এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে...- ২৭

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩১ বার পঠিত
  •    ।। সাতাশ ।।

    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    রঙিনকে আঁকার স্কুলে পৌঁছে দিল বিনীতা। মেয়ে এখানে ভর্তি হয়েছে মাস খানেক হল। স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে এই স্কুলটা চালান, নাম ‘প্যালেট’ । মেয়ে এখানে আসতে পছন্দও করছে, এখন কেমন শেখে দেখা যাক। আঁকার স্কুল থেকে গায়ত্রীর বাড়ি যাবে বিনীতা, ফেরার সময়ে রঙিনকে নিয়ে ফিরবে। 

    গায়ত্রীর বাড়িতে ও আর রঞ্জিত ছাড়া আছে গায়ত্রীর শ্বশুর মশায়। শাশুড়ি গত হয়েছেন। রঞ্জিতের বড় দুই ভাই-এর এক জন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসার, অন্য জন রাঁচীতে ব্যবসা করে। এই মূহুর্তে শ্বশুর মশায় হাঁটতে বেরিয়েছেন। রঞ্জিত রয়েছে দোকানে। বিনীতাকে শোবার ঘরে নিয়ে এল গায়ত্রী। বসল বিনীতা, জানলার কাঁচ দিয়ে বাইরে শেষ বিকেলের আলো দেখা যাচ্ছে।

    কোনও ভূমিকা করে না গায়ত্রী, সোজাসুজি প্রশ্ন করে, “এই ডাক্তার বিশ্বাসের সাথে তোকে জড়িয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। আমাদের স্কুলে তো বটেই, এমনকি রঞ্জিতের কানেও গেছে। তোদের কলোনিতে অনেককেই তো দোকানের সূত্রে চেনে। এই নিয়ে তুই কি কিছু বলবি?” একটু থেমে ফের মুখ খোলে গায়ত্রী, “অন্য কেউ হলে আমি এসব জিজ্ঞেস করতাম না; তুই বলেই করছি।
    বিনীতা বুঝতেই পেরেছিল আজ গায়ত্রী কেন আসতে বলেছে। তবু কোনও উত্তর দেয় না সে, স্থির হয়ে বসে থাকে।

    বন্ধুর কাছে থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে গায়ত্রী বলে, “সেদিন সকালে অনেকেই তোদের দেখেছে। ভুলে যাস না তুই স্কুল টিচার, তোকে সবাই চেনে। এটা ছোট কলোনি। স্ক্যান্ডাল ছড়াচ্ছে। আমি কিছু বিশ্বাস করিনি। তবে আজকাল বড্ড আনমাইন্ডফুল থাকিস। সেটার অবশ্য অন্য কারণ থাকতে পারে।”
    বিনীতা চুপ করেই থাকে। একবার তাকায় গায়ত্রীর দিকে, তারপর দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। বিনীতার ব্যাপারটা নিয়ে চেনা একজনের সাথে একরকম ঝগড়াই হয়ে গেছে গায়ত্রীর দিন দুই আগে। তারপরেই ওকে আসতে বলেছিল। 
    “কিছু তো বল,” গায়ত্রী একটু অস্থির হয়ে ওঠে।
    “আমার ওনাকে ভাল লেগে গেছে,” বলে ওঠে বিনীতা। গায়ত্রীর কথার উত্তর দেয়, না কি নিজের মনের মধ্যেই জোরালো ভাবে এই কথাটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কে জানে।
    গায়ত্রী চোখমুখে প্রবল বিস্ময় ফুটে ওঠে। “ওই ডাক্তারবাবুকে? তুই সিরিয়াস?”
    “জানি না।”
    “মানে? দাদার এই অবস্থা, কখন কী হয় কে জানে। আর এই সময়ে তুই... আবার বলছিস সিরিয়াস কিনা জানিস না! সে লোকটা সিরিয়াস কিনা সেটা জানিস? নাকি তাও জানিস না?”
    বিনীতা উত্তর দেয়, “সেটল করতে চেয়েছে... আমার সঙ্গে।”
    গায়ত্রী আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। “সে আবার কী? দাদা এখনও বেঁচে। আর তোর সঙ্গে সেটল করতে চাইল! কেমন ডাক্তার? কী ট্রিটমেন্ট করছে কে জানে?”
    “দু বছর পরের কথা বলছে। তাও আমি চাইলে তবেই। আর ট্রিটমেন্ট যে ঠিকঠাক করছে সেটা তুইও জানিস। তোর কাজিন বলেছে,” জানায় বিনীতা।
    বিনীতার শান্ত স্বরে গায়ত্রীর উত্তেজনা কমে আসে। “ডাক্তার কি ব্যাচেলর?”
    “ডিভোর্সি।”
    “সেটার কারণ জানিস?”
    “ওয়াইফের দিল্লি পছন্দ, ওনার নয়। এই নিয়ে টানাপোড়েনের ফলেই ডিভোর্স।”
    “এটা একটা কারণ হল?” অবিশ্বাসের সুরে জানতে চাইল গায়ত্রী।
    “এটাই বলেছে। ভেরিফাই করার জন্য স্ত্রীর ফোন নম্বরও দিয়েছে।”
    কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে গায়ত্রী। তারপর জিজ্ঞাসা করে, “রঙিনের কথা ভেবেছিস?”
    বিনীতা বলে, “ওর জন্যই।”
    “মানে?” জানতে চায় গায়ত্রী।
    “রঙিনের বাবা অফিস আর কাজ আর বই ছাড়া কিছু বোঝে না। এত বছরের ম্যারেড লাইফে আমরা এক বার মাত্র বেড়াতে গেছি, কালিম্পং-এ। সেটাও বিয়ের পরপরই। আমার কথা ছেড়ে দে, মেয়েকেও তেমন সময় দেয়নি কখনও। আমার বা মেয়ের শরীর খারাপ হলেও সময় মতো ঠিক অফিস চলে গেছে। ফোন করে খবরও নেয়নি কেমন আছি আমরা। অসম্মান যেমন করেনি, তেমনি সম্মানও দেয়নি।…”

    বিছানার ওপরে রাখা গায়ত্রীর মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। ফোনটা ধরে সে বলল, “একটু পরে কল করছি।” মোবাইলটা নামিয়ে রাখল, তাকাল বিনীতার দিকে। ফের কথা শুরু করল বিনীতা।

    “অসুখটা ধরা পড়ার পর হঠাৎ পালটে গেছে। আমার জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিল, ফাঁক পেলে মেয়ের সঙ্গেও খেলা টেলা করে।... পাগলের মত কাজ করছে, কি একটা রিপোর্ট তৈরি করছে, ভয় সেটা শেষ করার আগেই যদি কিছু হয়ে যায়।... আজ, নয় কাল, নয় পরশু মানুষটা আর থাকবে না। মেয়েকে একা মানুষ করার মত মনের জোর আমার নেই। ও বলেছে - মানে ডাক্তারবাবু - রঙিনের ভাবনা আমার একার নয়, ও-ও আছে…”

    একটু একটু করে ছবিটা পরিস্কার হচ্ছিল গায়ত্রীর কাছে। টেবিলে থাকা জাগ থেকে গ্লাসে জল ঢেলে বিনীতার দিকে এগিয়ে দিল সে। গ্লাসটা নিয়ে কিছুটা খেল বিনীতা। চুপ করে থাকল কিছু সময়।

    তারপর ফের বলে চলল, “তা ছাড়া আমারও তো কাউকে দরকার… মিস্টার শর্মার ছেলের জন্মদিনে আমায় ঘুরে ঘুরে দেখছিল। আমাদের দেখছিল। তারপর... একটা ক্রাইসিস চলছে, এই সময়ে তুই ছাড়া এক মাত্র ওই আছে আমার পাশে। তুই হয়তো বলবি ডাক্তার তো পাশে থাকবেই। কিন্তু এটা ঠিক ওই রকম নয়। সেদিন রাতে থেকে গেল... হ্যাঁ, হয়তো আমার জন্যই থেকে গেল…  কিন্তু তার মধ্যেও বার বার করে উঠে ওকে দেখতে যেতে ভুলল না।”
    গায়ত্রী বলল, “দাদা কি জানে? অবশ্য যে ভাবে কথাটা ছড়িয়েছে তাতে…”
    “লোকের কথাকে ও পাত্তা দেয় না। তবে যারা কথাটা ছড়াচ্ছে তারা কি জানে যে দাদা নিজেই ডাক্তারকে আমার দিকে ঠেলে দিচ্ছে..”
    গায়ত্রী চোখ কপালে উঠল। “মানে!!”
    “ডাক্তারকে বলেছে আমাকে আর রঙিনকে দেখতে। মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতে। অথচ আমায় কিচ্ছু বলেনি।”
    গায়ত্রী একটু ভেবে বলল, “তোর ব্যাপারে দাদা হয়তো খুব পজেসিভ।'

    দু’দিকে মাথা নাড়ল বিনীতা। জলের গ্লাসটা তার হাতে ধরাই ছিল, ফের সেখান থেকে এক ঢোঁক জল খেল সে। তারপর বলল, “আমি খুব কনফিউজড। আমার স্বামী আমায় চিরকাল নেগলেক্ট করেছে, আমার মেয়েকেও। এক দিন সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারপর হঠাৎ আমাদের ভালবাসতে আরম্ভ করেছে। এখন আমি কী করব? সে আর বেশিদিন বাঁচবে না। আমার কর্তব্য তার দেখাশোনা করা। সে কর্তব্য আমি আগেও পালন করেছি, এখনও করছি।… কিন্তু মন কারও দাস নয়। আগে কেউ কখনও আমায় ভালবাসা জানায়নি। আজ একজন জানিয়েছে। বাই চান্স সে আমার অসুস্থ হাজব্যান্ড-এর ডাক্তার। তাকে আমার ভাল লেগেছে, কিন্তু আমি তাকে হ্যাঁ না কিছুই বলিনি এখনও। কারণ ওই কর্তব্য। তবে আমার ফিলিং সে বুঝেছে। আমায় দু-বছর সময় দিয়েছে মন স্থির করার জন্য। আমি যদি আমার ফিউচারের জন্য… আমার মেয়ের ফিউচারের জন্য তার প্রস্তাবে রাজী হই, সেটা কি খুব খারাপ হবে?... সেদিন ভোরে বেরনোটা ঠিক হয়নি, কিন্তু আমি বোধহয় ওই রকম একটা ভোরের অপেক্ষায় ছিলাম।”

    একটানা এত কথা বলে চুপ করে যায় বিনীতা। ইতিমধ্যে বাইরে অন্ধকার নেমে এসেছে, ঘরেও। গায়ত্রীও অনেকক্ষণ চুপ করে থাকে। তারপর উঠে গিয়ে বন্ধ জানলার পর্দা টেনে দেয়। ঘরের আলোটা জ্বালে। ফিরে এসে বিনীতার সামনে দাঁড়ায়, মাথা নিচু করে বসে আছে সে। একটু বাদে মাথা তোলে।
    বিনীতা জিজ্ঞাসা করে, “কিছু বলবি না?”
    গায়ত্রী বলে, “তুই যে সিচুয়েশন-এর মধ্যে দিয়ে গেছিস, যাচ্ছিস, তা তো আমি যাইনি। আমি জাজমেন্ট দেওয়ার কে?”

    বিনীতা গায়ত্রীর হাত দুটো চেপে ধরে। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে গায়ত্রী। বিনীতার চোখের কোণা দিয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে।

    ***

    আজ আবার একটা বিশেষ দিন। বিনীতা আর অরুণাভর বিয়ের তারিখ। বিয়ের প্রথম দু’তিন বছর এই দিনটা নিয়ে বিশেষ উৎসাহ থাকত বিনীতার। তারপর ক্রমশঃ তা আর পাঁচটা দিনের মত সাধারণ হয়ে গেল। অরুণাভর তো মনেই থাকে না বিবাহবার্ষিকীর কথা। তবে এই বারের ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। অরুণাভ যে শুধু দিনটা মনে রেখেছে তাই নয়, সিনেমার টিকিট কেটেছে। আর তার চেয়েও অদ্ভুত ব্যাপার হল তাদের সাথে আসতে বলেছে ইন্দ্রনীলকে। ডাক্তার প্রথমে এমন দিনে তাদের সঙ্গী হতে চায়নি, পরে নিমরাজি হয়েছে।

    বিনীতার কাছে এটা অভাবনীয় প্রাপ্তি। তার মনের মধ্যে যে দুই সত্তার মধ্যে নিয়ত লড়াই চলছে তারা উভয়েই খুশি। সন্ধ্যা বেলা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে তৈরি হচ্ছে সে। অরুণিমার দেওয়া নীল রঙের শাড়িটা পরেছে সে, সাথে ম্যাচিং ব্লাউজ। এর সাথে একটা মুক্তোর সেট কানে আর গলায় থাকবে। গুনগুন করে একটা গান করতে করতে দুল দুটো প’রে নিল সে। আলমারি থেকে কোট বার করছিল অরুণাভ। তার মনে হল গুনগুন করা গানটা হল “আমার মল্লিকা বনে…” 

    বাইরের ঘরে বসে টিভিতে কার্টুন দেখছে রঙিন, আজ সে যাবে না বাবা-মায়ের সাথে। এজন্য মন খারাপ একটু। তবে মা বলেছে রাতে চাইনিজ খাবার নিয়ে আসবে তার জন্য। 
    কোটটা বার করে গায়ে দিতে দিতে স্ত্রীর দিকে একবার দেখল অরুণাভ। দারুণ লাগছে বিনীতাকে। তবে এ কথাও তার মনে হচ্ছে স্ত্রীর এই সাজগোজ ডাক্তার আসবে সেই জন্য কি না। 
    “তোমার কি হয়ে গেছে?” জিজ্ঞাসা করল বিনীতা।
    “হ্যাঁ, কেন?” উত্তর দিল অরুণাভ।
    “হুকটা লাগিয়ে দাও তো,” আয়নার মধ্যে দিয়ে অরুণাভর দিকে তাকিয়ে বলে বিনীতা। তার দু হাতে মুক্তোর হারের দুই প্রান্ত ধরা।

    অরুণাভ বেশ অবাক হয়। এমন অনুরোধ সম্ভবত এক দশকেরও বেশি সময় পরে এল। ড্রেসিং টুলের ওপর বসে থাকা স্ত্রীর পিছনে দাঁড়ায় সে, হারের দুটো মুখ দু হাতে নেয়। স্বামীর সুবিধের জন্য বিনীতা তার ঘন চুল সরিয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসে; ব্লাউজের উপরে থাকা পিঠের একাংশ আর ঘাড় উন্মুক্ত হয়ে যায়। সেদিকে তাকিয়ে হঠাৎই মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে জেগে ওঠে অরুণাভর। এমন সময়ে তার মোবাইল বেজে ওঠে।
    “এক মিনিট ধরো,” ব’লে অরুণাভ ফোন ধরতে যায়। বিনীতা হারটা গলায় ধরে আয়নায় দেখতে থাকে।

    “হ্যালো ডাক্তার… হ্যাঁ এই তো রেডি হচ্ছি, বলে অরুণাভ। ডাক্তারের নাম শুনে বিনীতা আয়না দিয়ে অরুণাভর দিকে তাকায়।
    “ও আচ্ছা (ফোনে কথা বলতে বলতেই অরুণাভ স্ত্রীর দিকে ফেরে) তাহলে তো... আরে না না, এতো হতেই পারে… রাখলাম। (ফোন বন্ধ করে) এমার্জেন্সি কেস এসেছে, যেতে পারবে না।”

    বিনীতা হাতের হারটা ড্রেসিং টেবিলে ফেলে দেয়। চুপ করে বসে থাকে।
    অরুণাভ বলে, “ডাক্তারের অবশ্য প্রথম থেকেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না।” কোনও কথা বলে না বিনীতা। এবার অরুণাভ ধীরে ধীরে বলে, “আমরা নিজেরাও তো যেতে পারি। টিকিট তো আমার কাছে।”
    “যাবই তো। কে কথা দিয়ে কথা রাখবে না তার জন্য আমরা সাফার করব কেন?” ড্রেসিং টেবিল থেকে হারটা তুলে নিজেই পরে নেয় সে। তার মধ্যে একটা অস্বাভাবিক তাড়া দেখা যাচ্ছে।
    “একটা টিকিট তো এখন এক্সট্রা, রঙিনকে নিয়ে গেলে হয়…” বলে অরুণাভ।
    “সব জায়গায় ওর যাওয়ার কী দরকার?... হয়ে গেছে তোমার? চল চল।”
    হন হন করে ঘরের বাইরে চলে যায় বিনীতা, তারপরেই আবার ফিরে আসে, হ্যান্ডব্যাগটা নিতে ভুলে গেছিল, বিছানার ওপর থেকে সেটা তুলে ফের বেরিয়ে যায়।

    দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরো ব্যাপারটা দেখে অরুণাভ। মনে মনে যেটা চাইছিল সেটাই হয়েছে, তবে এজন্য তার যে খুব আনন্দ হচ্ছে সেটাও বলা যাচ্ছে না। যে কাজটা বাকি রয়ে গেছে সেটা আজই সেরে ফেলতে হবে। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd90:1856:8094:b887:fa67:***:*** | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০১:২২539741
  • এই পর্বটি উপন্যাসের চেয়ে বেশীটাই সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো লাগলো। মন্দনা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন