এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভোলেবাবা পার করেগা...??

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুলাই ২০২৫ | ৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  •  ভোলেবাবা পার করেগা …..??
     
     
    শাস্ত্র মতে শ্রাবণ মাস হলো ভগবান শিবের জন্মমাস। একেবারে সাধারণ আত্মভোলা স্বভাবের জন্য এদেশে ভগবান শিবকে পছন্দ করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাই ক্যালেন্ডারের পাতা আষাঢ় মাস পেরিয়ে শ্রাবণ মাসে পড়তেই তাঁর আপামর ভক্তকুল উদগ্রীব হয়ে ওঠে বাবাকে দর্শন করতে। “ভোলে বাবা পার করে গা, ত্রিশূলধারী পার করেগা”-- হাঁক দিতে দিতে, বাঁক কাঁধে পূত পবিত্র গঙ্গার জল নিয়ে পায়ে পায়ে পৌঁছে যান নাগালের মধ্যে থাকা কোনো শৈবধামে । বাবার মাথায় জল ঢেলে, বাবার শ্রী চরণে ষাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে সেবা চড়িয়ে তৃপ্ত হৃদয়ে স্ব স্ব গৃহে ফিরে যান তাঁরা। এটাই নাকি তাঁদের সম্বৎসরের উজ্জীবন সুধা।কয়েক শতক ধরে এই নিয়মেই চলে ভক্তজনেদের শ্রাবণী নামচা। তাই শিবের চরণে সেবা লাগি ধ্বনিতে এখন মুখরিত , কম্পিত উত্তর ভারতের আকাশ বাতাস। বাঁকে করে জল নিয়ে যাবার এমন পরম্পরা ঠিক কবে থেকে শুরু হলো তা জানতে হলে আমাদের ইতিহাসের পাতায় একটু নজর দিতে হবে।
     
    গোড়াতেই বলি, ভোলার নামে পথ চলার এই সংস্কৃতির সূচনা সম্ভবত ১৭০০ খৃষ্টাব্দের আশেপাশে। অন্ততঃ এমনটাই মনে করেন তথ্যনিষ্ঠ গবেষকরা। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবী প্রসাদ দুবের মতে, প্রামাণ্য নথিপত্র থেকে যতটুকু জানা গেছে তার ওপর নির্ভর করে বলা যায় যে অষ্টাদশ শতকেই এই মাঙ্গলিক পরম্পরার সূচনা হয়েছিল আজকের বিহারের সুলতানগঞ্জে।ঐ সময় থেকেই পবিত্র গঙ্গাজল মাটির তৈরি ঘটে ভরে তাকে কাঁধে ঝোলানো বাঁশের বাঁকে নিয়ে দীর্ঘ পথ খালিপায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে দেওঘরের বিখ্যাত বৈদ্যনাথ শিবের মাথায় ঢালার চলতি রীতির সূত্রপাত। তবে সেই সময় পুণ্যার্থীর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। হয়তো এই কারণেই ইংরেজ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে খুব একটা ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেনি। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবেই চলছিল এই যাত্রার পর্বটি। আর তা ছাড়া, দুর্গম বিজন পথে নগ্নপদে কঠোর কৃচ্ছসাধনা করে যাত্রা তো সকলের কাছে সহজসাধ্য ছিলোনা! তবে এখানেও পরিবর্তন এলো,উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। কখনো তা এলো সামাজিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে, আবার কখনও তা চাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় সংস্কৃতির আড়ালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে। এদেশে যে সব‌ই সম্ভব তা স্বয়ং ভগবান ভোলানাথ‌ও জানেন। 
    এই পরিবর্তনের ফলে রাস্তা থেকে ধীরে ধীরে সরে গেলেন অপেক্ষাকৃতভাবে বরিষ্ঠ মানুষজন, আর একালে তাঁদের জায়গা দখল করে নিয়েছে তরতাজা কিশোর - কিশোরী, তরুণ -তরুণী আর প্রাণোচ্ছল যুবক যুবতীরা। সবাই মিলে দলবেঁধে বোম বোম করতে করতে পথচলার ছন্দ‌ই যে আলাদা ! বিনম্র চিত্তে পথচলা শ্রদ্ধালু ভক্তদের সারিকে সরিয়ে দিয়ে এখন ভোলানাথের নবীন প্রজন্মের ভক্তদের দাপাদাপি। প্রশ্নহীন নবীন প্রজন্ম এভাবে ভক্তিতে গদগদ হয়ে কাঁবাড়ি যাত্রায় সামিল হচ্ছে দেখে খটকা জাগে মনে। 
    রাস্তাও তো নেহাৎ কম নয়। কাঁবাড় বা বাঁক কাঁধে নিয়ে কাঁবাড়িয়ারা অতিক্রম করেন ভিন্ন ভিন্ন দূরত্বের পথ। সোমবার যেহেতু সোমনাথ শিবের জন্মদিন সেহেতু সকল পুণ্যার্থীর লক্ষ্য থাকে ঐ নির্দিষ্ট দিনেই শিবের মাথায় জল ঢালার। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে কোথাও বিশ্রাম না নিয়ে টানা পথ পাড়ি দিয়ে ভোলানাথের মাথায় জল ঢালতে পারলে অভীষ্ট পূরণ অনিবার্য। তবে দূরত্বের পাল্লা অনেক সময়ই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। দেশের পবিত্রতম নদী বলে স্বীকৃতি পাওয়া গঙ্গা জল সংগ্রহের ক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রাথমিকতা পায়। আমাদের রাজ্যের সর্বাধিক পরিচিত  শৈবতীর্থ তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাত্রাকারী ভক্তরা শেওড়াফুলির নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে জল নিয়ে ৩৮ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা শিবধাম তারকেশ্বর পৌঁছান প্রতি বছর শ্রাবণ আর চৈত্র মাসে। তবে জন্মমাসের মাহাত্ম্য বেশি বলে এই সময় তারকেশ্বরের পথে জনপ্লাবন লক্ষ করা যায়। এমন‌ই হাল হয় উত্তর ভারতের ও মধ্যভারতের প্রসিদ্ধ শৈব তীর্থস্থানগুলোকে ঘিরে। গঙ্গা মাইয়ার সাথে সাথে জল নিতে ভিড় জমে মধ্যভারতের নর্মদা ও শিপ্রা নদীর তীরে। দক্ষিণ ভারতের গোদাবরীর ঘাটে ঘাটে। ভারতের পরিচিত শৈবস্থলগুলো এই সময়ে পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। 
    কেদারনাথ, মহাকাল,ওঙ্কারেশ্বর,কাশী বিশ্বনাথ,ত্রম্বকেশ্বর, বৈদ্যনাথ, তারকেশ্বর…. সবখানেই এখন জল ঢালার জন্য হুড়োহুড়ি। ওদিকে অমরনাথের বরফের শিবলিঙ্গ দর্শন করতে অতি দুর্গম পার্বত্য পথ পাড়ি দিয়ে হাজারে হাজারে, লাখো লাখো মানুষ চলেছে পথের সমস্ত ক্লান্তি ভুলে।
    মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করি – এমন উৎসাহ, উদ্দীপনা শুধুই কি অন্তরাত্মার আহ্বানে? নাকি এর পেছনেও রয়েছে নতুন কোনো গূঢ় অভিসন্ধি? মহাযোগী লোকনাথ বাবার মাহাত্ম্য কথা পড়েছি কিন্তু তাঁকে নিয়ে এমন প্রবল উন্মাদনা, জন্মস্থান নিয়ে যুযুধান দুটি পক্ষের লড়াইয়ের বিষয় আগে জানতাম না। বেওসায়িরা এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। এদেশে একালে ধম্মের দ্বার অবারিত।
     
    কদিন আগেই এক প্রতিবেদনে পড়ছিলাম দিল্লির পথে কাঁবাড়িয়ারা যথেচ্ছ ভাঙচুর করেছে। সি.আর.পি.এফের এক জোয়ান‌ও এই তাণ্ডবের শিকার হয়েছেন। চুপচাপ ইষ্ট মন্ত্র জপতে জপতে গেলে চলবে কেন? দলবেঁধে উচ্চগ্রামে ডিজে বাজিয়ে, আশপাশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে চলছে শিব ভক্তদের কাঁবাড়ি যাত্রা। সাধারণ মানুষের একটি একান্ত বিশ্বাস ও আবেগকে শিখণ্ডী করে তীর্থযাত্রীর আড়ালে থেকে একদল দুষ্কৃতী অবাধে তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের যাত্রাপথের নানান জায়গায়। তীর্থযাত্রীদের কাছে হকিস্টিক, ডাণ্ডা এসবের প্রয়োজন আছে?
     
    স্থানীয় মানুষজন মাসব্যাপী এমন দৌরাত্ম্যের কারণে অতীষ্ট।
    প্রশাসনের দিক থেকে সবসময় ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে তাঁরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। আসলে দেশের আইন কানুনের ওপর থেকে বিশ্বাস উড়ে গেছে সাধারণ মানুষের। কাঁবাড় যাত্রীদের চলার পথকে সুরক্ষিত করার নামে দোকানে দোকানে বিক্রেতাদের নাম, পরিচিতি,বিক্রি বাট্টার ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা জারি থেকে শুরু করে আরোপ করা হয়েছে নানান ধরনের বিধিনিষেধ। কেবলমাত্র উত্তরপ্রদেশে ৭০০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাত্রীদের সুরক্ষায়। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাঞ্চলে বিধি নিয়ম লাগু করার নামে প্রচারিত হয়েছে নানান উস্কানিমূলক মন্তব্য। এই সব দেখে ও শুনে তীর্থযাত্রীদের একটা অংশ নিজেদের কেউকেটা ভেবে আইনকে নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। 
     
    এবার বোধহয় এই উন্মাদনায় রাশ টানার সময় এসেছে। ইতোমধ্যেই দাবি উঠেছে অমরনাথের যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের। প্রবল ধসের ঘটনায় বন্ধ রাখতে হয়েছে যাত্রী চলাচল। অমরনাথের বরফের শিবলিঙ্গ গলতে শুরু করেছে দ্রুত লয়ে। কেবলমাত্র ব্যবসায়িক লেনদেন ও লাভালাভের দৃষ্টিতে সবকিছুকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমরা আমাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও পরম্পরার সঙ্গে জুয়া খেলছি প্রতিনিয়ত। ধর্ম মানুষের অন্তর্লীন অনুভব।সব কিছুর বাণিজ্যকরণ হয়না। একটা শৃঙ্খলার প্রয়োজন। কেননা সব ধর্মেই কতগুলো অনুশাসন থাকে। প্রতিদিনের জীবনে তার নিমগ্ন নিবিষ্ট অনুশীলন করতে হয়। না হলেই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয় সকলকে। এবার কি এসব নিয়ে একটু ভাববো?
    মনে রাখতে হবে ভোলানাথ সত্য ও সুন্দরের পথে হাঁটতে বলেন আমাদের সবাইকে। একবার অন্তত তাঁর কথা শুনি। এটাই হবে জন্মমাসে তাঁর প্রতি ভক্তজনেদের সেরা উপহার।
     
     
     
     
     
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sarmistha lahiri | ২৮ জুলাই ২০২৫ ২২:৫০732804
  • আরো শুনেছি এই শ্রাবন মাস জুড়ে উত্তর প্রদেশে আমিষ আহার বর্জনের ও ডাক দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিল।সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে কিনা সঠিক জানিনা। মনে,বনে, কোণে আর ভগবান বসে নেই।।। তিনি এখন পথ দাপিয়ে বেড়ান। জয় বাবা ভোলানাথ।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:2d43:49de:6b4b:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২৫ ০০:৪৪732805
  • উশৃঙ্খলাকে আধযাত্মিকতার ও ব্যবসার মোড়কে পেশ করা হলে যা হবার তাই হচ্ছে। এমনিতেই ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের পরিবেশ নিয়ে ভাবনাচিন্তা বিশেষ নেই, তার ওপরে সরকারী প্রশ্রয়ের সুযোগে এদের অত্যাচার বেড়েছে। 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:10b8:40d7:8000::***:*** | ২৯ জুলাই ২০২৫ ১০:২১732809
  • হুজুগ। সমাজে ক্ষয় রোগ হলে তার আঁচ দেবালয়েও লাগবে।আশ্চর্য কি !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন