এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ১৬ 

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ৪৬৪ বার পঠিত
  • ।। ষোল ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ] 
    সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফেরার পর প্রতিদিনই অরুণাভ কিছুক্ষণ শুয়ে নেয়। আজ আর সেটা করল না। পোশাক বদল করে চলে এল গেস্ট রুমে। সেখানে বসে অরুণিমার সাথে গল্প করছিল বিনীতা। ননদ তার চেয়ে বছর দেড়েকের বড় হবে। অরুণাভর অসুখ ধরা পড়ার পর প্রথম তাকেই ফোন করেছিল বিনীতা, তার পরে নিজের দাদা বিনয়কে। জলপাইগুড়ি শহরে ব্যাচেলর দাদার ওষুধের হোলসেলের বিজনেস। শিগগিরই আসবে বলেছে এখানে, কে জানে কবে আসবে।

    নানা কথার মাঝে সকালের হয়ে যাওয়া আলোচনার বিষয়টা ফের তুলেছিল অরুণিমা, তখনও দাদা ফেরেনি অফিস থেকে। একবার বলল অরুণাভ যদি ভুলে যায়, তাকে মনে করিয়ে দিতে হবে। চুপ করে শুনল বিনীতা; নিজের কথা, নিজের ভবিষ্যতের কথা কী ভাবে বলবে সে, যে মানুষটা কোনও দিন অফিসের কাজ ছাড়া অন্য কিছু ভাবেনি। স্ত্রী বা মেয়ে অসুস্থ হলেও ঠিক সময়ে অফিস চলে গেছে। ফোন করে খবরও নেয়নি তারা কেমন আছে, বা কিছু প্রয়োজন আছে কি না। অবশ্য নিজের শরীর খারাপ হলেও সেটা অগ্রাহ্য করেছে। এতটা বড় অসুখ না হলে হয়তো এবারও পাত্তা দিত না। মানুষটা আর বেশি দিন নেই, এই অবস্থায় নিজের কথা স্বার্থপরের মত কী ভাবে বলবে বিনীতা, এমনিতেই তো সে ও কাজটা পারে না। তবে রঙিনের মুখ চেয়ে হয়তো বলতেই হবে, যদি অরুণাভ ভুলে যায় বাড়ি বা ফ্ল্যাটের কথা। তবে বোন বলেছে বলে হয়তো মনে থাকবে।

    তিন জনে মিলে চা খাওয়ার পর একটা ছুতো করে বিনীতা ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। ভাই-বোনে একটু গল্প করে নিক নিজেদের মত। পরে আর কখনও… অরুণিমা কাল ট্রেনে রাঁচি গিয়ে সেখান থেকে মুম্বাই-এর ফ্লাইট ধরবে। অরুণাভ অফিস গিয়ে গাড়ি ফেরত পাঠাবে। সেই গাড়ি ধানবাদ স্টেশন পৌঁছে দেবে বোনকে। রঙিন আর বিনীতা স্টেশন অবধি যাবে।

    গেস্ট রুম থেকে বেরিয়ে রঙিনের ঘরে এল বিনীতা। মেয়ে পড়ছে, তার সাথে দুটো কথা বলল। কিন্তু আজ আর পড়াতে ইচ্ছে করছে না। শোবার ঘরে এসে বারান্দায় একটু দাঁড়াল সে। ঠান্ডা এবছর তেমন পড়েনি, সন্ধ্যাবেলা হলেও বাইরে দাঁড়ানো যাচ্ছে। আকাশে তারা দেখা যাচ্ছে। টেলিস্কোপ এসেছে, এই বারান্দাতেই প্রথমে সেট করা হয়েছিল সেটা। আজ সকাল আর বিকেল জুড়ে অরুণিমা, রঙিন আর বিনীতা মিলে দেখেছে নানা জিনিস - শিরিষ গাছে পাখির বাসা, দূরে মিস্টার খানের বাড়ির ছাদে রোদে দেওয়া আচারের বয়াম কাছে চলে এল, খানের মা আর নাতিকেও দেখা গেল গল্প করতে। পিচ ঢাকা রাস্তায় একলা পড়ে থাকা একটা রঙিন পাথর যেমন স্পষ্ট হয়ে উঠল চোখের সামনে, তেমনই হয়তো আকাশের তারাও ভাল করে দেখা যাবে।

    বারান্দায় রাখা দুটো চেয়ারের একটায় বসল বিনীতা। বড় একটা শ্বাস ফেলল। তাকালো বাগানের দিকে। গাঁদা, পিটুনিয়া, ক্যালেন্ডুলা, প্যানজি লাগানো হয়েছে। আগের বছরে লাগানো গোলাপ এখনও রয়েছে, লাল আর গোলাপী ফুলও ফুটেছে। হালকা হাওয়ার সাথে গোলাপের গন্ধ ভেসে এল যেন। গাছটায় পোকা হয়েছিল কিছু দিন আগে। শরত কালের শুরুতে বাগানের কোনও একটা জায়গা থেকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শোনা যেত। ডাক বলা হলেও ওটা আসলে পুরুষ পোকাদের ডানা ঘষার শব্দ। ওই ভাবেই তারা স্ত্রী পোকাদের আহ্বান করে। পোকাদের কি ভালবাসা থাকে? সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কি ভাবে পছন্দ করে ওরা? না কি যাকে পায় তাকে নিয়েই খুশি থাকে? বড় বড় বন্য জন্তুজানোয়ারদের মধ্যে তো পছন্দের সঙ্গিনীকে নিয়ে পুরুষদের মধ্যে মারামারিও বাধে, তাতে অনেক সময়ে একজন আহত হয়ে মারাও যায়। চিকিৎসা না পেয়ে, তাদের তো আর ডাক্তার নেই।… নাহ, কী সব ভাবছে বিনীতা। 

    একটা নিঃশ্বাস ফেলে সে। জীবন যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে, নিয়ে যাবে… তার জন্য তৈরি হতে হবে, তৈরি থাকতেই হবে। রবীন্দ্রনাথের একটা লাইন মনে পড়ল তার, “মনেরে আজ কহ যে, / ভাল মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে।”

    “মা, তুমি এখানে?” মেয়ের গলা পেয়ে দরজার দিকে তাকায় সে। হাত বাড়িয়ে দেয়, রঙিন এসে হাতটা ধরে। পাশের চেয়ারে বসতে বলে বিনীতা।
    “কী করছ মা?” পাশে বসে জিজ্ঞাসা করে মেয়ে।
    “তোমার জন্য এক জন ড্রইং টিচারের খোঁজ পেয়েছি, আমার স্কুলের কাছে।”
    “কখন যেতে হবে?”
    “আগে কথা বলি, তারপর জানতে পারব।”
    মা আর মেয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে। রঙিনের চোখে পড়ে আকাশে তারা দেখা যাচ্ছে।
    “বাবা বলেছে কাল রাতে আমরা তারা দেখব… টেলিস্কোপ দিয়ে।”
    “আচ্ছা।” মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় বিনীতা।

    ***

    একটা সকাল কখনও কখনও একই সঙ্গে রোদ ঝলমলে আর মেঘলা গুমোট হতে পারে। বাইরে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছে শীতের সকালে, মানুষজন নানান কাজে বেরিয়েছে, রবিবার বলে তবু হয়তো রাস্তায় লোক একটু কম। আর অরুণিমার মনের মধ্যে মেঘলা আকাশ। দাদা আর কিছুক্ষণের মধ্যে অফিস বেরিয়ে যাবে। তার পর আর কি কখনও দেখা হবে? হলেও কী অবস্থায় হবে।

    অরুণাভ ব্রেকফাস্ট খেতে এলে টেবিলে বসল অরুণিমা। দাদার হাতে বই ছিল, সেটা নামিয়ে রাখল সে। তবে সেভাবে কেউ কথা বলতে পারল না। বরং বিনীতাই একটা দুটো কথা বলে পরিস্থিতিটা স্বাভাবিক রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছিল।
    সময় এসে গেল। ড্রাইভার বিকাশ এসে নিয়ম মতো তার স্যারের অফিস ব্যাগ আর খাবার নিয়ে গাড়ির দিকে চলে গেল।

    অরুণাভ উঠে দাঁড়াল। অরুণিমাও উঠল, কয়েক পা এসে দাদাকে জড়িয়ে ধরল দু হাতে। বোনের পিঠের দিকে নিজের ডান হাত দিয়ে বোনকে ধরে রাখল অরুণাভ। কয়েক সেকেন্ড পরে দু’জনেই ছেড়ে দিল দু’জনকে। দৃশ্যটা দূর থেকে দেখে চোখ মুছল বিসপাতিয়া। রঙিন এসে গিয়েছিল ওখানে, তাকে টেনে নিয়ে গেল রান্নাঘরে। 
    বারান্দায় বসে জুতো পরল অরুণাভ।
    “আসি,” বলল সে।
    “আয়,” উত্তর দিল অরুণিমা।
    ধীরে ধীরে বারান্দা থেকে নেমে বাগানের রাস্তা পেরিয়ে গাড়িতে গিয়ে উঠল অরুণাভ। দরজা বন্ধ করল, ফিরে তাকাল না বারান্দায় দাঁড়ানো বোন বা স্ত্রীর দিকে। গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে গেল বিকাশ।

    ধীরে ধীরে গেস্ট রুমে এল অরুণিমা। চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল জানলার সামনে। ঘরে তিনটে আলমারি ভর্তি বই, বেড সাইড টেবিলের ওপর টেবল ল্যাম্প, চেয়ারের পাশের আর একটা টেবিল, তাতে একটা ছোট কিন্তু চওড়া সেরামিকের গোল পাত্রে তাজা ফুল রাখা। এই ঘরের একটা দেওয়ালেও আছে বড় পাহাড়ের ছবি, অন্য দিকে জানলার ওপর দেওয়াল ঘড়ি, তার কাঁটা এগিয়ে চলেছে টিকটিক শব্দে।

    বিনীতা এসে দাঁড়াল ঘরের দরজায়। ননদকে জানলার সামনে দেখে নিঃশব্দে এগিয়ে গেল তার দিকে, কাঁধে একটা হাত রাখল। ঘুরে দাঁড়িয়ে বৌদিকে দেখেই তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ল অরুণিমা। চোখের জল মনে হয় ছোঁয়াচে, কেঁদে ফেলল বিনীতাও। গত কয়েক মাসের মাসের জমে থাকা যন্ত্রণা এই প্রথম বাঁধ ভাঙল। 

    *** 
    ধানবাদ স্টেশনে অরুণিমাকে পৌঁছে দিয়ে এল বিনীতা আর রঙিন। কান্নার পরে ননদ- আর বৌদি দুজনেই অনেকটা হালকা হয়েছিল। কোনও দরকারে তাকে জানানোর জন্য বিনীতাকে বলল অরুণিমা। রঙিনকে আদর করে ট্রেনে উঠে পড়ল সে।

    সেদিন রাত্রে শীতের পোশাক পরা অরুণাভ আর রঙিন ছাদ থেকে টেলিস্কোপ দিয়ে তারা দেখছে। চাঁদকেও দেখা হল। মেঘমুক্ত আকাশে বহু বহু দূরের বাসিন্দারা একটু বড় হচ্ছে, ফোকাস ঠিক মত না হলে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, আবার কিছুটা স্পষ্ট হচ্ছে। এই সময়ে সপ্তর্ষিমণ্ডল ভাল দেখা যায় না। তবে কালপুরুষ রয়েছে মনে হচ্ছে। অন্যান্য তারা তেমন চেনে না অরুণাভ। এই প্রথম সে খেয়াল করল আকাশ নিয়ে তার পড়াশোনা নেই একদমই। একটা নিঃশ্বাস ফেলে সে। আর লাভ নেই।

    যদিও এই বাচ্চাদের টেলিস্কোপ দিয়ে দারুণ কিছু ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে বুঝতে পারছে অরুণাভ, তবু রঙিন খুব খুশি। এক-এক বার এক-একটা তারার দিকে দেখাচ্ছে আর সেটা টেলিস্কোপ দিয়ে তাকে দেখাতে হচ্ছে। মাকেও বার দুই ডেকেছে সে এর মধ্যে। 
    “বাবা, ঐ তারাটা,” উত্তেজিত ভাবে একটার দিকে আঙুল তোলে রঙিন।
    অরুণাভ বোঝার চেষ্টা করে কোন তারাটা মেয়ে দেখতে চাইছে। তারপর একটায় ফোকাস করে।
    “বিশালের দাদাজীকে দেখা যাচ্ছে নাকি?” মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে বাবা।
    “দ্যুৎ, তারা তো গ্যাস। সেদিন বললাম তো।”
    “ও হ্যাঁ, তাই তো। ভুলে গেছিলাম।”
    ছাদের দরজা দিয়ে বিনীতা আসে। রঙিন তার দিকে ছুটে যায়। মার হাত ধরে টানে। “দেখবে এসো মা।”
    এগিয়ে আসতে আসতে বিনীতা বলে, “কী দেখছ তোমরা?”
    টেলিস্কোপে চোখ রেখে সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয় অরুণাভ, “ভবিষ্যত।”

    বিনীতা থেমে যায়। তার স্বামী কি মনের জোর হারিয়ে ফেলেছে? না কি ভবিতব্যকে মেনে নিয়েছে? একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল, কেঁপে উঠল বিনীতা। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ৪৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ব্রতীন | 2409:40e0:2c:be82:8000::***:*** | ২৯ আগস্ট ২০২৪ ২৩:১১536967
  • আপনার উপন্যাসের  টি প্রতি টা পর্ব পড়ি। মুগ্ধ  হই।
     
    বহুকাল আগে শারদীয়া  দেশ বা আনন্দবাজারে  খুব সম্ভবত  "অসুখ" নামে একটা উপন্যাস  পড়েছিলাম। কার লেখা ভুলে গেছি।  সেই খানে এক রোগী কে ক্যান্সার এ আক্রান্ত  বলে বড় বড় ডাক্তার  হসপিটাল  বলে। সেই  মতো চিকিৎসা  হয়। গল্পের  শেষ প্যারায় জানা যায় তার আদৌ ক্যান্সার হয় নি। সব ভুল চিকিৎসা  বা টাকা খাবার ধান্ধা।  বিরাট ঝটকা লেগেছিল। 
     
    ভালো থাকবেন
  • রঞ্জন | 2001:999:70c:2083:b150:d5cc:19d4:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৩০536977
  • এই পর্ব আলাদা করে ভালো লেগেছে। 
  • কালনিমে | 42.105.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৩৫537004
  • বেশ মন দিয়ে পড়ি - লেখাটায় প্রায় সবারই একটা isolation আছে যেন - যেটা ঠিক ছোঁয়ার বাইরে। আচছা এটা কি কলকাতায় বা অন্য কোথাও এই গল্প হতে পারত - এই নিরালায়?
  • | 2402:3a80:1964:5795:378:5634:1232:***:*** | ৩১ আগস্ট ২০২৪ ১১:৩৬537034
  •   "অসুখ" উপন্যাস টা  কারো  মনে আসছে? 
  • | 2402:3a80:1963:331b:278:5634:1232:***:*** | ৩১ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৫৮537053
  • ঠিক।  "অসুখ " নয় "গভীর অসুখ"
     
    আবার ধন্যযোগ পাপাঙ্গুল বাবু smiley
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন