এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ৩৮

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৭ মার্চ ২০২৫ | ২৩৭ বার পঠিত
  • ।। আটত্রিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    পিছু হঠতে হল অরুণাভকে, ক্লান্তি তার আর কাটে না। ডাক্তারকে সেই ফোন করতেই হল, তবে সেটা রোগী নিজেই করল।  ইন্দ্রনীল কয়েকটা টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার তিন দিন পরে ডাক্তারের চেম্বারে হাজির হল অরুণাভ, এখানে যে আসবে সেটা বিনীতাকে জানিয়েছিল সে। স্ত্রী শুধু শুনেছিল, কোনও উত্তর দেয়নি, স্কুল ছেড়ে আসেওনি স্বামীর সঙ্গে। 

    চেম্বারে অরুণাভ ঢুকলে অরুণাভ হাতের ইসারায় তাকে বসতে বলল ইন্দ্রনীল, আর পাঁচ জন রোগীর সাথে তার কোনও পার্থক্য রাখল না আগের বারের মতই। চোখ থেকে চশমা খুলে মুছে নিল ইন্দ্রনীল, তারপর ফের পরে নিল। পেশাদার ভঙ্গীতে হাত বাড়িয়ে বলল, “রিপোর্ট?” 
    টেস্টের রিপোর্টগুলো এগিয়ে দিল অরুণাভ, মন দিয়ে সেগুলো দেখল ইন্দ্রনীল। যা আন্দাজ করেছিল তাই, প্লিউরাল এফুশন শুরু হয়েছে, মানে চেস্ট ক্যাভিটিতে ফ্লুইড জমেছে। মুখ তুলে জিজ্ঞাসা করল, “কী অসুবিধে হচ্ছে?”
    অসুবিধের কথা অরুণাভ আগেই জানিয়েছিল ফোনে। ফের বলল, “ক্লান্ত লাগছে খুব, কাজে মন দিতে পারছি না। কয়েক দিন ধরে বুকে হাঁপ ধরছে।”
    “এই হাঁপ ধরাটা কখন হচ্ছে?” জিজ্ঞাসা করল ডাক্তার।
    “প্রায় সারা দিন ধরেই থাকছে; কখনও কম, কখনও বেশি।”
    “একটা এক্সট্রা ওষুধ দিচ্ছি, দশ দিন খান। আশা করি রিলিফ পাবেন। তবে এসওএস হিসেবে অক্সিজেন ক্যান রাখুন - একটা বাড়িতে, একটা অফিসে। দরকার হলে ব্যবহার করবেন। যে কোনও বড় ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন, আমাদের হসপিটালেও হয়তো আছে। অনলাইনেও কিনতে পারেন।”
    “এখানে পেলে নিয়ে নেব। দুটো তো?”
    “হ্যাঁ… এক কাজ করুন, একটা বাড়িতে রাখুন, অন্যটা গাড়িতে। গাড়িরটাই অফিসে নিয়ে ঢুকে যাবেন। কোথায় ক্যানটা রাখছেন সেটা বাড়িতেও বলে রাখবেন, অফিসেও। এমনটা হতে পারে যে দরকারের সময়ে আপনি জানাতে পারছেন না।”
    “ওকে,” রোগী উত্তর দেয়।
    “যদি অক্সিজেন ইউজ করেও তেমন রিলিফ না হওয়, ইমিডিয়েটলি হসপিটালে চলে আসবেন। প্লিজ রিমেমবার, অ্যাজ কুইকলি অ্যাজ পসিবল।”
    “সিওর।”
    “রেস্ট ঠিক মত হচ্ছে না। আপনাকে তো পরিশ্রম কমাতে বলা বৃথা। তবু বলছি, অ্যাডিকোয়েট রেস্ট না হলে মুসকিলে পড়ে যাবেন।”
    “ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। আর ম্যাক্সিমাম ১৫ দিনের মধ্যে আমার কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন রেস্ট নেব প্রাণ ভরে।” অরুণাভর গলার স্বরে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।
    ইন্দ্রনীলের পেশাদারি ভাব চলে যায়, বলে, “মিস্টার দাস, রেস্ট না নিলে ১৫ দিন কাজ করা কঠিন হবে।”
    “মানে তার মধ্যেই মরে যেতে পারি?” উদ্বিগ্নভাবে বলে অরুণাভ, ডাক্তার সোজা তাকিয়ে থাকে তার চোখের দিকে, কিছু বলে না। “আমি সিরিয়াসলি জিজ্ঞেস করছি,” জানায় অরুণাভ।
    “না। তবে বেডরিডন হয়ে যেতে পারেন ফর আ ফিউ ডেজ।”
    “হুমমম... দেখি তাহলে…”
    “আপনার রিপোর্ট সাবমিশন কবে?”
    “ডেট এখনও ফিক্স করিনি। ফেব্রুরারির প্রথম দিকেই করার ইচ্ছে। কেন বলুন তো?”
    “ওটা কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া যায় না?”
    অবাক হয় অরুণাভ, “কেন?”
    একটু ভেবে নেয় ইন্দ্রনীল, তারপর বলে, “ওয়ার্ক উইল কিপ ইউ অ্যাকটিভ… অ্যান্ড অ্যালাইভ।”
    কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে অরুণাভ, একটা বড় নিঃশ্বাস ফেলে, তারপর বলে, “কাজ ছাড়া আমি কিছু জানি না ডাক্তার, তাই সেটা চলে গেলে আমিও থাকব না। সেটা তুমি বুঝে গেছ, আর বিনীতা তো কবেই বুঝেছে…। এনিওয়ে, এই প্রোজেক্টের জন্য সবাই প্রচুর খেটেছে, আমি ডেডলাইন এগিয়ে এনেছি যদি কিছু হয়ে যায় সেই ভয়ে। এখন তো আর আমি পোস্টপোন করতে পারব না।”
    “বেশ তো, নতুন কাজ হাতে নিন।”
    হাসল অরুণাভ, “এইটা প্রপার অ্যাডভাইস হল না ডাক্তার।”
    “কেন?”
    “আমি জানি তুমি আমার ভাল চাও, তাই নতুন কাজ ধরাতে চাইছ। কিন্তু সেটা তো আমি শেষ করতে পারব না। আমার হাতে সেই টাইম নেই। আমি চাই না ইন ফিউচার কেউ বলে আমি কাজ ইনকমপ্লিট রেখেছি।”
    চুপ করে থাকে ইন্দ্রনীল, এ কথার জবাব হয় না। 

    “আসি” বলে অরুণাভ উঠে পড়ে চেয়ার থেকে।
    তার অভ্যাসমত রোগীকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিতে ডাক্তারও উঠে পড়ল “আসুন” বলে। তার আগে স্লিপটা হাতে নিয়ে দেখছিল পরের পেশেন্টের নাম।
    হঠাৎই দাঁড়িয়ে গেল অরুণাভ, “আর একটা কথা।”
    “বলুন।”
    “আই অ্যাম সরি ফর দ্য পিকনিক ডে ইন্সিডেন্ট।”
    ইন্দ্র স্লিপটা রেখে দেয়। বলে, “একটা কথা বলুন তো।”
    হঠাৎই অরুণাভর চোখমুখ উজ্বল হয়ে ওঠে, “বল… বল…”
    “ইয়োর অ্যাকশনস আর স্ট্রেঞ্জ। ইউ অ্যাকটেড লাইক আ ড্রাংক হোয়েন ইউ ওয়্যার নট সো। ইউ ডিড সামথিং ভেরি চাইন্ডিশ দ্যাট পিকনিক ডে। কী চান বলুন তো আপনি?”
    অরুণাভ বলে, “আমি কী চাই?” ইন্দ্র মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানায়। রোগী কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে, “আগাথা ক্রিস্টি বলেছিলেন, ‘জীবন যা যা ভাল জিনিস দিতে পারে তার মধ্যে একটা হল সুন্দর ছোটবেলা।’ আমি ছোটবেলাটা এক বার ফিরে পেতে চাই। আসি।” দরজার কাছে গিয়ে ফিরে তাকায় সে। “অনেক দিন আমাদের বাড়ি যাওনি ডাক্তার। এস একদিন।”

    চলে যায় অরুণাভ, হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ইন্দ্র, বুঝতে পারে না রোগীর কথা। পরের পেশেন্ট এসে দরজায় উঁকি দেয়। 

    গাড়িতে যেতে যেতে ডাক্তারকে মনে মনে ধন্যবাদ দেয় অরুণাভ। অজান্তেই তাকে একটা ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেছে সে। রিপোর্ট সাবমিশন পিছিয়ে দিতে বলছে মানে হিজ ডেজ আর নাও নাম্বারড। মানে আগেও তাই ছিল, এখন কেবল সেই নম্বরটা কাছাকাছি চলে এসেছে। তার মধ্যে প্রোজেক্টের বাকি কাজ সারতে হলে আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করা চলবে না। ক্লান্তি টান্তি সব ভুলে যেতে হবে।

    “তাড়াতাড়ি চালাও বিকাশ, দেরি হয়ে যাচ্ছে,” ড্রাইভারকে বলে সে।


    রেস্ট নেওয়া দূরের কথা, কাজ আরও বাড়িয়ে দিল অরুণাভ, ফলে ডাক্তার যা বলেছিল তাই হল। আজকাল রাত ন’টা সাড়ে ন’টার আগে বাড়ি ঢোকে না সে, আর এসেই শুয়ে পড়ে। স্বামীর রাতের খাওয়ার ব্যাবস্থাটা শোয়ার ঘরেই করে দিয়েছে বিনীতা, অরুণাভর আপত্তি কানে তোলেনি। তার পরিশ্রমটা পুরোটাই মানসিক, তবু সেটা শারীরিকভাবেও ক্লান্ত করে দিচ্ছে তাকে।

    পাঁচ দিনের মধ্যেই অফিসে অক্সিজেন নিতে হল অরুণাভকে, যদিও হাসপাতালে গেল না সে, ইন্দ্রনীল বা বিনীতাকেও কিছু বলল না। সেক্রেটারি কবিতা বসের বারণ না শুনে আড়ালে বিনীতাকে জানিয়ে দিল অবশ্য। বিনীতা যখন জানাল ডাক্তারকে, ইন্দ্রনীল বলল, “ম্যাডাম, এই নিয়ে তুমি কিছু করতে পারবে না। তবে আমার মনে হয় ওনাকে শিগগিরই হাসপাতালে আসতে হবে।” 

    ইন্দ্রনীলের কথা ফের সত্যি প্রমাণিত হল। দু’ দিন পরেই অফিসে ফের এক ঘটনা, এবার কবিতা আর শুনল না, সোজাসুজি বিনীতাকে ফোন করল, পেল না। জিএম খুড়ানাকে বলাতে উনি সোজা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন মাইনের যে অ্যাম্বুলেন্স ছিল তাতে করে। হাসপাতালে আসার একটু পরেই অয়াম্বুলেন্সের সঙ্গে আসা কবিতার সঙ্গে কথা বলেছিল ইন্দ্রনীল, জেনে নিয়েছিল প্রোজেক্ট রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি।   

    বিনীতা ক্লাসে ছিল, তাই কবিতার ফোন ধরতে পারেনি। পরে যখন হাসপাতালে এল, পরিস্থিতি দেখে তার মনে হল তার স্বামী আর বাড়ি ফিরতে পারবে না। নাকে অক্সিজেনের মুখোশ, সারা শরীরে নানা রকম নল লাগানো, বেডসাইড মনিটরে ব্লাড প্রেসার, হার্ট রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, রেসপিরেটরি রেট, ইসিজি ইত্যাদি ফুটে উঠছে। অপারেশনের সময়েও এমনটা ছিল, তবে তার পরে আজকের দিনের মত অবস্থা কখনও হয়নি। 

    পরের দিন অরুণাভর প্রিয় কয়েকটা বই নিয়ে হাসপাতালে গেল বিনীতা। সেদিন অবস্থা সামান্য ভাল, বইগুলো পেয়ে চোখমুখ উজ্বল হয়ে উঠল রোগীর। ইন্দ্রনীলের সাথেও কয়েকটা কথা হল বিনীতার, আগের দিন তেমন হতে পারেনি।

    “চিন্তা ক’র না ম্যাডাম, সাত দিনের মধ্যে উনি হেঁটে বাড়ি ফিরবেন,” জোরের সঙ্গে বলল ইন্দ্রনীল।

    এবং ইন্দ্রনীল তার পুরো এনার্জি ঢেলে দিল অরুণাভর জন্য। দিনে পাঁচ-ছ’বার করে ঘুরে যাচ্ছে তার কেবিন থেকে, অন্য পরিচিত সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করছে, হাসপাতালের সিস্টাররা, অ্যাটেন্ডেন্টরাও বুঝে গেছে এই রোগী স্পেশাল, তাই তারাও সেইভাবেই দেখাশোনা করে অরুণাভর।

    ওদিকে কুসুমবনী মাইনের অফিসে এজিএম শর্মা ফের কলকাঠি নাড়ার চেষ্টা করছে। খুরানা স্যার রাধাকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনা করে কাজের পরিস্থিতি বুঝে নিলেন, তারপর শর্মাকে ডেকে বেশ কড়া ভাষাতেই বুঝিয়ে দিলেন একজনের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তার প্রায় শেষ হয়ে কাজের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করাটা মোটেই ভাল চোখে দেখা হচ্ছে না।

    অরুণাভর মৃত্যু কামনা করতে করতে জিএমের চেম্বার ছাড়ল শর্মা।

    চার দিনের দিন থেকে দ্রুত উন্নতি হতে লাগল অরুণাভর, তার প্যারামিটারস এখন বেশ ভাল। আর তার একদিন পরেই ইন্দ্রনীলের কাছে তাকে ডিসচার্জ করার আর্জি জানাল সে।
    “ডাক্তার, এবার আমায় ছেড়ে দাও, অনেক কাজ বাকি।”
    “অনেক কোথায়? আপনিই তো সেদিন বলেছিলেন ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তার প্রায় এক সপ্তাহ পরে আপনি ভর্তি হলেন।”
    “চেক করার কাজ এখনও বাকি আছে কিছু।”
    “ঠিক আছে, দেখছি,” বলল ইন্দ্রনীল, তার রোগীর আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সময়টুকুর জন্যই অপেক্ষা করছিল সে।

    হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ছ’দিনের দিন দুপুরবেলা হেঁটে বাড়ি ঢুকল অরুণাভ। ইন্দ্রনীল রোগীকে জানিয়ে দিয়েছে যদি বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব হয় তবে তাই করতে; আর রোগীর স্ত্রীকে বলেছে উনি যদি উনি অফিস যেতে চান, খুব একটা বাধা দেওয়ার দরকার নেই। বাধা দিয়ে যেন লাভ আছে কিছু, মনে মনে বলল বিনীতা।

    অরুণাভ বাড়ি এসেছে খবর পেয়ে জিএম স্যার ফোন করলেন, বলে দিলেন বাড়ি থেকে কাজ করতে। কোনও কাগজপত্র দরকার হলে সেগুলো অফিস থেকে আনিয়ে নিতে। বসকে ধন্যবাদ দিল অরুণাভ, নিজেও ভাবল বাড়ি থেকে কাজ করলে কেমন হয় দু-তিন দিন।

    সন্ধ্যাবেলা বিছানায় শুয়ে বই পড়ছে অরুণাভ, দরজায় এসে দাঁড়িয়ে ভেতরে উঁকি দেয় রঙিন। অরুণাভ দেখতে পেয়ে ইশারায় তাকে ডাকে, মেয়ে মাথা নাড়ে, তারপর চলে যায়। কালো হয়ে যায় বাবার মুখ। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৭ মার্চ ২০২৫ | ২৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | ০৭ মার্চ ২০২৫ ২২:৫১541517
  • এইবার চাপ তৈরি হচ্ছে। 
  • মহুয়া | 2402:3a80:42e0:8e30:d96a:7352:5d9e:***:*** | ০৮ মার্চ ২০২৫ ১১:২৬541524
  • এসো প্রাণভরণ দৈনহরণ হে...
  • Nirmalya Nag | ০৯ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪৭541558
  • @স্বাতী রায়, @মহুয়া - অনেক ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন