এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • Where is writing without memory? 

    শ্রীমল্লার বলছি লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৮১ বার পঠিত
  • “Sunlight touches the scent,
    And the scent touches the sunlight.
    I tell my tiredness to the dust,
    For I don’t know the language of birds.”

    O: “আর নেই? এই শেষ?”
    n: “শেষ হবে ব’লে কি শুরু করেছি? প’ড়ে দ্যাখো— আমি শুধু শুরুটা করেছি, যার কোনও শেষ নেই।” 
    O: “নেশা পেয়েছ? নেশা? না, নেশা নয়– তুমি ফুরিয়ে যেতে যেতে কখনও আরামের নাগাল পাওনি? পাওনি? পেলে বলো তো, এক্ষুনি বলো!”
    n: “হ্যাঁ, পেয়েছি। পেয়েছি ব’লেই এই চারলাইন লিখে তোমার কাছে নিয়ে চ’লে এলাম, তোমাকে দেখিয়ে নেব ব’লে...”
    O: “সে তো বেশ বেশ! করেছ বেশ... কথাদের ভাবনার যে নিজস্ব জগৎ আছে, সেসব থেকে স’রে এসে আমাকে একটা কথা বলো— তুমি কি স্মৃতির চেয়ে বড়?”
    n: “এ কেমন প্রশ্ন করছ তুমি!? কী কারণ আছে এই প্রশ্ন করার পেছনে?”
    O: “তাহলে নিশ্চই তুমি এই প্রশ্নের উত্তর জানো না। কিংবা তোমার জানাই নেই। কিংবা তুমি জানো, আমাকে কেবল ধ’রিয়ে দিতে হবে। এই যে তোমার লেখা কবিতাটা দেখালে আমাকে, আসলে তুমি তোমার অতীত দেখালে আমায়। নিজেও দেখলে নিজের অতীতকে। এই ধ’রিয়ে দিলাম তোমায়... এবার বলো?”
    n: “মানে বলতে চাইছ যে, আমরা যারা লেখার চেষ্টা করি, তারা সকলেই আসলে নিজেদের অতীত লিখি?”
    O: একেবারেই। আসলে তুমি তোমার স্মৃতিকে লিখে আসছ। সমস্ত লেখককেই নিজেদের স্মৃতি লিখতে হয়, নইলে লেখাকে কোত্থেকে পাবে? স্মৃতি ছাড়া লেখা কোথায়?” 
    n: “আচ্ছা, আমি কেন স্মৃতির চেয়ে বড়?” 
    O: “খুব সহজ। সহজ তো— তোমার ভেতরে তোমার স্মৃতি আছে। তুমি ছোট থেকে বড় হ’য়ে উঠেছ, কিন্তু তোমার স্মৃতিরা যেমন ছিল, তেমনই থেকে গেছে। স্মৃতির কপিরাইট স্মৃতির নিজেরই। তাকে বদলে ফেলার কোনও অধিকার তো তোমার হাতে নেই। কারও হাতেই নেই, তাই তুমি বেড়ে ওঠো কিন্তু তোমার স্মৃতি বেড়ে উঠতে পারে না— যতক্ষণ স্মৃতি নিজেই ধ্বংস না-হ’য়ে যাচ্ছে।” 
    n: “আর স্মৃতিধ্বংসের পরে সৃষ্টির সমস্ত রাস্তা বন্ধ হ’য়ে যায়। বলছি কি ঠিক?”
    O: “এমনও হতে পারে, এমন কোনও রাস্তা বেরোলো, যা তোমার আমার ভাবনার বাইরে। এমনকী কখনও কখনও কল্পনার বাইরেও। তাই নির্দিষ্ট ক’রে কিছুই বলা যায় না।”
    n: “আচ্ছা, তবে বলো যে, আমার এই চারলাইন কবিতার কী অর্থ খুঁজে পেলে তুমি?”
    O: পাখির ভাষা এত সহজেই জেনে ফেলব?”

    (এখানেই শেষ) 

    [চরিত্র পরিচিতি: ‘n’ উনিশ বছরের একটি মেয়ে। যে ইংরেজিতে কবিতা লেখার চেষ্টা করে এবং ‘O’ হলেন কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক। ‘n’ যাঁর কাছে নিজের লেখা কবিতাগুলো নিয়ে যায়— মতামত নেওয়ার জন্য।] 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Luna Mitra | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০৭736532
  • @ শ্রীমল্লার বলছি 
    আশ্চর্য সুন্দর
  • শ্রীমল্লার বলছি | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৪৯736541
  • এই লেখাটাকে আর সম্পাদনা করছি না। মন্তব্যেয় কয়েকটা কথা জুড়ে দিই।—
    এটা তো জানা কথাই যে, প্রতিটা মানুষ যেমন আলাদা, প্রতিটা মানুষের চরিত্র যেমন আলাদা, তেমনই প্রতিটা লেখাও একে অন্যের চেয়ে আলাদা। কেউ সামান্য এগিয়ে কিংবা কেউ সামান্য পিছিয়ে। কিন্তু জটিলতা তৈরি হ'য়ে যায় অন্য জায়গায়— যে মানুষ নিজের মন বোঝার চেষ্টা করে, সে কিন্তু অন্য মানুষের মনকেও বুঝে ফ্যালে আস্তে আস্তে। সে ভাল কথা৷ তবে লেখার মনকে একজন লেখক কীভাবে বুঝবে, সে উপায় লেখকের নিজের হাতেও নেই। লেখার হাতে আছে কি? এই প্রশ্ন আমাকে ভাবায়। আরেকটা ব্যাপার জানি, চর্চা করতে করতে জানি– একটি লেখা আরেকটা লেখাকে হিংসে করে। এমনকী এমন লেখাও আছে, যে লেখা অন্য লেখার সাফল্য দেখে উপহাস করে। আবার এমন লেখার খোঁজও পেয়েছি, যে লেখা অন্য লেখার দুর্দিনে পাশে এসে আপনজনের মতোই দাঁড়িয়েছে। সাহস দিয়েছে, ভরসার হাত কাঁধে রেখেছে, ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে নিজের শেষ সম্বলটুকু দিয়ে। 
     
    এইসব দেখে এসেছি নিজের চোখেই। দেখে আসছিও। বাইরের মানুষজন নিশ্চই বিশ্বাস করবেন না। সে নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। একজন লড়তে থাকা কবিতালেখক হিসেবে শুধু মনে হয় একটাই কথা— লেখার সঙ্গে কিছুটা হলেও দূরত্ব রাখা উচিত একজন লেখকের, লেখার খুব কাছে গেলে হয়তো লেখক এমন কোনও গোপনদৃশ্য দেখে ফেলতে পারে যে, আর কোনওদিনই সেই লেখকের কাছে আর কোনও লেখাই ধরা দেবে না।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন