।। ঊণত্রিশ ।।
[ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]
“এটা কি সত্যি?” রঞ্জিতের কথা শুনে হতবাক হয়ে প্রশ্ন করে গায়ত্রী।
খুব চালু দোকানের মালিক আর মিশুকে স্বভাবের জন্য কোলিয়ারির অনেক স্তরের লোককেই চেনে রঞ্জিত। আর সেই কারণেই অনেক খবর পায়, আর খবর বার করতেও পারে। তবে শুধু মাত্র এই কারণে এত বড় ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে মানুষ, সেটা গায়ত্রীর জানা ছিল না। সকালে কাজে বেরোনোর আগে রঞ্জিত স্ত্রীকে বলল যে সে জানতে পেরেছে বিনীতা আর ডক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে জড়িয়ে কুৎসা ছড়িয়েছিল কে।
“আসল লোক এ কে শর্মা, সাথে ছিল ইউনিয়ন লিডার অবিনাশ কুমার,” বলল রঞ্জিত।
“এ কে শর্মা মানে এজিএম শর্মা?” জিজ্ঞাসা করে গায়ত্রী।
মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বলে তার স্বামী।
“কিন্তু কেন?”
“দাদা অসুস্থ, মাঝখানে দিন তিনেক কাজ করতে পারেনি। জিএম-এর কাছে শর্মা বলেছিল ওকে দায়িত্ব দিতে। প্রথম দিকে জিএম-এরও নাকি খুব একটা আপত্তি ছিল না। তবে দাদা খুব স্ট্রংলি নিজের হয়ে বলায় শর্মাকে দেওয়া হয়নি।”
“মানে প্রায় পুরো শেষ হয়ে যাওয়া কাজ কমপ্লিট করে ক্রেডিট নিতে চেয়েছিল শর্মা?”
ফের মাথা ঝাঁকায় রঞ্জিত। মুখে বলে, “সেই রাগ থেকেই এত কিছু। দাদাকে তো কিছু করতে পারল না, পারবেও না… তাই ভাবিকেই জড়িয়ে নিল।”
“আর ওই ইউনিয়ন লিডার?”
“স্টাফরা দাদার প্রোজেক্টে এক্সট্রা কাজ করছে, তাই নিয়ে দাদাকে কিছু বলতে গেছিল অবিনাশ। দাদা উলটে কিছু বলেছে। ব্যাস, তেনার ইগোতে লেগে গেছে। তারপর আর কি… অফিসার আর নেতার যুগলবন্দী। তাদের পেটোয়া লোকেরা ছড়িয়ে দিল রঙ চড়িয়ে, সত্যি মিথ্যে মিশিয়ে। আর লোকেরাও তেমনি।”
গায়ত্রীর মনে পড়ল এই শর্মার বাড়িতেই ডাক্তারবাবু প্রথম দেখেছিল বিনীতাকে। শর্মা ডাক্তারকেও চিনত, চেনে অরুণাভ আর বিনীতাকেও। তবুও এমন কান্ড করতে তার আটকায়নি। রাগে মনে হয় দিশাহারা হয়ে গিয়েছিল সে। দিশা অবশ্য অনেক কারণেই হারায় মানুষ।
***
সেই দিনই অফিসে বসে কাজ করার সময়ে একটা ফোন পেল অরুণাভর। যে ফ্ল্যাটটা তৈরি হচ্ছে তার ডেভেলপারের অফিস থেকে। একটা চেক দেওয়ার কথা অরুণাভর ছিল প্রায় এক সপ্তাহ আগে, সেটা দেওয়া হয়নি। আজ শনিবার সেটা পাওয়া গেলে ভাল হয়। আরও একটা কথা বলল, অনেকদিন ফ্ল্যাটের কাজ দেখতে যায়নি তারা। কাজ অনেক এগিয়ে গেছে, একবার দেখে গেলে ভাল হয়। অন্যান্য ফ্ল্যাটের লোকেরা নাকি কয়েকবার করে দেখে গেছে। টাকাটা চেকে বা অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে। অরুণাভর অনলাইনে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে বেশ অনীহা আছে। জিজ্ঞাসা করল চেক নেওয়ার জন্য ওরা লোক পাঠাতে পারবে কি না। উত্তরে শুনল ওদের পাঠানোর মত লোক এখন নেই।
অরুণাভ একবার ভাবল ড্রাইভার বিকাশকে দিয়ে চেকটা পাঠিয়ে দেবে, কিন্তু তাতে ফ্ল্যাট দেখে আসা হবে না। আজ বিনীতা বাড়িতে আছে মনে পড়ায় ফোন করল সে। বলল বিকাশকে পাঠিয়ে দিচ্ছে চেক সহ। সাইটে যে টেমপোরারি অফিস আছে ওখানে চেকটা যেন বিনীতা দিয়ে দেয় আর ফ্ল্যাটটা কেমন হচ্ছে দেখে আসে।
অবাক হয় বিনীতা। জিজ্ঞাসা করে, “আমি একা ফ্ল্যাট দেখে কী করব? আজকে বাদ দাও। আর এক দিন হবে।”
অরুণাভ বলল, “না না, চেকটা আজ না দিলে প্রবলেম আছে।… আচ্ছা গায়ত্রীকে নিয়ে যেতে পারবে না?”
বিরক্ত হয় বিনীতা। “হঠাৎ করে ওকে কী করে বলব? তা ছাড়া ওর আজ বাড়িতে গেস্ট আসার কথা শুনেছিলাম।”
“তাহলে একাই চলে যাও না।... আর হ্যাঁ, ওদিকে যাচ্ছই যখন, ব্লাড রিপোর্টটা ডাক্তারকে দেখিয়ে নিও।”
“কোন রিপোর্টটা?”
“যেটা করে রাখতে বলেছিল, বলেছিল পরে দেখালেও হবে। আর যদি উনি পারেন তবে... না থাক।”
বিনীতা একটু চুপ করে থেকে বলল, “তুমি কি বলতে চাইছ আমি ওনাকে নিয়ে ফ্ল্যাট দেখতে যাই?”
অরুণাভ বলল, “অসুবিধে তো নেই। দেখ না, যদি ফ্রি থাকেন ওনাকে নিয়েই চলে যাও। দরকার হলে একটা ফোন করে নাও। গাড়িটা পাঠিয়ে দিচ্ছি। রাখছি। প্রচুর কাজ বাকি।”
ফোন রেখে একটু ভাবে বিনীতা। তার পর আবার তুলে নিয়ে ডাক্তারের নম্বর বার করে। কি ভেবে ফোন আর করে না। রেডি হয়ে অপেক্ষা করে বিকাশের আসার জন্য।
ঘন্টাখানেক বাদে গাড়িতে করে হসপিটালে আসে বিনীতা। রিসেপশনে এসে দাঁড়ায়।
“ডক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের সঙ্গে একটু দেখা করব।”
“ওপিডি বন্ধ হয়ে গেছে ম্যাডাম। অ্যাপয়েন্টনেন্ট করে নিন,” জানায় রিসেপশনিস্ট।
বিনীতা উত্তরে বলে এটা প্রাইভেট ভিজিট এবং ডাক্তারবাবু ওকে চেনে। “আপনি ওনাকে বলুন বিনীতা দাস দেখা করতে চায়।”
রিসেপশনিস্ট বিনীতাকে বসতে বলে, তারপর ফোন করে খবর নিয়ে জানায় ডাক্তারবাবু আজ আসেননি। কথাটা শুনে একটু চিন্তা করে বিনীতা। তারপর নিজেই ফোন করে ইন্দ্রনীলকে।
হঠাৎ বিনীতার ফোন পেয়ে উদ্বিগ্ন ইন্দ্রনীল জিজ্ঞাসা করে সব ঠিক আছে কি না।
বিনীতা বলে, “সব ঠিক আছে। আপনি একবার হসপিটালে আসতে পারবেন? আমি রিসেপশনে বসে আছি।”
“আমার ফ্ল্যাটে চলে আসুন না।”
সরাসরি উত্তর দিল না বিনীতা। “আপনি না আসতে পারলে অসুবিধে নেই। আমি তো আচমকাই চলে এসেছি। তবে দুটো কাজ ছিল। অবশ্য অন্য দিনও হতে পারে।”
“একটু ওয়েট করুন, আসছি।”
মিনিট পনের পরে ফোন পায় বিনীতা। ডাক্তার তাকে চেম্বারে যেতে বলছে।
বিনীতা ভেতরে গেলে ইন্দ্রনীল বলে, “বসুন ম্যাডাম। বলুন কী ব্যাপার? হঠাৎ জরুরী তলব?”
অরুণাভর ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট দেয় বিনীতা। ইন্দ্র রিপোর্ট খুলে দেখে।
“এটার তো তাড়া দিল না। যে দিন দেখাতে আসতেন সে দিন আনলেই হত,” বলে ডাক্তার।
বিনীতা বলে, “আর একটা কাজ আছে। আমার সঙ্গে যেতে পারবেন? ঘন্টা খানেকের জন্য?”
“কোথায়?”
“আসলে ফ্ল্যাটটা দেখতে যাব, একটা চেকও দেওয়ার আছে। ওর যাওয়ার কথা ছিল, কাজে আটকে গেছে। বলল যদি আপনি যেতে পারেন।”
ইন্দ্রনীল ঘড়ি দেখল। বলল, “ঘন্টা খানেকের ব্যাপার হলে অসুবিধে নেই। আসারও দরকার ছিল না, একটা ফোন করে দিলেই হত।”
“ফোন করলে তো আসতেন না। বলে দিতেন ইমার্জেন্সি কেস আছে। সেদিন সিনেমাতেও তো এই কথা বলে এলেন না।”
ইন্দ্রনীল কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। তারপর বলে, “দাঁড়ান, গাড়ি নিয়ে আসি।”
“আমি গাড়িতেই এসেছি। চলুন, আপনাকে ফের এখানে নামিয়ে দিয়ে যাব।”
কিছুক্ষণ পরে ওরা পৌঁছে যায় যেখানে ফ্ল্যাট হচ্ছে। ডেভেলপারের ছোট একটা অফিসও রয়েছে সেখানে। চেকটা জমা দিয়ে নিজেদের ফ্ল্যাটে যায় বিনীতা। সাথে ইন্দ্রনীল। প্রোমোটারের একজন লোক সঙ্গে যায়। দরজা খুলে দিয়ে সে লোকটি বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকে। বিনীতা দেখে কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে।
কিচেন আর বাথরুমের কিছু কাজ বাকি আছে, আর বাকি আছে ফার্নিচারের কাজ, সে লোকটি জানায়। চলে যাওয়ার আগে বলে দেয় কাজ নিয়ে কোনও কিছু বলার থাকলে ফেরার সময়ে অফিসে জানিয়ে দিতে।
ফ্ল্যাটের ভেতর ঢুকে বিনীতার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়। সে বুঝতে পারে না খুশি হবে কি না। তার আর রঙিনের সঙ্গে অরুণাভ এখানে থাকতে পারবে কি না জানা নেই। অন্য কোনও তৃতীয় ব্যক্তি কি থাকবে?
“চলুন ম্যাডাম, একটু ঘুরে দেখি,” ইন্দ্রনীলের কথায় অন্যমনস্কতা কেটে যায় বিনীতার।
“আসুন,” বলে সে।
বাইরের ঘরটা বেশ বড়। বড় বড় জানলা আছে। আর আছে গোটা চারেক দরজা।
ইন্দ্রনীল বলে, “এটা তো ড্রইং কাম ডাইনিং।”
“হ্যাঁ,” বলে বিনীতা।
ইন্দ্রনীল এক দিকে তাকিয়ে বলে, “ওপাশে বারান্দা রয়েছে মনে হচ্ছে…।” দুজনে সেদিকে হেঁটে বারান্দায় যায়। ছোট নয়, বারান্দাটা বড়ই।
“বাহ, সুন্দর বারান্দা। সামনেটা ফাঁকা... কফি খাওয়ার জন্য আইডিয়াল…,” হাসে ইন্দ্রনীল।
বিনীতা বলে, “ওই বাড়িতে বাগানে বসে চা-কফি খাওয়া যায়। এখানে বারান্দায়।”
“একদম ঠিক।… আছে নাকি?”
“কফি? এখানে?” হেসে ফেলে বিনীতা। “নাহ।”
“যাহ…, তা হলে হল না।”
বিনীতা বলল, “বেশ তো, এক দিন এখানে কফি খাওয়া যাবে।”
“শুধু কফি?” হতাশ হওয়ার ভঙ্গিতে বলে ইন্দ্রনীল।
“সঙ্গে স্ন্যাক্স থাকবে।”
“একটু ডিনার ফিনার বলুন না বাবা....”
“এর পর হয়তো বলবেন ব্রেকফাস্টও চাই…” কথাটা উচ্চারন করেই বিনীতা অপ্রস্তুত বোধ করে।
ইন্দ্রনীল অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই বলে, “তা বলতেই পারি... চলো ম্যাডাম, দেখি তুমি ব্রেকফাস্ট কোথায় বানাবে।”
সম্বোধনের পরিবর্তনটা খেয়াল করে বিনীতা। তবে কিছু বলে না। দুজনে কিচেনের সামনে আসে।
ইন্দ্রনীল জিজ্ঞাসা করে, “কিচেন নিশ্চয় তোমার পরামর্শ মত হচ্ছে?”
বিনীতা বলে, “নাঃ, আমি বিশেষ কিছু বলিনি।”
“কেন বলোনি? আমি হলে তো বলেই দিতাম মাইক্রোওয়েভ চাই, মডিউলার কিচেন চাই, গিজার চাই, হ্যানা চাই, ত্যানা চাই…”
ইন্দ্রনীল হেসে ওঠে, বিনীতাও দুর্বল ভাবে হাসে। দুজনে অন্য একটা বড় ঘরে আসে।
“এটা নিশ্চয় মাস্টার বেডরুম,” বলে ডাক্তার।
সে অ্যাটাচড টয়লেটের দিকে এগোয়, আর বিনীতা যায় জানলার দিকে। ইন্দ্রনীল টয়লেটটা বাইরে থেকে দেখে, ভেতরে কিছু নেই। ইন্দ্র তাকিয়ে দেখে বিনীতা জানলা দিয়ে বাইরের দিকে দেখছে। ইন্দ্রনীল আঙুল দিয়ে দেওয়ালে টোকা দিয়ে পরখ করে। বলে, “ভালোই মনে হচ্ছে।”
বিনীতা দরজার দিকে এগোয়, ইন্দ্রনীলও। দুজনে অন্য ঘরে যায়।
“এইটা সেকেন্ড বেডরুম। রঙিনের ঘর?” জিজ্ঞাসা করে ডাক্তার।
বিনীতা বলে, “হতে পারে। আর একটা রুমও আছে।”
শেষ ঘরটায় যায় দু জনে। ইন্দ্রনীল বলে, “এইটা গেস্টরুম?”
বিনীতা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়।
“তাহলে ম্যাডাম, এখন তো আমিই তোমার গেস্ট।”
ইন্দ্রর কথার উত্তরে বিনীতা কিছু বলে না, জানলার দিকে এগোয়। ইন্দ্রনীল টোকা মেরে দরজার কাঠটা পরীক্ষা করে।
ইন্দ্রনীল নিজের জায়গা থেকেই জানলার দিকে তাকায়। জিজ্ঞাসা করে, “ওদিকে কি আছে?”
বিনীতা উত্তর দেয় না। ইন্দ্রনীল জানলার দিকে এগোয়। বিনীতা সেটা খেয়াল করেনি, ইন্দ্রনীল কাছাকাছি যেতেই আচমকা ঘোরে সে, দুজনের ধাক্কা লাগে। দুজনে প্রায় একই সঙ্গে “সরি” বলে ওঠে।
দু-জনে এক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকে দুজনের দিকে। ইন্দ্রনীল ধীরে ধীরে বিনীতার দু-হাত ধরে নিজের দুই গালে রাখে, তারপর নিজের ঠোঁটে। এবার বিনীতার হাত দুটো নিয়ে যায় নিজের কাঁধে। এবার নিজের হাত সরিয়ে নেয় ইন্দ্রনীল, দেখে বিনীতা হাত সরালো না। শাড়ি পরে আছে বিনীতা। ইন্দ্রনীল নিজের ডান হাত রাখে বিনীতার বাঁদিকের কোমরের খোলা অংশে। কেঁপে ওঠে বিনীতা, তার চোখ বুজে যায়। ইন্দ্রনীল ধীরে ধীরে কাছে টানে বিনীতাকে, হালকা করে ঠোঁট ছোঁয়ায় তার ঠোঁটে। বিনীতা ইন্দ্রনীলের বুকে মাথা রাখে, ইন্দ্রনীল দুই হাতে তাকে জড়িয়ে ধরে রাখে। হঠাৎ বিনীতা যেন সচেতন হয়ে। ওঠে। মাথা নেড়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়, তার চোখে মুখে অপরাধের ছাপ।
“কী হল?” জিজ্ঞাসা করে ইন্দ্রনীল।
বিনীতা ফের মাথা নাড়ে, “ঠিক হল না, একদম ঠিক হল না।”
ইন্দ্র গাঢ় গলায় বলে, “কোন অন্যায় তুমি করনি ম্যাডাম।”
বিনীতা বলে, “ন্যায় অন্যায় বোধ আমার লোপ পেয়েছে। এক জন খেলাচ্ছে, আর আমি…”
“আমি তোমায় খেলাচ্ছি?” আহত গলায় বলে ওঠে ইন্দ্রনীল।
বিনীতা বলে, “আপনার কথা বলিনি। চলুন।”
ইন্দ্রনীলের জন্য অপেক্ষা করে না বিনীতা। দরজার দিকে এগিয়ে যায়। অপরাধবোধে তার মনটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। (ক্রমশঃ)
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।