এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ৩৯

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৪ মার্চ ২০২৫ | ৯১ বার পঠিত
  • ।। ঊণচল্লিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার পরের দিনই অফিস ছোটে অরুণাভ, যদিও আগে ঠিক করেছিল এক-দু’দিন বাড়ি থেকেই কাজ করবে। রাত্রের দিকে নতুন সিদ্ধান্তের কথা বলায় বিনীতা কেবল জানতে চাইল ড্রাইভারকে জানানো হয়েছে কি না। উত্তরে ‘হ্যাঁ’ শুনে আর কিছু বলল না সে, রান্নাঘরে দেখতে গেল পরের দিন সকালে স্বামীকে কী খেতে দেওয়া যায় আর কোন খাবার দুপুরের জন্য সঙ্গে পাঠাবে। বিসপাতিয়ার সাথে আলোচনা করে এই ব্যাপার দুটো ঠিক করে ফেলল সে। সকালবেলা অরুণাভ যথা নিয়মে অফিস চলে গেল।

    অরুণাভর অফিসের সবাই নিজের নিজের জায়গায় বসে কাজ করছে, হঠাৎই একটু তটস্থ হয়ে উঠল সবাই - জিএম স্যার আসছেন। কাঁচাপাকা চুল, লম্বা মুখ, রোগা লম্বা চেহারার খুরানার বয়স ৫৮। ওনাকে এখানে কেউ আশা করেনি, সবাই উঠে দাঁড়াল, হাতের ইসারায় সবাইকে বসতে বলে অরুণাভর চেম্বারের দিকে চলে গেলেন খুরানা। কবিতাও জানত না জিএম স্যার এদিকে আসছেন। দরজা খুলে সোজা ঘরে ঢুকে গেলেন তিনি।

    আচমকা ওনাকে দেখে খুব অবাক হয় অরুণাভ। উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “স্যার আপনি…? আমায় ডাকলেই পারতেন।”
    কাজপাগল অফিসারের টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ালেন জিএম, একে নিয়ে য তিনি কী করবেন বুঝে পান না। জিজ্ঞাসা করেন, “হোয়াট আর ইউন ডুইং হিয়ার দাস?”
    “স্যার…”
    “আই মিন হোয়াই আর ইউ ইন অফিস ইন সাচ আ পুওর হেলথ?”
    “সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে স্যার, চেকিং চলছে। হোপফুলি দু-তিন দিনের মধ্যে কমপ্লিট হয়ে যাবে।”
    “জানি, রামাকৃষ্ণান আমায় স্ট্যাটাস জানিয়েছে… তুমি তখন হসপিটালে ছিলে।”
    “থ্যাংক ইউ স্যার,” বলে অরুণাভ।
    “কেন?” ভ্রূ কুঁচকে বলেন জিএম, তারপর ভিজিটরের চেয়ারে বসেন।
    অরুণাভও বসে নিজের চেয়ারে। “আপনাকে বলেছিলাম ইউ ক্যান রিমুভ মি ফ্রম দ্য প্রোজেক্ট ইফ আই গেট আনওয়েল এগেন; আপনি করেননি।”
    জিএম বলেন, “রিপোর্ট তো অলমোস্ট রেডি। হোয়াই শুড উই রিমুভ ইউ?... আমাদের হাতে সময় ছিল। তুমি দু দিন রেস্ট নিতে পারতে, নইলে বলেওছিলাম তোমায় বাড়ি থেকে কাজ করতে।… কাল হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরেই আজ অফিসে না এলেও তো হত।”
    অরুণাভ চুপ করে থাকে, কোনও উত্তর দেয় না, মুখটা ঘুরিয়ে নেয় স্যারের দিক থেকে।
    কোথাও একটা খটকা লাগে খুরানার, জিজ্ঞাসা করেন, “দাস, ইজ সামথিং রং?”

    অরুণাভ ধীরে ধীরে জবাব দেয়, “আমি জাস্ট অফিসে আসার জন্য আসিনি স্যার। আমার মেয়ে সারা বাড়ি জুড়ে ছোটাছুটি করে খেলত। এখন আর খেলে না, হাসে না। ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে উঁকি মেরে আমায় দেখে। কাছে আসে না।”
    অরুণাভ বাঁ হাতের কনুই চেয়ারের আর্ম রেস্টের ওপর রেখে মুঠো করা হাতটা নিজের ঠোঁটের ওপর চেপে ধরে, চোখ তার মেঝের দিকে। তার চশমার ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা জল, 

    জিএম চুপ করে বসে থাকেন ভিজিটরের চেয়ারে।


    দু’ দিন পরের কথা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতে চলেছে। বোকারো আর তার আশেপাশের অঞ্চলে শীত এখন কমের দিকে, এইবার আসতে আসতে গরম পড়ে যাবে। তবে প্রচুর গাছপালা আছে বলে কুসুমবনী মাইনের কলোনি কিছুটা ঠান্ডা থাকে। যদিও আর ক’দিন পরেই হয়তো ফ্যান চালাতে হবে।

    স্কুলের একটা কাজ নিয়ে বসেছিল বিনীতা। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মেম্বার সে, অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড মাস্টার পরীক্ষার গার্ড লিস্টের একটা খসড়া তৈরি করে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। সেটার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে সে, এমন সময়ে কলিং বেল বাজল।

    বিসপাতিয়া রান্নাঘরে ব্যাস্ত, তাই নিজেই দরজা খুলতে গেল সে, অরুণাভ আজ একটু তাড়াতাড়ি ফিরেছে মনে হচ্ছে।

    সদর দরজা খুলে অবাক হয়ে গেল বিনীতা, বাইরে দাঁড়িয়ে ইন্দ্রনীল।
    “আপনি!” অবাক হয়ে বলল সে।
    “হ্যাঁ।... ভেতরে আসব না?” হেসে বলল ডাক্তার।
    “আসুন, আসুন।” দরজা ছেড়ে দাঁড়াল বিনীতা। 
    পিকনিকের পর এই প্রথম একটু সুস্থ পরিবেশে ইন্দ্রনীলের দেখা পেল বিনীতা। এর আগে স্বামীর অসুস্থতার সময়ে হাসপাতালে খুবই ব্যাস্ত ছিল ইন্দ্রনীল। সেই সময়ে অরুণাভর জন্য ইন্দ্রকে যা খাটতে দেখেছে বিনীতা, তাতে সে কৃতজ্ঞ। আজ থেকে কয়েক মাস আগে গেস্ট রুমে বসে ডাক্তার বলেছিল যে অরুণাভকে ঠিক রাখার জন্য তার দিক থেকে চেষ্টার ত্রুটি হবে না, সেটা অন্তত কথার কথা ছিল না।

    “বসুন,” বলল বিনীতা। 
    সোফায় বসে ইন্দ্রনীল বলল, “মিস্টার দাস ক’দিন আগে বলেছিলেন অনেক দিন আমাদের বাড়ি যাননি। আজ রাজাবেরার কাছে একজন পেশেন্ট দেখতে গেছিলাম। তাড়াতাড়ি কাজ মিটে গেল, ভাবলাম ঘুরে আসি…। উনি ফেরেননি?”
    বিনীতা দাঁড়িয়েই ছিল, বলল, “ওর আসার সময়ের তো ঠিক থাকে না। তবে মনে হয় আধ ঘন্টার মধ্যেই ফিরবে।”
    “প্রোজেক্টের কাজ তো প্রায় শেষ, তাই ভাবলাম এসে যাবেন হয়তো।”
    বিনীতা একটু অবাক হল, কাজ প্রায় শেষ! “জানি না, বাড়িতে তো কিছু বলে না।”
    ইন্দ্রনীল জিজ্ঞাসা করল, “কেমন আছেন উনি এখন?... বসুন না, দাঁড়িয়ে কেন?”
    বিনীতা বলল, “ভাল না খুব একটা, অফিস থেকে ফেরার পর শুয়েই থাকে।... দাঁড়ান আপনার চা বলে আসি, তারপর বসছি।”

    ভেতরের দরজার দিকে এগোচ্ছে বিনীতা, ইন্দ্রনীল বলে, “মিস্টার দাস এলে এক সঙ্গেই না হয় খেতাম।”
    “ও কখন আসবে তার ঠিক আছে না কি? এখনি আসছি।”

    বিনীতা ভেতরে চলে যায়। ইন্দ্র পকেট থেকে মোবাইল বার করে মেসেজ দেখে, উত্তর দেয়। মোবাইল পকেটে রেখে সেন্টার টেবিল থেকে একটা বই তুলে নেয়, পাতা ওলটাতে থাকে।  বিনীতা ফিরে আসে ঘরে, বসে অন্য একটা সোফায়।

    “ওর কাজ শেষ হয়ে এসেছে জানলেন কী করে?” ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে রোগীর স্ত্রী।
    ইন্দ্র বই রেখে দেয়, বলে, “উনিই বলেছিলেন, আর সেটা হসপিটালে ভর্তি হওয়ার আগেই। বুকে হাঁফ ধরছে বলে দেখাতে এলেন যখন, সেই সময়ে।”

    একটু নড়েচড়ে বসে বিনীতা, অকারণেই এদিক ওদিক তাকায়, তার চোখ আটকে যায় বুককেসের ওপরে রাখা তাদের তিনজনের ছবিতে। ডাক্তারকে এই তথ্য বলার মধ্যে আশ্চর্য কিছু নেই, অদ্ভুত যেটা তা হল স্ত্রীর কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা গোপন করা। অবশ্য অরুণাভ “গোপন করেছে” বললে ওকে অকারণ অপরাধী করে তোলা হবে, ভাবল বিনীতা। হয়তো এটা যে বলার মত একটা বিষয় সেটাই মনে হয়নি ওর।

    “রঙিন কোথায়? পড়ছে?” ইন্দ্রনীল জিজ্ঞাসা করে।
    “না, কাছেই একজনের বাড়ি গেছে,” বলে রঙিনের মা।
    “ছবি আঁকাটা কনটিনিউ করছে তো?”
    “হ্যাঁ… আপনাকে বলেছি কি না মনে নেই… ওকে একটা আঁকার স্কুলে ভর্তি করেছি কিছু দিন হল।”
    “বাহ… খুব ভাল। ও সত্যিই ভাল আঁকে।”
    বাইরে গাড়ি থামার আওয়াজ পাওয়া যায়।
    ইন্দ্রনীল বলল, “ওই তো এসে গেছেন দেখছি মনে হয়।”

    বেল বাজার আগেই ডাক্তার নিজে দরজা খুলে দেয়। বাইরে থেকে ঘরে আসে অরুণাভ, মুখে খুশির হাসি। বিকাশ স্যারের অফিস ব্যাগ আর খাবারের ব্যাগ এগিয়ে দেয়, বিনীতা নিয়ে নেয় সেগুলো। অরুণাভ অনেকক্ষণ অফিসে থাকে বলে খাবার এখন বেশি করে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে।

    “থ্যাঙ্কস ডাক্তার, তুমি এসেছো। বাইরে তোমার গাড়ি দেখলাম। কখন এলে?” সোফায় বসতে বসতে জিজ্ঞাসা করে অরুণাভ।
    “এই তো, একটু আগে,” জবাব দেয় ইন্দ্রনীল।
    “তোমার চা-ও বলে দিই। একবারে হয়ে যাবে,” বিনীতা রান্নাঘরের দিকে যায়।
    “কেমন আছেন?” ইন্দ্রনীল জানতে চায়।
    “ফার্স্ট ক্লাস। রিপোর্ট কমপ্লিট, কাল সাবমিট করবো।”
    “বাহ... দারুণ খবর। তারপর?”
    বিনীতা ঘরে আসে, শোনে তার স্বামী বলছে, “ছুটি নেব। তোমায় তো বলেছিলাম ডাক্তার, কাজ শেষ হলে তারপর ছুটি নেব।”
    বিনীতা বলল, “ছুটি নেবে? ভূতের মুখে রামনাম। ক'দিনের?”
    অরুণাভ বলল, “দেখি... রঙিন কই?”
    “মিস্টার খানের মা এসে নিয়ে গেলেন। ওদের কোন রিলেটিভের বাচ্চার সাথে ওর নাকি দারুণ দোস্তি হয়েছিল। ওনারা আবার এসেছেন,” বলল বিনীতা।
    বিসপাতিয়া ট্রে-তে করে চা আর বিস্কুট নিয়ে আসে।
    অরুণাভ উঠে দাঁড়ায়। “তোমরা গল্প করো। আমি চেঞ্জ করে আসি।”
    “চা ঠান্ডা হবে যাবে। খেয়ে নিয়েও যাও না।”
    ইন্দ্রনীলও এই প্রস্তাব সমর্থন করলে অরুণাভ ফের বসল। “আচ্ছা, তাই করি বরং।”
    চায়ের কাপ তুলে নিয়ে চুমুক দেয় সে, অন্যরাও।
    বিনীতা জিজ্ঞাসা করে, “তোমার রিপোর্ট শেষ হল?”
    “হ্যাঁ, কাল জমা দেব।”
    ইন্দ্রনীল বলে, “ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন।”
    অরুণাভ লম্বা চুমুক দেয় চায়ের কাপে। বিনীতা বলে, “এত তাড়াতাড়ি খাচ্ছ কেন? জিভ পুড়ে যাবে যে।”
    অরুণাভ স্ত্রীর দিকে তাকায়, বলে, “দেখি ঘুরে আসা যায় কি না…।” আবার একটা বড় চুমুক দেয়  সে, কাপ নামিয়ে রেখে উঠে দাঁড়ায়। “তোমরা গল্প করো, আমি একটু রেস্ট নিই।”

    অরুণাভ বেরিয়ে যায়, অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ঘরের বাকি দুজন। বিনীতা দেখে কাপের চা শেষ না করেই রেখে দিয়েছে তার স্বামী। হুড়মুড়িয়ে চলেই বা গেল কেন? আজ তো তেমন টায়ার্ড বলেও মনে হচ্ছিল না। তাহলে কি বিনীতা আর ইন্দ্রনীলকে কথা বলার সুযোগ করে দিতেই উঠে গেল ও?

    “ম্যাডাম,” ডাক্তারের ডাকে মুখ তোলে বিনীতা, “বেরিয়ে এস ক’দিন সবাই মিলে।”
    “এখন সম্ভব নয়,” নিঃশ্বাস ফেলে উত্তর দিল বিনীতা।
    “কেন?” জিজ্ঞাসা করে ইন্দ্র।
    “পরশু থেকে স্কুলে পরীক্ষা আরম্ভ হচ্ছে, এ সময়ে ছুটি নেওয়া যায় না।… এমারজেন্সি কিছু হলে আলাদা কথা।”

    চুপ করে থাকল ডাক্তার, বিনীতাও। একজনের সাথে অন্যজনের কিছুই মিলছে না, ছুটির সময়ও নয়।

    কলিং বেল বেজে উঠল, রঙিন বাড়ি ফিরে এসেছে। (ক্রমশঃ) 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৪ মার্চ ২০২৫ | ৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১৪ মার্চ ২০২৫ ১৭:৩৭541691
  • আমি খুব আশা করেছিলাম আজ দোলের দিনে বিনীতা অরুণাভের জীবনেও একটু রং লাগবে। অতটাও ধূসর থাকবে না অরুণাভর শ্লেট। লেখক বিধাতা বড্ড নিষ্করুণ।  
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৫ ২১:৪২541695
  • ঠিক,  একেবারে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরানার। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন