এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ওড়ে  শুধু একঝাঁক.........

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ মে ২০২৫ | ৩৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ওড়ে শুধু একঝাঁক…..
     
    ওপরের শব্দ তিনটি নজরে পড়তেই নির্ঘাত গুনগুনিয়ে উঠেছেন? নিতান্ত পুরুষালি হেঁড়ে গলায়, অন্তত পাদপূরণ করে তিনটি শব্দকে চারটেতে পরিণত করে, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠের মাদকতার কথা মনে করে রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন হয়তো। এমন অযাচিত ভাবে এক বহুশ্রুত গানের কথাই যখন উঠে এলো, তখন গানের কথাই একটু বিস্তৃত করে বলি। গানটা ১৯৫৩ সালে গেয়েছিলেন গীতশ্রী। গানটির গীতিকার অধ্যাপক বিমলাপদ ঘোষ ছিলেন আমার মাস্টারমশাই। সুর দিয়েছিলেন অবিস্মরণীয় সুরকার সলিল চৌধুরী মশাই। কলেজ ফেরত বাড়ি যাবেন বলে পথে পা বাড়াতেই মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের ব্যস্ত নাগরিক আকাশ দাপিয়ে উড়তে শুরু করেছিলো একঝাঁক উজ্জ্বল….। গান সলিল চৌধুরীর কাছে পৌঁছে যেতেই তাতে অসাধারণ সুন্দর সুরের পরশ বুলিয়ে দিলেন তিনি। সৃষ্টি হলো এক চিরকালের গান। সেদিন স্যারের কথা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছিলাম একদঙ্গল উদ্যত শিক্ষার্থী।
     
    পাখির ওড়াউড়ি নিয়ে অভিজ্ঞতার অন্ত নেই। একজোড়া ডানা নিজের শরীরের সঙ্গে জুড়ে নিয়ে কতবার যে আবদ্ধ মনকে দূরে দূরান্তরে নিয়ে গিয়েছি তার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এমন অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র আমার একার নয়, আমাদের সমকালীন সকলের‌ই। 
     
    বিকেলের দিকে ছাদে উঠলে আকাশ চাঁদোয়ায় নানান পাখির দলবেঁধে ওড়ার আশ্চর্য মুহুর্তগুলোকে মন ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করি। মনে পড়ে সেবার কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের একঝাঁক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছি ওড়িশার বালেশ্বরে। ঘরের ভেতরে ঠাঁই নেই তাই আমরা বড়োরা বারান্দায় শুয়েছি। শুক্লা দ্বাদশীর রাত। চারিদিকে চন্দ্রিমার উজ্জ্বল উদ্ভাস। আমাদের থেকে খানিকটা তফাতে শুয়ে আছেন হেডমাস্টার মশাই। “তোমরা কি জেগে আছো, না ঘুমিয়ে পড়েছো? না ঘুমালে আকাশের দিকে তাকাও। দেখো পরিযায়ী অতিথি বিহঙ্গদের মিছিল চলেছে সম্ভবত চিল্কার আস্তানার উদ্দেশ্যে।” সে রাতে আর কার‌ও চোখে নিদ্রা দেবীর আসন পাতা হলোনা। বাঁধভাঙা চাঁদের আলোয় আলোকিত চরাচর দেখতে দেখতেই রাত কাবার হয়ে গেল। এ নিয়ে কারও মনে আক্ষেপের লেশমাত্র ছিলোনা সেদিন,আজ‌ও নেই।
     
    তবে মনের ভেতর দ্বন্দ্ব নেই সেকথা হলফ করে বলতে পারিনা। দ্বন্দ্ব, ধাঁধা, প্রশ্ন সব আছে। ভাবতে বেশ অবাক লাগে যে সুদূর অতীতে উড়তে না পারা এক সরীসৃপ, বিবর্তনের পথ বেয়ে একালের পাখি হয়ে উঠেছে। ভাগ্যিস এমনটা হয়েছে! না হলে বিস্তির্ণ নভোমন্ডল কেমন শূন্যতায় ভরে উঠতো! তবে পাখিদের এই উড়ানের পেছনেও রয়েছে নানান তত্ত্ব, বিজ্ঞানের নানান বিচিত্র জাড়িজুড়ি। আসলে উড়ান হলো পাখিদের এক বিশেষ পদ্ধতি যার মাধ্যমে তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাড়ি দিয়ে ফেরে। এই উড়ানের সাহায্যেই পাখিরা নিজেদের উদরপূর্তির আয়োজন করে, প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তারে সক্ষম হয়, শত্রুদের আক্রমণ এড়িয়ে আত্মরক্ষা করতে পারে, আবার প্রয়োজনে অনেকে একসাথে দলবেঁধে দীর্ঘ পরিযানের আয়োজন করে। পায়ের ওপর ভর করে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ানো বিভিন্ন মানুষের চলন ভঙ্গিতে যেমন পার্থক্য রয়েছে , পাখিদের উড়ান ভঙ্গিতেও রয়েছে চরম বিভিন্নতা। চড়াই আর চিল - দুজনেই খেচর, খ এ চরে বেড়ায়। তবে তাদের উড়ান ভঙ্গিমা কখনও এক নয়। খাবার খুঁজতে দঙ্গল বেঁধে আমার বাগানে নেমে পড়া ছাতারে পাখিরা থপথপিয়ে হেঁটে বেড়াতেই ভালোবাসে , ছোট ছোট দূরত্বে উড়ে বেড়ানোই হলো তাদের বিশেষত্ব। পারাবতরা দলবেঁধে দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে পারে। উত্তর আর মধ্য কলকাতার আবাসিক মানুষজনের বাড়ির ছাদে একসময় বাঁশের তৈরি মাচা বা ব্যোম লাগানো থাকতো গৃহবলিভুক পারাবত দের জন্য যাতে উড়তে উড়তে ক্লান্ত হয়ে গেলে তারা বিশ্রাম নিতে পারে।
     
    পাখি ছাড়াও পতঙ্গরাও ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ায়। আর এ ব্যাপারে জুড়ি নেই পঙ্গপালের। ঝাঁক বেঁধে পঙ্গপালদের উড়তে দেখলেই আতঙ্কের শীতল স্রোত বয়ে যায় কৃষকদের মনে। ক্ষেত ভরা ফসল নিমেষেই সাবাড়। ঝাঁক বেঁধে উড়ে এক মহাদেশের সীমানা টপকে অন্য মহাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া এই পতঙ্গটি হলো বিখ্যাত মনার্ক বাটারফ্লাই। প্রজননের সুরক্ষার জন্য তারা সংঘবদ্ধভাবে পরিযায়ী হয় বছরের একটা বিশেষ সময়ে। তবে বিহঙ্গ আর পতঙ্গদের ওড়াউড়ির মধ্যে বিলকুল ফারাক রয়েছে।
     
    তবে আজকে যাদের অনবদ্য উড়ান ভঙ্গিমা নিয়ে কথা বলার জন্য হাজির হয়েছি তারা এক আশ্চর্য পাখি। নাম স্টার্লিং।
    নাম শুনে নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পেরেছেন যে আমাদের মাননীয় অতিথিটি জন্মসূত্রে এদেশীয় নয় বিদেশি মানে ইউরোপীয়। গ্লোব ট্রটার বা ভূ পর্যটকের মতো এরা এদেশ সেদেশ ঘুরে থুরি উড়ে বেড়ায়। আমাদের এদেশেও স্টার্লিংরা শীত কালে একটু উষ্ণতার খোঁজে উড়ে আসে দলবেঁধে। এই সুযোগে স্টার্লিং পাখির সঙ্গে আপনাদের আলাপ করিয়ে দিই। শত হলেও বিলাতি পাখি তো!
     
    স্টার্লিং বা কমন স্টার্লিং – এই নামেই গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের মানুষজন পাখিটিকে ডেকে থাকে - বৃহত্তর স্টার্লিং সমাজের সবথেকে পরিচিত পাখি। বিজ্ঞানীদের কাছে এর পরিচয় অবশ্য Sturnus vulgaris নামে। Sturnidae পরিবারের সদস্য এই passerine পাখিটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ২০ সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চি। শরীর জুড়ে রয়েছে চকচকে কালো রঙের পালক যার মধ্যে রয়েছে ধাতব দ্যুতি। বছরের বিশেষ সময়ে এই ধাতব কালো রঙের পালকের ওপর সাদা রঙের ফুটকি ছাপ ফুটে ওঠে। বেশ বাহারি লাগে তখন। পদযুগল হালকা গোলাপি রঙের। আর নাতিদীর্ঘ চঞ্চল চঞ্চু দুটি বছরের দুই ঋতুতে দু রঙের – শীতের সময় কালো আর গরমের সময় হলুদ। শাবকদের শরীর অনেক বেশি বাদামি রঙের পালকে ঢাকা থাকে পূর্ণবয়স্ক পাখিদের তুলনায়। আমাদের দেশের শালিখ পাখিদের মতো অন্যদের ডাক নকল করতে জুড়ি নেই স্টার্লিংদের। যূথবদ্ধ জীবন যাপনে একান্তভাবে অভ্যস্ত স্টার্লিংরা পরিযান প্রিয়। ঋতু পর্যায়ের পরিবর্তনের কারণে যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বরফ শীতল শীতকাল নেমে আসে, তখন দলবেঁধে ভূ পরিক্রমায় বেড়িয়ে পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে। একটুখানি উষ্ণতার জন্য তারা কখনও দক্ষিণ দিকের দেশগুলোতে ভিড় জমায় এই সর্বভুক পাখিরা। আর এই উড়ানের সময়‌ই ঘটে এক আশ্চর্য ছন্দোময় ওঠানামার ঘটনা যা পরিভাষায় পরিচিত murmuration নামে। এবার সে কথাই বলবো আপনাদের।
     
    আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি।
     
    দলবেঁধে থাকার যে বিশেষ সুবিধা আছে তা মেনে নিতে কার‌ও কোনো দ্বিধা নেই। শীতের দেশের স্টার্লিং পাখিদের বিশাল ঝাঁক বেঁধে এক ছন্দোময় ভঙ্গিমায় উড়ে বেড়ানোর একান্ত অন্তর্লীন সামাজিক পদ্ধতিকেই বলা হয় murmuration. সাধারণত বিকেলের দিকে যখন সূর্যদেব পাটে বসার আয়োজন করছেন, দিনান্তের সেই আবছায়ায় স্টার্লিং পাখিদের বিশাল ঝাঁক এই বিশেষ উড়ান ভঙ্গিমায় আকাশের এক দিক থেকে অন্যদিকে উড়ে বেড়ায় বেশ কিছুক্ষণ। ঘরে ফেরার আগে যেন শেষ নমস্কারে বিদায় জানায় ধরিত্রী মাকে। 
     
    ঝাঁক বেঁধে পাখিরা , বিশেষত স্টার্লিং পাখিরা,কেন এমন ছন্দোময় ভঙ্গিমায় উড়ে বেড়ায় তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পক্ষি বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সবাই চায় নিজের নিজের নিরাপত্তা। পাখিদের শত্রুর সংখ্যা তো নেহাত কম নয়। একা থাকলে বিপদের শঙ্কা বেড়ে যায়। অথচ একসঙ্গে অনেকে মিলে থাকলে এই আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায় , শত্রুদের বিভ্রান্তি বাড়ে। যূথবদ্ধ জীবন যাপনে অভ্যস্ত প্রাণিকুল। এটা তাদের সহজাত প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি। ছোট্ট চঞ্চল স্টার্লিং পাখিরা এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে কী করে? আর তাই আবহমানকাল ধরে তারা গোধূলির ম্লান অথচ বর্ণিল আলোকে নিজের শরীর রাঙিয়ে একসাথে নেচে নেচে উড়ে বেড়ায়। ঝাঁকে থাকে কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার স্টার্লিং পাখি। তাদের সমবেত কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে বৈকালিক বাতাবরণ যা এক‌ই সঙ্গে ধাঁধায় ফেলে দেয় শত্রুদের।
     
    দ্বিতীয়ত,পক্ষিবিজ্ঞানীরা মনে করেন পাখিদের এমন কাজের পেছনে রয়েছে পারস্পরিক সংযোগের ঐকান্তিক তাগিদ। আড্ডায় বসলে আমরা সবাই যেমন নিজেদের সুখ দুঃখের কথা বলি এটাও ঠিক তেমন ব্যাপার। পাখিরা একসাথে জড়ো হয়ে কী কথা বলে ? পাখির ভাষা তো আমরা বুঝতে পারি না। নিশ্চয়ই তারা কত পার্সেন্ট ডিএ বাড়লো বা ছেলের চাকরির সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেনা। তাহলে? মুখরিত মনের কথায় তারা খোঁজ নেয় কোথায় গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পাওয়া যাবে, কিংবা নতুন আবাসন তৈরির সুযোগ সুবিধা কোথায় বেশি রয়েছে। বেঁচে থাকতে গেলে এগুলোর প্রয়োজন সবথেকে বেশি।
     
    শীতের সময় আমরা সবাই যেমন পরস্পর গায়ে গা ঠেকিয়ে ঘেষাঘেষি করে বসতে ভালোবাসি পাখিদের ক্ষেত্রেও বোধহয় এক‌ই রকম। আমাদের দেশের তুলনায় ইউরোপীয় শীতকাল অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যায় চতুর্দিক। খাদ্যের অভাবে মারা যায় অনেক প্রাণি। ওরাতো আর ফায়ার প্লেসের পাশে বসে গা গতর সেঁকে নিতে পারে না, তাই গা গরম করতে দলবেঁধে উড়তে থাকে। খানিক সময় ছোটাছুটি করলে যেমন আমাদের শরীর খানিকক্ষণের মধ্যেই তেতে ওঠে স্টার্লিংদের বেলাতেও তাই। আসলে স্টার্লিংদলের
    murmuration হলো এক সমবেত ড্রিলের আসর। এই আসরের বিচিত্র অভিপ্রদর্শনী তাদের সত্যিই অতুলনীয় করে তুলেছে।
     
    ভারতে কি এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে? স্টার্লিংতো এদেশের পাখি নয়। তাহলে? হতাশ হবেন না। স্টার্লিং পাখিরা দূর পরিযানে অভ্যস্ত।তাই ইউরোপে শীতের কামড় বাড়তেই তারা পরিব্রাজক হয়ে পাড়ি দেয় পুবের ঠিকানার উদ্দেশ্যে। ডানায় ভর করে তাদের এক বিশেষ প্রজাতি রোজি স্টার্লিংরা পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর পাশাপাশি সুদূর ইউরোপ থেকে লাদাখ হয়ে এসে হাজির হয় ভারতের গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ,রাজস্থানে । এদেশের উষ্ণতার পরশ পেয়েই খুশিতে ডগমগ হয়ে তারা ঘুরপাক খেয়ে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠে পরম উল্লাসে। দিগন্ত মুখরিত,মর্মরিত হয় আনন্দধ্বনিতে।
     
    আসলে প্রকৃতির অন্দরমহলে রয়েছে এমন আশ্চর্য সব রূপকথার গল্প। সে গল্প শুনতে হলে নিমগ্ন হয়ে থাকতে হয়। মনকে প্রস্তুত রাখতে হয় পরম নিষ্ঠায়। আমাদের হাতে অত সময় আছে তো?
     
     
     
     
     

     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ মে ২০২৫ | ৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন