এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • তোমার বাস কোথা যে... ৪২

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৬৭ বার পঠিত
  • ।। বিয়াল্লিশ ।।
    [ এই কাহিনীর সব চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোনো ব্যক্তির সাথে কোনও মিল যদি কেউ খুঁজে পান তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয়। ]

    খিদে আর ঘুম দুই-ই এক সঙ্গে পেয়েছে অরুণাভর, অল্প শ্বাসকষ্টও হচ্ছে, তবুও বাড়ি ফিরে কিছুক্ষণ শুয়ে রইল সে। একটু আগেও মনে হচ্ছিল অক্সিজেন নিতে হবে, কিছুক্ষণ পরে আস্তে আস্তে নিজে থেকেই সেটা ঠিক হয়ে গেল। শোবার ঘরে নয়, আজ ডাইনিং রুমে খেতে এল সে, আপত্তি করল না বিনীতা। একটু বেশিই রাত হয়ে গেছে আজ, তাই রঙিন শুয়ে পড়েছে, খাওয়ার টেবিলে আজ শুধুই স্বামী আর স্ত্রী। অরুণাভর হাতে কোনও বই নেই।

    “কেমন কাটল আজ অফিস?” জিজ্ঞাসা করল বিনীতা।
    “খুব ভাল। জিএম পার্টি দিয়েছিলেন,” বলল অরুণাভ।
    “খাওনি কিছু ওখানে?”
    “তেমন কিছু খাইনি, তাহলে তো এখন খেতাম না।”
    “খেলে না কেন?”
    “ইচ্ছে করছিল না।”
    “ঠিক আছে, এখন খাও,” বলল বিনীতা। “তারপর ভাল করে ঘুমাও, ছুটি নিয়েছ তো?”
    মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ জানাল অরুণাভ, তাকে হঠাৎই একটু অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে।
    “কী হল?”
    স্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে এবার মাথা নেড়ে না জানাল স্বামী। বিনীতা জানে তাকে কিছুই বলবে না অরুণাভ, তাই নিজে থেকেই বলল, “স্কুলে পরীক্ষা চলছে, মিটে গেলে আমিও ছুটি নেব। কোথাও বেরিয়ে আসব।”
    অরুণাভ উত্তর দিল না, কিছুক্ষণ চুপচাপ খেল। তারপর জিজ্ঞাসা করল, “রঙিনের কি কাল স্কুল যেতেই হবে?”
    অপ্রত্যাশিত প্রশ্নে অবাক হল বিনীতা। “কেন?”
    “না… স্কুল না গেলে ওর সঙ্গে থাকতাম।… অফিস তো যাব না।”

    কাল আর পরশু স্কুল রয়েছে রঙিনের, তারপর শনি-রবি ছুটি। এসব জেনেও কাল মেয়ের স্কুল কামাই করাতে চাইছে বাবা, তাকে নিজে থেকে সময় দিতে চাইছে, আগেও কখনও এমন হয়নি। যদিও কাল স্কুল না গেলে তেমন কোনও ক্ষতি নেই, তবুও অকারণ অ্যাবসেন্ট হওয়া পছন্দ নয় রঙিনের মায়ের। তবে আজ রাজী না হলে এর পর আর কখনও বলবে কি? বিনীতার মনে পড়ল ইন্দ্রনীল বলেছিল প্রোজেক্ট শেষ হয়ে গেলে উনি বাড়িতে কোনও কাজ খুঁজে পাবেন না; তখন হয়তো অস্থির হয়ে উঠবেন; ছেলেমানুষের মত আচরণও করতে পারেন।

    সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল বিনীতা। “ঠিক আছে, কাল স্কুল পাঠাব না।”
    খুশির হাসি হাসল অরুণাভ, তারপর আবার একটু গম্ভীর হল। বিনীতা প্রথমে খেয়াল করেনি, দেখে তার স্বামী খাওয়া ফেলে বসে আছে, খাবার যদিও সামান্যই পড়ে আছে পাতে। জিজ্ঞাসা করল, “আর খেতে ইচ্ছে করছে না?”
    আবার মাথা নাড়ল অরুণাভ।
    “ঠিক আছে, ছেড়ে দাও… উঠে পড়…,” বিনীতা ফের খেতে থাকে। তারপর দেখে অরুণাভ উঠল না, অন্যমনস্কভাবে বসেই আছে।
    আজ তো ক্লান্তভাবেই বাড়ি ফিরেছিল, উদ্বিগ্ন হল বিনীতা। “শরীর খারাপ লাগছে?”
    “একটা জিনিস মনে হচ্ছে…”
    “কী বল?”
    “পাঁপড়ের তরকারি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে…”

    চেয়ারে সোজা হয়ে বসল বিনীতা, তার মনেই পড়ছে না শেষ কবে তার স্বামী কিছু খেতে চেয়েছে। অরুণাভর খাওয়া নিয়ে তার কখনও কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পাঁপড়ের তরকারি! এমন একটা তরকারি যে হয় সেটা কেবল শুনেছে বিনীতা, নিজে কখনও খায়নি। কেমন করে বানায় সেটাও জানে না সে। তবে ইন্টারনেটের যুগে সবই জেনে নেওয়া যায়।

    “”বেশ… কাল রাতে করার চেষ্টা করব। তবে পাঁপড়ের তরকারি কেন? আমি আগে কখনও খাইনি,” বলল বিনীতা।
    “আজ জিএম স্যারের পার্টিতে পাঁপড় রাখা ছিল… দেখে মনে পড়ল মা বানাতো…”
    নানা রকম ইমোশন খেলা করে গেল বিনীতার মধ্যে, একটু জোর দিয়ে বলল, “কাল বানাব। ইউ টিউবে নিশ্চয় পেয়ে যাব। ভাত দিয়ে খায়, না রুটি দিয়ে?”
    “ভাত,” বলে অদ্ভুতভাবে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকল অরুণাভ, তারপর চেয়ার ছেড়ে উঠে মুখ ধুতে গেল।
    স্বামীর এমন দৃষ্টি দেখেনি আগে বিনীতা, কিছু বলতে চাইছে মানুষটা?   
    … …

    পরের দিন সকালে অরুণাভ ভেবেছিল দেরি করে ঘুম থেকে উঠবে, কিন্তু ঘুম ভেঙে গেল। তাও খানিক বিছানায় শুয়ে রইল সে, চোখে পড়ল রঙিন দরজা থেকে উঁকি দিচ্ছে। সেদিনের মত হবে না তো, মনের মধ্যে আশঙ্কা নিয়ে বিছানায় উঠে বসল অরুণাভর, ডাকল মেয়েকে হাতের ইসারায়। না, আজ ফিরে গেল না সে, এগিয়ে এল কাছে।

    “গুড মর্নিং…”
    “গুড মর্নিং। তুমি আজ অফিস যাবে না?”
    “না, তুমি কি স্কুল যাবে?”
    “না, মা বলল আজ স্কুলে যেতে হবে না, তুমি আমার সঙ্গে খেলবে।”
    “হ্যাঁ খেলব তো। আমরা দুজনে ব্রেকফাস্ট খাব, তারপর খেলব।”
    “কী খেলবে?” জিজ্ঞাসা করল মেয়ে।
    “তুমি কী খেলবে বলো?” পালটা প্রশ্ন করল বাবা।
    “মা বলেছে ঘরে বসে খেলতে, ছুটোছুটি না করতে…”
    “আচ্ছা ঠিক আছে… মা কই?”
    “বাইরের ঘরে… ফোন দেখছে।”
    “আচ্ছা…”
    কিছুক্ষণ পরে খাবার টেবিলে এসে বসল অরুণাভ, ডাকল মেয়েকে। রঙিন বারান্দায় ছিল, সেখান থেকে এল ডাইনিং রুমে। আজ বিনীতা নিজেই ব্রেকফাস্ট নিয়ে এল দু’জনের জন্য, অন্যদিন বিসপাতিয়া আনে। লুচি আর সাদা আলুর তরকারি দেখে খুশি হল রঙিন, সঙ্গে মিষ্টিও আছে, কাল রাতে অরুণাভর অফিস থেকে এসেছে।

    “পুরিইই…” বলে আনন্দে বলে উঠল রঙিন।
    বিনীতা তাকে শুধরে দিল, “এটা পুরি নয়, লুচি। খাও, তারপর আমি স্নানে যাব।”
    “তুমি খাবে না?” স্ত্রীকে অবাক করে জিজ্ঞাসা করল অরুণাভ। এমন প্রশ্ন আগে শোনেনি সে।
    “না, আমি টিফিনে নেব, তোমরা খাও।… বিসপাতিয়া,” রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে গলা তুলল বিনীতা, “ভাজা হল?”
    কিচেন থেকে উত্তর এল না, তবে বিসপাতিয়া নিজেই প্লেটে করে গরম গরম ফুলকো লুচি নিয়ে এল গোটা চারেক। দু’জনের প্লেটে লুচি তুলে দিল সে।
    “খুব গরম, একটু ঠান্ডা করে খাও,” রঙিনকে বলল বিনীতা, তারপর অরুণাভর দিকে ফিরল, “আমি দেখলাম… পাঁপড়ের তরকারি বানানো কঠিন কিছু নয়, ও বেলা করব।”
    উত্তরে সামান্য হাসল অরুণাভ।

    স্কুলে যাওয়ার আগে বাবার সাথে খেলা করা নিয়ে মেয়েকে ফের একপ্রস্থ কথা বলে গেল বিনীতা। বাবা আর মেয়ের খেলা একটু দেখতে পেলে ভাল লাগত, কিন্তু কিছু করার নেই, পরীক্ষার দিনগুলোয় একটু আগে আগে বেরোতে হয়। 

    ওদিকে রঙিনের ঘরে লুডো খেলতে বসেছে বাবা আর মেয়ে। খেলতে খেলতে হঠাৎই “আসছি” বলে উঠে গেল অরুণাভ, ফিরে এল তার মোবাইল ফোনটা নিয়ে। তারপর ভিডিও ক্যামেরা অন করে রেকর্ড করা শুরু করল।
    “আমি আর রঙিন এখন লুডো খেলছি, তোমরা কেউ বিরক্ত করবে না।… রঙিন, চাল দাও… দেখি ছক্কা ফেলতে পারো কি না…” কমেন্টারি করতে লাগল সে।
    ছক্কা পড়ল না, পড়ল তিন। তবে খেলার মধ্যে ভিডিও ঢুকে যাওয়ার ব্যাপারটা রঙিনের দারুণ পছন্দ হল, বাবাকে আগে কোনও দিন ফোনে ছবি বা ভিডিও তুলতে খুব একটা দেখেনি সে।  অরুণাভ খানিক ভিডিও করে, তাতে সব কিছুর ছবি তোলে - মেয়ের, লুডোর বোর্ডের, ঘরের নানা জিনিসের, নিজেরও; তারপর কিছুক্ষণ বন্ধ রাখে, আবার চালু করে।
    একটু পরে রঙিন জিজ্ঞাসা করল সে নিজে একটু ভিডিও করতে পারবে কি না। বাবা সম্মতি দিলে সেও ভিডিও করা শুরু করল। অরুণাভ উৎসাহ দেওয়াতে কমেন্টারিও শুরু করল সে, তবে বেশিক্ষণ পারল না, ক্যামেরা চলতে চলতে বলার মত কথা খুঁজে পাচ্ছিল সে, এমনিতেই তো বাবার মত কম কথা বলে সে।

    লুডো, স্নেক ল্যাডার কিছুক্ষণ খেলার পর, অরুণাভ দেখতে চাইল রঙিনের ড্রইং খাতা। আঁকার স্কুলের পরামর্শ মত বিনীতা মেয়ের খাতাগুলোতে এখন এক, দুই, তিন করে নম্বর দিয়ে রাখে সময় অনুযায়ী। এতে রঙিনের উন্নতি কতটা হচ্ছে সেটা বোঝা সহজ হয়। এক আর ছয় নম্বর খাতায় আঁকার পার্থক্য এখন বিনীতার চোখেও স্পষ্ট - ক্রমশঃ উন্নতি হচ্ছে মেয়ের।

    পাঁচ আর ছ’নম্বর খাতার পাতা উল্টে উল্টে ভিডিও করল অরুণাভ, তাতে নিজের আর মেয়ের বক্তব্যও রেকর্ড করল। কিন্তু বসে বসে খেলা আর ভাল লাগছে না রঙিনের, সে একটু লুকোচুরি খেলতে চায়। বেশ তো, লুকোচুরি খেলা শুরু হল, আর খেলতে গিয়ে অরুণাভ দেখল এই বাড়ির খুঁটিনাটি, কোথায় কী আছে তা নিয়ে বাড়ির মালিকের চেয়ে মেয়ে অনেক বেশি জানে। রঙিনকে খুঁজে বার করার একটা সময়ও ভিডিও করে রাখল অরুণাভ, তাতে ভারি চেহারার বিসপাতিয়ার সহাস্য মুখও বাদ গেল না।

    এই খেলাও একটু পরেই পুরনো হয়ে গেল রঙিনের কাছে। “বাবা, এবার ট্যাগ খেলব।”
    “ট্যাগ!... সেটা কী খেলা?”
    “এ মা, ট্যাগ জান না?” মাথা নাড়ল অরুণাভ, মেয়ে বুঝিয়ে বলল, “আমি ছুটব, তুমি আমায় ধরবে, ছুঁয়ে দিলেই আমি আউট। তখন তুমি ছুটবে, আমি ধরব, বুঝলে?”
    এবার মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বলল অরুণাভ। ছোটবেলার ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার নাম ট্যাগ? টাচ অ্যান্ড গো-এর শর্ট ফর্ম? তবে বেশি ভাবার সময় পেল না সে, মেয়ে বলল, “কই বাবা, চল।”
    “এইটা ঘরে কী করে খেলবে? এটা তো মাঠে গিয়ে খেলতে হবে,” বলল অরুণাভ।
    লাফিয়ে উঠল রঙিন, “চল বাবা, পার্কে গিয়ে খেলব।’
    “এখন তো রোদ খুব, পার্কে গেলে গরম লাগবে,” ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল বাবা।
    “একটুখানি বাবা, চল, চল…” বায়না করল মেয়ে।

    ট্যাগ খেলতে পার্কে গেল বাবা আর মেয়ে। বেশ বেলা হয়ে গেছে, রোদের মধ্যে পার্কে তেমন কেউ নেই, দু’জন মালী একপাশে একটা গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছে, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়ছে পাড়ারই একটা কুকুর। 
    ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা জমল না তেমন। একটু পরেই হাঁফ ধরে গেল অরুণাভর, কিছুক্ষণ বেঞ্চে বসে থাকল সে। মেয়ে ভাবল ট্যাগ খেলতে বাবার কষ্ট হচ্ছে, তাই খেলাটাই বদলে ফেলল। “বাবা, ওই দোলনাটা কে আগে ছুঁতে পারে?”
    “একটু দাঁড়াও,” ক্লিষ্ট হেসে বলল বাবা, তারপর মিনিট দুই বাদে উঠে দাঁড়াল।
    “রেডি, ওয়ান, টু, থ্রি…” বলে ছুট দেয় রঙিন। পেছনে হাসি মুখে ছোটার ভান করে অরুণাভ, ভিডিও রেকর্ডিং চলতে থাকে। দৌড়ে দোলনার কাছে পৌঁছে যায় মেয়ে। চেঁচিয়ে ওঠে, “আমি ফার্স্ট”। ধীরে ধীরে বাবাও সেখানে চলে গেলে নতুন লক্ষ্য স্থির করে রঙিন। “এবার আবার ওই বেঞ্চটা…” 
    মেয়ে পোঁছে যায়, তবে এবার আর বাবার পৌঁছানো সহজ হয় না।
    “একটু বসি…,” বাবা বলল, “তুমি বরং একটু দোলনা চড়ে নাও।”
    মেয়ের গোমড়া মুখে এগিয়ে গেলে অরুণাভর মনে হল সঙ্গে একটু খাবার জল আনা উচিত ছিল। বুকটা হাপরের মত ওঠানামা করছে, রোদের মধ্যে পার্কে এসে ছোটাছুটি করা উচিত হয়নি একদম। 

    দোলনায় রঙিন, কখনও উপরে উঠছে, আবার তারপরেই নেমে আসছে, ফের চলেছে উপরের দিকে। দৃশ্যটা মোবাইলের ক্যামেরাবন্দী করতে লাগল অরুণাভ। মেয়ে তাকে সকাল থেকে একটার পর একটা টার্গেট দিয়ে যাচ্ছে, যেমনটা সে দিয়ে এসেছে এতদিন তার প্রোজেক্টের ছেলেমেয়েদের। কখনও জোর খাটিয়ে, কখনও আবার লোভ দেখিয়ে দশ দিনের কাজ চার দিনে করিয়েছে সে, টার্গেট মিস হয়নি। কিন্তু আজকের এই প্রোজেক্টে সে পুরোপুরি ফেল।    

    কিছুক্ষণ পরে অনিচ্ছুক রঙিনকে নিয়ে বাড়ি ফিরল সে, বড্ড কষ্ট হচ্ছে, একটু শুয়ে রেস্ট নেওয়া দরকার। হাত-পা ধুয়ে, চোখেমুখে জল দিয়ে বিসপাতিয়ার দেওয়া পাতিলেবুর শরবত খেল বাবা আর মেয়ে।

    অরুণাভ শুয়ে পড়ল বেডরুমে, রঙিনও চলে গেল নিজের ঘরে।
    বিসপাতিয়া স্নান করে নিতে বলল রঙিনকে, তার মুড ভাল না। “পরে করব,” রাগরাগ গলায় বলল সে।

    ওদিকে পরীক্ষার গার্ড ডিউটি  থেকে ব্রেক পেয়ে অরুণাভর মোবাইলে ফোন করল বিনীতা। এক বার… দু বার… তিন বার… ফোন বেজেই চলল, কেউ ধরল না। (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd0a:cbec:4d9:96d5:e278:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩৫542183
  • এটা কি এমনই লিখতে চেয়েছিলেন? 
    "তবে বেশিক্ষণ পারল না, ক্যামেরা চলতে চলতে বলার মত কথা খুঁজে পাচ্ছিল সে, এমনিতেই তো বাবার মত কম কথা বলে সে।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন