এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ৩৪

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৪৩২ বার পঠিত
  • ।। চৌত্রিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    পিছন থেকে অরুণাভর “ডাক্তার… ডাক্তার...” ডাক উপেক্ষা করে এগিয়ে চলে ইন্দ্রনীল। রঙিন বুঝতে পারে না কী হল। অরুণাভ ফের ডাকে, “ডাক্তার… এক মিনিট”। ইন্দ্রনীল এক মূহুর্তের জন্য থামে, পিছন ফেরে, তারপর নিজের বিরক্তি লুকিয়ে অত্যন্ত ঠান্ডা গলায় বলে, “ছেলেমানুষীগুলো বন্ধ করুন এবার।” এই ক’টা শব্দ উচ্চারণ করে ফের যেমন যাচ্ছিল চলতে থাকে সে। পায়ে ব্যথার জন্য তাড়াতাড়ি হাঁটতেও পারছে না সে, যেটা আরও বিরক্তি তৈরি করছে।

    মিনিট খানেক আগে টেলিস্কোপ অ্যাডজাস্ট করে অরুণাভ তাকে যা দেখিয়েছে তা হল বিনীতার মুখের ক্লোজ আপ, কারও সঙ্গে কথা বলছে সে। তার রোগীর এমন ব্যবহারের কোনও অর্থ খুঁজে পাচ্ছে না ডাক্তার। যত দিন যাচ্ছে, উনি যেন তত বেশি করে ইন্দ্রনীলকে জড়িয়ে দিচ্ছেন বিনীতার সঙ্গে। এর আগে তার ফ্ল্যাটে নেশা হয়ে যাওয়ার ভান করে মিস্টার দাস বলেছিলেন ওনার বাড়িতে যেতে, বিনীতা আর রঙিনের ওকে নাকি দরকার। তারপর ফ্ল্যাট দেখার জন্য বিনীতার সঙ্গে তাকে পাঠিয়ে দিলেন। তারপর আজকের এই ঘটনা, যেটা একদম কিশোর বয়সের খুনসুটির মত। 

    রঙিন পিছন থেকে ছুটতে ছুটতে এসে ইন্দ্রের হাত ধরে। “আঙ্কল, তুমি চলে যাচ্ছ?”
    ইন্দ্রনীল বোঝার চেষ্টা করে রঙিনকে অরুণাভ পাঠিয়েছে কি না। সেটা নয় বুঝে কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বলে, “হাাঁ, হসপিটালে কাজ আছে। তুমি টেলিস্কোপ দেখ। আমি পরে আবার দেখব। টা টা।” 
    রঙিন টা টা করে বিদায় জানায় আঙ্কলকে। ইন্দ্রনীল ফের এগিয়ে যায়। অরুণাভ একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে ইন্দ্রর দিকে। রঙিনের ডাকে সাড়া দিতে ভুলে যায়।

    বিনীতা দেখতে পায় হঠাৎ করেই টেলিস্কোপ ছেড়ে উঠে পড়ে ইন্দ্রনীল, তার দ্রুত সেখান থেকে সরে আসাটা, রঙিনের সাথে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে কথা বলাটাও খেয়াল করে। তারপর ডাক্তারকে তাদের দিকেই আসতে দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে বিসপাতিয়ারা যেদিকে আছে সেদিকে চলে যায়। 

    বিনীতার সরে যাওয়াটা দূর থেকেই চোখে পড়ে ইন্দ্রনীলের। সে পৌঁছে যায় ছাতাওয়ালা টেবিলের কাছে। ইতিমধ্যে রঞ্জিতের ঘুম ভেঙ্গেছে। সে ডেকে বলে, “আসুন স্যারজী, বসুন। চা হবে এখুনি।”
    ইন্দ্রনীল বলে, “নাহ, আমায় যেতে হবে এখনই। আচ্ছা, গুড বাই।”
    গায়ত্রী জিজ্ঞাসা করে, “এখনই যেতে হবে?”
    “হ্যাঁ, একটু কাজ আছে।”
    “আপনার পায়ে কী হয়েছে? এইভাবে হাঁটছেন?”
    “পড়ে গেছিলাম একটু,” গায়ত্রীর প্রশ্নের উত্তর সংক্ষেপে দেয় ইন্দ্রনীল, তারপর কথা ঘুরিয়ে বলে, "আপনি অ্যাংকল বাইন্ডারটা লাগাতে ভুলবেন না।"
    মাথা ঝাঁকায় গায়ত্রী।  
    “ভাল থাকবেন ডাক্তারবাবু,” বলে বিনয়।
    “থ্যাংক ইউ, আপনারাও ভাল থাকবেন। আসি” বলে হাত তোলে বিদায় জানানোর ভঙ্গিতে। বাকিরাও হাত তোলে।

    গাড়িগুলো যেদিকে রাখা সেইদিকে এগিয়ে যায় ডাক্তার। মাঝপথে এগিয়ে আসে বিনীতা। “হঠাৎ চলে যাচ্ছেন যে?”
    দাঁড়িয়ে যায় ইন্দ্রনীল। “কাজ আছে একটু।”
    “এটা আমায় বিশ্বাস করতে বলেন?”
    কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থাকে ডাক্তার। তারপর বলে, “তা হলে তুমিই বলো কেন চলে যাচ্ছি।”
    “আমার হাজব্যান্ড কিছু বলেছে।”
    অবাক হয় ইন্দ্রনীল। “এই কনক্লুশনে এলে কি করে?”
    বিনীতা বলে, “সিক্সথ সেন্স বলতে পারেন, ভুল হলে শুধরে দেবেন।” 

    ওদিকে হাতে ভাঁজ করা টেলিস্কোপ নিয়ে অরুণাভ আর রঙিন সবার মধ্যে ফিরে আসে। রঞ্জিত ডাকে, “আসুন স্যারজী।”
    অরুণাভ উত্তর দেয় না, এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকে খোঁজে, দেখতে পায় না। বসে পড়ে সে, ঠোঁটের ফাঁকে প্রায় অদৃশ্য হাসি ফুটে ওঠে তার। বল দিয়ে খেলতে শুরু করে রঙিন।
    বিনয় ঘোষণা করে, “চায় হো গিয়া।… মানে মনে হয় হো গিয়া… দেখকে আতা হুঁ।” 

    ওদিকে কথা বলছে ইন্দ্রনীল আর বিনীতা। বিনীতা ভ্রূ কুঁচকে জিজ্ঞাসা করে, “কী বললেন?”
    “প্রথমে ঝাপসা, তারপর ক্লিয়ার ছবি। তোমার ক্লোজ আপ। মনে হয় দাদার সঙ্গে কথা বলছিলে,” উত্তর দেয় ইন্দ্র।
    “আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না। হঠাৎ এমন…”
    “আমার মনে হয় উনি বুঝতে পেরেছেন…”
    “কী?”
    “বুঝতে পেরেছেন আমাদের মধ্যে... কিছু একটা…”
    “মানে?”
    “ধরো ফ্ল্যটে যা হয়েছিল… তারপর তোমার ব্যবহার কি একটু অন্যরকম ছিল? মানে বাড়ি ফিরে…”
    বিনীতা একটু চিন্তা করে। “হতে পারে। মানে… হ্যাঁ তাই হয়েছিল।”
    ইন্দ্রনীল বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে। “আসি” বলে হাঁটতে শুরু করে।
    বিনীতা জিজ্ঞাসা করে, “আপনার পায়ে কী হয়েছে? হোটেলে পড়ে গেলেন কী করে?”
    ইন্দ্রনীল থেমে যায়। একটু চুপ করে থেকে বলে, “বম্বে থেকে আমার এক বন্ধু এসেছিল, ওর সঙ্গে দেখা করতে গেছিলাম। ফেরার সময়ে অন্যমনস্ক হয়ে সিঁড়ির একটা স্টেপ মিস করেছিলাম।”
    বিনীতা কিছু বলে না। “আসছি,” বলে দু’ পা এগিয়েই থেমে যায় ডাক্তার, বিনীতার দিকে মুখ ফিরিয়ে বলে,” ওনার শরীরের দিকে একটু খেয়াল রেখো।”
    বিনীতা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। “কেন… কিছু হয়েছে?”
    “না, আজ এখানে পিকনিকে একটু অনিয়ম হয়েছে। তার ওপর এই  ঘটনা… মানে আমি আচমকা চলে এলাম… তাই বললাম।… আসি।”
    গাড়ি চালিয়ে চলে যায় ইন্দ্রনীল। বিনীতা ফিরতে থাকে। অন্যমনস্ক না থাকলে হয়তো খেয়াল করতো গাছের একটু আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে তার দাদা।

    চা খাওয়া হয়ে গেলে পিকনিকও শেষ হয়ে যায়। মালপত্র গোছগাছ করে ফের গাড়িতে তোলাহয়, তারপর যে পথ দিয়ে সবাই এসেছিল, সে পথ দিয়েই ফিরতে থাকে তারা। কেবল ইরিগেশন ক্যানালটা এখন উল্টোদিকে।

    ওদিকে ফেরার পথে মনটা অশান্ত হয়ে আছে ইন্দ্রনীলের। স্বাভাবিক রাস্তায় না ফিরে এলোমেলো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে থাকে সে, তবে শহরের দিকে যায় না। রাস্তার ধারের একটা চায়ের দোকান দেখতে পায় সে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে দোকানে যায় সে। ছোট্ট টিনের চালের দোকান, চারপাশে গাছপালা। নড়বড়ে কাঠের বেঞ্চ। ইন্দ্র বেঞ্চে বসে এক গ্লাস চা নিয়ে। তার সামনে চাষের ক্ষেত। তার ওপারে সূর্য ডুবছে। চায়ে চুমুক দিয়ে সে ভাবতে থাকে চার দিন আগে আচমকা রাঁচী ছোটার কথা। শুধু বন্ধু নয়, আরও একজনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ওই হোটেলে, যার কথা বিনীতাকে বলেনি সে। অন্যমনস্ক হয়ে পড়ার কারণ হলেন তিনি।

    ছোটবেলার বন্ধুদের মধ্যে যার সঙ্গে ইন্দ্রর সম্পর্ক সবচেয়ে কাছের সে হল রাজীব, ডাক নাম রাজা। স্কুলজীবন থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এর সঙ্গেই প্রায় সবকিছুই শেয়ার করে সে। মুম্বাইতে থাকে রাজা। অফিসের কাজে পাটনা আসছিল, ওখানকার এয়ারপোর্টে কুয়াশার জন্য ভিজিবিলিটির সমস্যা হওয়াতে রাঁচীতে নেমেছে প্লেন। কাল সকালের আগে ফ্লাইট পাওয়া যাবে না, তাই হোটেলে রেখেছে এয়ারলাইন্স। ইন্দ্রকে ফোন করেছিল রাজা হোটেলে পৌঁছে। ইন্দ্র তখন বলে ফোনে নয়, সামনা সামনি কথা বলবে। সন্ধ্যাবেলায় প্রায় ১০০ কিমি রাস্তা পার করে আসতে চাইছে মানে জরুরী কিছু বলার আছে বুঝেছিল রাজা।

    প্রায় দু’বছর আগে ডাক্তারদের একটা কনফারেন্সে মুম্বাই গিয়েছিল ইন্দ্র, তখন দেখা হয়েছিল রাজার সঙ্গে। তারপর এই বার। রাজাকে বেঁটেই বলা যায়, গায়ের রঙ কালো, মাথায় চকচকে টাক। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা।

    প্রাথমিক কিছু সাধারণ কথাবার্তা আর কফির কাপে কয়েক চুমুকের পর রাজা সিগারেটে একটা টান দিয়ে সরাসরি বলল, “এইবার বল তো কী বলার জন্য তুই এতখানি রাস্তা এলি।”
    মনের কথা বলার লোক তার নেই; ভণিতা করল না ইন্দ্রনীল। “এক ভদ্রমহিলাকে আমার পছন্দ হয়েছে।”
    রাজা মুচকি হাসল, “আচ্ছা এই কেস।… জানিয়েছিস তাঁকে?”
    “হ্যাঁ।”
    “তো সেই সৌভাগ্যবতী কী বলেন?”
    “তিনিও আমায় পছন্দ করেন বলেই মনে হয়।”
    “ব্যাস… তবে আর কী? গো অ্যাহেড। আবার বিয়ে করবি, না কি এবার লিভ ইন?”
    ইন্দ্র একটু চুপ করে থাকে। “কেসটা একটু জটিল।”
    “কী রকম?”
    “তিনি ম্যারেড।”
    “ও বাবা।… আর কাউকে পেলি না?”
    “আমার এক পেশেন্টের ওয়াইফ।”
    “সেরেছে… পেশেন্টের অবস্থা কেমন?”
    “টার্মিনাল।”
    চুপ করে থাকে রাজা।
    “আশা করি ভাবছিস না যে আমি ঠিক মত ট্রিটমেন্ট করছি না,” বলল ইন্দ্র।
    “তুই না হয়ে অন্য কেউ হলে তাই ভাবতাম,” কফির কাপ তুলে নিতে নিতে বলে রাজা। চুমুক দিয়ে ফের কিছুক্ষণ কথা বলে না। তারপর মুখ খোলে, “ওনাদের ছেলেমেয়ে আছে?”
    “আছে, একটি মেয়ে। ক্লাস টু-তে পড়ে।”
    কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ফের প্রশ্ন করে রাজা, “টার্মিনাল পেশেন্টদের কী ট্রিটমেন্ট করিস?”
    “যেটা ইনএভিটেবল সেটা পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি, আর পেশেন্টের পেন কমাবার চেষ্টা করি।”
    “ওনার কোথায় ক্যান্সার?”
    “লাংসে। সাংঘাতিক ওয়ার্কোহলিক আর সাংঘাতিক মনের জোর। কোলিয়ারির অফিসার, একটা প্রোজেক্ট হেড করছেন হুইচ ইজ নিয়ারিং কমপ্লিশন। আই বিলিভ ওই কাজটা যতদিন শেষ না হচ্ছে, ততদিন উনি লড়ে যাবেন। তবে তারপর…”
    “আর ওনার স্ত্রী?”
    একটু ভেবে উত্তর দেয় ইন্দ্র। “একটা আনহ্যাপি ম্যারেড লাইফ লিড করতেন। অসুখ ধরা পড়ার পর - অনেক দেরিতেই ধরা পড়েছে - ভদ্রলোক অবশ্য একটু পালটেছেন। ফলে এখন ভদ্রমহিলা একটু কনফিউজড। ও হ্যাঁ, উনি স্কুল টিচার।”
    “কোলিয়ারির অফিসার…,” রাজা নিজের মনেই বিড়বিড় করে, “বাঙালী না নন-বেঙ্গলি?”
    “বাঙালী।… আরও একটা ব্যাপার আছে।”
    “আরও একটা ব্যাপার! এই কি যথেষ্ট নয়?” হাসল রাজা, সোফায় হেলান দিয়ে বসল। 
    “ভদ্রলোক নানাভাবে আমায়… কী বলব… হি ইজ পুশিং মি টুওয়ার্ডস হিজ ওয়াইফ।”
    “হোয়াট!!!” সোজা হয়ে বসল রাজা।
    বন্ধুকে নানা ঘটনা খুলে বলল ইন্দ্রনীল। তার কোয়ার্টারে মদ খাওয়ার পরের ঘটনা, তাকে ফ্ল্যাট দেখতে পাঠানো। বিনীতার বলা “বিধবা স্ত্রীর ঘটকালি” করতে চাওয়ার ব্যাপারটাও উল্লেখ করে।
    “কিন্তু উনি এমন করছেন কেন?”
    “জানি না।”
    “ওনার কিছু হয়ে গেলে তুই ওনার স্ত্রীকে বিয়ে কর - এটাই কি উনি চাইছেন? কিন্তু এটা কি খুব নরম্যাল…?”
    রাজার এইসব প্রশ্ন ইন্দ্র নিজেই নিজেকে করেছে একাধিকবার। কোনও কথা বলে না সে। 
    “ভদ্রলোক কি বুঝতে পেরেছেন তোদের মধ্যে কিছু একটা চলছে? বুঝলেনই বা কী করে?”
    বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলল ইন্দ্রনীল। এর উত্তর তার জানা নেই।
    কিছুক্ষণ চুপচাপ সিগারেট খায় রাজা। তারপর বলে, “বাচ্চাটাকে ম্যানেজ কর।”
    ইন্দ্র অবাক হয়। “মানে?”
    “ভদ্রলোকের অবর্তমানে যদি তোরা বিয়ে করতে চাস, আর বাচ্চাটা যদি তোকে পছন্দ না করে, তাহলে ভদ্রমহিলা তখন এগোতে নাও পারেন।… অবশ্য এসব কথা আসবে যদি তুই বাচ্চাসহ ওনাকে অ্যাক্সেপ্ট করতে চাস।”
    “বাচ্চাটাকে আমার ভাল লাগে,আর মনে হয় ও-ও আমায় পছন্দই করে।”
    “গুড,” বলে রাজা। 

    আরও দু-চারটে কথার পর ইন্দ্রনীল উঠে পড়ে। রাত প্রায় ন’টা, ডিনারের অফার আগেই ফিরিয়ে দিয়েছিল সে।
    “চল তোকে এগিয়ে দিয়ে আসি,” বলে রাজা।

    দুজনে মিলে একটা লম্বা করিডর দিয়ে হেঁটে লিফটের সামনে এসে দাঁড়াল। লিফটে ওরা ঢুকে পড়ার পর দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এমন সময়ে দেখা গেল একজন দ্রুত পায়ে এগিয়ে আসছে। রাজা তাড়াতাড়ি সুইচ টিপে ফের দরজা খুলে দিল। ভেতরে এসে রাজাকে ধন্যবাদ দিল সে। তারপরেই তীক্ষ্ণ চোখে ইন্দ্রর দিকে তাকিয়ে থাকল কয়েক সেকেন্ড। 

    “ডক্টর ইন্দ্রনীল বিশ্বাস আই প্রিজিউম,” বলল লিফটের তৃতীয় লোকটি। (ক্রমশঃ) 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৪৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন