রামায়ণ হইতে জানিতে পারি ভরতের মাতুলালয় ছিল কেকয় দেশে অর্থাৎ ককেসাস পর্বতের নিকটবর্তী আর্মেনিয়ায়। ইহা এক উদ্ভট কল্পনা নহে। দশরথের মৃত্যুর পর মাতুলালয় হইতে ভরতকে নিয়া আসিবার জন্য যে অমাত্যগণ কেকয়ে প্রেরিত হইয়াছিলেন, তাহাদিগকে বহলীক অতিক্রম করিয়া আরও অনেক উত্তর পশ্চিমে যাইতে হইয়াছিল। এমন দিন ছিল যখন এসিয়া মাইনরের অর্ধেকটা গ্রীক আর্য্যদ্বারা, এবং অপর অর্ধেক পারসিক আর্য্যদ্বারা অধ্যুষিত ছিল এবং তাহারা পরস্পর ঘনিষ্টভাবে মেলামেশা করিতেন। ঐতিহাসিকদের পিতৃস্থানীয় গ্রীক পণ্ডিত হেরোডোটাসের বাড়ী ছিল এশিয়া মাইনরে। বৈদিক সংস্কৃতি তখন ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মহাভারতের যুগে, নকুল-সহদেবের মাতুল শল্যকে তো মহাবীর কর্ণ “আচার-বর্জিত” মদ্রদেশের রাজা বলিয়া বিদ্রুপ করিয়াছেন। বেদে উল্লেখিত “মাধ্য” দেশ তখন “মদ্র” নামে অভিহিত হইতে আরম্ভ করিয়াছে । মাদ্রী যখন পাণ্ডুর সহিত সহমরণে চিতা আরোহণ করেন, তখন কুন্তী তাহাকে অভিনন্দন করিয়া বলিয়াছিলেন,
ধন্যা ত্বমসি বাহিলকী মত্তো ভাগ্যতরা তথা।আদিপর্ব - ১২৫-১১
মাত্রীকে “বাহিলকী” বলিয়া সম্বোধন করায় বুঝা যায়, মদ্র এবং বহলীক সংলগ্ন প্রদেশ। পান্ডবগণ বিরাটের দেশে আত্মগোপনের সময় যখন অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখছিলেন, তখন নকুল শমীগাছে একটা মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে বললেন -
কুলধর্মো অয়ং অস্মাকং পূর্বৈর্ আচরিতো অপি চ। বিরাটপর্ব--৫-৩৩
ইহাকে কুলধর্ম বলিবার হেতু এই যে ইহা নকুল-সহদেবের মাতুল দেশের প্রথা। পার্শিরা মৃতদেহ দাহন করে না, কিংবা কবর দেয় না --কোনও উচ্চ স্থানে রাখিয়া দেয়, যাহাতে পক্ষীদের ভোগে লাগে।কুরুক্ষেত্রের মহাযুদ্ধের পর কুরুগণ হীনবল হইয়া পড়িল, নাগরাজগণ তক্ষশিলায় রাজধানী স্থাপন করিয়া হস্তিনাপুর আক্রমণ করিল। কুরুরাজ পরীক্ষিত তাহাদের হস্তে নিহত হইলেন। পরীক্ষিতের পুত্র জনমেজয় নাগদিগের সহিত সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হইলেন। কিন্তু কুরুগণ ক্রমেই দুর্বল হইতে লাগিলেন। হস্তিনাপুরে বাস করা তাহাদের পক্ষে অসম্ভব হইয়া পড়িল। কুরুবংশের একটা শাখা হস্তিনাপুর হইতে তিনশত মাইল দক্ষিণে সরিয়া গিয়া কৌশাম্বীতে নূতন রাজধানী স্থাপন করিল। অপর এক শাখা পশ্চিমদিকে সরিয়া গিয়া, পারস্যে পার্সিপোলিস (পার্সিপুর ) নগরে রাজধানী স্থাপন করিল। এই বংশের সুবিখ্যাত সম্রাট নব কুরুকে গ্রীকগণ বলিতেন cyrus কিন্তু পারস্যের শিলালিপিতে তাহার নাম “কুরুস্” (কুরুঃ ), এবং হিব্রু সাহিত্যে “কোরেস”।
প্রাচীন একেমিনিড সাম্রাজ্য
পার্সিপোলিস [এখন]
পার্সিপোলিসে অহুরা মাজদার প্রতিকৃতি
সাইরাসের পতাকা
প্রথম দারিয়ুস

থার্মোপলির যুদ্ধের ওপর লেখা ফ্র্যাঙ্ক মিলারের '৩০০' গ্রাফিক নভেল
জরথুস্ট্র ছিলেন সেই সাম্রাজ্যের বৈদিক পুরোহিত/ব্রাহ্মণ
মাগুস [যা থেকে মেজ/ম্যাজিক ইত্যাদি এসেছে] দের একজন। ইরানে তখন উত্তর দিক থেকে মঙ্গোলীয় এবং পশ্চিম দিক থেকে সেমিটিক [আক্কাদ] দের আক্রমণে আর্যরা বিপর্যস্ত। তৎকালীন আর্য সমাজে প্রচলিত ছিল বহু দেবতার পূজা , জরথুস্ট্র সেই যাসনা [যজ্ঞ] প্রথার বিরোধিতা করলেন। তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন বহলীকের অধিপতি সম্রাট
বিষ্টাস্প। বহুদেবত্ত্ব ছেড়ে জরথুস্ট্র শুরু করলেন একেশ্বরাবাদ - আলোর দেবতা অহুর মজদাই একমাত্র উপাস্য। আসুর অর্থে অহুর মাজদার অনুগামীরা। বাকিরা হলেন দৈব [দেবদের অনুগামী]। অহুর (=অসুর ) কালক্রমে খারাপ অর্থে ব্যবহার হতে শুরু করে। ঋগ্বেদে বলা হইয়াছে যে যখন ভারতীয় আর্যগণ, ইন্দ্রপূজার স্থলে বিষ্ণুপূজা প্রবর্তিত করিলেন, তখন ইরাণীয় আর্যগণ মজদা-পূজা গ্রহণ করিয়া ফেলিয়াছেন।
স্পিতম [শ্বেততম] বংশে জন্মগ্রহণ করা জরথুষ্ট্রের পিতার নাম পুরুষাশ্ব মাতার নাম দুগ্ধ-বা। তখন ইরান দেশ ভারতীয় আর্যদের কাছে পরিচিত ইলাবৃতবর্ষ নামে।
"
জগতের আত্মা পৃথিবী ( গো রূপ ধরিয়া ) মহেশ্বর মজদার নিকট বিলাপ করিতে লাগিল। “আমাকে কেন সৃষ্টি করিয়াছেন? আপনিই কি আমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন, না আর কেহ? দেখুন, চারিদিকে লোভ, অত্যাচার আমাকে কত ক্লেশ দিতেছে। আপনি রক্ষা না করিলে আমার আর কেহ রক্ষাকর্তা নাই। আমি কেমনে রক্ষা পাইতে পারি, বলিয়া দিন।”
জগতস্রষ্টা তখন অষকে (ধর্মকে) জিজ্ঞাসা করিলেন “তুমি কাহাকে জগতের রক্ষকরূপে নিযুক্ত করিয়াছ? কোন বলবান্ লোকপালক জগতকে রক্ষা করিবে? পামরদিগের নিপীড়নে বাধা দিবার জন্য কাহাকে তুমি অধিপতি বানাইতে চাও? অষা (ধর্ম) তাহাকে উত্তর দিলেন, জগতে যেই বলশালী হয়, তাহাকেই অত্যাচারে রত দেখি। কাহাকেও তো এমন দেখিনা, যাহার ক্ষুদ্রকে উন্নত করিয়া মহত বানাইবার প্রবৃত্তি আছে। কর্তব্যের আহ্বানে যে সাড়া দেয়, তাহাকেই মহত বলিতে হয়।
অষ ( ধর্ম) আরও বলিলেন “'মহেশ্বর মজদাই একমাত্র পৃজ্য। দেব ও মনুষ্যগণ যাহা করিয়াছে ও করিবে, তিনি বিচার করিয়া তাহার ফল দিয়া থাকেন। তিনি যেমন ইচ্ছা করেন, জগতে তাহাই হয়। (অত্যাচারের প্রতিকার কেবল তিনিই করিতে পারেন)”
তখন আমার এবং জগতের, (ব্যক্তির ও সমষ্টির ) আত্মা, উত্তান হস্তে অভিবাদন করিয়া মজদার নিকট প্রার্থনা করিয়া বলিল “সাধুদিগরে ক্ষতি আর দুর্জনদের বৃদ্ধি যেন না হয়।” তখন অহুর মজদা ধ্যান দৃষ্টি দ্বারা বিশ্বজগত-নিরীক্ষণ করিয়া ( ধর্মরাজ জরথুশত্রের কারণ-দেহকে সম্বোধন করিয়া) বলিলেন একজনও রাজন্য, কিম্বা একজনও ঋষি দেখিনা, যিনি সর্বথা অষের (ধর্মের ) অনুবর্তী। তাই জগতের যোগ-ক্ষেমের নিমিত্ত স্রষ্টা তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তখন অষ-প্রেমিক (ধর্মানুরাগী) অহুর মজদা তাহাকে (জরথুশত্রকে) পুজার মন্ত্র শিখাইয়া দিলেন। তিনি জগতের জন্য বিধান করিলেন মুক্তি, এবং তাহার উপায় স্বরূপ ঋষিদিগকে দিলেন পুণ্য শাস্ত্র। কিন্তু কোথায় সেই প্রজ্ঞা, যাহা থাকিলে মানুষ ইহা কাজে লাগাইতে পারে?
(মজদা বলিলেন) আমি কেবল একজনকেই জানি যিনি আমার অনুশাসন পালন করেন। তিনি ম্পিতম বংশীয় জরথুশত্র। তিনি মজদা-আমাতে, আর অষে (ধর্মে ), প্রীতিমান্। এইজন্য জগতকে ক্রতু (কর্তব্য) শিখাইবার নিমিত্ত আমি তাহাকে প্রবক্তার ( ধর্মগুরুর ) পদ দিব।
ইহা শুনিয়া জগতের আত্মা কাঁদিতে লাগিল “এই সংকটে আমি চাই একজন শক্তিশালী বীর, আর পাইলাম কিনা একজন দুর্বল মানুষের নিস্ফল বচন মাত্র। কবে আসিবেন সেই বীরপুরুষ, যিনি তাহার বলবত্ হস্তদ্বারা আমাকে রক্ষা করিবেন?
( তখন জরথুশত্র মহেশ্বর মজদাকে বলিলেন ) হে অহুর, তুমি মানুষদিগকে শক্তির জন্য দাও ক্ষথ্র, (অনপেক্ষ) আর অষ ( ধর্ম), আর তাদৃশ বসু মনস্ (অধি-চিত্ত, প্রজ্ঞা) দাও, যাহা! যোগ-ক্ষেম আনিয়া দিতে পারে। আমি ও যেন হে মজদা, তোমাকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি বলিয়া বুঝিতে পারি।"
অষ = ধর্ম , ক্ষথ্র =মানসিক ইচ্ছা , বসু মনস =প্রজ্ঞা
আরমতি = আস্তিক্য , সুর্বতাতি =আত্মা , অমৃতাতি = অমরত্ত্ব
উপরোক্ত ছয়টা প্রয়োগ যাদের 'অমেশা স্পেন্ট' বলে , আয়ত্ত করিতে পারিলে সাধক মজদার মন্দিরে উপস্থিত হয়। গাথা অনুযায়ী , পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে দ্বৈতস্বত্তার ওপর, আশা = যা কিছু ভাল এবং
দ্রুজ = যা কিছু খারাপ।
"
এখন সেই প্রাচীন মন্যু (গুণ) দুইটির কথা বলিব। ইহাদের মধ্যে পুণ্য মন্যুটি (সত্ব গুণটি) অংগ্র মন্যুকে বলিল, আমাদের মন, উপদেশ, কর্তব্য, রুচি, বচন, কর্ম, চিন্তা, কিম্বা স্বরূপ, কিছুই মিলেনা।দুইটি গুণ (সত্ব আর তমস্), চিরদিন ধরিয়াই বর্তমান আছে। তাহারা মনে বাক্যে ও কর্মে সর্বত্রই স্বতন্ত্র, অথচ পরম্পর সাপেক্ষ। তাহাদের মধ্যে একটী ভাল, অপরটি মন্দ। তন্মধ্যে সুবুদ্ধিগণ ভালটাকে গ্রহণ করে, আর দুর্বুদ্ধিগণ তাহা করে না। অতঃপর সেই মন্যু দুইটি (স্পেন্ত আর অংগ্র) যখন প্রথম পরস্পর সংস্পর্শে আসিল, তখন তাহারা জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করিল। জীবনের চরম স্তরে ইহারাই পামরদিগের হৃদয়ে কুবুদ্ধি এবং পুণ্যবানদের হৃদয়ে সুবুদ্ধি রূপে আত্মপ্রকাশ করে।
হে অহুর মজদা, জীবনের শ্রেষ্ঠ গুণ বলিয়া যাহা বল, 'অর্থাত্ (১) ধর্মের জন্যই ধর্ম, (২) প্রজ্ঞা, আর (৩) অনপেক্ষা, আমার সচহরদের মধ্যে, নরই হউক, নারীই হউক, যাহার ইহা আছে, আর তোমার পূজার জন্য যাহাদের সহিত মিলিত হই, তাহাদের সকলকে নিয়া যেন
চিন্বত সেতু ( = বৈতরণী) পার হইতে পারি।
তুরাণবংশীয় প্রয়াণের আচার বর্জিত পুত্র পৌত্রাদির মধ্যে যখনই ধর্মের সঞ্চার হয়, অমনই শ্রদ্ধার প্রভাবে তাহাদের বিষয় বৈভবও বাড়িতে থাকে। আর প্রজ্ঞা তাহাদের সঙ্গে আসিয়া তাহাদিগকে উপদেশ দিয়া জোটে। অহুর মজদা তখন নিজেই তাহাদের আনন্দ বর্ধন করেন।"
ভারতবর্ষে সমসাময়িক শ্রেষ্ঠ রাজার নাম করিতে হইলে বলিতে হয় বিম্বিসার। তখন বৌদ্ধযুগ আরম্ভ হইয়া গিয়াছে। দারিয়ুসের আমলে ম্যারাথনের যুদ্ধ, তার ছেলে জারেক্সেসের আমলে গ্রিকদের সঙ্গে থার্মোপলির যুদ্ধ হয়েছিল। পারস্য কর্তৃক গ্রীস আক্রমণের গ্লানি মুছিয়া ফেলিবার জন্য, তিনশত বছর পরে ( খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৬ অব্দে ) মহাবীর আলেকজান্দীর অগণিত সৈন্য সংগ্রহ করিয়া পারস্যদেশ আক্রমণ করেন।
তারপরে হাজার বছর ধরে এই ধর্ম চালু ছিল সমগ্র ইরান সাম্রাজ্যে। সূর্যের উপাসক তিনজন মাগুস বেথেলহেমে খ্রিস্টের জন্মের সময় তাকে দেখতে এসেছিলেন এবং ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। মধ্যযুগের পারস্যে তখন প্রাচীন আভেস্তান থেকে বিবর্তিত ভাষার নাম পাহলভী।
আরো পরে নসীরবানের উত্তর পুরুষ সম্রাট
যজত-কীর্তি ( Yajdigrid ) পারস্যের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সেই সময় খলিফা ওমরের সেনাপতি নোমান পারস্য আক্রমণ করে। ৬৪২ খ্রিস্টাব্দে নাহাবন্দের যুদ্ধে যজত-কীর্তি পরাভূত, এবং পরে নিহত হন। আরবগণ পারস্যদেশ অধিকার করিয়া লইল। মুসলমানদের মধ্যে যাহারা উগ্রপন্থী তাহাদের অত্যাচারে তিষ্টিতে না পারিয়া, কয়েকদল পার্শী ভারতবর্ষে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। কেহ বা আসিলেন স্থলপথে, কেহ বা আসিলেন জলপথে। জলপথে যাহারা আসিলেন, তাহারা প্রথমে দীউ দ্বীপে অবতরণ করিলেন। পরে তাহারা প্রদেশের অধিপতি রাজা জয়াদিত্যের (যদুরাণার ) অনুমতি লইয়া গুজরাটের অন্তর্গত সঞ্জান নামক স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করিলেন। এই উপনিবেশ স্থাপনের অদ্ভুত কাহিনী “কিস্সা-এ-সঞ্জান” নামক পারসিক পদ্য গ্রন্থে সুন্দর ভাবে বর্ণিত আছে। রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বোম্বাই-চিত্র’ মামক পুস্তকে এই আখ্যায়িকার সারভাগ সংকলিত আছে। তথায় দেখিতে পাই পারসিক প্রধানগণ যদুরাণার নিকট সংস্কৃত ভাষায় নিজেদের পরিচয় দিতেছেন। সংস্কৃত শ্লোকে নিজেদের পরিচয় দিবার উদ্দেশ্য এই ছিল, যে যদুরাণা যেন উপলব্ধি করেন, যে পরিচ্ছেদের পার্থক্য সত্বেও, হিন্দু এবং পার্শী পরস্পর জ্ঞাতি-উভয়ের ধমনীতে একই শোণিত প্রবাহিত, উভয়ে একই ভাবধারার বাহক। সংস্কৃত এবং জেন্দ ভাষার নিবিড় সাদৃশ্য বশতঃ সংস্কৃত ভাষা আয়ত্ত করা পার্শীদের পক্ষে সহজ ছিল।
সূত্র : যতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায় দ্বারা মূল জেন্দ থেকে বাংলায় অনূদিত জরথুস্ত্র উপনিষদ
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।