এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আবার একটা খেলা হবে

    মালবিকা মিত্র
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ বার পঠিত
  • আবার একটা খেলা হবে
    ধন্যি মেয়ে সিনেমার কথা মনে আছে? কিছুতেই কলকাতার (উত্তম কুমারের) সর্বমঙ্গলা ক্লাবকে ফুটবল খেলায় হারানো যায় না। অথচ হাড়ভাঙ্গা গ্রামের, জমিদার গোবর্ধন চৌধুরীর (জহর রায়) ইচ্ছা বিজয়ীর ট্রফি গ্রামেই থাকুক। তার জন্য বাইরে থেকে পয়সা দিয়ে ভাড়া করা খেলোয়ার আনা, রেফারিং করানো হলো জমিদার বাড়ির কুল পুরোহিত তোতলা ভট্টাচার্যকে (রবি ঘোষ) দিয়ে, রেফারি যা কিছু সিদ্ধান্ত নিত মাঠের পাশে বসে থাকা জমিদারের দিকে তাকিয়ে। তাতেও যখন হত না, তখন জমিদারের নিজেই সাইড লাইনের পাশে, তার ছাতার বাঁকানো হাতল দিয়ে কলকাতা টিমের খেলোয়ারদের পা টেনে ধরতো। যদিও তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। কলকাতার বগলার টিম ট্রফি জিতে কলকাতায় ফিরে গিয়েছিল।

    সিনেমার দৃশ্যটা মনে ধরে আছে। কারণ এখনো মাঝে মাঝেই যখন দেখতে পাই সেই খেলার ভিডিও হাইলাইটস। বাইরে থেকে খেলোয়াড় এসেছিলেন এলিতেলি নয় বড় মাপের কৈলাস বিজয় বর্গী। তিনি দেখেই বুঝে যেতেন কে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। কারণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা চিঁড়ে মুড়ি খায়। বুঝতে পারতেন, কারণ তার ওপরওয়ালা জমিদার মশাই মোদিজি লুঙ্গি পাজামা দেখে বুঝে যান কারা মুসলমান, অর্থাৎ জঙ্গি। সেবারে দুই বেলা জমিদার ও তার সর্দার অমিত শাহ এরোপ্লেনে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতেন। তবুও বিশেষ ফল হলো না।

    মনে আছে জমিদার কলকাতা টিমের খেলোয়ারদের খাবারে জোলাপ মিশিয়ে দিয়েছিলেন। কলকাতার খেলোয়াড়রা সব পেট খারাপ নিয়ে দিশেহারা। তাদের বাঁ হাতের জল কিছুতেই শুকাচ্ছে না। এ রাজ্যেও শত খানেক তৃণমূলের নেতা বিধায়ক এবং কয়েক হাজার কর্মীকে সিবিআই ইডির ভয় দেখিয়ে, দল ভাঙিয়ে, বিজেপিতে আনা হলো। তারাও এলো, কারণ স্লোগান ছিল "অব কি বার, দোশো পার"। বলতে পারেন সরকারটা প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শপথ নেওয়াই খালি বাকি ছিল। লাভের লাভ হয়নি কিছু, পৌনে একশোর গণ্ডিতে আটকে যেতেই দলছুট দল বদলুরা অনেকেই আবার ফিরে এলো। আর যারা দলে ঘাপটি মেরে ছিল, সময় সুযোগ মতো দল বদলাবে বলে, তারা সুবোধ বালক হয়ে ফের অনুগত "অনুপ্রাণিত" হয়ে থেকে গেল ।

    রেফারি এসেছিলেন জমিদার মশাইয়ের পোষা ময়না জগদীপ ধনকড় এবং তরল মতি বোস সাহেব। রেফারিরা নিজেরাই মাঠে নেমে পড়েছেন। পারলে পেনাল্টি শট শুধু দেয় না, নিজেই নিয়ে নেয়। রাজ্যপালরা অতি সক্রিয় হয়ে সরাসরি খেলতে শুরু করেছেন। এমনকি গেরুয়া বাহিনীর ব্রিগেডে "লক্ষ্য" কণ্ঠের গীতা পাঠে নিজেই গিয়ে হাজির এবং গীতা পাঠের লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করছেন, এ রাজ্য থেকে দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর। সেসব শুনে শুভেন্দু বাবু আর শমিক বাবুরা বিব্রত। কারণ পাগলা দাশু রাজ্যপাল, নিজের ডায়লগ, শুভেন্দু শমিকের ডায়লগ, সব একাই আওড়ে দিচ্ছেন। তাহলে ওনারা বক্তৃতায় কি বলবেন?

    এই ম্যাচের অন্য রেফারি দুজন, নির্বাচন কমিশন এবং বিচার বিভাগ। তারাও খেলতে শুরু করেছেন। এমনকি একজন বিচারপতি বিচার বিভাগের অতিসক্রিয়তা দেখে সমালোচনায় ও লজ্জায় মুখ ঢাকছেন। তিনি খোলামেলা ঘোষণা করলেন বিচার বিভাগের কাজ তদন্ত করা নয় বা লৌহ শিরস্ত্রাণ মাথায় ধারণ করে নাইটের মত এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো নয়। বরং প্রদত্ত অভিযোগ ও তার প্রমাণ গুলির মধ্যে সাযুজ্য সংগতি অসঙ্গতি এগুলো বোঝার চেষ্টা করা। কোন কোন বিচারপতি তো রাম মন্দিরের রায় দিতে গিয়ে রামের সামনে ধ্যানমগ্ন হয়ে পড়েছেন। কেউ আবার ধৈর্য রাখতে না পেরে বিচারকের আসন ছেড়ে, সরাসরি বিজেপির সাংসদ হয়েছেন, নিজেই খেলার মাঠে ঢুকে পড়েছেন।

    নির্বাচন কমিশনারের ক্ষেত্রেও এমন অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন পাস করে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব কেড়ে নিয়ে, সব ক্ষমতা জমিদার ও তার পারিষদের হাতে। ফলে তোতলা ভট্টাচার্যের নিয়োগে কোন অসুবিধা রইল না। তার পূর্বতন মোদী শাহ কানেকশন, তার কন্যা ও পরিবারের উপযুক্ত পুনর্বাসন, এসব নিয়ে দুজনই চর্চা করছে। এসআইআর নামে একটা নতুন উদ্যোগ চালু হয়েছে। বিরোধী পক্ষের গোল লাইন বরাবর পুরোটাই গোলপোস্ট বানানো হবে। আর কেন্দ্রের শাসক দলের গোলপোস্ট রাখা হবে না। গোলপোস্ট যদি না থাকে, তাহলে কোন গোল ই হবে না। আর বিরোধী পক্ষের গোল লাইনে বল গেলেই সেটা গোল হবে, এ এক নতুন উদ্ভাবন। একদিকে ভোটার তালিকা থেকে বিপক্ষের নাম কাটাও। অন্য দিকে তালিকায় ভিন রাজ্যের নিজের পক্ষের লোকের নাম ঢোকাও। কি? একদিকে গোল পোস্ট বাড়লো আর অন্যদিকে গোল পোস্ট ছোটো হলো তো? এইবার?

    মোদি শাহ জুটির এহেন আচরণ বোধগম্য। কারণ মডেল হিসেবে আমাদের জমিদার গোবর্ধন চৌধুরী (জহর রায়) চোখের সামনে আছেন। রেফারি ভাড়া করা, খেলোয়াড় ভাড়া করা, বিরোধী দলের মধ্যে নাশকতা করা, ফুড পয়জন করা, এর সবই পরিচিত ছিল। আমাদের জমিদার সাম দান দণ্ড ভেদ নীতিতে বিশ্বাসী। কোথাও কোন ফাঁক রাখা চলবে না। সিনেমায় খেলার মাঠে দর্শকরা কিন্তু ছিল কলকাতার টিমের ভালো খেলা দেখার জন্য আগ্রহী। আমাদের সাম্প্রতিক চলমান এই খেলায় দর্শকদের একটি অংশ, তারা জমিদারের পক্ষে নেমে পড়েছেন। যদিও একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। ধরুন একটা কর্মসূচি চলছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। এই বাংলা বাঁচাও একটা পরিচিত স্লোগান :--
    (এক) বাংলা বাঁচাও নামে একটি গণমঞ্চ তৈরি হয়েছে। যারা বাংলায় গো বলয়ের আগ্রাসন, ভিন রাজ্যে বাংলাভাষীদের ওপর আগ্রাসন, এমনকি বাঙালি মানেই অনুপ্রবেশকারী অতএব তাকে বাংলাদেশে জবরদস্তি প্রেরণ করা, এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা; বাংলার প্রাপ্য অর্থ কেন কেন্দ্র দেবে না, সেই দাবীতে সোচ্চার হওয়া, এমন একটা বাংলা বাঁচাও মঞ্চ আছে।
    (দুই) বাংলা পক্ষ বলে একটি মঞ্চ আছে। যারা বাংলায় যেভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনবিন্যাস ও ভারসাম্য পাল্টে দিয়ে, বাংলাকে হিন্দি বলয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার। এসআইআর এর নাম করে, লক্ষ লক্ষ বাংলা ভাষী ভোটারকে তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তারা স্পষ্ট জানাচ্ছে যে গুজরাট হরিয়ানা বিহারের ভোটার এই বাংলাতেও ভোটার হিসেবে নাম লেখাচ্ছে। স্পষ্টই "হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তান" স্লোগান কে কার্যকর করার চেষ্টা করছে। এরা মিথ্যা কথা বলে প্রচার করছে হিন্দি রাষ্ট্রভাষা। বাংলা পক্ষ মানুষকে জানাচ্ছে যে ভারতের একুশ টি ভাষা সংবিধানের স্বীকৃত। বাংলা ও হিন্দি সমমর্যাদা সম্পন্ন ভাষা। আমাদের সংবিধানে কোন রাষ্ট্রভাষা নেই।

    না সিপিএমের "বাংলা বাঁচাও যাত্রা" এসব দাবি করছে না। যারা বাংলা বাঁচাও যাত্রা করছেন ২৯শে নভেম্বর থেকে ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত, তারা লাল ঝান্ডা ধারী সিপিআইএম। তাদের বক্তব্যে, মিছিলে, দেয়াল লেখায় বা সাংবাদিক সম্মেলনে, কোথাও বঙ্গভাষীর ওপর যে আগ্রাসন তা নিয়ে কথা নেই। তাদের প্রচারে বাংলাকে বঞ্চিত করে বকেয়া অর্থ না দিয়ে বাঙালিকে ভাতে মারার যে ষড়যন্ত্র, তার বিরুদ্ধে কোন কথা নেই। এমনকি এসআইআর এর নাম করে বাংলা থেকে এক কোটি বা তারও বেশি বাঙালি ভোটার বাদ দেওয়ার নির্বাচন কমিশনের যে ষড়যন্ত্র, তা নিয়েও কোন বক্তব্য নেই। অনুপ্রবেশকারী দেগে দিয়ে সপরিবারে সোনালী বিবি কে অন্যায় ভাবে বাংলাদেশে পাঠানো, তার প্রতিবাদেও কোন বক্তব্য নেই। তাহলে বাংলা বাঁচাও যাত্রা কেন? তাদের প্রচারে আছে এই রাজ্যের সরকারের দুর্নীতি, এই রাজ্যের কোন রাস্তা চওড়া করা, পরিবেশ দূষণ, কোন খালের সংস্কার, কোন রেলওয়ে সাবওয়ে চওড়া করা, হয়তো বা মহাকাশে বর্জ্য জনিত দূষণ বন্ধ করা ইত্যাদি দাবিতে বাংলা বাঁচাও যাত্রা।

    স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচানোর আহ্বান নিয়ে সিপিএমের এই যাত্রা। নাটক নয়, যাত্রা। জনসভায় মীনাক্ষী মুখার্জী বলছেন ২০২৬ সালের নির্বাচনে এ রাজ্যের সরকার বদল হবে। যারা চিৎ হবার কথা বলছেন, তাদের পিঠে এক বৃহৎ শূন্য আকারের কুঁজ। তারা যখন বলছেন চিৎ হয়ে শোবার কথা, বুঝতে অসুবিধা হয় না, ২০২৬এ এই রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার কথাই বলা হচ্ছে। অতএব জহর রায়, গ্রামের জমিদার, দর্শকপক্ষকে নিজের দিকে আনতে পারেননি। কিন্তু বিজেপি দর্শকের একটি অংশকে পক্ষে এনেছেন। তারাও বলছেন সরকার পাল্টাও, সরকার পাল্টাও।

    আমি গ্রামের সেই ভাষ্যকার সুখেন দাস। যে অনবরত ধারা বিবরণী দিয়ে চলি। আকাশবাণীর প্রতিষ্ঠিত ভাষ্যকার হওয়া তো হলো না। এঁদো গ্রামের ভাষ্যকার হয়েই থাকলাম। ... খেলা শুরু হতে চলেছে মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ, দর্শকে ভরা মাঠের এক প্রান্ত থেকে "এবার পাল্টাও"... "এবার পাল্টাও"... ধ্বনি উঠছে। সেই দিকে লাল জার্সি আর গেরুয়া জার্সি মিলে মিশে দারুণ বর্ণময়। দুই পক্ষের অধিনায়ক মাঠে প্রবেশ করছেন। সাদা শাড়িতে, হাওয়াই চটিতে ঢুকছেন আমাদের গ্রাম বাংলার মেয়ে মনসা, জমিদার বাবুর গলার কাঁটা। চেহারায় ছোটখাটো আমাদের মনসা। মাঠের অন্য তিন প্রান্ত থেকে তুমুল আওয়াজ উঠেছে "এবার খেলা হবে ... খেলা হবে"। টস হলো। টসে হাওয়াই চটি মনসা জিতেছে। তারা সাইড চয়েস করেছে। কিন্তু এ কি ! হাওয়াই চটির গোল লাইন থেকে গোল পোস্ট সরিয়ে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রবল উল্লাসে লাল ও গেরুয়া শিবিরে আওয়াজ উঠছে "অব কি বার ... "। অন্য শিবিরে শ্মশানের নীরবতা। হাওয়াই চটি হাত দেখিয়ে দর্শকদের আশ্বস্ত করলেন। রেফারির সাথে কথা বলছেন। বলা হলো পুরো গোল লাইন টাই গোল পোস্ট। এবার দুই হাত ঊর্ধ্বে তুলে হাত তালি দিতে শুরু করেছে মনসা। সাথে সাথে মাঠের তিন দিক থেকে ধ্বনি উঠেছে "এবার খেলা হবে ..."। দেখতে দেখতে রেফারির বাঁশি বাজলো, সাথে সাথে বল গড়ালো....।

    এবার মাইক্রোফোন ছাড়লাম, শুনুন শীর্ষেন্দু দার মুখে। খেলা জিতবার সব আয়োজন সম্পূর্ণ করেও জমিদার বাবু নিশ্চিন্ত হচ্ছেন না, তাই পাড়ার হাটে বদ মেজাজি ষাঁড় (SIR) ভোলা কে নজরে রাখা হয়েছে। জমিদার বাবুর এক পেয়াদা দিলুয়া একটা বিশাল বড়ো তরমুজ নিয়ে একটু একটু করে খাওয়াচ্ছে ভোলাকে। আর এগোচ্ছে খেলার মাঠের দিকে। ওদিকে হাওয়াই চটির একটা ক্রশ পাস সতীর্থের পায়ে পৌঁছাতেই, বল গিয়ে লাল গেরুয়ার জালে ঢুকলো। মাঠের তিন দিকে উল্লাস "এবার খেলা হবে"। জমিদার বাবুর মাথায় হাত, এত করেও আটকানো যাচ্ছে না হাওয়াই চটিকে। আবার মাঝমাঠ থেকে হাওয়াই চটি বল ধরে ডান পা বাঁ পা ইনসাইড আউট সাইড ড্রিবলিং করে এগোচ্ছে। একী! জমিদারের ওই পেয়াদা ভোলাকে তরমুজ খাওয়াতে খাওয়াতে মাঠের ধারে এনে ফেলল। আর তারপর বাকি অবশিষ্ট তরমুজ ছুঁড়ে দিল মাঠের মধ্যে। ভোলা সেই তরমুজ খেতে দর্শকদের গুঁতিয়ে ঢুকে পড়ল মাঠে। এরপর মাঠ ময় শুরু হয়েছে ভোলার দাপাদাপি। খেলা পন্ড হবার জোগাড়। কিন্তু কি সাংঘাতিক, ভোলা মাঠে কিছুক্ষণ দাপাদাপি করল। কারণ মাঠ চারদিকে দর্শকে ঘেরা ঠাসা ভিড়। সে আটকে গেছে। তারপর হঠাৎই জমিদার বাবুর টেন্টের দিকে লাল কমলার রঙের ভিড়ে আকৃষ্ট হয়ে ভোলা প্রবল গতিতে এগিয়ে গেল সিং বাগিয়ে। লাল কমলা দর্শক ভয়ে ছত্রভঙ্গ ...... জমিদার বাবুর মাথায় হাত। আমার ভোলা, আমারই রাষ্ট্র পিতা, এটা কি করছে ! ওকে সামলাও ওকে সামলাও ...।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    আবার একটা খেলা হবে
  • আলোচনা | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন