার মা ডেকে বলে, “রঙিন, একা একা দূরে যেও না।”
    রঙিন বলে, “একটুখানি… ওই দিকে…”
    ইতিমধ্যে বিনয় আর অরুণাভ এদিকে চলে এসেছে। অরুণাভ মেয়েকে বলে, “একটু পরে আমরা তুমি আর আমি যাব।”
    রঙিন অনিচ্ছুকভাবে ফিরে আসতে থাকে।
    “ব্রেকফাস্ট করে নিয়ে যেও,” মেয়ে আর স্বামীকে বলে বিনীতা। তারপর গায়ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যায় পেতে রাখা টেবিলে দিকে। ব্রেকফাস্টের প্যাকেটগুলো ওখানেই রাখা আছে।

    ওদিকে বিকাশ আর রঞ্জিত মিলে একটা বড় বাক্স বার করে গাড়ির ডিকি থেকে। সেটা মাটিতে রেখে রঞ্জিত নাটকীয় ভাবে ঘোষণা করে।
    “লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন, আপনারা সবাই প্লিজ এদিকে আসুন। একটা বড় সারপ্রাইজ আছে। … কুইক, কুইক”। 
    রঙিন ছুটতে ছুটতে আসে। দেখতে আসে অরুণাভ, বিনয়, বিনীতা। অন্য ড্রাইভাররাও খানিক এগিয়ে আসে। গায়ত্রীও আসে, বিনীতা দেখে তার মুখে মৃদু হাসি। 
    রঞ্জিত ম্যাজিসিয়ানের মত নানা অঙ্গভঙ্গি করে বাক্সের ঢাকনা খোলে। দেখা যায় বরফের বিছানায় শুয়ে আছে জোড়া ইলিশ। বিনয় হাততালি দিয়ে ওঠে, তার পর সবাই দেয়। রঞ্জিত ম্যাজিসিয়ানের মতই বাও করে অভিবাদন গ্রহণ করে।
    “ইম্পোর্টেড ফ্রম দুর্গাপুর,” বলে রঞ্জিত, তার মুখে বিজয়ীর হাসি।

    অরুণাভ স্ত্রীর দিকে তাকাতে গিয়ে খেয়াল করে সেও চেয়ে আছে তার দিকে।
    অরুণাভ স্ত্রীকে বলে, “ইলিশ তো এসেছে। ডাক্তারবাবুকে আনাও।”
    বিনীতা বুঝতে পারে না তার স্বামী কথাটা সোজা না বাঁকা ভাবে বলছে। সে উত্তর দেয়, “তুমিও তো ওনাকে আনাতে পার।”

    বিনীতা ভাবেনি তার স্বামী সত্যিই ফোন বার করে ডাক্তারকে কল করবে। অরুণাভ ঠিক তাই করল। বিনীতা আরও অবাক হল তাকে হিন্দিতে কথা বলতে শুনে।  “ক্যায়া ডক্টর, কাঁহা হ্যায় আপ?... বহুত আচ্ছা, এক অ্যাডেড অ্যাট্রাকশন ভি হ্যায় আপকে লিয়ে... ওহ তো আকে হি দেখনা হোগা... ঠিক আছে, চলে আসুন।”

    ফোন বন্ধ করে অরুণাভ, বিনীতাকে বলে, “রওনা হয়ে গেছে। এসে যাবে একটু পরেই।”

    শতরঞ্জির ওপর রাখা হয়েছে ফ্রিসবি, ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট, ফেদার আর রঙিনের টেলিস্কোপ। চেয়ার টেবিলে বসে চা আর স্যান্ডুইচ খাচ্ছে অরুণাভ, বিনয়, রঞ্জিত। বিনীতা আর গায়ত্রীও আছে। সামনে বিকাশের সঙ্গে বল নিয়ে খেলছে রঙিন। বলটা দূরে গড়িয়ে গেল। রঙিন ছুটে আনতে গেল সেটা, তার আগেই বল কুড়িয়ে নিয়েছে কবিতা। ছুঁড়ে দিল রঙিনকে। তার স্বামী সুনীল, বছর ত্রিশ বয়সের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। গাড়ি পার্ক করে এগিয়ে এল সে।

    বিনীতা ডাকল, “এস কবিতা। সুনীল, গুড মর্নিং।”
    অভিবাদন ফেরত দিল সুনীল। “গুড মর্নিং, ম্যাম। (অরুণাভকে) গুড মর্নিং, স্যার। (গায়ত্রীকে) গুড মর্নিং।”
    অরুণাভ আর গায়ত্রীও সুপ্রভাত জানায়।
    সুনীল, কবিতা চেয়ারে বসে। বিনীতা ওদের দিকে স্যান্ডুইচের প্লেট এগিয়ে দেয়।
    রঞ্জিত সুনীলকে উদ্দেশ্য ছদ্ম গাম্ভীর্যের সঙ্গে বলে, “আমি কি জুপিটার থেকে এসেছি যে এই পৃথিবীতে আমার জন্য গুড ব্যাড কোনও মর্নিংই নেই?” অরুণাভর দিকে তাকায় রঞ্জিত। “দেখুন স্যারজী, এই সব সিএ-রা এইরকমই হয়।”
    সুনীলও কম যায় না। উত্তর দেয়, “আর এই সব বিজনেসম্যানরাও এই রকমই হয়। ভুলে যায় যে মর্নিংকে গুড বানানোই সিএ-দের কাজ।”
    রঞ্জিত বলে, “আচ্ছা, তাহলে মর্নিংকে গুড বানাও। যেটা আনার কথা ছিল সেটা দাও।”
    “ওহো সরি। দাঁড়ান নিয়ে আসছি। গাড়িতে রয়ে গেছে,” বলে মদ আনার জন্য হাঁটা শুরু করতে যাচ্ছিল সুনীল।
    “আরে আমিও আসছি,” বলে উঠে পড়ল রঞ্জিত।
    বয়সের একটু তফাৎ থাকলেও সুনীল আর রঞ্জিতের একে অন্যের পিছনে লাগা বেশ পুরনো ব্যাপার। একটু হেসে ওদের আটকাল অরুণাভ। “একটু পরে যাবেন না হয়,” বলল সে, তারপর সুনীল আর কবিতার সঙ্গে বিনয়ের আলাপ করিয়ে দেয়।
    সুনীল আর বিনয় হাত মেলায়। কবিতা নমস্কার করে, বিনয়ও।
    বিনয় বলল, “আপলোগ চায় নেহি খায়া। লিজিয়ে।”
    ফ্লাস্ক থেকে ওদের চা ঢেলে দেয় বিনয়।

    ওদিকে বিনীতা আর গায়ত্রী চলেছে রান্না যেদিকে হবে সেদিকে।
    “ইলিশ কোথেকে এল?” জিজ্ঞাসা করল বিনীতা।
    “তুই ফোন করার পর ওকে বললাম। ও লোক পাঠাল দুর্গাপুরে। কাল রাত ১২টার পর বাড়িতে দিয়ে গেল,” বলল গায়ত্রী।
    তাদের জন্য অনেক কিছু করে রঞ্জিত, তবে এতটা আশা করেনি বিনীতা। “ভাইসাবকে কি বলে থ্যাঙ্কস দেব জানি না। আর তুইও পারিস!”
    হাসল গায়ত্রী, “ভাল মাছ পাওয়া যাবে কি না জানতাম না, তাই আগে তোকে বলিনি। এখন মেনুতে কি কি চেঞ্জ করতে হবে সেটা দেখ।”

    বিসপাতিয়া আর দুজন মহিলা যেখানে রান্নার জোগাড় করছে সেখানে পৌঁছয় দুই বন্ধু। চা খাচ্ছিল ওই তিন জন। সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক হয় ইলিশ ভাজা আর ঝাল হবে। আর ফিলে করা আনা ভেটকি রেডি করে রাখা ছিল লাঞ্চ-এর শুরুতে ফ্রাই-এর জন্য। সেটা বরং পরিবেশন করা হবে হার্ড আর সফট ড্রিংকসের সাথে। 
    কিছুক্ষণ পরের কথা। ফিশ ফ্রাই সহযোগে হুইস্কি খাচ্ছে সবাই। বিনীতাকে দেখা যাচ্ছে রান্নার জায়গায়। একটু দূরে ড্রাইভাররা গল্প করছে। ওদিকে ব্যাডমিন্টন খেলছে গায়ত্রী আর কবিতা। ফেদার দূরে চলে গেলে ছুটে গিয়ে নিয়ে আসছে রঙিন। নিচু হয়ে একটা শট মারতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে যায় গায়ত্রী।

    কবিতা ছুটে আসে, “লাগেনি তো?”
    গায়ত্রী মাথা নাড়ে। তারপর উঠতে গিয়ে ফের বসে পড়ে। তার চোখেমুখে যন্ত্রণার ছাপ ফুটে ওঠে। মদের গ্লাস ছেড়ে দৌড়ে আসে রঞ্জিত। অন্যরাও আসে। গায়ত্রী বাঁ পায়ের গোড়ালি চেপে ধরে আছে।
    রঞ্জিত স্ত্রীর গোড়ালিতে হাত রাখে, “এইখানে চোট?”

    গায়ত্রী উত্তর দেয় না, স্বামীর হাত সরিয়ে দেয়। ওদিকে রঙিন ছুটে চলে যায় তার মা-র কাছে। হাতে জলের বোতল নিয়ে বিনীতা তাড়াতাড়ি আসে মেয়ের পিছন পিছন। গায়ত্রী হাত বাড়িয়ে বোতল নিয়ে জল খায়। তারপর পায়ে একটু জল ঢালে। রঞ্জিত খেয়াল করে গায়ত্রীর গোড়ালি ফুলে গেছে আর কপাল থেকে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে।
    “শেডের নিচে চল,” বলে স্ত্রীর হাত ধরে তোলার চেষ্টা করে রঞ্জিত। কিন্তু গায়ত্রী পারে না।
    কবিতা জিজ্ঞাসা করল, “বরফ কিম্বা ঠান্ডা জল আছে?”
    অরুণাভ বলল, “মাছের বাক্সে বরফ ছিল, এতক্ষণে তো গলে গেছে।”
    কবিতা “দেখছি” বলে ছুট লাগায় রান্নার জায়গার দিকে। রঙিনও ছোটে তার সঙ্গে। এদিকে আবার গায়ত্রীকে হাত ধরে তোলার চেষ্টা করে রঞ্জিত। গায়ত্রী পারছে না। সবাইকে অবাক করে দিয়ে স্ত্রীকে পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় রঞ্জিত। ধীরে ধীরে গাছের ছায়ায় নিয়ে এসে চেয়ারে স্ত্রীকে বসায় রঞ্জিত। প্লাস্টিকের গ্লাসে করে ঠান্ডা জল নিয়ে আসে কবিতা আর রঙিন।
    “বরফ নেই, তবে জল এখনও ভালই ঠান্ডা আছে,” বলল কবিতা। জলের গ্লাস রাখল টেবিলের ওপর। এদিক ওদিক তাকিয়ে ফের ছুট লাগায় রঙিন।
    গায়ত্রীর আহত পা তুলে রাখা হয়েছে সামনে একটা চেয়ারের ওপর। রঞ্জিত পকেট থেকে রুমাল বার করে ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে পায়ে লাগাতে যায়। গায়ত্রী তার হাত থেকে রুমাল কেড়ে নিয়ে নিজেই লাগাতে শুরু করে। উৎকণ্ঠিত মুখে তাকিয়ে থাকে রঞ্জিত।
    বিনয় ফিসফিস করে বলে, “রাম আর সীতা।”
    গায়ত্রী আর রঞ্জিতের বন্ডিং সম্পর্কে ভালই জানে বিনীতা। সে জবাব দেয়, “কপাল করে এসেছে।”

    পাশে দাঁড়িয়ে দুজনের কথাই শুনতে পায় অরুণাভ। সে সরে গেল ওখান থেকে। যেতে গিয়ে একটা ঘাসের চাপড়ায় আচমকা পা আটকে গেল তার। সামলে নিল সে, তবে আলগা চশমা চোখ থেকে খুলে মাটিতে পড়ে গেল। চশমা ছাড়া ভাল দেখতে পায় না সে। নিচু হয়ে সেটা তুলতে গিয়ে দেখতে পায় রঙিন আসছে, আর তার সঙ্গে আর একজন লোক। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন