এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে - ২৩

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ৩০৩ বার পঠিত
  • ।। তেইশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    অরুণাভর খাবার দেওয়া হয়েছে শোয়ার ঘরেই। বিছানার পাশে একটা টেবিল রেখে। ইন্দ্রনীল ঘরেই ছিল চেয়ারে বসে।
    “তুমিও খেয়ে নাও ডাক্তার,” বলল অরুণাভ।
    “চিন্তা করবেন না, আমি খেয়ে এসেছি। আপনি খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিন। একটা নতুন ওষুধ দেব। কাল সকালে অনেক ভাল ফিল করবেন,” বলল ডাক্তার। কয়েক সেকেন্ড পরে যোগ করল, “আমি আজ আপনাদের এখানেই থাকছি। যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাতে আমি থাকলে ভাল।”
    অরুণাভরও উত্তর দিতে কয়েক সেকেন্ড লাগল। “থ্যাংক ইউ।”
    কিছুক্ষণ পরে রোগী বলল, “ডাক্তার, আমার ডিপার্টমেন্টের স্টাফদের নিয়ে তোপচাঁচি যাব ভেবেছিলাম একটা ডে ট্যুরে। যাওয়া যাবে?”
    “কবে,” জানতে চাইল ইন্দ্রনীল।
    “সামনের শনিবার।”
    সামনের শনিবার মানে আর চার দিন পরে। একটু ভেবে নিল ইন্দ্রনীল। “আপনি না যেতে পারলে কি প্রোগ্রামটাই ক্যানসেল হয়ে যাবে?”
    “না, তা হয়তো নয়।”
    “তাহলে এই ডিসিশনটা আরও পরে সিচুয়েশন বুঝে নিতে হবে।”

    বিনীতা ঘরে এল, ইন্দ্রনীলকে বলল, “আপনি অল্প করে একটু খেতে পারতেন।”
    হাসল ডাক্তার, “খাওয়া নিয়ে আমার কোনও লজ্জা নেই ম্যাডাম। খাওয়ার হলে আমি নিজেই আপনাকে বলে দিতাম।”

    বিনীতার হাতে একটা ওষুধ, বিকাশের এনে দেওয়া। টেবিলের ওপর রেখে দিল সেটা। ইন্দ্রনীল দেখল বিনীতা দাঁড়িয়ে আছে অরুণাভর পাশে। এটাও খেয়াল করল অনেকক্ষণ ধরে সে ওনাদের শোয়ার ঘরে রয়েছে। পোশাক বদল থেকে শুরু করে অনেক রকম প্রয়োজনই বাড়ির লোকের থাকতে পারে এই ঘরে।

    “আপনি বসুন, আমি আছি বাইরের ঘরে। খাওয়া হয়ে গেলে ওষুধটা দিয়ে দেবেন, তারপর আমায় জানান,” বলে কোনও উত্তরের অপেক্ষা না করেই বেরিয়ে গেল সে।

    ড্রইং রুমে এসে একটা সোফায় বসল ইন্দ্রনীল, এখানে পুরু কার্পেট থাকায় মেঝে থেকে ঠান্ডা উঠছে না। ফোনের মেসেজগুলোর দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিল সে। তারপর সেন্টার টেবিল থেকে একটা বই তুলে নিয়ে পাতা ওল্টালো।
    কিছুক্ষণ পরে বিনীতা এল ড্রইং রুমে, ইন্দ্রনীল দেখল তার পোশাক বদল হয়েছে। আগে একটা সালোয়ার কামিজ পরেছিল, এখন যেটা পরে আছে সেটা আগেরটার চেয়ে ঢোলা। হয়তো এটা পরেই উনি রাতে শোন, নয়তো আজ এটা গায়ে উঠেছে সে - একজন বাইরের লোক - আছে বলে।

    “ওষুধটা দিয়েছেন?” জিজ্ঞাসা করল ডাক্তার। মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানাল বিনীতা। “এবার ঘুমিয়ে পড়বেন শিগগিরই। কাশি হলে ঘুম হবে না, তাই ওই ওষুধ দেওয়া।”

    বিনীতা বসল অন্য একটা সোফায়।  
    “রঙিন কী করছে?” জিজ্ঞাসা করল ইন্দ্রনীল।
    “ঘুমিয়ে পড়েছে,” উত্তর এল।
    “আপনি ডিনার করেছেন?”
    “হ্যাঁ।”
    বিনীতা কি একটু কম কথা বলছে? ক্লান্ত মনে হয়; সন্ধ্যা থেকে ভাল রকম টেনশন গেছে।
    “শুয়ে পড়ুন ম্যাডাম। আমি এই ঘরেই আছি। কোনও দরকার মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে ডাকবেন। কেবল একটা খাবার জলের বোতল দিয়ে যান,”  বলল ইন্দ্রনীল।
    বিনীতা স্থির হয়ে বসে থাকল, কোনও কথা বলল না। কিছু কি বলতে চাইছে, পারছে না? 
    “আপনার যদি শোয়ার অন্য জায়গা থাকে, তাহলে আমি বেড রুমেও থেকে যেতে পারি। ওই চেয়ারটা বেশ কমফরটেবল। আমার অসুবিধে হবে না,” জানাল ডাক্তার।
    সম্পূর্ণ অন্য একটা কথা বলল বিনীতা। “আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”
    হাসল ইন্দ্রনীল। “কতবার ধন্যবাদ দেবেন ম্যাডাম?”
    “সে দিন কফি শপে আমি খুব বাজে বিহেভ করেছিলাম। তার পরেও আজকে ক্রাইসিসের সময়ে আপনি চলে এলেন, থাকছেন। হসপিটালের ঝামেলার পরেও…”
    “কফি শপের ইনসিডেন্টের জন্য আপনি আগেই অ্যাপোলোজাইজ করেছেন। আবার বলি, আমি কিছু মনে করিনি ম্যাডাম। আপনি এমনিতেই চাপে আছেন, তার ওপর সেদিন রাতে কিছু কথা বলে আমি আরো স্ট্রেস অ্যাড করেছি। অ্যাজ ইয়োর হাজব্যান্ড’স ডক্টর, আমার নিজেকে কন্ট্রোলে রাখা উচিৎ ছিল।”
    বিনীতার ফের মনে পড়ে গেল সেদিন তাদের বাড়ি মোবাইল ফোন ফেলে গিয়েছিল ডাক্তার। সেটা ফেরত নিতে এসে তাদের বাড়ির ঠিক বাইরে দাঁড়িয়ে ইন্দ্রনীল তাকে বলেছিল, “আমার মনে থাকে শুধু সেগুলোই যার সঙ্গে আপনি জড়িত।”
    ফের মুখ খুলল ইন্দ্রনীল, “আমার মনে হচ্ছে সেদিন এটাও বলেছিলাম যে লজ্জা, ঘৃণা, ভয় আমার নেই, কথায় কনট্রোল থাকে না। ফলে অনেক সময়েই সমস্যা তৈরি হয়।”
    সামান্য সময় চুপ করে থেকে বিনীতা উত্তর দিল, তবে সেটা ডাক্তারের আগের কথার। “আমার হাজব্যান্ডের ডাক্তার বলে আমি অ্যাপোলোজাইজ করিনি। আমার ব্যবহার খারাপ ছিল বলেই করেছি।”
    এবার ইন্দ্রনীল একটু চুপ করে থাকে। বুক কেসের ওপর রাখা অরুণাভর পরিবারের ছবির দিকে তাকায়। তারপর তাকায় বিনীতার দিকে।
    “একটা কথা বলি ম্যাডাম, আমি যেটা আপনাকে সেদিন রাতে বলেছি, সেটা আমার ফিলিং, আর প্রফেশনকে আমি ফিলিং-এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। আপনার কোন ক্ষতি জ্ঞানত আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবু চাইলে আপনারা ডাক্তার চেঞ্জ করে ফেলতে পারেন।”
    বিনীতা বলল, “একটা সেকেন্ড ওপিনিয়ন নিয়েছি। আপনার ট্রিটমেন্ট-এ কোনও গোলমাল নেই।… তা ছাড়া, ডাক্তার চেঞ্জ করে ফেললেই কি সব কিছু চেঞ্জ হয়ে যাবে?”

    এবার দু’জনেই কিছুক্ষণ চুপ। বাইরে কুকুরের ডাক শোনা যায়।
    বিনীতা বলে, “আপনি কি সত্যিই এখানে জেগে বসে থাকবেন?”
    “ডাক্তারদের অভ্যাস থাকে। নাইট ডিউটি করতে হয় তো।”
    “সে তো জুনিয়রদের।”
    “যে ধরনের পেশেন্ট নিয়ে আমাদের কাজ… অনেক সময়েই রাত জাগতে হয়। যাকগে, আপনি শুয়ে পড়ুন।”
    “আপনি জেগে থাকবেন, আর আমি শুয়ে পড়বো! আপনি একটু রেস্ট নিন। তখন থেকে বসে আছেন। গেস্ট রুম রেডি আছে, একটা ফ্রেশ পাজামা পাঞ্জাবিও রেখে এলাম। ওখানে একটু আরাম করে হাত-পা ছড়াতে পারবেন।”
    “থ্যাঙ্ক ইউ ম্যাডাম। তবে–”
    “তবে টবে কিছু না। আসুন, আপনাকে ঘরটা দেখিয়ে দিই। ওখানে ওয়াশ রুমও আছে। আমি বরং একটু চা নিয়ে আসি।”
    “কফি আছে?” জিজ্ঞাসা করে ইন্দ্রনীল।
    “আছে।”
    “তাহলে কষ্ট করে কফিই দিন। হালকা চিনি দেবেন, দুধ দেবেন না।”
    “আসুন।”

    গেস্ট রুমের সামনে এসে ইন্দ্রনীল বলল একটু অরুণাভকে দেখে যাবে। ডাক্তার গেল রোগী দেখতে, আর বিনীতা কফি করতে গেল রান্নাঘরের দিকে।

    বেড রুমে ঢুকতেই ইন্দ্রনীল বড়বড় শ্বাস নেওয়ার শব্দ পেল, বিছানার কাছে এসে বেডসাইড টেবিলের আলোয় দেখল অরুণাভ ঘুমোচ্ছে। তার বুকের কাছটা কম্বলের তলায় উঠছে আর নামছে। অসুখে আক্রান্ত ফুসফুস এখনও কাজ করে যাচ্ছে, এই কাজ করে যাওয়ার ক্ষমতাকে চালু রাখাই ডাক্তারের চ্যালেঞ্জ। রোগীর কপালে হাত দিয়ে ইন্দ্রনীল দেখল সামান্যই গরম, চিন্তার কারণ নেই। তবে জ্বর পুরো ছেড়ে গেলে যদি ঘাম হয়, তবে ঘুম ভেঙে যেতেও পারে। 

    গেস্ট রুমে এসে ইন্দ্র দেখল খাটের ফুটবোর্ডের ওপর পাশাপাশি রাখা আছে ভাঁজ করা পাজামা-পাঞ্জাবি, একটা গরম চাদর, নিশ্চয় অরুণাভর। বিছানার ওপর বালিশ আর কম্বলও রয়েছে। ওয়াশরুমে গিয়ে দেখল সেখানে ফ্রেশ তোয়ালেও রাখা আছে। পাঞ্জাবি-পাজামাটা পরবে কি পরবে না ভাবতে ভাবতে পরেই নেয় সে। ছাড়া শার্ট, সোয়েটার আর ট্রাউজার রেখে দেয় ওয়াশরুমেই, সেখানে দুটো হ্যাঙার রাখা ছিল।

    ওয়াশরুমের কাজ সেরে ঘরে ঢুকে বড় জানলাটার দিকে চোখ গেল ইন্দ্রনীলের। কি ভেবে পর্দাটা সরিয়ে দিল সে। কাঁচের জানলার মধ্যে দিয়ে আকাশের দিকে তাকাল সে, ফিরে এসে ঘরের আলোটা নিভিয়ে দিল। জানলার কাছে ফিরে গিয়ে দেখল রাতের আকাশ তারায় ভর্তি।

    হঠাৎ ঘরের আলোটা আবার জ্বলে উঠতেই পিছনে তাকিয়ে দেখে বিনীতা এসেছে, হাতে ট্রের ওপর রাখা দু কাপ কফি।
    “লাইটটা–” বলতে যাচ্ছিল গৃহকর্ত্রী।
    “আমি নিভিয়ে দিয়েছিলাম তারা দেখব বলে।”
    ট্রে এগিয়ে দিলে সেখান থেকে কফির কাপ তুলে নেয় ইন্দ্রনীল। বিস্কুটও ছিল ট্রেতে, সেটা নেয় না।
    “পা তুলে আরাম করে বসুন,” খাটের দিকটা দেখিয়ে বলে বিনীতা। কফির কাপ ফের ট্রেতে রাখে ইন্দ্রনীল। বিনীতা দেখে তার স্বামীর পোশাক পরা মানুষটা খাটে উঠে বসে, হেড বোর্ডে হেলান দেয়। কম্বলটা টেনে পায়ে ঢাকা দেয়, মুখ দেখে বোঝা গেল এই আরামটুকু উপভোগ করছে সে।

    কফির কাপ ফের এগিয়ে দেয় বিনীতা। “কী যেন বলছিলেন তারা নিয়ে?”
    “বোকারোর আকাশে তারা টারা বিশেষ দেখা যায় না, এত আলো থাকে…,” কফিতে চুমুক দেয় ইন্দ্র।
    বিনীতাও কফি খায়। “বোকারোর ফ্ল্যাটে চলে গেলে আমরাও দেখতে পাবো না।”
    ইন্দ্রনীল বলে, “কেন, ওখানে বারান্দা নেই? মিস্টার দাস যে বলছিলেন ফ্ল্যাটটা ভালোই।”
    “বারান্দা আছে। তবে পলিউশন, শহরের আলো… তারার আলো দেখতে যে অন্ধকার লাগে সেটা মনেই থাকে না।”
    ইন্দ্রনীলের মনে পড়ে অনেক অনেক বছর আগের কথা, ছোটবেলার ভাল লাগা অন্ধকারের কথা।
    “ছোটবেলায় লোডশেডিংটা খুব এনজয় করতাম। আমদের বাড়ি ছিল গড়িয়ার দিকে, ওদিকটা তখনও ফাঁকা ফাঁকা। লোডশেডিং হলে লণ্ঠন বা চিমনির আলো জ্বালাতে যে টুকু সময় লাগত, পড়া ফেলে ছুটে চলে যেতাম বারান্দায়। এই রকম তারায় ভর্তি হযে থাকত আকাশ, আর পূর্নিমা হলে চাঁদের আলোর ঢল নামত,” বলল ডাক্তার।

    বিনীতারও মনে পড়ল উত্তর বাংলায় তাদের বাড়ির কথা। 
    “জলপাইগুড়িতেও তাই,” বলল সে। “আমাদের বারান্দাটা তেমন ভাল ছিল না। ছাদে উঠে যেতাম, মাদুর পেতে বসে আমি, দাদা আর বাবা। মা-ও থাকত মাঝে মাঝে। বাবার কাছে কত অদ্ভুত গল্প শুনেছি লোডশেডিং-এর সময়ে।… জীবনটা কি রকম বদলে গেল।”
    “জিজ্ঞেস করতে পারি, কী ভাবে বদলালো?” জানতে চাইল ইন্দ্রনীল।
    “আমি জলপাইগুড়ি কলেজ থেকে পাশ করলাম। তার কিছু দিন পর বিয়ে হয়ে এখানে চলে এলাম।”
    “সম্বন্ধ করে?”
    মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ জানালো বিনীতা। “তার পর দেখলাম ও কাজ পাগল লোক, সারা দিন অফিসেই থাকে। আমার সময় কাটে না। একটা সুযোগ এল, স্কুলে জয়েন করলাম। তার পর রঙিন হল। বিয়ের প্রায় সাত বছর পরে। … আমার কথা অনেক হল, এবার আপনার কথা বলুন তো।”
    বিনীতা চুমুক দিল কফিতে, ইন্দ্রনীলও।
    “আমার কথা আর কী? কলকাতা থেকে এমবিবিএস। লন্ডন থেকে এমডি। তার পর দিল্লির এক হসপিটালে চাকরি। সেখানে এক সিনিয়র ডাক্তারের মেয়ের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে। তারপর বোকারো এলাম। ডিভোর্স হল। ব্যাস।” হাসল ইন্দ্রনীল।
    পরের কথাটা বলার আগে একটু ভেবে নিল বিনীতা। “ডিভোর্সের কারণটা বলতে আপত্তি আছে?”
    উত্তরটা দেওয়ার আগে ইন্দ্রনীলও একটু চুপ করে থাকল।

    ওদিকে বেড রুমে হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেল অরুণাভর। খেয়াল করল পাশে বিনীতা নেই। (ক্রমশঃ) 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ৩০৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন