রান্নাঘরে পিঁড়ি পেতে আমরা খেতে বসতাম। রান্নাঘরের সোঁদা মেঝে, পিছনের বাগান থেকে ভেসে আসা নাম না জানা গাছের বুনো একটু কটু গন্ধ। কেমন যেন আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখত।দিদার (আমরা অবিশ্যি দিদিমা বলতাম) হাতের পাতলা মুসুর ডাল, মুচমুচে পোস্তর বড়া, শাক। ডাঁটার চচ্চড়ি। নানান রকম ভাজা আর কোন একটা মাছের ঝাল। আর অবশ্যই টক তো থাকতই। সেই সমস্ত অতি সাধারণ খাবারের কি যে অতুলনীয় স্বাদ ছিল!!আমরা গরমের ছুটিতেই একমাসের জন্যে মামাবাড়ী যেতাম। কারণ ওখানের আম লিচু কাঁঠালের প্রাচুর্য। বাড়ির গাছে অত অত আম থাকা স্বত্বেও দাদু এবং মামা রাস্তায় যত আমওয়ালাকে দেখত সব কে বাড়ি পানে পাঠিয়ে দিত। সেইসব আম ঘরে ... ...
না ইয়ে চাঁদ হোগা। না তারে রহেঙ্গে মগর হাম হামেশা তুমহারে রহেঙ্গে মায়ের কাছে শুনেছিলাম আমার দিদিমার নাকি ভারী পছন্দের গান ছিল এটি। অনেক পরে জেনেছি গানটি 1954 সালের "শর্ত" সিনেমার। সুর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। গায়িকা গীতা দত্ত। আমার দাদু দিদিমার বাড়িটি ছিল, ঝিলমিল সীতারো কা আঙন হোগা রিমঝিম বরসতা শাওন হোগা অ্যায়সা সুন্দর স্বপ্না আপনা জীবন হোগা দাদু দিদিমার সম্পর্কের রসায়নটি ভারী মধুর ... ...
ছেলেবেলা থেকে আকাশ বাতাস ফুল পাখি গাছ পালা লতা পাতা প্রকৃতির যা কিছুই দেখতাম প্রাণে যে একটা আকুলি বিকুলি জেগে উঠত, কিছুতেই তাকে প্রকাশ করতে পারতাম না। কবিতা গল্প গান যাই ভাবতাম, মনে হ'ত নতুন করে কিই বা লেখার আছে। তাছাড়া গান গল্প কবিতা লিখতে গেলে যত পড়তে হয় জানতে হয়, আমার সে পাথেয় কই! এই করেই দিন পার হয়ে এই উপান্তে এসে একদিন হঠাৎ মনে হল এই যে আমার অন্তরের আকুলি, এটাকেই তো লিখে ফেলতে পারি! এতো একান্তই আমার ভাবনার প্রকাশ হবে। সেই শুরু। টুকটুক করে আমার এই জীবনে নানান যাপনের গল্প গুলো লিখে ফেলে প্রাণে বড় আরাম বোধ ... ...